বালাগঞ্জ উপজেলা
বালাগঞ্জ বাংলাদেশের সিলেট জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি আতাউল গনি ওসমানীর পৈতৃক নিবাস বালাগঞ্জ উপজেলার দয়ামীর গ্রামে।[১][২]
বালাগঞ্জ | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে বালাগঞ্জ উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৪০′০″ উত্তর ৯১°৫০′০″ পূর্ব / ২৪.৬৬৬৬৭° উত্তর ৯১.৮৩৩৩৩° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | সিলেট বিভাগ |
জেলা | সিলেট জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ১৬৩.১৫ বর্গকিমি (৬২.৯৯ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৩,২০,২২৭ |
• জনঘনত্ব | ২,০০০/বর্গকিমি (৫,১০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫০.২০% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৩১২০–৩১২৯ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৬০ ৯১ ০৮ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান ও আয়তন
সম্পাদনাএই উপজেলার উত্তরে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ও বিশ্বনাথ উপজেলা, দক্ষিণে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা ও রাজনগর উপজেলা, পূর্বে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা, পশ্চিমে বিশ্বনাথ উপজেলা ও সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলা, নবীগঞ্জ উপজেলা।[১][২]
প্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনাবালাগঞ্জ উপজেলায় বর্তমানে ৬টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম বালাগঞ্জ থানার আওতাধীন।[৩]
ইতিহাস
সম্পাদনাবর্তমান বালাগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ এবং রাজনগর উপজেলা নিয়ে ১৮৮২ সালে বালাগঞ্জ থানা গঠিত হয়। ১৯২২ সালে বর্তমান বালাগঞ্জ উপজেলা এলাকা নিয়ে বালাগঞ্জ থানা পূণর্গঠিত হয়। পরবর্তীকালে ৭ নভেম্বর, ১৯৮২ খ্রিঃ তারিখে বালাগঞ্জ থানা আপগ্রেডেড হয় এবং বালাগঞ্জ উপজেলায় রূপান্তরিত হয়।[১] মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় ৬ মে ১৯৭১ পাকবাহিনী ইলাশপুরে গণহত্যা চালায় এবং আদিত্যপুরে ৩৬ জনকে হত্যা করে। শেরপুর ও সাদীপুরে বড় ধরনের দুটি যুদ্ধ হয়। পাকবাহিনী পরাজিত হয়।[২]
নামকরণ
সম্পাদনা‘বালাগঞ্জ’ এর আদি নাম ছিল ‘কুশিয়ারকূল’ যা এখানকার প্রধান নদী কুশিয়ারা’র পারে। পরবর্তীকালে এখানে গড়ে ওঠা মদন মোহন জিউ আশ্রমের প্রভাবে নাম পরিবর্তীত হয়ে মদনগঞ্জ। মদন মোহন জিউ আশ্রমের সেবায়িতগণ হাতে প্রচুর পরিমাণে ‘বালা’ পরতেন এবং এর ফলে এখানে বিপুল পরিমাণে ‘বালা’ কেনা-বেচা হত বলেই বালাগঞ্জ নামকরণ হয়।[১]
জনসংখ্যা
সম্পাদনামোট- ৩২০২২৭ জন। পুরুষ- ১৫৭৯৭৫ জন, মহিলা- ১৬২২৫২ জন। (২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী) [১] মোট ভোটার সংখ্যা- ১,৯৭,৭৮৩ জন।[২]
শিক্ষার হার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
সম্পাদনাশিক্ষার হার - ৪৭.৮৫%।[২]
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-
- কলেজ ৫,
- মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৫,
- প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৪৩,
- কমিউনিটি বিদ্যালয় ২৭,
- মাদ্রাসা ২০।
উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:[২]
- জামিয়া ইসলামিয়া হুসাইনিয়া গহরপুর (১৯৫৭)
- শরৎ সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৮৬),
- মঙ্গলচন্ডী নিশিকান্ত উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৮৭),
- নবগ্রাম হাজী মোঃ ছাইম উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৮),
- সদরুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৯)।
- বালাগঞ্জ সরকারি ডি.এন. উচ্চ বিদ্যালয়।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও এনজিও
সম্পাদনা- উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র- ৬টি,
- ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র- ৬টি,
- পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র- ৭টি,
- কমিউনিটি ক্লিনিক -২৩টি,
- ক্লিনিক -৮টি,
- পশু চিকিৎসা কেন্দ্র -৪টি।
এনজিও - ব্র্যাক, কেয়ার।
দর্শনীয় স্থান
সম্পাদনা- দয়ামীরে মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি এম.এ জি ওসমানীর পৈতৃক বাড়ি;
- কুশিয়ারা নদী;
- গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর আখড়া;
- নগেন্দ্রদাশ চৌধুরীর বাড়ির ভগ্নাবশেষ;
- চন্দ্রনাথ শর্মার মন্দির;
- গিরিশ চন্দ্র রায়ের বাড়ি।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
সম্পাদনা- শায়খুল হাদিস আল্লামা নূর উদ্দিন গহরপুরী , (১৯২৪-২০০৫) একজন খ্যাতিমান আলেম, সমাজ সংস্কারক লেখক ও হাদিস বিশারদ ও রাজনৈতিক।
- রাজা গিরিশ চন্দ্র রায় - এম সি সহ একাধিক কলেজ ও স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা
- আতাউল গণি ওসমানী- মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "বালাগঞ্জ উপজেলা"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ১৭ জুন ২০১৯। ২ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৯।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "বালাগঞ্জ উপজেলা"। বাংলাপিডিয়া। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। ২ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "ইউনিয়নসমূহ - বালাগঞ্জ উপজেলা"। balaganj.sylhet.gov.bd। জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ১৬ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০।