নবীগঞ্জ উপজেলা
নবীগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।
নবীগঞ্জ | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে নবীগঞ্জ উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৩৪′০″ উত্তর ৯১°৩০′৫৪″ পূর্ব / ২৪.৫৬৬৬৭° উত্তর ৯১.৫১৫০০° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | সিলেট বিভাগ |
জেলা | হবিগঞ্জ জেলা |
আসন | হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) |
সরকার | |
• সংসদ সদস্য | পদ শূন্য |
আয়তন | |
• মোট | ৪৩৯.৬২ বর্গকিমি (১৬৯.৭৪ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ২,৮৫,০৪০ |
• জনঘনত্ব | ৬৫০/বর্গকিমি (১,৭০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬৫% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৩০০০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৬০ ৩৬ ৭৭ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান ও আয়তন
সম্পাদনা২৪°২৫´ থেকে ২৪°৪১´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°২৪´ থেকে ৯১°৪০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এই উপজেলার উত্তরে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলা ও জগন্নাথপুর উপজেলা, দক্ষিণে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা ও বাহুবল উপজেলা, পূর্বে মৌলভীবাজার জেলার মৌলভীবাজার সদর উপজেলা, শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও সিলেট জেলার বালাগঞ্জ উপজেলা, পশ্চিমে বানিয়াচং উপজেলা।
ইতিহাস
সম্পাদনা১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দে পলাশী বিপর্যয়ের ৮ বছর পর ১৭৬৫ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানী সনদ লাভ করে। এবছরই সিলেট ব্রিটিশ শাসনের অধীনে আসে। ১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সিলেট ছিল ঢাকা বিভাগের অধীনে। ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাকে ভাগ করে পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশ সৃষ্টি করা হলে সিলেটকে চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৪৭ সালের ১৩ই আগস্ট পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পূর্বদিন পর্যন্ত সিলেট আসামের একটি জেলা হিসেবে গণ্য ছিল। অর্থাৎ এই সময়ে নবীগঞ্জ আসাম প্রদেশের একটি জেলা হিসেবে সিলেটের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্ট ব্রিটিশের কবল থেকে মুক্ত হয়ে একটি স্বাধীন সার্বভৌম পাকিস্তান কায়েম হলে সিলেট তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের একটি জেলায় পরিণত হয়। তখন সিলেটকে পুনরায় চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্ভুক্ত করা হলে নবীগঞ্জকে চট্টগ্রাম বিভাগে ন্যস্ত করা হয়। ১৯৮৪ সালে সাবেক সেনাশাসক (রাষ্ট্রপতি) হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের অংশ হিসেবে মহকুমাগুলোকে জেলায় পরিণত করলে সিলেট জেলাকে ৪টি জেলায় বিভক্ত করা হয়। যথা- সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ। ১৯৯৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কর্তৃক উপরিউক্ত ৪টি জেলার সমন্বয়ে বাংলাদেশের ৬ষ্ঠ বিভাগ হিসেবে সিলেট বিভাগ ঘোষণা করেন। ১৯৯৫ সালের ১লা আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে সিলেট বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়।
রাজস্ব জেলা নবীগঞ্জ ও এর আওতাধীন পরগনা সমূহ:
জন উইলস এর আমলে ১০ টি রাজস্ব জেলার মধ্যে নবীগঞ্জ ছিল ১টি অন্যতম রাজস্ব জিলা এবং এর অধীনস্থ ছিল মোট ১৬ টি পরগনা। এগুলো হচ্ছে-
- দিনারপুর
- মান্দারকান্দি
- চৌকি
- মুড়াকরি
- বানিয়াচং
- কুর্শা
- জোয়ার বানিয়াচং
- আগনা
- বিথঙ্গল
- জলসুখা
- জন্তরী
- বাজেসুনাইত্যা
- সত্রসতী
- জোয়ানশাহী
- বাজেসত্রসতী
- কিংকুর্শা
নামকরণ
সম্পাদনাসমতল, হাওড় ও পাহাড় ঘেরা হযরত শাহজালাল (র:)’র সিলেট বিজয়ের প্রথম অভিযানের স্মৃতিবিজড়িত পুণ্যভূমি নবীগঞ্জের নামকরণের ক্ষেত্রে বহুল প্রচলিত জনশ্রুতি মতে, হযরত শাহ নবী বক্স (র:) নামে জনৈক কামিল দরবেশ ইসলামের মহান বাণী প্রচারের উদ্দেশ্যে এ অঞ্চলে আগমন করেন এবং প্রবাহিত শাখা-বরাক নদীর তীরে আস্তানা গাড়েন। তাঁর স্থাপিত আস্তানাকে কেন্দ্র করে লোকসমাগম বাড়তে থাকার ফলে এখানে একটি গঞ্জ বা বাজারের গোড়াপত্তন শুরু হয়। পরবর্তীতে তাঁর নামের সম্মানার্থে এ গঞ্জ বা বাজারের নামকরণ করা হয় নবীগঞ্জ।
নবীগঞ্জ নামকরণের ক্ষেত্রে অন্য একটি ভিন্নমত প্রচলিত আছে, যে ইসলামের নবী মুহাম্মাদ এর প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন স্বরূপ নবীগঞ্জ নামকরণ করা হয়েছিল।
প্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনানবীগঞ্জ উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম নবীগঞ্জ থানার আওতাধীন।[২]
নদ-নদী
সম্পাদনাঐতিহাসিক ইলিশা খাল, বরাক নদী, বিবিয়ানা নদী, বিজনা নদী, কুশিয়ারা নদী।
সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য
সম্পাদনাভাষা
সম্পাদনাখেলাধুলা
সম্পাদনাশিক্ষা
সম্পাদনাশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
সম্পাদনামাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়
সম্পাদনাদাখিল মাদ্রাসা
সম্পাদনাদাখিল | স্থান | স্থাপিত |
---|---|---|
কাজিগনজ বাজার দাখিল মাদ্রাসা | কাজিগনজ বাজার | |
মোস্তফাপুর আনোয়ারুল উলুম আলিম মাদ্রাসা | ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন | |
দারুল হিকমাহ জামেয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা | নবীগঞ্জ পৌরসভা | |
তাহিরপুর নয়মৌজা ইত্তেপাকিয়া আলিম মাদ্রাসা | কুর্শি ইউনিয়ন | |
সাইদপুর বাজার ফাজিল মাদ্রাসা | আউশকান্দি ইউনিয়ন | |
নবীগঞ্জ নহরপুর শাহ জালাল(র) দাখিল মাদ্রাসা | নবীগঞ্জ পৌরসভা | |
দিনারপুর ফুলতলী গাউছিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা | গজনাইপুর ইউনিয়ন | |
তাজিয়া মুবাশ্বিরিয়া আলিম মাদ্রাসা | ধুলচাতল |
কলেজ
সম্পাদনাকলেজের নাম | স্থান | স্থাপিত তারিখ |
---|---|---|
নবীগঞ্জ সরকারি কলেজ | কলেজ রোড, নবীগঞ্জ উপজেলা | ১৯৮৪ |
ইনাতগঞ্জ কলেজ | ইনাতগঞ্জ | ১৯৯৫ |
আইডিয়াল উইমেনস কলেজ | ওসমানী রোড, নবীগঞ্জ | ২০১৬ |
নয় মৌজা কলেজ | নয় মৌজা | ২০১৭ |
দিনারপুর কলেজ | দিনারপুর | |
কীর্তি নারায়ন কলেজ | হলিমপুর | |
এনায়েত খান মহিলা কলেজ | নবীগঞ্জ -হবিগঞ্জ রোড | ২০২২ |
গ্রন্থাগার
ক্র: | নাম | প্রতিষ্ঠা | ঠিকানা | প্রতিষ্ঠাতা |
---|---|---|---|---|
০১ | নবীগঞ্জ গণপাঠাগার | ১৯৯৩ | শেরপুর রোড, নবীগঞ্জ | ............... |
০২ | বীর মুুুুুক্তিযোদ্ধা শ্রী রবীন্দ্র চন্দ্র দাস গ্রন্থাগার | ২০১৫ | মুক্তাহার, ৭ নং করগাঁও ইউনিয়ন | ১. রত্নদীপ দাস
২.রত্নেশ্বর দাস |
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনাজনসংখ্যা- ২৮৫০৪০ জন, জনসংখ্যার ঘনত্ব- ৬৪৮।[১]
উপজেলা পরিষদ
সম্পাদনাক্রম নং | নাম | পদবী |
---|---|---|
০১ | মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফু | চেয়ারম্যান[৩] |
০২ | শেখ ছইফা রহমান ককলী | মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান[৩] |
০৩ | সাইফুল জাহান চৌধুরী | ভাইস চেয়ারম্যান[৩] |
দর্শনীয় স্থান
সম্পাদনা- সাজু মনি (রঃ) এর মাজার (ছোট ভাকৈর)
- হযরত শাহ্ খিজির শাহ্ - দরগাহ শরীফ (দরগাহ পাড়া, দরগাহ বাড়ি, গজনাইপুর);
- বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড;
- রাজা ভগদত্তের উপরাজধানী (সদরঘাট);
- নবীগঞ্জের চৌকি;
- শাহ তাজউদ্দিন কোরেশী-এর মাজার;
- শাহ সদরউদ্দিন কোরেশী-এর মাজার;
- সৈয়দ শাহনূর (রঃ) এর মাজার;
- টঙ্গীটিলার মাজার ও
- চা-বাগানসমূহ।
- বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড।
- দিনারপুর পরগনা (পাহাড়ী অঞ্চল)
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি
সম্পাদনা- সৈয়দ শাহনুর - মরমী কবি
- শাহ এ এম এস কিবরিয়া - সাবেক অর্থমন্ত্রী, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব এবং এসকাপের সাবেক নির্বাহী সচিব;
- দেওয়ান ফরিদ গাজী -সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য, উপদেষ্টা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ
- আব্দুল আজিজ চৌধুরী - সাবেক সংসদ সদস্য;
- আব্দুল হক চৌধুরী - প্রবাব সালি রাজনীতিবিদ ও সাবেক চেয়ারম্যান নবীগঞ্জ সদর।
- শাহ্ রজব আলী - রাজনীতিবিদ, বিশিষ্ট সমাজ সেবক, জুরর (দরগাহ পড়া, গজনাইপুর);
- খলিলুর রহমান চৌধুরী-সাবেক সংসদ সদস্য;
- শেখ সুজাত মিয়া - সাবেক সংসদ সদস্য;
- অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য - শিক্ষাবিদ ও শহীদ বুদ্ধিজীবী;
- মাহবুবুর রব সাদী - স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর প্রতীক; ও সাবেক সংসদ সদস্য;
- কামরুল হাসান চৌধুরী আলীম, সিনিয়র সাংবাদিক, ২০০৬ সালে তিনি সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন।
- মতিউর রহমান চৌধুরী, প্রধান সম্পাদক দৈনিক মানবজমিন।
- অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরী - সাবেক মেয়র নবীগঞ্জ পৌরসভা।
- ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম - চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ নবীগঞ্জ।
- ছাবির আহমেদ চৌধুরী - মেয়র নবীগঞ্জ পৌরসভা।
- আব্দুর রউফ চৌধুরী - কথাসাহিত্যিক, লেখক;
- মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম চৌধুরী - সাবেক সংসদ সদস্য;;
- গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ - সাবেক সংসদ সদস্য;।
- সেগুফতা বখ্ত চৌধুরী - বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪র্থ গভর্নর:
- আতফুল হাই শিবলী: শিক্ষাবিদ।
- আব্দুর রউফ চৌধুরী - কথাসাহিত্যিক ও লেখ, বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে নবীগঞ্জ উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৫ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "ইউনিয়নসমূহ - নবীগঞ্জ উপজেলা"। nabiganj.habiganj.gov.bd। জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ১৮ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০২০।
- ↑ ক খ গ নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি (জুন ২০১৪)। "নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেফু-সাইফুল ও কাকলী বিজয়ী"। আমার সংবাদ। সংগ্রহের তারিখ মে ২২, ২০২৪।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- বাংলাপিডিয়ায় নবীগঞ্জ উপজেলা
- নবীগঞ্জ উপজেলা - জাতীয় তথ্য বাতায়ন
সিলেট বিভাগের স্থান বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |