জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর

শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনে স্থাপিত জাদুঘর

মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর বা সংক্ষেপে স্মৃতি জাদুঘর ঢাকা শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি বিশেষ জাদুঘর যা বাঙালি জাতির অন্যতম নেতা শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি সংরক্ষণার্থে স্থাপন করা হয়েছে।[]এটিকে জুলাই গণহত্যায় নিহতদের পরিবারের বাসস্থান করার জন্য কিছু মানুষ সরকারের কাছে আবেদন জানায়।

বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর
মানচিত্র
স্থাপিত১৪ আগস্ট ১৯৯৪; ৩০ বছর আগে (14 August 1994)
অবস্থানঢাকা, বাংলাদেশ
স্থানাঙ্ক২৩°৪৫′০৬″ উত্তর ৯০°২২′৩৬″ পূর্ব / ২৩.৭৫১৭° উত্তর ৯০.৩৭৬৭° পূর্ব / 23.7517; 90.3767
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট

ইতিহাস

সম্পাদনা

ঢাকার ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকায় ৩২ নম্বর রোডের বাড়িতে শেখ মুজিব স্বাধীনতাপূর্ব কাল থেকেই বসবাস করতেন। তিনি যখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি তখন এই ভবনেই ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫ সামরিক অভুথানে সপরিবারে নিহত হন। এই অভুথানের পরপর বাড়িটি সরকার কর্তৃক সিলগালা করে দেওয়া হয়। ১৯৮১ সালে বাড়িটি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। পরে মুজিবের দুই জীবিত উত্তরাধিকারী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ১৯৯৪ সালের ১১ই এপ্রিল শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট গঠন করে এই বাড়িটি ট্রাস্টের হাতে অর্পণ করেন। ১৯৯৪ সালের ১৪ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের স্মৃতি বিজড়িত কিছু সামগ্রীর সংগ্রহ নিয়ে এ বাড়িতেই " মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর" নামে একটি জাদুঘর স্থাপন করা হয়। এই ট্রাস্টের মাধ্যমে মুজিবের বাড়িটি ও টুঙ্গিপাড়ার বাড়িটি দেখাশোনার পাশাপাশি বর্তমানে এর অধীনে শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর ছাড়াও শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল এন্ড নার্সিং কলেজটিও পরিচালিত হচ্ছে।[][]

হামলা ও ধ্বংস

সম্পাদনা

২০২৪ সালের আগস্ট মাসে অসহযোগ আন্দোলন চলাকালীন ৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ জাদুঘরটিতে অগ্নিসংযোগ করে ও লুটপাট চালায়। আগুনে ভবনের প্রায় সবকিছু পুড়ে যায়।[] পরবর্তীতে পুড়ে যাওয়া স্থাপনা থেকে অজ্ঞাত ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।[]

২০২৪ সালের ১৫ আগস্ট, শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে কিছু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী শ্রদ্ধা জানাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার চেষ্টা করলে মানুষ তাদের বাধা দেয় ও আক্রমণ করে।[] এতে একজন আহত হয়।যিনি জুলাইয়ে সংগঠিত গণহত্যা য় জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।[] তারা সাংবাদিকদেরও ছবি তুলতে বাধা প্রদান করার অভিযোগ পাওয়া যায়।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকায় ১৪ আগস্ট ২০১০ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদন[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
  3. "বঙ্গবন্ধু ভবন যেন বাংলাদেশের হৃদয়"Newsbangla24। ২০২১-০৯-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১১-০৮ 
  4. "ধানমন্ডি ৩২ এখন ধ্বংসস্তূপ"বাংলা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০২৪ 
  5. "ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে ৪ লাশ"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০২৪ 
  6. "ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে যেতে বাধা, মারধর"বণিক বার্তা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২৪ 
  7. "১৫ আগস্ট ৩২ নম্বরে গিয়ে হামলায় আহত আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু"Prothom Alo। ২০২৪-০৮-৩০। 
  8. "ধানমন্ডি ৩২: হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা 'ছবি তোলা যাবে না ভিডিও করা যাবে না'"দ্য ডেইলি স্টার। ১৫ আগস্ট ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২৪ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা