মার্ক রিচার্ডসন
মার্ক হান্টার রিচার্ডসন (ইংরেজি: Mark Richardson; জন্ম: ১১ জুন, ১৯৭১) হ্যাস্টিংস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের শুরুরদিকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মার্ক হান্টার রিচার্ডসন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | হ্যাস্টিংস, নিউজিল্যান্ড | ১১ জুন ১৯৭১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | রিগর | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান, ধারাভাষ্যকার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২১০) | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০০ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৩০ নভেম্বর ২০০৪ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১২৫) | ১১ জানুয়ারি ২০০২ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৯ জানুয়ারি ২০০২ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ৩৫ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৯–১৯৯২ | অকল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯২–২০০১ | ওতাগো ভোল্টস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০১–২০০৫ | অকল্যান্ড এইসেস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৬ ডিসেম্বর ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় কাউন্টি ক্রিকেটে অকল্যান্ড ও ওতাগো এবং ইংরেজ ক্রিকেটে বাকিংহ্যামশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ‘রিগর’ ডাকনামে পরিচিত মার্ক রিচার্ডসন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনা১৯৮৯-৯০ মৌসুম থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত মার্ক রিচার্ডসনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। নিঃসন্দেহে নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে মার্ক রিচার্ডসন অন্যতম অনুকরণীয় খেলোয়াড় ছিলেন। বামহাতি স্পিনার হিসেবে ভূমিকা পালনের পাশাপাশি ব্যাট হাতে দূর্দান্ত প্রভুত্ব উপস্থাপন করেছিলেন। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে দীর্ঘক্ষণ টিকে থাকতে সচেষ্ট ছিলেন। হক কাপে ডুনেডিন মেট্রোপলিটন দলের পক্ষে খেলতেন তিনি।
বামহাতি স্পিনার হিসেবে খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটান মার্ক রিচার্ডসন। ১০ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন তিনি। বোলিং দূর্বলতর হতে থাকলে তিনি ব্যাটিংয়ের দিকে নজর দেন। এক পর্যায়ে ২৯ বছর বয়সে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে নামার জন্যে মনোনীত হন। সোজাসুজি ব্যাটিংসহ রক্ষণাত্মক ধাঁচ প্রয়োগসহ ও ২৭ ধরনের বৈচিত্রমূখী শট খেলায় অভ্যস্ত ছিলেন। ঐ সময়ে নিউজিল্যান্ড দলের ব্যাটিংয়ের মান বেশ নিম্নমূখী ছিল ও তিনি নিজের স্থিরতা বজায়ে বেশ সচেষ্ট ছিলেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে আটত্রিশটি টেস্ট ও চারটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন মার্ক রিচার্ডসন। ১২ সেপ্টেম্বর, ২০০০ তারিখে বুলাওয়েতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৬ নভেম্বর, ২০০৪ তারিখে অ্যাডিলেডে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
২০০৩ সালে ভারত সফরে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৪৫ রানের ইনিংস উপহার দেন। এ পর্যায়ে মোহালিতে বিদেশের মাটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি গড়েন। লু ভিনসেন্টকে সাথে নিয়ে ২৩১ রান তুলেন। ২০০৪ সালের শেষদিকে অস্ট্রেলিয়া সফরের পর মাত্র ৩৩ বছর বয়সে নিজের অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন তিনি।
সব মিলিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে চারটি শতরান ও ঊনিশটি অর্ধ-শতরানের ইনিংস সহযোগে ৪৪.৭৭ গড়ে ২৭৭৬ তুলতে পেরেছিলেন। ২০০১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে একমাত্র উইকেটের সন্ধান পান। ২০৩ রান সংগ্রহকারী ইউসুফ ইউহানাকে কট এন্ড বোল্ড করেছিলেন তিনি।
মূল্যায়ন
সম্পাদনাতার টেস্ট গড় প্রায় ৫০-এর কাছাকাছি ছিল। নিউজিল্যান্ডের বেশ কয়েকটি টেস্ট বিজয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। তবে, অর্ধ-শতরানকে শতরানে রূপান্তরে তাকে বেশ বেগ পেতে হয়। তাসত্ত্বেও, ২০০৪ সালে ইংল্যান্ড সফরে এ ধারার বৈপরীত্য বহন করেন। লর্ডসে সিরিজের প্রথম টেস্টে ৯৩ ও ১০১ রান তুলেন।
একদিনের খেলায় তার ফিল্ডিং তেমন দর্শনীয় ছিল না। এছাড়াও, বেশ ধীরলয়ে দৌঁড়ুতেন তিনি ও প্রত্যেক সফরেই শেষদিকে থাকতেন। এ পর্যায়ে অস্ট্রেলিয়ার ড্যারেন লেহম্যানকে প্রথমে পরাভূত করেন। পরবর্তীতে পাকিস্তানি লেগ-স্পিনার দানিশ কানেরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার নিল ম্যাকেঞ্জি ও ইংল্যান্ডের অ্যাশলে জাইলসের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কেবলমাত্র দানিশ কানেরিয়াকে পরাভূত করতে পেরেছিলেন।
ডিসেম্বর, ২০০৪ সকল স্তরের ক্রিকেট থেকে নিজের অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন মার্ক রিচার্ডসন। এ প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন যে, তিনি আর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্রিকেট খেলার মতো আগ্রহ অনুভব করছেন না। তিনি বলেন যে, খেলোয়াড়ী জীবন শেষে তার টেস্ট বোলিং গড় স্যার রিচার্ড হ্যাডলি’র ২২.২৯ গড়ের চেয়ে ভালো। সিরিজ শেষে তিনি ৫০-৫০ অবস্থানে রয়েছেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সবমিলিয়ে ৯৯৯৪ রান সংগ্রহ করেছেন। এ সংখ্যাটি ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের ব্যাটিং গড়ের চেয়ে দশমিক সংখ্যার কারণে ভিন্নতর। স্মর্তব্য যে, ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান ৯৯.৯৪ গড়ে তার খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি টেনেছিলেন।[১]
অবসর
সম্পাদনাক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ধারাভাষ্যকর্মের সাথে নিজেকে জড়িত করেন। ২০০৬ সাল থেকে স্কাই স্পোর্টস ক্রিকেট ধারাভাষ্যকারের দায়িত্ব পালন করছেন। ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ থেকে ডিসেম্বর, ২০১৬ সাল পর্যন্ত অ্যান্ড্রু মালিগানের সাথে প্রাইম শো দ্য ক্রাউড গোজ ওয়াইল্ড অনুষ্ঠানের সহ-সঞ্চালক ছিলেন। ২০১২ সাল থেকে দ্য ব্লক এনজেড পরিচালনা করছেন। দি এএম শো’র ক্রীড়া প্রতিবেদক তিনি। পূর্বে তিনি দ্য সাউন্ড এন্ড রেডিও স্পোর্টের প্রভাতকালীন বেতার ঘোষকের দায়িত্বে ছিলেন।[২]
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে তিনি গণমাধ্যমে মন্তব্য করেন। জুলাই, ২০১৮ সালে তিনি বলেন যে, জনগণের ট্রাম্পকে সুযোগ দেয়া উচিত।[৩] প্রধানমন্ত্রী জেসিন্দা আরডার্নের সন্তান সহযোগে দাপ্তরিক কার্যাবলী পালনের সিদ্ধান্তের তুখোড় সমালোচনা করেন।[৪] এরপূর্বে তিনি সমালোচনা সহকারে বলেছিলেন যে, মা হলে চাকরি করা উচিত নয়।[৫] ২০১৮ সালে বাজেট ঘোষণার পর ভাড়ার কারণে তার ক্ষতির কথা উল্লেখ করেন।[৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Quote Unquote 2004 : 'Put it this way, 9994 runs, if you stick a decimal point in the middle of those figures it's the same as Sir Don Bradman's Test average'"। Cricinfo।
- ↑ "Mark Richardson joins The Sound breakfast show in 2016"। Mediaworks। ২৭ নভেম্বর ২০১৫। ৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "People need to give Trump 'a shot' - Mark Richardson" – www.newshub.co.nz-এর মাধ্যমে।
- ↑ "Mark Richardson lets rip on the Government and babies" – www.newshub.co.nz-এর মাধ্যমে।
- ↑ "Mark Richardson says being a mum is 'not a job'"। Stuff। ১৮ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "Broadcaster Mark Richardson tells tenants on live TV: 'rent's going up'"। Stuff। ১৬ মে ২০১৮।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে মার্ক রিচার্ডসন (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে মার্ক রিচার্ডসন (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)