ধানমন্ডি থানা

ঢাকা শহরের একটি আবাসিক এলাকা
(ধানমন্ডি থেকে পুনর্নির্দেশিত)

ধানমন্ডি ঢাকা শহরের একটি আবাসিক এলাকা। যদিও অন্যান্য 'আবাসিক' এলাকার মত ধানমন্ডি-তেও এখন প্রচুর অনাবাসিক ভবন আছে (যেমন স্কুল, হাসপাতাল, এনজিও ইত্যাদি)। ধানমন্ডিকে ঢাকার একটি অভিজাত পাড়া বলে গণ্য করা হয়। এইখানে ধানমন্ডি বএিশ নং রোড-এ বঙ্গবন্ধুর সেই বিখ্যাত বাড়ীটি অবস্থিত যেখানে তিনি পরিবার সহ নিহত হন, যা বর্তমানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর হিসাবে পরিচিত। ধানমন্ডি লেক বিকালে সময় কাটানোর জন্য বেশ জনপ্রিয়।

ধানমন্ডি
থানা
ধানমন্ডি লেক, ঢাকা
ধানমন্ডি লেক, ঢাকা
ধানমন্ডি বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
ধানমন্ডি
ধানমন্ডি
বাংলাদেশে এর অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৩°৪৪.৩′ উত্তর ৯০°২৩.১′ পূর্ব / ২৩.৭৩৮৩° উত্তর ৯০.৩৮৫০° পূর্ব / 23.7383; 90.3850
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগঢাকা বিভাগ
জেলাঢাকা জেলা
আয়তন
 • মোট৯.৭৪ বর্গকিমি (৩.৭৬ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (১৯৯১)
 • মোট২,০১,৫২৯
 • জনঘনত্ব২০,৬৯১/বর্গকিমি (৫৩,৫৯০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
ওয়েবসাইটধানমন্ডি উপজেলা সরকারি মানচিত্র

১৯৫০ এর দশকে ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে সরকারী উদ্যোগে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হয়।

নামকরণসম্পাদনা

আজকের আবাসিক এলাকা ধানমন্ডিতে ব্রিটিশ আমলে চাষাবাদ হতো। তবে সেইসময় ধানমন্ডিতে কিছু কিছু বসতিও ছিল। সেই এলাকায় ধান উৎপন্ন হতো বলেই নামকরণ ধানমন্ডি হয় নি। এলাকাটিতে ধানের এবং অন্যান্য শস্যের বীজের হাট বসতো। হাট বাজারকে ফার্সী এবং উর্দু ভাষায় মন্ডি বলা হয়। সেখান থেকেই এলাকাটির নাম ধানমন্ডি হয়।[১]

ইতিহাসসম্পাদনা

ধানমন্ডির পাশেই একটি খাল ছিল। উনিশ শতকের দিকে হয়তো খালটি শুকিয়ে গিয়েছিল। সেই কারণে হাট হিসাবে ধানমন্ডির গুরুত্ব কমে গিয়েছিল। ধানমন্ডি তখন জঙ্গলাকীর্ণ হয়ে পড়েছিল। গত শতকের প্রথম পঞ্চাশ-ষাট বছরেও এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটেনি। পরবর্তীতে পাকিস্তান আমলের শেষের দিকে অভিজাতদের আবাসিক এলাকা হিসেবে গড়ে উঠে ধানমন্ডি। ধানমন্ডি এখন ঢাকার অভিজাতদের অনেকগুলো আবাসিক এলাকার মধ্যে একটি। তবে ধানমন্ডির কিছু কিছু এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। [২]

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. নাজির হোসেন, "কিংবদন্তির ঢাকা", তৃতীয় সংস্করণ, এপ্রিল ১৯৯৫, থ্রিস্টার কো-অপারেটিভ মালটিপারপাস সোসাইটি লিঃ, ঢাকা, পৃষ্ঠা ১০৬
  2. মুনতাসীর মামুন, "ঢাকা: স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী", পরিবর্ধিত সংস্করণ, জুলাই ২০০৮, অনন্যা প্রকাশনী, ঢাকা, পৃষ্ঠা ১৩৭, আইএসবিএন ৯৮৪-৪১২-১০৪-৩