শেখ-ওয়াজেদ পরিবার
এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি পরিবর্ধন বা বড় কোনো পুনর্গঠনের মধ্যে রয়েছে। এটির উন্নয়নের জন্য আপনার যে কোনো প্রকার সহায়তাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। যদি এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি কয়েকদিনের জন্য সম্পাদনা করা না হয়, তাহলে অনুগ্রহপূর্বক এই টেমপ্লেটটি সরিয়ে ফেলুন। ৫৬ দিন আগে Yahya (আলাপ | অবদান) এই নিবন্ধটি সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন। (হালনাগাদ) |
শেখ-ওয়াজেদ পরিবার হচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবার।[১][২] প্রাথমিকভাবে শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার বংশধরদের নিয়ে এটি গঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতি ঐতিহ্যগতভাবেই অনেকটাই তাদের ঘিরে আবর্তিত হয়।[৩][৪]
শেখ-ওয়াজেদ পরিবার | |
---|---|
![]() টুঙ্গিপাড়ার শেখ পরিবারের বাসস্থান (শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ এর পাশে) | |
বর্তমান অঞ্চল | গোপালগঞ্জ |
উৎপত্তির স্থান | টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ, বাংলাদেশ |
সদস্য | |
বৈশিষ্ট্য | রাজনৈতিক প্রাধান্য |
ঐতিহ্য | ইসলাম |
পারিবারিক উৎপত্তি
সম্পাদনাটুঙ্গিপাড়ার শেখ পরিবারে প্রথম ব্যক্তি যিনি বাংলায় আসেন, তিনি হলেন শেখ আবদুল আওয়াল দরবেশ। শেখ আবদুল আওয়াল ইরাকের রাজধানী বাগদাদের একটি উপকণ্ঠে জন্মগ্রহণ করেন।[৫] ১৮শ শতকের প্রারম্ভে, শেখ আবদুল আওয়াল ব্যবসা করার জন্য চট্টগ্রামে এসে বাঙালি অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করতে শুরু করেন, যা বাংলার অন্যান্য শেখ পরিবারের প্রতিষ্ঠাতাদের মতো ছিল। শেখ আবদুল আওয়াল চট্টগ্রামে অনেক বছর ধর্মপ্রচার করেন, তারপর তিনি ব্যবসার উদ্দেশ্যে সোনারগাঁও যান এবং সেখানে ধর্মপ্রচার শুরু করেন। তিনি ফরিদপুরের কান্দিরপাড়ের খন্দকার পরিবারে বিয়ে করেন এবং পরবর্তীতে তাঁর পুত্র শেখ জাহিরুদ্দিনও এই পরিবারে বিয়ে করেন। বহু বছর পর, শেখ জাহিরুদ্দিন তাঁর পুত্র শেখ জান মাহমুদের সাথে কলকাতা চলে আসেন, কারণ তাঁদের পাইকারি ব্যবসা সেখানে ভিত্তিক ছিল। শেখ জান মাহমুদ-এর পুত্র শেখ বোরহানুদ্দিন সেই পাইকারি ব্যবসা চালিয়ে যান এবং শেষে পূর্ববঙ্গে ফিরে যান।
তিনি টুঙ্গিপাড়ার কাজী পরিবারে এক মেয়েকে বিয়ে করেন এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। টুঙ্গিপাড়া শেখ পরিবার কলকাতার একটি শেখ পরিবার, যার একজন সদস্য ছিলেন শেখ আসিমুদ্দিন, কান্দিরপাড়ের শেখ পরিবার এবং সোনারগাঁওয়ের একটি শেখ পরিবারের সাথে সম্পর্কিত, এই স্থানান্তরের ফলে।[৬][৭] শেখ বোরহানুদ্দিনের একটি পুত্র ছিল, যার নাম শেখ একরামুল্লাহ, এবং তার দুই পুত্র ছিল: শেখ ওসিমুদ্দিন এবং শেখ মোহাম্মদ জাকির। শেখ মোহাম্মদ জাকিরের তিনটি পুত্র ছিল: শেখ আবদুল মজিদ, শেখ আবদুল হামিদ এবং শেখ আবদুল রশিদ। শেখ আবদুল হামিদ ছিলেন শেখ লুৎফর রহমানের পিতা, এবং তাঁর স্ত্রী, সায়েরা খাতুন, ছিলেন তাঁর পিতার ভাই শেখ আবদুল মজিদের মেয়ে। তাঁদের পুত্র ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি তাঁর তৃতীয় চাচাতো বোন শেখ ফজিলাতুননেসা মুজিবকে বিয়ে করেন, যিনি শেখ ওসিমুদ্দিনের প্রপৌত্রি (তার প্রপিতামহ শেখ জাকিরের ভাই)। শেখ মুজিব এবং বেগম মুজিবের মেয়ে, শেখ হাসিনা, ১৯৬৮ সালে এম. এ. ওয়াজেদকে বিয়ে করেন।[৭]
পারিবারিক শাখা
সম্পাদনাপ্রথম দিকে
সম্পাদনাশেখ আওয়াল | |||||||||||||||||||||||||||||||
শেখ জহিরুদ্দিন | |||||||||||||||||||||||||||||||
শেখ জান মাহমুদ | |||||||||||||||||||||||||||||||
শেখ বোরহানউদ্দিন | |||||||||||||||||||||||||||||||
শেখ তাজ মাহমুদ | শেখ কুদরতউল্লাহ | শেখ এহরাম হোসাইন | |||||||||||||||||||||||||||||
শেখ আব্দুল হামিদ | শেখ আব্দুল রশিদ | শেখ আবদুল মজিদ | |||||||||||||||||||||||||||||
নিচে দেখুন[ক] | |||||||||||||||||||||||||||||||
- ↑ শেখ আবদুল হামিদের পুত্রের সঙ্গে শেখ আবদুল মজিদের মেয়ের বিয়ে হয়।
- শেখ বোরহানউদ্দিন, তিনি শেখ-ওয়াজেদ পরিবারের প্রাচীনতম রেকর্ডকৃত পূর্বপুরুষ এবং ১৪ তম শতাব্দীতে গড়াই-মধুমতি নদীর ডান তীরে অবস্থিত ফরিদপুর অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেন।[৮]
- শেখ কুদরতউল্লাহ, বোরহানুদ্দিনের একজন সরাসরি বংশধর
- শেখ একরামউল্লাহ, বোরহানুদ্দিনের একজন সরাসরি বংশধর
- শেখ আছিমউদ্দীন, কুদরতউল্লাহর একজন সরাসরি বংশধর
আধুনিক রেকর্ড
সম্পাদনা- শেখ আবদুুল মজিদ, বোরহানউদ্দিন এবং কুদরতউল্লাহর একজন সরাসরি বংশধর, শেখ ফজিলাতুন্নেছার দাদা এবং শেখ মুজিবুর রহমানের পিতার চাচা
- শেখ আবদুল রশিদ, শেখ মুজিবুর রহমান ও ফজিলাতুন্নেছার পিতার চাচা
- শেখ আবদুল হামিদ, বোরহানউদ্দিনের একজন সরাসরি বংশধর ও শেখ মুজিবুর রহমানের দাদা
- শেখ লুৎফুর রহমান, শেখ মুজিবুর রহমানের পিতা
- সায়েরা খাতুন, শেখ মুজিবুর রহমানের মাতা
- শেখ মুজিবুর রহমান
- বেগম ফজিলাতুন্নেসা
- শেখ হাসিনা ওয়াজেদ
- এম এ ওয়াজেদ মিয়া
- শেখ কামাল
- সুলতানা কামাল (শেখ কামালের স্ত্রী)
- শেখ জামাল
- পারভীন জামাল রোজী (শেখ জামালের স্ত্রী)
- শেখ রাসেল (শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র)
- শেখ রেহানা (শেখ মুজিবের কন্যা)
- অধ্যাপক ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিক (অধ্যাপক, ঢাবি; শেখ রেহানার স্বামী; মেজর জেনারেল (অবঃ) তারিক আহমেদ সিদ্দিকের ভাই)
- শেখ ফাতেমা (শেখ মুজিবের বড় বোন)
- নুরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী( শেখ ফাতেমার স্বামী)
- ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী (শেখ মুজিবের ভাগ্নে)
- নূর-ই-আলম চৌধুরী (লিটন)
- মজিবুর রহমান চৌধুুরী (নিক্সন)
- ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী (শেখ মুজিবের ভাগ্নে)
- শেখ আছিয়া বেগম (শেখ মুজিবের বোন)
- শেখ নূরুল হক ( শেখ আছিয়া বেগমের স্বামী)
- শেখ ফজলুল হক মনি (শেখ মুজিবের ভাগ্নে)
- বেগম আরজু মনি (শেখ মনি'র স্ত্রী)
- শেখ ফজলে শামস পরশ
- শেখ ফজলে নূর তাপস
- শেখ ফজলুল করিম (সেলিম) (শেখ মুজিবের ভাগ্নে)
- শেখ ফজলে ফহিম (শেখ সেলিমের ছেলে)
- শেখ ফজলুর রহমান মারুফ (শেখ মুজিবের ভাগ্নে )
- শেখ রেবা রহমান (শেখ মুজিবের ভাগ্নি ও শেখ মনি'র বোন)
- নাজিউর রহমান মঞ্জুর (শেখ রেবার স্বামী)
- আন্দালিব রহমান (তার মা শেখ রেবা, শেখ মুজিবের ভাগ্নি ও শেখ হাসিনার ফুফাতো বোন)
- শেখ সুলতানা
- ওমর ফারুক চৌধুরী
- শেখ আমেনা বেগম (শেখ মুজিবের বোন)
- আবদুর রব সেরনিয়াবাত ( শেখ মুজিবের ভগ্নিপতি ও শেখ আমেনা বেগম এর স্বামী)
- আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ (আবদুর রব সেরনিয়াবাত ও আমেনা বেগমের পুত্র)
- সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ
- সেরনিয়াবত মঈন আব্দুল্লাহ
- সুকান্ত বাবু
- বেবী সেরনিয়াবাত
- আরিফ সেরনিয়াবাত
- আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ (আবদুর রব সেরনিয়াবাত ও আমেনা বেগমের পুত্র)
- শেখ খোদেজা বেগম লিপি
- সৈয়দ হোসেন (সচিব, সংস্হাপন মন্এনালয় ও শেখ খোদেজা বেগম লিপি স্বামী)
- শেলী জামান
- পলি ওয়াদুদ
- ডলি জামান
- সাদেক হোসেন বাবলু
- পারভীন জামাল রোজী (শেখ জামালের স্ত্রী)
- শেখ আবু নাসের (শেখ মুজিবের ভাই)
- শেখ আব্দুল্লাহ রুবেল(শেখ নাসেরের বড় পুত্র)
- শেখ হেলাল উদ্দীন (শেখ নাসেরের পুত্র)
- শেখ সারহান নাসের তন্ময় (শেখ হেলালের পুত্র)
- শেখ সায়রা রহমান (শেখ হেলালের কন্যা এবং আন্দালিব রহমান পার্থের স্ত্রী)
- শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল(শেখ নাসেরের পুত্র)
- শেখ সোহেল(শেখ নাসেরের পুত্র)
অন্যান্য আত্মীয়
সম্পাদনা- শেখ শহীদুল ইসলাম (শেখ ফজিলাতুন্নেছা'র ভাগ্নে ও শেখ হাসিনার খালাত ভাই)
চিত্র
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Derichs, Claudia; Thompson, Mark R. (২০১৩)। Dynasties and Female Political Leaders in Asia: Gender, Power and Pedigree (ইংরেজি ভাষায়)। LIT Verlag Münster। পৃষ্ঠা 115–। আইএসবিএন 978-3-643-90320-4।
- ↑ "Bangladesh shaken by war of the dynasties"। The Independent (ইংরেজি ভাষায়)। Dhaka। ২০০৭-০২-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-২৪।
- ↑ Amundsen, Inge (নভেম্বর ২০১৩)। "Dynasty or Democracy? Party politics in Bangladesh" (পিডিএফ)। CMI Brief (ইংরেজি ভাষায়)। খণ্ড 12 নং 6। Bergen: Chr. Michelsen Institute। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "In Bangladesh, Sheikh Hasina settles scores"। The Economist (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১০-০১-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-২৪।
- ↑ Okada, T.; Warabi, H.; Shiokawa, Y.; Takagi, T.; Suda, K. (১৯৭৫-০৪-১০)। "[Arthralgia and respiratory insufficiency (with A-V block): polyarteritis nodosa and malignant rheumatoid arthritis]"। Nihon Rinsho. Japanese Journal of Clinical Medicine। Spec No: 752–753, 1088–1091। আইএসএসএন 0047-1852। পিএমআইডি 2795। ২০২৪-০৯-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Milton, Dr Abul Hasnat (২০২৩-১০-১৭)। Sheikh Hasina: The Making of an Extraordinary South Asian Leader (ইংরেজি ভাষায়)। Balboa Press। আইএসবিএন 978-1-9822-9828-9।
- ↑ ক খ Haque Khoka, Mominul (১৯৯৮)। অস্তরাগের স্মৃতি সমুজ্জ্বল : বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবার ও আমি। Dhaka: Shahitya Prakash। পৃষ্ঠা 24। ২১ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ রহমান, শেখ মুজিবুর (২০১২)। অসমাপ্ত আত্মজীবনী। ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড। পৃষ্ঠা ৩১। আইএসবিএন 9789845060592।