বৈরাগী ব্রাহ্মণ
বৈরাগী ব্রাহ্মণ হল একটি হিন্দু বর্ণ। তাদেরকে স্বামী, মহন্ত, বৈষ্ণব, বৈরাগী, রামানন্দী, শমী, পূজারী বিভিন্ন নামেও ডাকা হয়। তারা বৈষ্ণব, এবং পবিত্র সুতো পরিধান করে। পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ওড়িশা, বিহার ও উত্তর প্রদেশের পূর্বাঞ্চলে এদের অধিকাংশ পাওয়া যায়। বৈরাগী হল বাংলার উচ্চ বর্ণের মধ্যে একটি – ব্রাহ্মণ, রাজপুত, ছত্রী, গ্রহচার্য, বৈদ্য।[১]
বৈরাগী ব্রাহ্মণ | |
---|---|
শ্রেণীবিভাগ | রামানন্দী সম্প্রদায় |
কুলদেবতা | রাম, কৃষ্ণ ও হনুমান |
কুলদেবী | সীতা, রাধা ও তুলসী (লক্ষ্মীর অবতার) |
গুরু | রামানন্দ, তুলসীদাস ও রামানুজ |
নিশান | কপিধ্বজ (পতাকায় হনুমান) |
ধর্ম | হিন্দুধর্ম |
ভাষা | হিন্দি, অবধি, ভোজপুরি, ব্রজ, মৈথিলী, মাগধী, অঙ্গিকা, বজ্জিকা, নাগপুরি, বাঘেলী, বুন্দেলী, কন্নৌজী, কৌরবী, হরিয়ানবী, পাঞ্জাবি, রাজস্থানী, গুজরাটি, ছত্তিশগড়ি, ওড়িয়া, বাংলা ও মারাঠি |
দেশ | ভারত ও নেপাল |
জনবহুল অঞ্চল | ভারত উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, ছত্তিশগড়, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ও হরিয়ানা নেপাল মধেশ প্রদেশ |
সামন্তবাদী উপাধি | মহন্ত/স্বামী/বৈষ্ণব |
রং | গেরুয়া |
ঐতিহাসিক গোষ্ঠী | ব্রাহ্মণ |
পদমর্যাদা | মঠ সম্প্রদায় |
বৈরাগী ব্রাহ্মণ ব্রাহ্মণ বর্ণের অন্তর্গত। সেনুগুপ্ত তাদেরকে উচ্চ বর্ণের গোষ্ঠী হিসেবে বর্ণনা করেছেন।[২] উইলিয়াম পিঞ্চ বিশ্বাস করেন যে বৈষ্ণবদের বৈরাগী শাখা ১৭ শতকের গালত সম্মেলনের ফল।[৩]
মায়ারের মতে, বৈরাগীরা ছিল কয়েকটি সাম্প্রদায়িক বর্ণের মধ্যে একটি যারা উচ্চ বর্ণের থেকে ভর্তি গ্রহণ করেছিল। তিনি বলেছেন যে বৈরাগীদের জাগতিক ও ব্রহ্মচারী বর্ণের শাখা ছিল। তিনি বলেন যে তারা ব্রাহ্মণ, রাজপুত ও জাটদের সাথে সমান মর্যাদার বিবেচিত হত।[৪]
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ Nirmal Kumar Bose, Some Aspects of Caste in Bengal, p.399, Vol. 71, No. 281, Traditional India: Structure and Change, American Folklore Society
- ↑ Senugupta, Parna (২০১১)। Pedagogy for Religion: Missionary Education and the Fashioning of Hindus and Muslims in Bengal। University of California Press। পৃষ্ঠা 104, 112।
- ↑ Choubey, Devendra। Sahitya Ka Naya Soundaryashastra (হিন্দি ভাষায়)। Kitabghar Prakashan। পৃষ্ঠা 282। আইএসবিএন 978-81-89859-11-4।
- ↑ Mayer, Adrian C. (১৯৬০)। Caste and Kinship in Central India। Routledge। পৃষ্ঠা 28–29. 36–39।