আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ

আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ (জন্ম: ১০ ডিসেম্বর ১৯৪৪) হলেন একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য। তিনি বরিশাল-১ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। সংবিধান অনুযায়ী দশম জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে ৩ জানুয়ারী ২০১৯ তারিখে একাদশ সংসদের সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি শপথবাক্য পাঠ করেন।[] ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের পর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।[]

মাননীয় সংসদ সদস্য
আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ
বরিশাল-১ আসনের
সংসদ সদস্য
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২০১৪ - ২০২৪
পূর্বসূরীতালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস
কাজের মেয়াদ
জুন ১৯৯৬ – ২০০১
পূর্বসূরীজহির উদ্দিন স্বপন
উত্তরসূরীজহির উদ্দিন স্বপন
কাজের মেয়াদ
১৯৯১ – ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬
পূর্বসূরীসুনীল কুমার গুপ্ত
উত্তরসূরীজহির উদ্দিন স্বপন
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1944-12-10) ১০ ডিসেম্বর ১৯৪৪ (বয়স ৭৯)
আগৈলঝাড়া বরিশাল, ব্রিটিশ ভারত
জাতীয়তা বাংলাদেশ
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
দাম্পত্য সঙ্গীসাহান আরা আবদুল্লাহ
সন্তানসুকান্ত আবদুল্লাহ বাবু (মৃত্যু ১৫ আগস্ট ১৯৭৫)
সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ
সেরনিয়াবাত মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ
সেরনিয়াবাত আসিক আবদুল্লাহ আঞ্জুমানারা কান্তা আব্দুল্লাহ্
পিতাআবদুর রব সেরনিয়াবাত

জন্ম ও পরিচয়

সম্পাদনা

আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ১৯৪৪ সালের জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা ও পানিসম্পদ মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত, যাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে হত্যা করেছিল। সেদিন তার মা, সহোদর এবং জ্যেষ্ঠ সন্তানকেও হত্যা করেছিলো ঘাতকরা। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে। তার ছেলে সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র।

কর্মজীবন

সম্পাদনা

হাসানাত আবদুল্লাহ ১৯৭৩ সালে বরিশাল উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি অধুনালুপ্ত বরিশাল পৌরসভারও চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে বরিশাল-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২৬ জুন ২০০০ সালে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হন। হাসনাত আবদুল্লাহ ১৯৯৬ থেকে ২০০০ পর্যন্ত জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ ছিলেন।

৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ২০১৪ সাধারণ নির্বাচনে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ তৃতীয় বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।[] ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ সালে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটির আহবায়ক মনোনীত হন,[] যা বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীর পদমর্যাদার।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "শপথ নিলেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা"www.prothomalo.com। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৯ 
  2. জনকণ্ঠ, দৈনিক। "জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা"দৈনিক জনকণ্ঠ || Daily Janakantha (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৬ 
  3. "Constituency 119_10th_Bn"www.parliament.gov.bd। ২০১৯-০১-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-২১ 
  4. "পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটি পুনর্গঠন"কালের কণ্ঠ। ২০১৮-০১-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-২১ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]