আতফুল হাই শিবলী
আতফুল হাই শিবলী (১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৪ - ২৯ ডিসেম্বর ২০২০) একজন বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইতিহাস বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপ-উপাচার্য। তিনি সিলেটে অবস্থিত নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর উপাচার্য ছিলেন।[১]
অধ্যাপক ড. আতফুল হাই শিবলী | |
---|---|
উপাচার্য | |
নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ | |
কাজের মেয়াদ ২০১৬ – ২০২০ | |
পূর্বসূরী | এম খলিলুর রহমান |
উত্তরসূরী | ইলিয়াস উদ্দীন বিশ্বাস |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | দিঘলবাক, নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ, বাংলাদেশ | ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৪
মৃত্যু | ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ | (বয়স ৭৬)
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
দাম্পত্য সঙ্গী | নাজিয়া খাতুন |
সন্তান | ১ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | শিক্ষাবিদ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসক |
প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা
শিবলী ১৯৪৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দিঘলবাক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আবদুল হাই রাজশাহী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন।[২][৩]
শিক্ষাজীবন সম্পাদনা
আতফুল হাই শিবলী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে ১৯৬৩ সালে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৬৪ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল এন্ড আফ্রিকান স্টাডিজ থেকে ১৯৬৯ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।[৩][৪]
কর্মজীবন সম্পাদনা
আতফুল হাই শিবলী ১৯৬৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৮৩ সালে একই বিভাগের অধ্যাপক হন। ২০০৮ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (১৯৮৯-১৯৯২), ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের (আইবিএস) পরিচালক (১৯৯৭-১৯৯৯), ইতিহাস বিভাগ ও সামরিক বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য (২০০৮-২০১৪) এবং বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।[৩][৪][৫]
আতফুল হাই শিবলী ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সিলেটে অবস্থিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[২]
গবেষণাকর্ম ও প্রকাশনা সম্পাদনা
দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জার্নালে তার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তার প্রকাশনার মধ্যে যৌথভাবে প্রণীত বাংলাদেশের সাংবিধানিক ইতিহাস (১৭৭৩-১৯৭২) বইটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।[৪]
সদস্যপদ সম্পাদনা
শিবলী বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সভাপতি; ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন অব হিস্টোরিয়ানস অব এশিয়া এর সাধারণ সম্পাদক এবং ইতিহাস এ্যালামনাই এসোসিয়েশন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।[৪]
পারিবারিক জীবন সম্পাদনা
আতফুল হাই শিবলীর স্ত্রী নাজিয়া খাতুন। এই দম্পতির একজন পুত্র সন্তান রয়েছে। নাজিয়া খাতুন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের বোন।[২]
মৃত্যু সম্পাদনা
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।[৬]
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "রাবির সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শিবলী আর নেই"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ৩০ ডিসেম্বর ২০২০। ২৩ জুলাই ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০২১।
- ↑ ক খ গ "করোনায় রাবির সাবেক উপ-উপাচার্য ড. শিবলীর মৃত্যু"। জাগোনিউজ২৪.কম। ৩০ ডিসেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০২১।
- ↑ ক খ গ "প্রফেসর ড. আতফুল হাই শিবলী নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এনইইউবি)-এর ভাইস চ্যান্সেলর পদে যোগদান" (পিডিএফ)। নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ ক খ গ ঘ শিবলী, ড. আতফুল হাই; রহমান, ড. মো. মাহবুবুর (২০১৩)। বাংলাদেশের সাংবিধানিক ইতিহাস (১৭৭৩-১৯৭২) (সংশোধিত সংস্করণ)। বাংলাদেশ: সুবর্ণ। আইএসবিএন 9789849069416।
- ↑ "SYNDICATE" [সিন্ডিকেট]। বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি ভাষায়)। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ "করোনায় রাবির সাবেক উপ-উপাচার্য আতফুল হাই শিবলীর মৃত্যু"। ইত্তেফাক। ৩০ ডিসেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০২১।