শেখ রেহানা

বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য

শেখ রেহানা (জন্ম: ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৫৫[১]) বাংলাদেশের জাতির জনক এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠা কন্যা। তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একমাত্র বোন।

শেখ রেহানা
২০২৩ সালে রেহানা
জন্ম (1955-09-13) ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৫৫ (বয়স ৬৮)
ধানমন্ডি, ঢাকা
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ববাংলাদেশী
পেশাগৃহিণী
পরিচিতির কারণশেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
দাম্পত্য সঙ্গীশফিক আহমেদ সিদ্দিক
সন্তানটিউলিপ সিদ্দিক , রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি এবং আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তি

জন্ম ও কৈশোর

সম্পাদনা

১৯৫৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শাহীন স্কুল থেকে মেট্রিক পরীক্ষা পাস করেন।[২] মেট্রিক পরীক্ষার মেধাতালিকায় নারী মধ্যে অষ্টম স্থান অধিকার করেন তিনি। পরবর্তীতে বাংলাদেশে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দেওয়া হয়নি তার।[৩]

পঁচাত্তর পরবর্তীকালে

সম্পাদনা

১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবার নিহত হয়। তখন তিনি বড় বোন শেখ হাসিনাকে সাথে নিয়ে জার্মানি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। এই ঘটনার পর তিনি যুক্তরাজ্যে 'রাজনৈতিক আশ্রয়' প্রার্থনা করেন। ব্রিটিশ সরকার তার প্রার্থনা মঞ্জুর করেন ও সেখানেই অদ্যাবধি অবস্থান করছেন শেখ রেহানা। মাঝে মাঝে বাংলাদেশে কিছুদিনের জন্য অবস্থান করেন।[৪]

সরকারী বাড়ী বরাদ্দ

সম্পাদনা

২০০১ সালে তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকার কর্তৃক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানাকে ঢাকার ধানমন্ডির ৬ নম্বর রোডের ২১ নম্বর বাড়ীটি সরকারীভাবে বরাদ্দ দেয়া হয় এবং তিনি তা নগদ মূল্যে ক্রয় করেন। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে খালেদা জিয়া'র নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার তার বাড়ীর অধিকার কেড়ে নিয়ে সেখানে ধানমন্ডি থানা হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করেন। ফলে বাড়ীর অধিকার ফিরে পাবার জন্যে ২০০৬ সালের ২৪ জানুয়ারি আইনি লড়াইয়ে নামেন তিনি। কিন্তু উৎসর্গ করার মানসিকতা থেকে তিনি আর রীট পরিচালনা করতে চান না বা বাড়ী ফেরত পেতে চান না বলে ৮ আগস্ট, ২০১১ তারিখের আবেদনে উল্লেখ করেন।[৫]

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে

সম্পাদনা

২০০৭-২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান ফখরুদ্দীন আহমদের জরুরী অবস্থা চলাকালে শেখ হাসিনা গৃহবন্দী হন। ঐ সময় শেখ রেহানা তার সহোদরা বড় বোন শেখ হাসিনা'র পক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে হাল ধরেন। ২০০৮ সালের বাংলাদেশের ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। এবং শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অধিষ্ঠিত হন। তারপর শেখ রেহানা বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এবং তার বোনকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে সহযোগিতা করে থাকেন।

পারিবারিক জীবন

সম্পাদনা

ব্যক্তিগতভাবে এখনো কর্মজীবি হিসেবে জীবন কাটান শেখ রেহানা।[৬] শেখ রেহানার স্বামী শফিক আহমেদ সিদ্দিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ও ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। তিন সন্তানের জননী তিনি। ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি। দুই কন্যা টিউলিপ সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক।[৭] তন্মধ্যে, টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনের ক্যামডেন কাউন্সিলের লেবার পার্টির পক্ষ নিয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।[৮]

আরো দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Sheikh Rehana's 60th birthday today"The Daily Ittefaq (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-১১-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-০১ 
  2. "Ex-Shaheens introduce Sheikh Kamal Memorial Scholarship | Independent"www.theindependentbd.com। ২০ জুলাই ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০২৪ 
  3. "শেখ রেহানা, এক নিভৃতচারী মহীয়সী"Sarabangla। ২০২২-০৯-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-১৩ 
  4. "Sheikh Rehana's 1979 speech was 1st global call for justice against Bangabandhu killers"ডেইলি সান (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৮-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-০৫ 
  5. বাড়ির অধিকার ছাড়লেন শেখ রেহানা[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. দৈনিক জনকণ্ঠের প্রতিবেদনঃ শেখ রেহানার আবেদন কতটা গ্রহণযোগ্য হবে[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  7. "দাদি হলেন শেখ রেহানা | আমি নির্ভিক, আমি কথা বলবই, দেশের কথা …"। ২০ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১১ 
  8. শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকী কাউন্সিলার হলেন[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]