ঝাড়খণ্ডের প্রশাসনিক বিভাগ
ঝাড়খণ্ড পূর্ব ভারতে অবস্থিত একটি রাজ্য। রাজ্যটি প্রশাসনিকভাবে পাঁচটি বিভাগে বিভক্ত; এগুলি হল যথাক্রমে; উত্তর ছোটনাগপুর বিভাগ, কোলহান বিভাগ, দক্ষিণ ছোটনাগপুর বিভাগ, পালামৌ বিভাগ এবং সাঁওতাল পরগনা বিভাগ।[১]
পটভূমি
সম্পাদনা২০০০ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ই নভেম্বর তারিখে বিহার পুনর্গঠন আইন পাস হলে পূর্বতন বিহার জেলার দক্ষিণাংশের থেকে ভারতের ২৮ তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ঝাড়খণ্ড রাজ্য।[২] মূলত কোন উন্নত পরিকাঠামো এবং সামাজিক ন্যায় বিচারের কারণে এই রাজ্যটির জন্ম হয়েছিল।
১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতের স্বাধীনতা লাভের পূর্ব পর্যন্ত বর্তমান ঝাড়খণ্ড রাজ্যে একটি সম্পূর্ণ বিভাগ এবং একটি অসম্পূর্ণ বিভাগ ছিল। বর্তমান সাঁওতাল পরগনা বিভাগ সাঁওতাল পরগনা জেলা ছিল ভাগলপুর বিভাগের অন্তর্গত আবার বাকি অংশ ছিল ছোটনাগপুর বিভাগের অন্তর্গত। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে রাজ্য পুনর্গঠন আইনের মাধ্যমে ছোটনাগপুর বিভাগের মানভূম জেলার কিছু অংশ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত করা হয় ও উড়িষ্যা প্রদেশের সরাইকেল্লা ও খরসোয়া বিহারের ছোটনাগপুর বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হয়।[৩] পরবর্তীকালে ছোটনাগপুর বিভাগ দ্বিখন্ডিত হয় উত্তর এবং দক্ষিণে বিভক্ত হয় এবং সাঁওতাল পরগনার একটি বিভাগে পরিণত হয়। আরো পরে নব্বইয়ের দশকে উত্তর ছোটনাগপুর বিভাগ থেকে তৈরি হয় পালামৌ বিভাগ এবং দক্ষিণ ছোটনাগপুর থেকে তৈরি হয় কোলহান বিভাগ। ঝাড়খণ্ডের পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলি হল, উত্তরে বিহার, দক্ষিণে ওড়িশা, উত্তর পশ্চিমে উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমের ছত্তিশগড় এবং পূর্বে পশ্চিমবঙ্গ।
বর্ণানুক্রমিক তালিকা
সম্পাদনাবিভাগ | সদর | জেলার তালিকা |
---|---|---|
উত্তর ছোটনাগপুর | হাজারিবাগ | |
কোলহান | চাইবাসা | |
দক্ষিণ ছোটনাগপুর | রাঁচি | |
পালামৌ | মেদিনীনগর | |
সাঁওতাল পরগনা | দুমকা |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Jharkhand: An Overview" (পিডিএফ)। jharkhand.gov.in। ২০১৩-১০-০৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ http://oaji.net/pdf.html%3Fn%3D2016/1115-1457102044.pdf&ved=2ahUKEwiz4J-p7d_tAhXIdisKHU2fDpYQFjAEegQIBxAB&usg=AOvVaw2evuvgs7HvCPM_nj_1AK3V
- ↑ "Reorganisation of states" (পিডিএফ)। Economic Weekly।