মোহনগঞ্জ উপজেলা
মোহনগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশের নেত্রকোণা জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।
মোহনগঞ্জ | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে মোহনগঞ্জ উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৫২′১৮″ উত্তর ৯০°৫৮′১৭″ পূর্ব / ২৪.৮৭১৬৭° উত্তর ৯০.৯৭১৩৯° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ময়মনসিংহ বিভাগ |
জেলা | নেত্রকোণা জেলা |
সরকার | |
• সংসদ সদস্য | সাজ্জাদুল হাসান (আমলা) (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) |
আয়তন | |
• মোট | ২৪৩.২ বর্গকিমি (৯৩.৯ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ১,৬৭,৫০৭ |
• জনঘনত্ব | ৬৯০/বর্গকিমি (১,৮০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬৪.৭৩% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ২৪৪৬ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ৭২ ৬৩ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান ও আয়তন
সম্পাদনামোহনগঞ্জ উপজেলা ২৪°৪৫´ থেকে ২৪°৫৫´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৫৫´ থেকে ৯১°০৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। এই উপজেলার উত্তরে বারহাট্টা উপজেলা ও সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলা, দক্ষিণে আটপাড়া উপজেলা, মদন উপজেলা ও খালিয়াজুড়ি উপজেলা, পূর্বে খালিয়াজুড়ি উপজেলা ও সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলা, পশ্চিমে আটপাড়া উপজেলা।
প্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনাভাটিবাংলার রাজধানীখ্যাত[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] প্রশাসন মোহনগঞ্জ থানা গঠিত হয় ১৯২০ সালের ৬ এপ্রিল। ১৯৮২ সালে উপজেলায় রুপান্তরিত করা হয়। মোহনগঞ্জ উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা, ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ ও ৩৩১টি গ্রাম রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম মোহনগঞ্জ থানার আওতাধীন।[২]
ইতিহাস
সম্পাদনাভাটি বাংলার রাজধানী[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] বলে জনশ্রুত নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলা একটি প্রাচীন জনপদ। অত্র এলাকায় মোহন সাহা নামে একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী ছিলেন যার নাম অনুসারে এই শহরের নামকরণ করা হয়েছিল বলে জানা যায়। ব্রিটিশ শাসন আমল থেকেই মোহনগঞ্জ ছিল ধান, পাট, মাছ ও সরিষার উল্লেখযোগ্য ব্যবসাকেন্দ্র। এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনা করে ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দে মোহনগঞ্জ রেল স্টেশন নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে রেল চলাচল শুরু হয়। বৃহত্তর সিলেটের সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলার ০৭/০৮ টি উপজেলার রাজধানীর সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে মোহনগঞ্জ সর্বাধিক গুরুত্ববহ শহর। বর্তমানে রাজধানীর সাথে ঢাকা-মোহনগঞ্জ রুটে বি.আর.টি.সি. সহ ০৪/০৫টি পরিবহন সংস্থার বাস সার্ভিস চালু রয়েছে।
মোহনগঞ্জ পৌরসভা ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। পৌরসভায় অবকাঠামোগত উন্নয়নে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। জলপথে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে মোহনগঞ্জ সম্ভাবনাময় একটি উপজেলা। মোহনগঞ্জ পৌরসভার বুক চিড়ে প্রবাহিত শিয়ালজানি খাল দিয়ে এক সময় ধান, পাট বোঝাই হয়ে বড় মাপের নৌকা চলাচল করত। সময়ের বিবর্তনে খালটি আজ বিলুপ্তপ্রায়। খালটির আশু সংস্কারের ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে। শিক্ষা, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিতে মোহনগঞ্জ উপজেলা অনন্য সাধারণ ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। এছাড়াও অনেক প্রাচীন নিদর্শন রয়েছে এই উপজেলাটিতে। কংশ ও ধনু দুটি নদী যার মধ্যে কংশ প্রায় মৃত। একসময় মোহনগঞ্জ ছিল মাছের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু বর্তমানে তার অনেকটা ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলেছে।[৩][৪]
১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর মুক্তিযোদ্ধারা মোহনগঞ্জ থানার পাকসেনাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ করলে পাকসেনারা বারহাট্টার দিকে পালিয়ে যায় এবং মুক্তিযোদ্ধারা মোহনগঞ্জ থানা দখল করে নেয়। ৮ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা স্থানীয় লোকদের সহায়তায় ১৯ জন রাজাকারকে মোহনগঞ্জের পাথরঘাটায় হত্যা করে।
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনা২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী মোহনগঞ্জ উপজেলার মোট জনসংখ্যা ১,৬৭,৫০৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮৪,২২৩ জন ও মহিলা ৮৩,২৮৪ জন।[৫] মোট জনসংখ্যার মধ্যে মুসলিম ৮৪.০৯%, হিন্দু ১৫.৮২%, খ্রিস্টান ০.০৫% এবং অন্যান্য ০.০৩%।
মোহনগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষার হার ৬৪.৭৩%, পুরুষ ৩৩.৭২%, মহিলা ৩১.০১%। এ উপজেলায় ৩টি কলেজ, ১৯টি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়, ৫টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৯২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১২টি মাদ্রাসা রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:
- মোহনগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়
- মোহনগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৮৯)
- মোহনগঞ্জ জামিয়া কাছেমিয়া মাদ্রাসা (১৯৩৮)
- মোহনগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫২)
- খুরশীমূল হাই স্কুল (১৯৬০)
- সমাজ উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৪)
- খালুয়া দাখিল মাদ্রাসা (১৯৬৫)
- শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়, কুলপতাক (১৯৬৬)
- শ্যামপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৯)
- মোহনগঞ্জ সরকারি কলেজ (১৯৬৯)
- বড় পাইকুড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৬৯)
- মাঘান উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৭১)
- খান বাহদুর কবির উদ্দিন খান উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৭৩)
- মাঘান দাখিল মাদ্রাসা (১৯৭৫)
- জয়পুর দাখিল মাদ্রাসা (১৯৮০)
- মোহনগঞ্জ পাবলিক হাই স্কুল (১৯৮১)
- বরান্তর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৮৭)
- বিরামপুর উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৯৪)
- করাচাপুর মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৯৪)
- মোহনগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসা (১৯৯৪)
- জৈনপুর উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৯৫)
- নারাইচ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৯৫)
- হাঁচলা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৯৮)
- মোহনগঞ্জ মহিলা কলেজ (১৯৯৯)
- মাদ্রাসা দারুল কোরআন বাহাম (২০০১)
- পালগাঁও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (২০০৩)
- শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়, কুলপতাক (২০১৫)
অর্থনীতি
সম্পাদনাজনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৪৭.৭৫%, চাকরি ২১.৩০%, ব্যবসা ১১.৮৭%, শিল্প ০.৮০%, পরিবহন ও যোগাযোগ ৭.৮০%, নির্মাণ ০.৮৬%, ধর্মীয় সেবা ০.৪৬%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.২৮%, অকৃষি শ্রমিক ২.৮৭% এবং অন্যান্য ৬.০১%।
এখানকার প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, সরিষা, তুলা। বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি এর মধ্যে আছে আলু। এছাড়াও এখানে শীতকালে বিপুল পরিমাণ রবিশস্য চাষ করা হয়।
মৎস্যে সমৃদ্ধ হাওড়ঘেরা মোহনগঞ্জ উপজেলা। এলাকার চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি সমগ্র দেশেই মাছের সরবরাহ দেওয়া হয় এখান থেকে। গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার এখানকার মানুষের আয়ের উল্লেখযোগ্য উৎস।
প্রধান ফল-ফলাদি: আম, কাঁঠাল, জাম, লিচু, পেয়ারা, জাম্বুরা ও আমরা।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পালকি, গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি, মহিষের গাড়ি। শিল্প ও কলকারখানা আটামিল, স’মিল, রাইস মিল, তেলকল, আইস ফ্যাক্টরী, প্রিন্টিং প্রেস, ওয়েল্ডিং কারখানা। কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, মৃৎশিল্প, লৌহশিল্প, সূচিশিল্প, কাঠের কাজ।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য ধান, শুঁটকি মাছ, ডিম।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র
সম্পাদনামোহনগঞ্জ উপজেলায় ১টি উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ৭টি পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, ২টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে।মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর মধ্য অন্যতম। ১৪ আগস্ট ২০২২সালে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথম সিজারিয়ান অপারেশন চালু হয়েছে।
যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থা
সম্পাদনাবাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ সেটা এ মোহনগঞ্জ উপজেলাকে দেখলেই বোঝা যায়। এ মোহনগঞ্জ উপজেলা থেকে সিলেট-ঢাকা-সুনামগঞ্জ-ভৈরব বাজারের সঙ্গে একটি শক্তিশালী জলযোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। এর স্থলযোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত উন্নত। দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে এ উপজেলার রূপবৈচিত্র আহরণ করতে খুব সহজেই আসা যায়া। ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জ রেলযোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত উন্নত। হাওর এক্সপ্রেস এবং মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস নামে দুটি আন্তঃনগর ট্রেনের গন্তব্যস্থল এ উপজেলা। এছাড়া মহুয়া কমিউটার নামে বেসরকারি ট্রেনটিও এই রেলরুটে চলাচল করে। ঢাকা-মোহনগঞ্জ মহাসড়কে প্রতিদিন ২০টিরও বেশি বাস চলাচল করে। উপজেলায় রয়েছে ৩৪.৩৪ কিলোমিটার পাকারাস্তা, ৩৭ কিলোমিটার আধা-পাকারাস্তা, ২১৭ কিলোমিটার কাঁচারাস্তা; ৩ কিলোমিটার রেলপথ; ১২ নটিক্যাল মাইল নৌপথ।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান
সম্পাদনামোহনগঞ্জ উপজেলায় ২১৭টি মসজিদ, ৩২টি মন্দির রয়েছে।
মসজিদ: মোহনগঞ্জ থানার শেখবাড়ী মসজিদটি সুলতানদের ধর্মীয় অনুপ্রেরণার স্বাক্ষর। তৎকালে নেত্রকোণার সর্ব পূর্ব-দক্ষিণে অবস্থিত প্রথম মসজিদ, এই মসজিদটিকে ঘিরে দাওয়াতী কাজ চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। মসজিদটির নির্মাণ কাল ১৪৯৪-১৫১৯ খ্রীষ্টাব্দ যা সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ সময়ের। পুনঃ নির্মাণ করা হয় ২০১২-২০১৬। মোহনগঞ্জে সবচেয়ে বড় মসজিদ দুটো হচ্ছে মোহনগঞ্জ বড় মসজিদ ও মোহনগঞ্জ মারকাজ মসজিদ। সঠিকভাবে সন-তারিখ জানা না গেলেও ধারণা করা হয় ১৯২০-২৫ সালের দিকে মোহনগঞ্জ বড় মসজিদটি স্থাপিত হয়। অপরদিকে ১৯৫৯-৬০ সালে নাগডরা গ্রামের আলেম ক্বারী জয়নাল আবেদীন থানা রোডে মারকাজ মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। এই দুটো মসজিদ ছাড়াও ১৯৮২ সালে স্থাপিত শহরের উপজেলা মসজিদ, শাহী মসজিদ, রেল স্টেশন মসজিদ ও পৌর মসজিদ উল্লেখযোগ্য।
মন্দির: বিশ শতকের তৃতীশ দশকে মোহনগঞ্জ বাজারে জগন্নাথ জিউর আখড়া প্রতিষ্ঠা করেন রাধাশ্যাম বণিক ও ভগবান সাহা। এখানে প্রতি বছর মাঘ মাসে ছাপ্পান্ন প্রহরব্যাপী হরিনাম সংকীর্তন হয়ে থাকে। এছাড়া বড়তলী গ্রামের শম্ভুচানের আখড়া, মাইলোড়া কালীমন্দির ও লোকনাথ আশ্রম এবং দত্ত পাড়ায় সার্বজনীন সৎসঙ্গ আশ্রম রয়েছে।
গির্জা: ১৯৫৮ সালে খ্রিস্টান মিশনারীদের একটি দল মোহনগঞ্জের সুয়াইর ইউনিয়নের কুলপুতাক গ্রামে একটি গির্জা প্রতিষ্ঠা করে। বর্তমানে সেখানে মিশনারী না থাকলেও বেশ কিছু খ্রিস্টান পরিবার রয়েছে।[৬]
সুবিধা সমূহ
সম্পাদনামোহনগঞ্জ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়নের আওতাধীন। তবে ২০.১৩% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৪.৮৫%, ট্যাপ ০.৮৬%, পুকুর ১.৪৪% এবং অন্যান্য ২.৮৫%। এ উপজেলার ৩৩% অগভীর নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে। স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ১৩.৮০% (গ্রামে ৭.০৬% ও শহরে ৫২.৩৮%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৭৫.৭১% (গ্রামে ৮১.৪৪% ও শহরে ৪২.৮২%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। তবে ১০.৫০% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই। ১টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ৭টি পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, ২টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। এনজিও সমূহের মধ্যে রয়েছে ব্র্যাক, প্রশিকা, আশা, আহসানিয়া মিশন।
হাটবাজার ও মেলা
সম্পাদনামোহনগঞ্জ উপজেলা ৩৮টি হাটবাজার রয়েছে ও ২টি মেলা হয়ে থাকে।
- উল্লেখযোগ্য হাটবাজার
- মোহনগঞ্জ
- খান বাহাদুর বাজার ( মেদিপাথর কাটা)
- আদর্শনগর
- মথুরা
- জৈনপুর
- বেথাম
- গাগলাজুর
- পাইকুড়া
- পালগাঁও হাট
- ঝিমটি বাজার
- উল্লেখযোগ্য মেলা
- নাগডরা মেলা
- বড়ান্তর মেলা
দর্শনীয় স্থান
সম্পাদনা- শেখবাড়ি মসজিদ (সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ সময়ের আমলে নির্মিত)
- খান বাহাদুর কবির উদ্দিন খান এর দালান বাড়ি
- কুলপতাক খ্রিষ্টান বাড়ির ব্রিটিশদের প্রাচীন দুর্গ
- খোঁজার দিঘি
- ডিঙ্গাপোতা হাওর
- বেথাম গ্রামের প্রাচীন দুর্গ (সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের আমলে নির্মিত)
- দৌলতপুর মন্দির (নির্মিত ৮৭৬ বঙ্গাব্দ)
- শৈলজারঞ্জন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র
- হিজলবন নোয়াগাঁও আখৈলখলা ।
- রাউৎপাড়া বিষ্ণু মন্দির
নদ-নদী
সম্পাদনামোহনগঞ্জ উপজেলায় প্রবাহিত হচ্ছে কংস, ধলাই, ঘোড়াউৎরা ও ধনু নদী। এছাড়া বান্দা ও মাকরা বিল উল্লেখযোগ্য।[৭]
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
সম্পাদনা- আখলাকুল হোসাইন আহমেদ, রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সাবেক এমএলএ।
- আবদুল মোমিন, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, আইনজীবী ও সাবেক মন্ত্রী।
- আশরাফ আলী খান খসরু, রাজনীতিবিদ ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সদস্য এবং মাননীয় প্রতিমন্ত্রী।
- আহসান হাবীব, লেখক ও কার্টুনিস্ট
- উকিল মুন্সী, বাউল সাধক, শিল্পী ও কবিয়াল
- ওবায়দুল হাসান, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি।
- ফজলুর রহমান খান, শহীদ বুদ্ধিজীবী।
- মুহম্মদ জাফর ইকবাল, বিজ্ঞানী, লেখক ও অধ্যাপক
- রেবেকা মমিন, জাতীয় সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ।
- আব্দুস সাত্তার মুন্সী:বাউল কবিয়াল।
- খান বাহাদুর কবীর উদ্দিন খান: বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত ১৯৩৭সাল।
- শৈলজারঞ্জন মজুমদার, রবীন্দ্র সংগীত বিশেষজ্ঞ, প্রশিক্ষক ও রসায়নের অধ্যাপক
- সাজ্জাদুল হাসান, সাবেক সিনিয়র সচিব ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং সাবেক সংসদ সদস্য।
- প্রদীপ রঞ্জন দে=মহাপরিচালক বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বীজ শাখা।
- হুমায়ুন আহমেদ, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা।
জনপ্রতিনিধি
সম্পাদনা- সংসদীয় আসন
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা | সংসদ সদস্য | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
১৬০ নেত্রকোণা-৪ | মোহনগঞ্জ উপজেলা | সাজ্জাদুল হাসান (আমলা) | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
- উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন
উপজেলা চেয়ারম্যান: মোঃ শহীদ ইকবাল
গ্যালারি
সম্পাদনা-
রূপবৈচিত্র্যের ভাটিবাংলা মোহনগঞ্জ
-
থানা মোহনগঞ্জ
-
মোহনগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
-
মোহনগঞ্জের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার
-
বিজয় দিবস উদ্যাপন ২০১২
-
ধনু ও কংশ নদীর মোহনায় সূর্যাস্ত
-
ভাটিবাংলা বাজারের শহীদ মিনার
-
রেল ব্রিজ, মোহনগঞ্জ
-
মোহনগঞ্জ সরকারি কলেজ
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ সৈয়দ মারুফুজ্জামান (৫ মার্চ ২০১৫)। "মোহনগঞ্জ উপজেলা"। বাংলাপিডিয়া। বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "ইউনিয়নসমূহ - মোহনগঞ্জ উপজেলা"। উপজেলা তথ্য বাতায়ন। জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ১১ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ নেত্রকোণা জেলার ইতিহাস’ (পৃষ্ঠা-১৬৮, খন্ড-৫)
- ↑ বাংলাপিডিয়া
- ↑ আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; মোহনগঞ্জ উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;ReferenceA
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "নদ-নদী - মোহনগঞ্জ উপজেলা"। mohongonj.netrokona.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০২১।
- ↑ "মো: শহীদ ইকবাল - মোহনগঞ্জ উপজেলা"। mohongonj.netrokona.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০২১।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাক্রম নং | পদবী | নাম |
---|---|---|
০১ | উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান[৮] | মোহাম্মদ শহীদ ইকবাল |
০২ | ভাইস চেয়ারম্যান | দিলিপ কুমার দত্ত |
০৩ | মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান | তাহমিনা আক্তার শান্তা |
মোহনগঞ্জ থানা |
|
---|