মধুরকবি আলবর

তামিল বৈষ্ণব সাধক ও কবি

মধুরকবি আলবর ছিলেন দক্ষিণ ভারত দ্বাদশ অলবর সাধুদের মধ্যে একজন। অলবররা হিন্দুধর্মের বৈষ্ণব ঐতিহ্যের সাথে যুক্ত থাকার জন্য পরিচিত। অলবর -এর শ্লোকগুলি নালায়ীরা দিব্য প্রবন্ধম -নামক পুস্তকে সংকলিত হয়েছে যেখানে একশ আটটি মন্দিরকে 'দিব্য দেশম হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। মধুরকবিকে দ্বাদশ আলবরের সারিতে ষষ্ঠতম বলে মনে করা হয়। তিনি নম্মালবর এর শিষ্য ছিলেন। নম্মা আলবরকে বারো জন আলবরদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয়। নালায়ীরা দিব্য প্রবন্ধম-এর ৪০০০টি স্তবকের মধ্যে তাঁর অবদানের পরিমাণ এগারটি স্তবক। মধুরকবি নম্মালবরের রচনা লিপিবদ্ধ ও সংকলন করেছেন বলে মনে করা হয়।নম্মালবরের তিরুবাইমোলি (১১০২ শ্লোক) মধুরকবি আলবর সংকলন করেছিলেন । মধুরকবি আলবর রচিত কান্নিনুন সিরুটাম্পু-এর এগারটি শ্লোককে নালায়ীরা দিব্য প্রবন্ধম-এর চার হাজারটি পদের অন্তর্গত হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই শ্লোকগুলি নাথমুনি দ্বারা ১২,০০০ বার উচ্চারিত হয়েছিল নম্মালবর এর হারানো নালায়ীরা দিব্য প্রবন্ধম্ থেকে পুনরুদ্ধার করার উদ্দেশ্যে।

মধুরকবি আলবর
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্মএপ্রিল ২৫, ৮ম শতাব্দী[১]
তিরুকোল্লুর
ধর্মহিন্দুধর্ম
দর্শনবৈষ্ণব ভক্তি
ধর্মীয় জীবন
সাহিত্যকর্মকান্নিনুন চিরুটাম্পু

হিন্দু কিংবদন্তি অনুসারে নম্মালবর তার জন্মের পর থেকে একটি তেঁতুল গাছে বসে বোবা অবস্থায় ছিলেন। তখনই তিনি প্রথমে মধুরকবির সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। মধুরকবি দক্ষিণে একটি উজ্জ্বল জ্যোতি দেখতে পেয়েছিলেন এবং তা অনুসরণ করেছিলেন যতক্ষণ না তিনি একটি গাছে পৌঁছেছিলেন যেই গাছে বালকটি বাস করছিল। অন্যান্য আলবরদের সাথে মধুরকবির স্তবগুলি বৈষ্ণবধর্মের দার্শনিক এবং ধর্মতাত্ত্বিক বিশ্বাসগুলিতে অবদান রাখে। মধুরকবি ও অন্যান্য আলবরের শ্লোকগুলি প্রতিদিনের প্রার্থনার অংশ হিসাবে তামিলনাড়ুর বেশ কয়েকটি বিষ্ণু মন্দিরে উৎসব অনুষ্ঠানে পাঠ করা হয়।

অলবর সম্পাদনা

"অলবর" শব্দের অর্থ "যিনি ঈশ্বরের অগণিত গুণসমুদ্রের গভীরে অবগাহন করেন"। অলবরদের বিষ্ণুর দ্বাদশ উচ্চকোটির ভক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তারা ৫ম থেকে ৮ম শতাব্দীতে বৈষ্ণবধর্মকে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছিলেন। অলবর সাধুদের তামিল ভাষায় রচিত প্রেম ও ভক্তিগীতিগুলি নালায়ীরা দিব্য প্রবন্ধম নামে সংকলিত হয়েছে। এখানে ৪০০০টি শ্লোক রয়েছে। এতে ১০৮টি দিব্য দেশম্ তথা বিষ্ণু মন্দিরকে তাদের রচিত গানের মাধ্যমে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। [২][৩] অলবরগণ ছিলেন বিভিন্ন বর্ণের অন্তর্গত। ঐতিহ্য অনুসারে, পোইগাই, ভুথ,পেয়ালবর, ভক্তিসার ছিলেন ঋষিপুত্র, তোণ্ডারাড়ি, মথুরকবি, বিষ্ণুচিত্তঅন্ডাল ব্রাহ্মণ বর্ণভুক্ত ছিলেন, কুলশেখর ক্ষত্রিয় বর্ণের, নম্মালবর কৃষক পরিবার, তিরুপ্পানার পানার সম্প্রদায় এবং তিরুমঙ্গায়ালবর কল্বর সম্প্রদায়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।গরুড়বাহন পণ্ডিতের (খ্রিস্টাব্দ ১১ শতক) 'দিব্য সুরি চরিত', পিনবরাগিয়া পেরুমল জিয়ার 'গুরুপরম্পরাপ্রবরম্', কোবিল কান্দাদাই আপ্পনের 'পেরিয়া তিরু মুদি আদাইভু', পিল্লাইয়ের 'যতীন্দ্র প্রণব প্রবরম্', লোকম জিয়া'র 'দিব্য প্রবন্ধম-এর ভাষ্য', 'গুরু পরম্পরা(গুরুগণের ক্রমাণুক্রমিক ধারা)' গ্রন্থ, মন্দিরের সংস্কৃতি এবং শিলালিপিতে আলবরদের কর্মের বিশদ বিবরণ প্রদান করা হয়েছে। এই গ্রন্থগুলি অনুসারে, অলবরগণ বিষ্ণুর পার্ষদ ও অস্ত্রের অবতার বলে পরিগণিত পোইগাই অলবরকে পাঞ্চজন্য শঙ্খ, কৌমুদকীর অবতাররূপে পে-অলবর, ভুতথকে নন্দক তলোয়ার ,ভক্তিসারকে সুদর্শন চক্র, নম্মালবরকে বিষ্বকসেন, মধুরকবিকে বৈনতেয় গরুড়, পেরিয়ালবরকে বৈকুন্ঠবাসী গরুড়, অণ্ডালকে ভূদেবী, বনমালার (বিষ্ণুর গলমাল্য) অবতার তোণ্ডারাড়িপ্পোড়ি, শ্রীবৎসের অবতার তিরুপ্পানালবর এবং তিরুমঙ্গাই আলবারকে শাঙ্গর্ধনুর (রামের ধনুক) অবতার হিসেবে দেখা হয়। প্রবন্ধম-এর গীতিগুলি দক্ষিণ ভারতের সমস্ত বিষ্ণু মন্দিরে প্রতিদিন এবং বিবিধ উৎসবে নিয়মিত গাওয়া হয়।[৩][৪] মনবলা মামুনিগল-এর ঐতিহাসিক বিবরণ অনুসারে, প্রথম তিনজন আল্বর অর্থাৎ পোইগাই, ভুতথ এবং পে দ্বাপরের (খ্রিস্টপূর্ব ৪২০০ সালের আগে) অন্তর্গত। ইতিহাস এবং ঐতিহাসিকদের দ্বারা ব্যাপকভাবে স্বীকৃত এই ত্রয়ী দ্বাদশ আলবরদের মধ্যে প্রাচীন। [২][৩][৫][৬][৭]

তিনজন শৈব নায়নমারদের সাথে তারা দক্ষিণ ভারতীয় রাজাদের প্রভাবিত করেছিলেন। তারা একটি ভক্তি আন্দোলন গড়ে তোলেন, এর ফলে এই অঞ্চলে বৌদ্ধ, জৈন ধর্ম এবং হিন্দু ধর্ম এই দুটি সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভূগোল পরিবর্তিত হয়। আলবরগণের ভাগবত ধর্মের প্রচারে ভারতের দুটি মহাকাব্য যথা রামায়ণ এবং মহাভারত এর প্রভাব লক্ষ্যণীয়।[৮] আলবরগণ সমগ্র অঞ্চলে "বৈষ্ণববাদ" ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেছিলেন।[৯] কতিপয় আলবর এর চরিত ধর্মতাত্ত্বিক নাথমুনি {(৮২৪-৯২৪ খ্রিস্টাব্দ) দশম শতকের একজন বৈষ্ণব} দ্বারা সংকলিত হয়েছিল।তিনি আলবরদের রচনাগুলোকে "তামিল বেদ" বলে আখ্যায়িত করেছেন। [১০][১১]

জীবনী সম্পাদনা

মধুরকবি নম্মালবরের আগে, একটি ব্রাহ্মণ পরিবারে, চিত্তিরই মাসে এবং আলওয়ারথিরুনগরীর কাছে থিরুক্কুলুর চিত্রা নক্ষত্রে জন্মগ্রহণ করেন। [১২] [১৩] মন্দিরের অধিপতি দেবতাকে বলা হয় বৈঠা মানিধি, যার অর্থ প্রচুর সম্পদের নিধি। তাকে বিষ্ণুর সেবক বিষ্বকসেনের শিষ্য কুমুধ গণেশের ঐশ্বরিক রূপ মনে করা হয়। তিনি বিষ্ণুর পবিত্র ঈগল বাহন গরুড়ের অবতার বলেও বিশ্বাস করা হয়। [১৪] যদিও কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে তিনি গরুড়ের অবতার, কিছু বিবরণ দেখায় যে তিনি বিশ্বক্ষেনের শিষ্য কুমুদের অবতার, অন্যদিকে নম্মালবর স্বয়ং বিষ্বকসেনের অবতার (বিশ্বকসেন হলেন বিষ্ণুর সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি)। মধুরকবি আলভবর নম্মালবরের (বিশ্বকসেনের অবতার) জীবদ্দশায় বেঁচে ছিলেন।

মধুরকবি বেদ শিখেছিলেন এবং তামিলসংস্কৃত উভয় ভাষাতেই পারদর্শী বলে মনে করা হয়। তিনি বিষ্ণুর স্তুতিতে কবিতা রচনা করতেন। জীবনের এক পর্যায়ে, তিনি জীবিকার সমস্ত শৃঙ্খল ত্যাগ করে মোক্ষের দিকে সংগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নেন। এই সাধনায় তিনি অযোধ্যা ও মথুরার মতো উত্তর ভারতে অবস্থিত দিব্য দেশমে তীর্থযাত্রা করেন।

নম্মালবর সভা সম্পাদনা

জনপ্রিয় ঐতিহ্যে, মধুরকবি আলবর, দীর্ঘ ভ্রমণের পর যখন অযোধ্যায় পৌঁছেছিলেন এবং রাম, সীতা, লক্ষ্মণ, হনুমান এবং অন্যান্যদের মনোমুগ্ধকর রূপের মঙ্গলাসনম্ সম্পন্ন করলেন তখন তিনি আকাশে আগুনের একটি জ্বলন্ত বর্তুল লক্ষ্য করেছিলেন। অনেক চেষ্টা করেও এই ঘটনার কারণ বুঝতে পারেননি। তিনি আরও লক্ষ্য করলেন যে আগুনের পুঞ্জ দক্ষিণ দিকে যেতে শুরু করেছে। তিনি সেই আলোকে অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যা তাকে আলওয়ারথিরুনগরীতে নিয়ে যায় এবং অবশেষে অদৃশ্য হয়ে যায়। মধুরকবি ইতিমধ্যেই একজন ষোল বছর বয়সী যুবক (নম্মালবর) সম্পর্কে শুনেছিলেন যে জন্মের পর থেকে একটি তেঁতুল গাছের নীচে কিছু না খেয়ে এবং ঐশ্বরিক আভা নির্গত না করেই তার জীবন কাটাচ্ছে। মধুরকবি সোজা চলে গেলেন নম্মালবরের আসনে যিনি সমাধিতে ছিলেন। নম্মালবরকে পরীক্ষা করার জন্য, মধুরকবি একটি পাথর ফেলে দেন। শিশুটির কাছ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া না পেয়ে, তিনি তাকে একটি ধাঁধা জিজ্ঞাসা করলেন:

" செத்ததன் வயிற்றில் சிறியது பிறந்தால் எத்த்தைத்தின்றடக்க்த்தின்றடக்க்த்தின்?

"যদি মৃতের গর্ভে একটি শিশু জন্ম নেয়, তাহলে তা কিসের উপর টিকে থাকবে এবং কোথায় থাকবে?" (দার্শনিক অর্থ হলো; সূক্ষ্ম আত্মা যদি স্থূল দেহে মূর্ত হয়, তবে তার ক্রিয়া এবং চিন্তাভাবনা কী?) নম্মালবর তার চির নীরবতা ভেঙে উত্তর দিয়েছিলেন,

" அத்தைத் தின்று அங்கே கிடக்கும் "

অনুবাদ: "এটি টিকে থাকবে, তাতেই থাকবে!" (অর্থাৎ আত্মা যদি দেহের সাথে পরিচিত হয় তবে তা দেহ হবে কিন্তু যদি সে ঈশ্বরের সেবা করে তবে সে বৈকুণ্ঠে থাকবে এবং ভগবান তাকে ভক্ষণ (চিন্তা) করবে)। [১৪] [১৫] [১৬]

মূর্তিকাহিনী সম্পাদনা

নম্মালবর যখন (পৃথিবী ত্যাগ করে) বৈকুণ্ঠে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন , তখন সজল-চোখে মধুরকবি নম্মলবরকে জিজ্ঞাসা করলেন পরবর্তীতে তিনি কী করবেন। নম্মলবর মধুরকবিকে তাম্রপর্ণির জল সিদ্ধ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে জল ফুটানোর সময় একটি প্রতিমা তৈরি হবে। মধুরকবি নম্মলবরের পরামর্শ মতই তা করলেন। যখন তিনি তাম্রপর্ণির জল সিদ্ধ করেছিলেন, তখন তিনি ভগবদ রামানুজের একটি মূর্তি লাভ করেছিলেন। তিনি অবাক হয়ে দেখলেন যে মূর্তিটি তার প্রত্যাশার চেয়ে ভিন্ন। তিনি মূর্তিটি নিয়ে নম্মালবরের কাছে গেলে নম্মালবরে তাকে বলেন যে এই মূর্তিটি ভবিষ্যধাচার্য (ভবিষ্যৎ গুরু) এবং নম্মালবরের সময়কাল থেকে ৪০০০ বছর পর তিনি জন্মগ্রহণ করবেন। তিনি আবার তাম্রপর্ণির জল সিদ্ধ করার পরামর্শ দিলেন। মধুরকবি আবার তাম্রপর্ণির জল ফুটিয়ে অবশেষে নম্মালবরের মূর্তি পান।

রচনা সম্পাদনা

মধুরকবির এগারোটি শ্লোককে কান্নিনুন সিরুটাম্পু হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে, যার সবকটিই তাঁর ঐশ্বরিক শিক্ষক নম্মালবরের প্রশংসায় চার পঙক্তিতে রয়েছে। শ্লোকগুলি অন্য এগারো আলবরের রচনার সাথে নালায়ীরা দিব্য প্রবন্ধম হিসাবে সংকলিত হয়েছে। মথুরকবি নম্মলবরেরের সৃষ্টিকর্ম ছড়িয়ে দিতে তাদের প্রত্যেকটিতে সুর রচনা করেছিলেন। শ্লোকের শুরুতে বলা হয় "মহানের নাম, আমার কুরুকুরের আচার্য, আমার জিহ্বায় অমৃত আনে এবং তা প্রভুর নামের চেয়েও মধুর"। [১৪] বিশ্বাস করা হয় যে মধুরকবি তিরুবায়মোলির সমস্ত শ্লোক সংকলন করেছিলেন নম্মালবর দ্বারা পাঠ করার সময়। [১৭]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Alvars
  2. Rao, P.V.L. Narasimha (২০০৮)। Kanchipuram – Land of Legends, Saints & Temples। New Delhi: Readworthy Publications (P) Ltd.। পৃষ্ঠা 27। আইএসবিএন 978-93-5018-104-1 
  3. Dalal 2011, pp. 20-21
  4. Ramaswamy, Vijaya (২০০৭)। Historical Dictionary of the Tamils। Scarecrow Press। পৃষ্ঠা 211। আইএসবিএন 9780810864450 
  5. Aiyangar, Sakkottai Krishnaswami (১৯২০)। Early history of Vaishnavism in south India। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 17–18। poigai azhwar. 
  6. Lochtefeld, James (২০০২)। The Illustrated Encyclopedia of Hinduism: N-Z । The Rosen Publishing Group। পৃষ্ঠা 515আইএসবিএন 9780823931804poygai. 
  7. Krishna (২০০৯)। Book Of Vishnu। Penguin Books India। পৃষ্ঠা 136। আইএসবিএন 9780143067627 
  8. B.S. 2011, p. 42
  9. B.S. 2011, p. 47-48
  10. Mukherjee (১৯৯৯)। A Dictionary of Indian Literatures: Beginnings-1850 Volume 1 of A Dictionary of Indian Literature, A Dictionary of Indian Literature। Orient Blackswan। পৃষ্ঠা 15। আইএসবিএন 9788125014539 
  11. Garg, Gaṅgā Rām (১৯৯২)। Encyclopaedia of the Hindu World: Ak-Aq। Concept Publishing Company। পৃষ্ঠা 352–354। আইএসবিএন 9788170223757 
  12. B.S. 2011, p. 45
  13. Das 2005, p. 29
  14. Dalal 2011, p. 227
  15. Swami, Parmeshwaranand (২০০১)। Encyclopaedic Dictionary of Purāṇas। Sarup & Sons। পৃষ্ঠা 908। আইএসবিএন 9788176252263 
  16. Filliozat, Jean (১৯৯১)। Religion, Philosophy, Yoga: A Selection of Articles। Motilal Banarsidass Publishers। পৃষ্ঠা 24। আইএসবিএন 9788120807181 
  17. Ramaswamy 2007, p. 211

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা