গরুড়

বিষ্ণুর বাহন, বৃহদাকার পাখি

গরুড় (সংস্কৃত: गरुड) বা গরুত্মান[১] হিন্দুবৌদ্ধ পুরাণে উল্লিখিত একটি বৃহদাকার পৌরাণিক পাখি বা পক্ষীতুল্য জীব। হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, গরুড় বিষ্ণুর বাহন।[২] তিনি ঋষি কশ্যপ ও বিনতার পুত্র; তার ভাই অরুণ সূর্যের সারথি।[৩] গরুড় শব্দের অর্থ বাক্যের ডানা[১] তিনি বৈদিক জ্ঞানের প্রতীক।[১] গরুড় কখনো মুক্তডানা ঈগলের মত, কখনো ঈগলমানবের মত বর্ণনা করা হয়েছে। গরুড় সাপদের শত্রু।

গরুড়
Garuda by Hyougushi in Delhi.jpg
দেবনাগরীगरुड

গরুড়ের অমৃত আহরণসম্পাদনা

মহাভারতের আদিপর্ব অনুযায়ী গরুড়ের মাতা বিনতা নিজের সতিন সর্পমাতা কদ্রুর নিকট পণে পরাজিত হয়ে কদ্রুর দাসীতে পরিণত হন। গরুড় কদ্রুর নিকট মাতার দাস্যমুক্তির জন্য বললে, কদ্রু তাকে বলেন যে, যদি সে অমৃত নিয়ে আসতে পারে তাহলে বিনতাকে মুক্ত করে দেবেন। মাতার মুক্তির জন্য গরুড় অমৃত আনতে স্বর্গে চলে যায়। স্বর্গের সকল দেবতা চেষ্টা করেও গরুড়কে নিবৃত্ত করতে বিফল হন। দেবরাজ ইন্দ্র নিজের বজ্র প্রয়োগ করলে, তাও ব্যর্থ হয়। এভাবে সকল দেবতাকে পরাস্ত করে গরুড় অমৃত হরণ করে নিয়ে আসেন এবং মাতাকে মুক্ত করেন।

তারাচিত্রসম্পাদনা

গরুড় ঈগল মণ্ডল নামক তারামণ্ডলের হিন্দু নাম। ব্রাহমিনি কাইট পাখিটিকে গরুড়ের সমসাময়িক রূপ মনে করা হয়।[৪]

চিত্রকক্ষসম্পাদনা

পাদটীকাসম্পাদনা

  1. Hindu Gods and Goddesses, Swami Harshananda, Sri Ramakrishna Math, Chennai, p.55-56
  2. হিন্দুদের দেবদেবী: উদ্ভব ও ক্রমবিকাশ, দ্বিতীয় পর্ব, হংসনারায়ণ ভট্টাচার্য, ফার্মা কেএলএম প্রাঃ লিঃ, কলকাতা, ২০০৩ মুদ্রণ, পৃ. ৩৫০-৬১
  3. হিন্দুদের দেবদেবী: উদ্ভব ও ক্রমবিকাশ, দ্বিতীয় পর্ব, পৃ. ৩৫০ ও ৩৫২
  4. Russel, RV & Lal, H. 1916 The tribes and castes of the central provinces of India. Published Under the Orders of the Central Provinces Administration In Four Volumes Vol. I. Macmillan and Co., Limited St. Martin’s Street, London. pp. 2231

বহিঃসংযোগসম্পাদনা