সজীব ওয়াজেদ
সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় (জন্মঃ ২৭ জুলাই ১৯৭১) হলেন একজন বাংলাদেশী আইসিটি পরামর্শক এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র।[১]
সজীব ওয়াজেদ জয় | |
---|---|
জয় | |
![]() সজীব ওয়াজেদ জয় | |
জন্ম | |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
অন্যান্য নাম | জয় |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশী |
শিক্ষা | |
মাতৃশিক্ষায়তন | |
আদি নিবাস | রংপুর |
দাম্পত্য সঙ্গী | ক্রিস্টিন ওয়াজেদ |
সন্তান | সোফিয়া রেহানা ওয়াজেদ |
পিতা-মাতা |
প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা
জয় ২৭ জুলাই ১৯৭১ সালে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে জন্ম নেন। তার বাবা এম এ ওয়াজেদ মিয়া, একজন খ্যাতনামা পরমাণুবিজ্ঞানী এবং মা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। তার নানা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫ সালে তার নানা শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা হওয়ার পরে, জয় মায়ের সাথে জার্মানি এবং লন্ডন হয়ে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন।
ফলে তার শৈশব এবং কৈশোর কেটেছে ভারতে। নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজ হতে স্নাতক করার পর যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস এ্যট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক শেষ করেন। পরবর্তীতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক-প্রশাসন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি স্হায়ীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় বাস করছেন।[২]
কর্মজীবন সম্পাদনা
২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি, জয়কে পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ দেয়া হয়।[২]
তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ ২০১৯ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর অবৈতনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত আছেন।
এর আগে আওয়ামীলীগের বিগত মেয়াদের সরকারে ২০১৪ সালেও প্রধানমন্ত্রীর অবৈতনিক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।
ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা
জয় ২৬ অক্টোবর ২০০২ সালে মার্কিন নাগরিক ক্রিস্টিন ওয়াজেদকে বিয়ে করেন। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তাদের সন্তানের নাম সোফিয়া ওয়াজেদ।
সমালোচনা সম্পাদনা
২০১৪ সালের ১৮ই নভেম্বর এক সভায় বিএনপির সমসাময়িক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জয়ের বেতন নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় প্রতি মাসে এক কোটি ৬০ লাখ টাকা বেতন নেন। এই তথ্য তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী ফাঁস করে দিয়েছেন। এ জন্য লতিফ সিদ্দিকীর মন্ত্রীত্বও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।” একই দিনে বিএনপির অপর এক নেতা আ স ম হান্নান শাহ বলেন, “সজীব ওয়াজেদ জয় মন্ত্রী পদমর্যাদায় প্রতি মাসে দুই লাখ ডলার বেতন নিচ্ছেন। এ রকম বেতন রাষ্ট্রপতিও পান না।”[৩]
২০২২ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জয়ের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে সমসাময়িক বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ৩ বছরে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সংশ্লিষ্টতায় ৯০ লাখ ডলার খরচ করে লবিস্ট নিয়োগ করেছিল আওয়ামী লীগ। বিএনপি জানতে চায়, সজীব ওয়াজেদ জয়ের ওই টাকার উৎস কী ছিল?” তিনি আরও বলেন, “লবিস্ট নিয়োগের প্রমাণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ওয়েব পেজে আছে। বিএনপি জানতে চায়, সজীব ওয়াজেদ জয়ের ওই টাকার উৎস কী ছিল। কীভাবে ওই টাকা বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় গিয়েছিল?”[৪]
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "২০০৭ সালের ইয়ং গ্লোবাল লিডার হিসেবে নির্বাচিত জয়"। দ্য ডেইলি স্টার। জুলাই ১, ২০০৭। ১৮ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ৭, ২০১৪।
- ↑ ক খ "সজীব ওয়াজেদ জয়"। priyo.com। ৩ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ৭, ২০১৪।
- ↑ "সজীব ওয়াজেদ প্রধানমন্ত্রীর অবৈতনিক উপদেষ্টা হলেন"। প্রথম আলো। ২১ নভেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ "লবিস্ট নিয়োগে সজীব ওয়াজেদ জয়ের টাকার উৎস জানতে চায় বিএনপি"। দ্য ডেইলি স্টার বাংলা বিভাগ (ইংরেজি ভাষায়)। ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২।