শফিক আহমেদ সিদ্দিক

বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ

ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিক (জন্ম: ২৭ আগস্ট ১৯৫০) বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি ঢাকা কমার্স কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির চেয়ারপারসন এবং অ্যাসোসিয়েশন অব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিজ অব বাংলাদেশের ভাইস-চেয়ারপারসন ছিলেন।[][][]

অধ্যাপক, ডক্টর
শফিক আহমেদ সিদ্দিক
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম২৭ আগস্ট ১৯৫০
দাম্পত্য সঙ্গীশেখ রেহানা
সম্পর্কশেখ হাসিনা (স্ত্রীর বড় বোন) তারিক আহমেদ সিদ্দিক (ভাই)
সন্তানটিউলিপ সিদ্দিক সহ ৩
পিতামাতাআবু সিদ্দিক (পিতা)
শামসুন নাহার সিদ্দিক (মাতা)

প্রাথমিক জীবন

সম্পাদনা

শফিক আহমেদ সিদ্দিক ২৭ আগস্ট ১৯৫০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আবু সিদ্দিক ও মাতা শামসুন নাহার সিদ্দিক। তারা ৩ ভাইয়ের মধ্যে রফিক আহমেদ সিদ্দিক (মৃত্যু ১৫ জুন ২০১৯) বাংলাদেশ স্টিল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ছিলেন এবং আরেকভাই তারেক আহমেদ সিদ্দিক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্সে দ্বিতীয় স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। লন্ডনের ব্রুনেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পিএইচডি সম্পন্ন করেন।[][][][]

১৯৭৭ সালে তিনি বিয়ে করেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানাকে। এই দম্পতির একমাত্র ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি এবং দুই মেয়ের মধ্যে টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য আজমিনা সিদ্দিক লন্ডনে কন্ট্রোল রিস্কের পরামর্শদাতা।

কর্মজীবন

সম্পাদনা

শফিক আহমেদ সিদ্দিক ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করে ১৯৮৬ সালে সহকারী অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। ১৯৯০ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি সহকারী অধ্যাপক হিসাবে লন্ডনের ব্রুনেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনায় যোগ দিয়ে ১৯৯৩ সালে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। তিনি সিদ্দিক বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন।[]

তিনি ঢাকা কমার্স কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। এর আগে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যুরো অব বিজনেস রিসার্চের চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির ভাইস চেয়ারপারসন হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।[] তিনি বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য।

বিতর্ক

সম্পাদনা

শফিক আহমেদ সিদ্দিক ২০০৪ সালে মতিউর রহমান রেন্টুর বিরুদ্ধে তার বই আমার ফাঁসি চাই (১৯৯৯) নিয়ে মানহানির মামলা করেন। ১৮ এপ্রিল ২০০৭ সালে ঢাকার একটি আদালত সিদ্দিককে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের রায় জারি করেন। ক্ষতিপূরণ পেতে ব্যর্থ হলে তিনি রেন্টুর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য ১০ আগস্ট ২০০৭ সালে একটি মামলা দায়ের করেন।[১০]

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ সালে তিনি বাংলাভিশনে থাকাকালীন দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে ৬৫টি মামলাকে একটি স্ট্রিংকে "বাড়াবাড়ি হচ্ছে" হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন।[১১]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "'জয় সরকারে ভাল করবেন, রেহানা পার্টিতে ভাল করবেন'"বিবিসি বাংলা। ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬। Archived from the original on ২৮ আগস্ট ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০২১ 
  2. "Chairman of the Governing Body of Dhaka Commerce College Professor Dr Shafiq Ahmed Siddique distributing the prize to a winner of the Annual Sports Competition of Dhaka Commerce College, at City Club Ground in the city's Pallabi recently."দ্য নিউ নেশন। ১১ মার্চ ২০১৯। ৩ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০২১ 
  3. "APUB gets executive committee"দ্য ডেইলি স্টার। ১২ জুন ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০২১ 
  4. "বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি"dcc.edu.bd। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০২১ 
  5. "রফিক আহমেদ সিদ্দিক আর নেই"দৈনিক প্রথম আলো। ১৫ জুন ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০২১ 
  6. "Somoy Tv News"Somoy News। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-০৩ 
  7. Report, Star (২০১৬-০২-১৮)। "It's too much"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-০৩ 
  8. "Prof. Dr. Shafiq Ahmed Siddique Nominated as New Chairman of BUBT Trust" (পিডিএফ)bubt.edu। ৪ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২১ 
  9. "Vice Chairman"APUB Association of Private Universities of Bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-১২-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-০৩ 
  10. "The Daily Star Web Edition Vol. 5 Num 1137"archive.thedailystar.net। ২০২১-০৭-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-০৩ 
  11. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "মাহফুজ আনামকে নিয়ে বাড়াবাড়ি হচ্ছে -ড. শফিক সিদ্দিক"DailyInqilabOnline। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-০৩