নীলফামারী-৪
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের একটি নির্বাচনী এলাকা
নীলফামারী-৪ হল বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার একটি। এটি নীলফামারী জেলায় অবস্থিত জাতীয় সংসদের ১৫ নং আসন।
নীলফামারী-৪ | |
---|---|
জাতীয় সংসদ-এর নির্বাচনী এলাকা | |
জেলা | নীলফামারী জেলা |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
মোট ভোটার |
|
বর্তমান নির্বাচনী এলাকা | |
সৃষ্ট | ১৯৮৪ |
সীমানা
সম্পাদনা- ১৯৮৪-২০১৪
- নীলফামারী-৪ আসনটি সৈয়দপুর উপজেলা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন (নিতাই ইউনিয়ন, বাহাগিলি ইউনিয়ন, চাঁদখানা ইউনিয়ন, কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়ন, গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন ও মাগুড়া ইউনিয়ন) নিয়ে গঠিত ছিল।[২]
- ২০১৮-বর্তমান
- এ আসনটি নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলা এবং কিশোরগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত।[৩]
ইতিহাস
সম্পাদনানীলফামারী-৪ আসনটি ১৯৮৪ সালে গঠিত হয়, যখন বৃহত্তর রংপুর জেলাকে ভেঙে পাঁচটি জেলায় (নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা) ভাগ করা হয়েছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচন কমিশন নীলফামারী-৪ ও নীলফামারী-৩ আসনের সীমানা পূর্ণনির্ধারন করে।[৪]
নির্বাচিত সাংসদ
সম্পাদনানির্বাচনী ফলাফল
সম্পাদনা২০১০-এর দশকে
সম্পাদনা২০১৪ সাধারণ নির্বাচনে বিরোধীদলগুলো নির্বাচন বয়কট করলে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহজোট এককভাবে নির্বাচন করে, ফলে এ আসনে শওকত চৌধুরী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৮]
২০০০-এর দশকে
সম্পাদনাদল | প্রার্থী | ভোট | % | ±% | ||
---|---|---|---|---|---|---|
আওয়ামী লীগ | এ.এ. মারুফ সাকনাল | ৮৭,৩১৯ | ৪২.৩ | +৯.১ | ||
বিএনপি | আমজাদ হোসেন সরকার | ৬১,০৮৭ | ২৯.৬ | -৫.৩ | ||
জাতীয় পার্টি | শওকত চৌধুরী | ৫৫,৫৪৭ | ২৬.৯ | N/A | ||
ইসলামী আন্দোলন | মোঃ সদর উদ্দিন | ২,০৭০ | ১.০ | N/A | ||
ন্যাপ | মনছুরা রহমান জাহাঙ্গীর মহিউদ্দীন | ৩৩২ | ০.২ | N/A | ||
সংখ্যাগরিষ্ঠতা | ২৬,২৩২ | ১২.৭ | +১১.০ | |||
ভোটার উপস্থিতি | ২,০৬,৩৫৫ | ৮৩.৯ | +৬.২ | |||
বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগ অর্জন করে |
দল | প্রার্থী | ভোট | % | ±% | ||
---|---|---|---|---|---|---|
বিএনপি | আমজাদ হোসেন সরকার | ৬০,১৯৯ | ৩৪.৯ | +১৯.৭ | ||
আওয়ামী লীগ | এ.এ. মারুফ সাকনাল | ৫৭,২৮৫ | ৩৩.২ | +৩.১ | ||
ইসলামী জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট | আসাদুর রহমান | ৫২,৭৩২ | ৩০.৬ | N/A | ||
স্বতন্ত্র | কাজী ফারুক কাদের | ১,৬৫৮ | ১.০ | N/A | ||
কমিউনিস্ট পার্টি | মোঃ দেলোয়ার হোসেন | ২৬৩ | ০.২ | N/A | ||
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ-খালেকুজ্জামান) | মোঃ আসবক আহমেদ | ১৬৪ | ০.১ | N/A | ||
স্বতন্ত্র | মোঃ মোকলেছুর রহমান | ৮৬ | ০.০ | N/A | ||
সংখ্যাগরিষ্ঠতা | ২,৯১৪ | ১.৭ | −১০.২ | |||
ভোটার উপস্থিতি | ১,৭২,৩৮৭ | ৭৭.৭ | +২.০ | |||
জাতীয় পার্টি থেকে বিএনপি অর্জন করে |
১৯৯০-এর দশকে
সম্পাদনাদল | প্রার্থী | ভোট | % | ±% | |
---|---|---|---|---|---|
জাতীয় পার্টি | আসাদুর রহমান | ৫৭,২৬৫ | ৪২.০ | +৭.৯ | |
আওয়ামী লীগ | মোঃ মোকলেছুর রহমান | ৪১,০৫৩ | ৩০.১ | N/A | |
বিএনপি | আমজাদ হোসেন সরকার | ২০,৭৮০ | ১৫.২ | +২.৮ | |
জামায়াতে ইসলামী | মোঃ মোজাম্মেল হক শাহ | ১৪,০৪৩ | ১০.৩ | -৩.৩ | |
ইসলামী ঐক্য জোট | মোঃ নুরুল ইসলাম | ২,০২২ | ১.৫ | N/A | |
জাকের পার্টি | এসএম বাবুল | ৮৩৮ | ০.৬ | -০.৮ | |
জাসদ (রব) | মোঃ হুমায়ুন কবির | ৩৬১ | ০.৩ | ০.০ | |
সংখ্যাগরিষ্ঠতা | ১৬,২১২ | ১১.৯ | +১১.৮ | ||
ভোটার উপস্থিতি | ১,৩৬,৩৬২ | ৭৫.৭ | +২৪.১ | ||
National Awami Party থেকে জাতীয় পার্টি অর্জন করে |
দল | প্রার্থী | ভোট | % | ±% | |
---|---|---|---|---|---|
ন্যাপ (মুজাফ্ফর) | মোঃ আব্দুল হাফিজ | ৩৫,১১২ | ৩৪.২ | ||
জাতীয় পার্টি | কাজী ফারুক কাদের | ৩৫,০০৯ | ৩৪.১ | ||
জামায়াতে ইসলামী | মোঃ লুৎফর রহমান | ১৩,৯৭২ | ১৩.৬ | ||
বিএনপি | আনিসুল আরেফিন চৌধুরী | ১২,৭৪৫ | ১২.৪ | ||
জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট | মোঃ তাজুল ইসলাম | ২,৭০৪ | ২.৬ | ||
জাকের পার্টি | মোঃ আলী গুলখান | ১,৪২৯ | ১.৪ | ||
জমিয়ত উলেমায়ে ইসলাম বাংলাদেশ | মোঃ ইসমাঈল | ৬১২ | ০.৬ | ||
স্বতন্ত্র | মোঃ মোকলেছুর রহমান | ৫৫০ | ০.৫ | ||
জাসদ (রব) | মোঃ আবু আলম | ৩২১ | ০.৩ | ||
স্বতন্ত্র | খায়রুল আলম | ১৫৫ | ০.২ | ||
সংখ্যাগরিষ্ঠতা | ১০৩ | ০.১ | |||
ভোটার উপস্থিতি | ১,০২,৬০৯ | ৫১.৬ | |||
জাতীয় পার্টি থেকে National Awami Party অর্জন করে |
টীকা
সম্পাদনা- ↑ "নীলফামারী-৪ কেন্দ্র সংক্রান্ত গেজেট" (পিডিএফ)। ecs.gov.bd। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২৪।
- ↑ "জাতীয় সংসদীয় আসনবিন্যাস (২০১৩) গেজেট" (পিডিএফ)। নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ। ২৭ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ "জাতীয় সংসদীয় আসনপূর্ণবিন্যাস (২০১৮) গেজেট" (পিডিএফ)। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ৩০ এপ্রিল ২০১৮। ৭ মে ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৮।
- ↑ "২৫ সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তন"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-১৩।
- ↑ "List of 3rd Parliament Members" (পিডিএফ)। Bangladesh Parliament। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ "List of 4th Parliament Members" (পিডিএফ)। Bangladesh Parliament। ৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ "দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল"। দৈনিক প্রথম আলো। ০৭/০১/২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ০৭/০১/২০২৪। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "Nat'l election: Number of unopposed winners now 154"। The Bangladesh Chronicle। UNB। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩। ১৫ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০১৮।
- ↑ "Constituency Maps of Bangladesh" (পিডিএফ)। Bangladesh Election Commission। ২০১০। ১৪ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ "Nomination submission List"। Bangladesh Election Commission। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ ক খ গ "Parliament Election Result of 1991,1996,2001 Bangladesh Election Information and Statistics"। Vote Monitor Networks। ২৪ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- প্রথম আলোতে নীলফামারী-৪