নিল ম্যাকেঞ্জি
নিল ডগলাস ম্যাকেঞ্জি (ইংরেজি: Neil McKenzie; জন্ম: ২৪ নভেম্বর, ১৯৭৫) ট্রান্সভাল প্রদেশের জোহেন্সবার্গে জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ও বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলে খেলেছেন নিল ম্যাকেঞ্জি। এছাড়াও তিনি ডানহাতে মিডিয়াম-পেস বোলিং করতেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে হাইভেল্ড লায়ন্স এবং কাউন্টি ক্রিকেটে সমারসেট ও ডারহাম দলে প্রতিনিধিত্ব করেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | নিল ডগলাস ম্যাকেঞ্জি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | জোহেন্সবার্গ, ট্রান্সভাল প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা | ২৪ নভেম্বর ১৯৭৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | কেভিন ম্যাকেঞ্জি (পিতা) ও মেগান ম্যাকেঞ্জি (বোন) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৭৭) | ২০ জুলাই ২০০০ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৬ মার্চ ২০০৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৫৯) | ২ ফেব্রুয়ারি ২০০০ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৩০ জানুয়ারি ২০০৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ৪ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১০-বর্তমান | হ্যাম্পশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪/০৫-২০০৯/১০ | লায়ন্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮ | ডারহাম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৭ | সমারসেট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৯/০০-২০০৩/০৪ | নর্দার্নস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৭/৯৮-১৯৯৮/৯৯ | গটেং | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৪/৯৫-১৯৯৬/৯৭ | ট্রান্সভাল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ২৭ এপ্রিল ২০১৩ |
খেলোয়াড়ী জীবন
সম্পাদনা২০০০ সালে সর্বপ্রথম দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলে অংশগ্রহণ করেন। দলে তিনি মূলতঃ ব্যাটিং উদ্বোধনে মাঠে নামতেন। লেগ সাইডে বল মাঠের বাইরে ফেলতে বেশ পারদর্শী ছিলেন। এছাড়া, স্পিনেও তিনি সমান দক্ষ ছিলেন। শ্রীলঙ্কা সফরে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। তার পিতা কেভিন ম্যাকেঞ্জির ন্যায় তিনিও মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে পাকাপোক্ত স্থান দখল করেন। কিন্তু পরবর্তীকালে ব্যাটিং উদ্বোধনেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। ২০০০-০১ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম শতরান করেন। এরপর সুপারস্পোর্ট পার্কেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আরেকটি শতরান করেন। পরবর্তী সাত বছর তিনি আর কোন শতরানের মুখ দেখেননি। এসময় তিনি বারোটি অর্ধ-শতক করেন। তন্মধ্যে ৯৯ রানে ড্যামিয়েন মার্টিনের রান-আউটের ফলে শতরানে পরিণত হয়নি।
কয়েকটি সিরিজে আশানুরূপ রান সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হওয়ায় দলের বাইরে থাকতে হয় তাকে। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে সফলকাম হওয়ায় ও উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হার্শেল গিবসের দূর্বল ক্রীড়াশৈলীর ফলে তাকে পুনরায় দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নিউল্যান্ডসে অনুষ্ঠিত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাড়ে তিন বছর পর দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামেন। ইনিংসের উদ্বোধনে নেমে ২৩ রান করার পর মাংসপেশীতে টান পড়ায় দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠে নামেননি। এরফলে তৃতীয় টেস্ট খেলা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করেন।
২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেন। প্রথম ওডিআইয়ে ৬৩ রান তোলেন। ৪-১ সিরিজ বিজয়ী দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এসময় তার দল বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গনে ১নং দলের মর্যাদা পায়। কিন্তু গ্রেইম স্মিথ সুস্থ হয়ে মাঠে নামলে একদিনের দল থেকে বাদ পড়েন তিনি।
কীর্তিগাথা
সম্পাদনা২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ তারিখে বাংলাদেশের বিপক্ষে গ্রেইম স্মিথকে সাথে নিয়ে প্রথম উইকেটে ৪১৫ রানের বিশ্বরেকর্ড গড়েন।[১] খেলায় তিনি তার সর্বোচ্চ ২২৬ রান করেন। এরপর ভারতের বিপক্ষেও ৯৪ ও অপরাজিত ১৫৫* করে তিনি খেলার ধারা অব্যাহত রাখেন।
জুলাই, ২০০৮ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রিজে টানা নয় ঘণ্টা অবস্থান করে ৪৪৭ রান মোকাবেলা করে ১৩৮ রান তোলেন। এরফলে তৃতীয় দিনে দলকে ফলো-অন করা থেকে রক্ষা করেন।[২]
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে চমকপ্রদ ফলাফল করায় উইজডেন কর্তৃক তিনি পাঁচজন ক্রিকেটারের একজন হিসেবে মনোনীত হন।
২০০৮ মৌসুমে সমারসেট দলের সদস্য হন। এরপর বিদেশী খেলোয়াড় হিসেবে ডারহামের পক্ষে খেলেন।[৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ South Africa set new opening mark BBC News retrieved 1 March 2008
- ↑ Hashim Amla Century Guides South Africa To Safety ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ আগস্ট ২০০৮ তারিখে Cricket World retrieved 16 July 2008
- ↑ Durham To Boast World Class Batting Line-Up In 2008[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] Cricket World retrieved 31 March 2008
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে নিল ম্যাকেঞ্জি (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে নিল ম্যাকেঞ্জি (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)