বুধি কুন্দরন

ভারতীয় ক্রিকেটার

বুধিসাগর কৃষ্ণপ্পা কুন্দরন (কন্নড়: ಬುಧಿ ಕುಂದೆರನ್; উচ্চারণ; জন্ম: ২ অক্টোবর, ১৯৩৯ - মৃত্যু: ২৩ জুন, ২০০৬) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের কর্ণাটকের মাল্কি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬০ থেকে ১৯৬৭ সময়কালে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

বুধি কুন্দরন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামবুধিসাগর কৃষ্ণপ্পা কুন্দরন
জন্ম(১৯৩৯-১০-০২)২ অক্টোবর ১৯৩৯.
মাল্কি, কর্ণাটক, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু২৩ জুন ২০০৬(2006-06-23) (বয়স ৬৬)
গ্লাসগো, স্কটল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম পেস
ভূমিকাউইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৯৬)
১ জানুয়ারি ১৯৬০ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট১৩ জুলাই ১৯৬৭ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১৮ ১২৯
রানের সংখ্যা ৯৮১ ৫,৭০৮
ব্যাটিং গড় ৩২.৭০ ২৮.৯৭
১০০/৫০ ২/৩ ১২/১৯
সর্বোচ্চ রান ১৯২ ২০৫
বল করেছে ২৪ ২১৯
উইকেট
বোলিং গড় ৫৩.৩৩
ইনিংসে ৫ উইকেট -
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং - ২/১৫
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২৩/৭ ১৭৬/৮৫
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩ জানুয়ারি ২০২০

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে মহীশূর দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং উদ্বোধনের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন বুধি কুন্দরন

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট সম্পাদনা

১৯৫৮-৫৯ মৌসুম থেকে ১৯৭৫-৭৬ মৌসুম পর্যন্ত বুধি কুন্দরনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অভিষেকের পূর্বেই ভারত দলের পক্ষে খেলার সুযোগ লাভ করেছিলেন।

শুরুতে মুম্বই দলের পক্ষে ক্রিকেট খেলায় অংশ নেন। তবে, প্রতিষ্ঠিত উইকেট-রক্ষক নরেন তামানের কারণে দলত্যাগ করে রেলওয়েজ দলের দিকে ধাবিত হন। সেখানে তিনি বেশ ভালো খেলেন। অধিনায়ক লালা অমরনাথের নেতৃত্বাধীন রেলওয়েজ দলের পক্ষে রঞ্জী ট্রফির অভিষেক খেলাতে মনোরম দ্বি-শতকের ইনিংস খেলেন। ১৯৬০ সালে রঞ্জী ট্রফিতে অভিষেক ঘটার পরপরই তিনটি টেস্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। রঞ্জী ট্রফির প্রথম খেলায় রেলওয়েজের সদস্যরূপে জম্মু ও কাশ্মীরের বিপক্ষে ২০৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এরফলে, রঞ্জী ট্রফি প্রতিযোগিতার ইতিহাসে অভিষেক ঘটা আটজন খেলোয়াড়ের অন্যতম হিসেবে দ্বি-শতক করেছিলেন তিনি।[১] ঐ বছরের শেষদিকে নিজস্ব প্রথম-শ্রেণীর দ্বিতীয় শতরানের সন্ধান পান। একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ঐ খেলায় রেলওয়েজ দল কোন উইকেট না হারিয়েই জয়লাভ করেছিল।[২]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে আঠারোটি টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন বুধি কুন্দরন। অংশগ্রহণকৃত ৩৪ ইনিংসের মধ্যে ২১টিতেই ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমেছিলেন। ব্যাটিং উদ্বোধন করে ৪১ গড়ে রান সংগ্রহ করেন। ১৯৬০ থেকে ১৯৬৭ সালের মধ্যে আঠারো টেস্টে অংশ নিয়ে ৩২.৭০ গড়ে দুই শতক সহযোগে ৯৮১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, গ্লাভস হাতে উইকেটের পিছনে অবস্থান করে ২৩ ক্যাচ ও সাতটি স্ট্যাম্পিংয়ের সাথে নিজেকে যুক্ত করেন।

১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে ইন্ডিয়া ক্রিকেট ক্লাবের সদস্যরূপে সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। মাত্র দুইটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণের পরপরই পরের বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ভারত দলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

১ জানুয়ারি, ১৯৬০ তারিখে মুম্বইয়ে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৩ জুলাই, ১৯৬৭ তারিখে বার্মিংহামে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। ২০ বছর বয়সে অভিজ্ঞ উইকেট-রক্ষক ফারুক ইঞ্জিনিয়ারকে পাশ কাটিয়ে কুন্দরনকে ভারত দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ পর্যায়ে যোশী ও তামানেকে পিছনে ফেলে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ মেলে তার। তবে, প্রথম অংশগ্রহণে অস্ট্রেলীয় ফাস্ট বোলার ইয়ানে মেকিফের বলে পুল মারতে গিয়ে হিট উইকেটে কুন্দরনকে বিদেয় নিতে হয়েছিল। কিন্তু, পরের টেস্টেই তিনি ৭১ ও ৩৩ রানের সুন্দর ইনিংস খেলেছিলেন।

ইংল্যান্ডের মুখোমুখি সম্পাদনা

১৯৬০-এর দশকের শুরু থেকে উইকেট-রক্ষণে ফারুক ইঞ্জিনিয়ারের ন্যায় নতুন প্রতিযোগীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতে হয়েছিল বুধি কুন্দরনকে। ১৯৬১-৬২ মৌসুমে নিজ দেশে ইংল্যান্ড ও বিদেশে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করেন। উভয় সিরিজেই তারা খেলেছিলেন। তবে, ১৯৬৩-৬৪ মৌসুমে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে ইঞ্জিনিয়ারকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। কিন্তু, মাদ্রাজের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রাক্কালে শারীরিকভাবে অনুপযুক্ত থাকায় খেলার সুযোগ মেলে তার। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন।

খেলার প্রথম দিনেই তিনি করেন ১৭০ রান। ৩১ চার সহযোগে ১৯২ রানে আউট হন তিনি। এরপর দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা মাঠে আরেকটি শতরানের ইনিংস উপহার দেন। এ সিরিজে ৫২৫ রান তুলেছিলেন তিনি। এ সিরিজের পূর্বে কেবলমাত্র দুইজন উইকেট-রক্ষক কোন সিরিজে পাঁচ শতাধিক রান করেছেন। ১৯৬৬-৬৭ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার ডেনিস লিন্ডসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬০৬ এবং ২০০০-০১ মৌসুমে জিম্বাবুয়ের অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ভারতের বিপক্ষে ৫৪০ রান সংগ্রহ করেছিলেন।

নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি সম্পাদনা

ভারতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলী কুন্দরন ও ইঞ্জিনিয়ারকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরবর্তী টেস্ট সিরিজে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত রাখে। কে. এস. ইন্দ্রজিৎসিংজীকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ইঞ্জিনিয়ারকে দলে নেয়া হয় ও আঘাতগ্রস্ত দিলীপ সরদেশাইয়ের পরিবর্তে কুন্দরনকে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলানো হয়।

১৯৬৫ সালে রেলওয়েজের চাকরি ত্যাগ করেন এবং মহীসূর ও দক্ষিণ অঞ্চলের পক্ষে খেলার জগতে আবির্ভূত হন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভগবত চন্দ্রশেখর, ইরাপল্লী প্রসন্ন ও শ্রীনিবাসরাঘবন ভেঙ্কটরাঘবনে বোলিং সুন্দরভাবে মোকাবেলা করতে থাকেন। এর সুফল হিসেবে ১৯৬৬-৬৭ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলার জন্যে আমন্ত্রিত হন। বোম্বের ব্রাবোর্ন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টেস্টে ৯২ মিনিটে ৭৯ রান তুলেন। ইনিংসের শুরুতে গ্যারি সোবার্সের হাতে কট বিহাইন্ডে পরিণত হন। তবে, মাঠ ত্যাগ করার পূর্ব মুহূর্তে সোবার্স বাউন্স ক্যাচের কথা জানালে তিনি পুনরায় ব্যাটিংয়ের সুযোগ পান। এক টেস্ট পর কুন্দরনকে পুনরায় দলের বাইরে রাখা হয়।

অবসর সম্পাদনা

১৯৬৭ সালে ইংল্যান্ড গমনার্থে কুন্দরন ও ইঞ্জিনিয়ারকে দলে রাখা হয়েছিল। তবে, ঐ সফরে ইঞ্জিনিয়ারকে দলের প্রধান উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলানো হয়। সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টে কুন্দরন মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছিলেন। লর্ডস টেস্টে সরদেশাই আঘাতের কারণে রিটায়ার্ড হার্ট হলে তিনি ইঞ্জিনিয়ারের সাথে ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমেছিলেন। ভারত দল ১১০ রানে গুটিয়ে যায়। ৪৭ রান তুলে তিনি দলের শীর্ষ রান সংগ্রাহক ছিলেন। বার্মিংহামের এজবাস্টন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ব্যাটিং ও বোলিং উদ্বোধনে নেমেছিলেন। আঘাতে জর্জড়িত ভারত দলের বোলিং আক্রমণে নেতৃত্ব দেন। এ টেস্টে ভারত দল চারজন স্পিনারকে মাঠে নামায়। এটিই কুন্দরনের সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। ২৯ বছর বয়সে সর্বশেষ টেস্ট খেলেন।

ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে অংশগ্রহণ সম্পাদনা

১৯৬৭ সালের সিরিজের পর ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে খেলেন। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য সিরিজের জন্য ঐ সময়ে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (বিসিসিআই) কর্তৃপক্ষ তার কথা এক প্রকার ভুলেই গিয়েছিল। ঐ লীগে খেলা শেষে ভারতে ফিরে আসেন। মাঙ্গালোরে জন্মগ্রহণ করায় কর্ণাটকের পক্ষে রঞ্জী ট্রফিতে কয়েক মৌসুম খেলেন ও বেশ ভালো করেন।

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর পেশাদারী পর্যায়ে ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে অংশ নেন। এরপর, স্কটল্যান্ডের ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের ড্রাম্পেলিয়ারের প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৮০-এর দশকের শুরুতে ইংল্যান্ডের বেনসন এন্ড হেজেস কাপে স্কটল্যান্ডের সদস্য ছিলেন। ১৯৭০-এর দশক থেকে স্কটল্যান্ডে বসবাস করতে থাকেন। তার ভাই ভরত উইকেট-রক্ষক হিসেবে ১৯৭০-৭১ মৌসুমে ইন্ডিয়ান ইউনিভার্সিটিজের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছিলেন।

মূল্যায়ন সম্পাদনা

মহাত্মা গান্ধী’র জন্মদিনে বুধি কুন্দরনের জন্ম। পেশা হিসেবে ক্রিকেট খেলাকে বেছে নেন। শক্তিমত্তা ও আত্মবিশ্বাসের সাথে বলকে মোকাবেলা করতে সিদ্ধহস্তের পরিচয় দেন। সহজাত ভারতীয় উইকেট-রক্ষক হিসেবে সুনাম কুড়ান। পুরো পঞ্চাশের দশকে ভারতে দলে থাকা নরেন তামানে, প্রবীর সেন ও নানা যোশী’র ন্যায় উইকেট-রক্ষকদের সমপর্যায়ের ছিলেন তিনি।

খেলোয়াড়ী জীবনের অধিকাংশ সময়েই উইকেট-রক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন। দর্শনীয় কিন্তু আনঅর্থোডক্সে ভঙ্গীমা অবলম্বন করে ডানহাতে ব্যাটিংকর্মে অগ্রসর হতেন। প্রায়শঃই সমসাময়িক ফারুক ইঞ্জিনিয়ারের সাথে জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্তির প্রশ্নে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাকে লিপ্ত হতে হতো।[৩]

কর্ণাটক দলের সহযোদ্ধা ও অধিনায়ক ভি সুব্রাহ্মণ্য, কুন্দরনকে সমসাময়িক ফারুক ইঞ্জিনিয়ারের তুলনায় সেরা ব্যাটসম্যান ও উইকেট-রক্ষক হিসেবে বিবেচিত করতেন। ভারতীয় অফ স্পিনার ইরাপল্লী প্রসন্নের অভিমত, তিনি ভিন্ন আঙ্গিকে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হয়েছিলেন। ১৯৬৪ সালে চেন্নাইয়ে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে ১৯২ রানের ইনিংসটি ঐ সময়ে সেরা ইনিংসগুলোর অন্যতম ছিল।

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

১৯৬৪ সালে স্বীয় নাম পরিবর্তন করে বুধিসাগর কৃষ্ণপ্পা কুন্দরম রাখেন। অক্টোবর, ২০০৫ সালে অসুস্থতার কারণে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। অতঃপর স্বল্পকালীন রোগে ভুগে ২৩ জুন, ২০০৬ তারিখে ৬৬ বছর বয়সে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো এলাকায় বুধি কুন্দরনের দেহাবসান ঘটে।

জুন, ২০১৮ সালে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (বিসিসিআই) তরফ থেকে বিরাট কোহলি, হারমানপ্রীত কৌরস্মৃতি মন্ধনা’র সাথে তাকে মরণোত্তর বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।[৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Match scorecard"cricketarchive.com 
  2. "Match scorecard"cricketarchive.com 
  3. "Budhi Kunderan"Cricinfo 
  4. "Kohli, Harmanpreet, Mandhana win top BCCI awards"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুন ২০১৮ 

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা

  • Sujit Mukherjee, Matched Winners, Orient Longman (1996), p 61-75
  • Christopher Martin-Jenkins, The Complete Who's Who of Test Cricketers