জিওফ্রে লেগ

ইংরেজ ক্রিকেটার

জিওফ্রে বেভিংটন লেগ (ইংরেজি: Geoffrey Legge; জন্ম: ২৬ জানুয়ারি, ১৯০৩ - মৃত্যু: ২১ নভেম্বর, ১৯৪০) কেন্টের ব্রোমলি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯২৭ থেকে ১৯৩০ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।[১] ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্ট দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে লেগ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন জিওফ্রে লেগ

জিওফ্রে লেগ
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামজিওফ্রে বেভিংটন লেগ
জন্ম(১৯০৩-০১-২৬)২৬ জানুয়ারি ১৯০৩
ব্রোমলি, কেন্ট, ইংল্যান্ড
মৃত্যু২১ নভেম্বর ১৯৪০(1940-11-21) (বয়স ৩৭)
ব্রাম্পফোর্ড, ডেভন, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি লেগ ব্রেক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২২৮)
২৪ ডিসেম্বর ১৯২৭ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টেস্ট২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৩০ বনাম নিউজিল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯২৪–১৯৩১কেন্ট
১৯২৫–১৯২৬অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১৪৭
রানের সংখ্যা ২৯৯ ৪,৯৫৫
ব্যাটিং গড় ৪৯.৮৩ ২৪.৮৯
১০০/৫০ ১/০ ৭/১৬
সর্বোচ্চ রান ১৯৬ ১৯৬
বল করেছে ৩০ ১৭৯
উইকেট
বোলিং গড় ২২.৬২
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৩/২৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/– ১২৩/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২১ মে ২০১৯

শৈশবকাল সম্পাদনা

সংবাদপত্র প্রতিনিধি হেনরি বি লেগ ও এডিথ দম্পতির জ্যেষ্ঠ সন্তান ছিলেন জিওফ্রে লেগ। ১৯১১ সালের আদমশুমারিতে এ দম্পতিকে ব্রোমলির সানরিজ এভিনিউতে বসবাসের কথা উল্লেখ করা হয়। তবে, ১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯২৯ তারিখে জিওফ্রে লেগের বৈবাহিক সম্পর্ক রোজমেরি ফ্রস্টের সাথে সম্পন্নকালীন পরিবারটিকে কেন্টের ব্যাস্টন ম্যানরে অবস্থানের কথা তুলে ধরা হয়।[২] তার স্ত্রী রোজমেরি ফ্রস্ট চমৎকার টেনিস খেলোয়াড় ছিলেন ও কুইন্সে চূড়ান্ত খেলায় সুজান লেংলেনকে পরাভূত করেছিলেন।

জিওফ্রে লেগ ম্যালভার্নে পড়াশুনো করেছিলেন। ম্যালভার্ন স্কুলে থাকা অবস্থাতেই জিওফ্রে লেগ তার ব্যাটিংয়ের শক্তিমত্তার পরিচয় দিয়েছিলেন। ১৯২২ সালে সেখানে অবস্থানকালে ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাকের সরকারি বিদ্যালয়ের ক্রিকেট খেলার বার্ষিক পর্যালোচনায় অফসাইডের স্ট্রোকে তার সুন্দর দক্ষতায় উচ্ছ্বসিত প্রশংসা বাক্য লেখা হয়। এছাড়াও এতে বলা হয় যে, জিওফ্রে লেগ চমৎকার অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন। তিনি তার বোলারদের কাছ থেকে সেরাটি আদায় করে নিয়েছেন। এছাড়াও ফিল্ডিংকালে সকলের উপর কর্তৃত্ব ভাব বজায় রেখেছিলেন।[৩]

অফ-ড্রাইভ ও কাটে বেশ দক্ষতার পরিচয় তুলে ধরেন। অক্সফোর্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন ব্রাসনোজ কলেজে পড়াশোনা করেন। এ পর্যায়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় দলের পক্ষে খেলার উদ্দেশ্যে ১৯২৩ ও ১৯২৪ যাচাই-বাছাইয়ের খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু ভালোমানের রান সংগ্রহ করতে না পারায় উভয় মৌসুমেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্যরূপে কোন প্রথম-শ্রেণীর খেলার জন্যে মনোনীত হননি।[৪][৫]

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট সম্পাদনা

১৯২৪ সালে দ্বিতীয়বার কেন্টের পক্ষে দুইটি প্রথম-শ্রেণীর খেলার জন্যে মনোনীত হন। তন্মধ্যে দ্বিতীয় খেলাটি ছিল অক্সফোর্ডের বিপক্ষে। কিন্তু তিনি এ সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেননি। খেলাগুলোর চারটি ইনিংসের কোনটিতেই দুই অঙ্কের রান তুলতে পারেননি জিওফ্রে লেগ।

১৯২৫ সালে আরও একবার অক্সফোর্ডের পক্ষে খেলার লক্ষ্যে যাচাই-বাছাইয়ের খেলায় অংশ নেন। এরফলে প্রথম তিনটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে খেলতে পারেননি। কিন্তু চতুর্থ প্রচেষ্টায় ওরচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে অভিষেক ঘটে তার। ১২০ রান তুলেছিলেন। দুই ঘণ্টায় শতরানে পৌঁছেন। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪০ রান তুলেন।[৬] পরের দুই খেলায় তেমন ভালো না খেললেও মাত্র তিন খেলায় অংশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খেলার চার সপ্তাহ পূর্বেই ১৯২৫ সালে অক্সফোর্ড থেকে ব্লুধারী হন।[৭] তিনি এ মনোনয়নের যথার্থতা প্রমাণে সচেষ্ট হন। ঐ মৌসুমে অক্সফোর্ডের ব্যাটিং গড়ে শীর্ষস্থানে ছিলেন এবং কেমব্রিজের বিপক্ষে ৩৮ ও ১৫ রান তুলে ড্র করার ক্ষেত্রে প্রভূতঃ ভূমিকায় রাখেন।[৮]

পরের বছরই বিশ্ববিদ্যালয় দলের নেতৃত্বভার পান। প্রত্যেক বছরই ব্যাটিং গড়ে শীর্ষস্থানে ছিলেন। তবে, কেমব্রিজ দলের বিপক্ষে চার ইনিংসে তিনি মাত্র ৮৩ রান তুলেছিলেন। প্রথম দুইটি খেলা ড্র ও অন্যটি ৩৪ রানে পরাজিত হয়েছিল তার দল।

১৯২৬ সালে জিওফ্রে লেগ অক্সফোর্ডের অধিনায়ক ছিলেন ও আবারও ব্যাটিং গড়ে শীর্ষস্থান অধিকার করেন। কিন্তু, ঐ মৌসুমের শুরুতেই সাধারণ ধর্মঘটের কারণে বিঘ্নের সৃষ্টি করে। ফলে বেশকিছু খেলা পরিত্যক্ত হয়। এছাড়াও, গাড়ি দূর্ঘটনায় তার হাত আঘাতগ্রস্ত হয়। উইজডেনে উল্লেখ করা হয় যে, এটি সর্বাপেক্ষা দূর্ভাগ্যজনক ঘটনা ছিল।[৯] জিওফ্রে লেগ দ্রুতগতিসম্পন্ন গাড়ি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিলেন ও অক্সফোর্ড মোটর রেসিং দলের সদস্য ছিলেন যা হয়তোবা এ দূর্ঘটনার কারণ হয়ে থাকতে পারে।[১০] তবে যথাসময়ে আরোগ্যলাভ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলায় দলকে নেতৃত্ব দেন। নিম্নমুখী রানের খেলায় কেমব্রিজ দল জয় পায়। তিনি ১৪ ও ১৬ রান তুলেছিলেন।[১১]

১৯২৭ সালে দৃশ্যতঃ কেন্টের পক্ষে পূর্ণাঙ্গ মৌসুমে খেলেছিলেন জিওফ্রে লেগ। ইনিংস প্রতি ৩০-এর অধিক গড়ে দুই শতক সহযোগে নয়শতাধিক রান তুলেছিলেন। তবে, শক্তিধর দলের বিপক্ষে প্রায়শই নিচেরদিকে সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ের নামতেন।

দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ইংল্যান্ডে ফিরে ১৯২৮ সালে এ. জে. ইভান্সের পরিবর্তে কেন্টের অধিনায়কত্ব লাভ করেন। ল্যাঙ্কাশায়ারের পিছনে থেকে দলকে চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা লাভের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। এ ক্ষেত্রে টিচ ফ্রিম্যানের অবিস্মরণীয় বোলিং অসম্ভব অবদান রেখেছিল। তিন শতাধিক উইকেট নিয়ে এক মৌসুমে গড়া রেকর্ড অদূর ভবিষ্যতে আর ভঙ্গ না-ও হতে পারে। লেগ নিয়মিতভাবে খেললেও পূর্বতন মৌসুমের তুলনায় বেশ দূর্বলমানের খেলা উপহার দেন। ৮৯১ রান তুললেও ব্যাটিং গড় ২১.৭৩-এ চলে আসে। [১২]

পরের মৌসুমে রান সংগ্রহের হার কিঞ্চিৎ বেড়ে ৯২৯ হয়। তবে, কেন্ট দল কম খেলায় অংশগ্রহণে করায় তার ব্যাটিং গড় ২৫.১০ এর স্বল্প উন্নতি হতে দেখা যায়।[১২] ১৯২৯ সালের প্রথম তিন মাসে কেন্ট দলকে ১৯১৩ সালের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ের পর বেশ চঞ্চল হতে দেখা যায়। কিন্তু শেষ দশ খেলায় মাত্র একটিতে জয় পাওয়ায় দলটি পয়েন্ট তালিকায় অষ্টম স্থান দখল করে।[১৩]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটিমাত্র টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ ঘটেছিল জিওফ্রে লেগের। ২৪ ডিসেম্বর, ১৯২৭ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটেছিল তার।

১৯২৭-২৮ মৌসুমের শীতকালে এমসিসি কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের লক্ষ্যে ইংরেজ দল পাঠানোর সিদ্ধান্তে নেয়। উইজডেনের মতে, দলটি শীর্ষে পর্যায়ের ইংরেজ ক্রিকেট দলের ন্যায়। ১৯২৭ সালের শীত মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। জ্যাক হবস, প্যাটসি হেনড্রেন, মরিস টেট, হ্যারল্ড লারউডসহ বেশ কয়েকজন প্রথিতযশা শৌখিন খেলোয়াড়কে বাদ দেয়া হয়েছিল কিংবা তারা যেতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছিলেন।[১৪] অর্ধ-ডজন শৌখিন খেলোয়াড়ের অন্যতম ছিলেন জিওফ্রে লেগ। অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের বিপক্ষে ১২০ রান তুলে নিজস্ব সর্বোচ্চ রানের সমান করেন।[১৫] ঐটি ও প্রথম-শ্রেণীর অন্যান্য ইনিংসের ফলে প্রথম টেস্টের জন্যে তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়। তবে, একমাত্র ইনিংসে তিনি ব্যর্থ ছিলেন। আটজন ইংরেজ ব্যাটসম্যানের সমষ্টিগত ১৩ রানের অন্যতম হিসেবে দলের ৩১৩ রানের ইনিংসের ব্যবধানে ইংল্যান্ড দল জয় পেয়েছিল।[১৬] পরের খেলায় নিজস্থান হারান ও সিরিজে আর খেলার সুযোগ পাননি।

নিউজিল্যান্ড গমন, ১৯২৯-৩০ সম্পাদনা

সেপ্টেম্বর, ১৯২৯ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন জিওফ্রে লেগ। এর পরপরই ১৯২৯-৩০ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড গমনের উদ্দেশ্যে এ. এইচ. এইচ. জিলিগানের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের সদস্যরূপে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

১৯২৬ সালে ইম্পেরিয়াল ক্রিকেট কনফারেন্সের সিদ্ধান্তক্রমে টেস্ট ক্রিকেটের সম্প্রসারণকল্পে ঐ শীতে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) দুইটি সফরের আয়োজন করে। দলগুলোর শক্তিমত্তা মিশ্র ধরনের ছিল। কিছু টেস্ট ক্রিকেটার, কিছু শৌখিন ও পেশাদার কাউন্টির খেলোয়াড়ের সমন্বয়ে গড়া দল দুটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ড গমন করে। নিউজিল্যান্ডগামী দলটি প্রথমে অস্ট্রেলিয়া গমন করে। এরপর ডিসেম্বর, ১৯২৯ সালে নিউজিল্যান্ডে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেয়। সেখানে তিনটি টেস্টে খেলায় অংশগ্রহণ করে। তন্মধ্যে, অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে তৃতীয় খেলাটি বৃষ্টির কবলে পড়ে। ফলে, অকল্যান্ডেই আবারও চতুর্থ খেলার আয়োজন করা হয়।[১৭] অকল্যান্ডে বিশেষভাবে আয়োজিত টেস্টে ১৯৬ রান তুলেন। দলের ৫৪০ রানের মধ্যে পরবর্তী সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল এম. এস. নিকোলসের ৭৫ রান।

জিওফ্রে লেগ চার খেলার সবকটিতেই অংশ নেন। প্রথম তিন খেলায় সামান্যই ভূমিকায় রাখেন। তবে, চতুর্থ খেলায় ১৯৬ রান তুলেন। এ সংগ্রহটি পুরো সিরিজের সর্বোচ্চসহ তার নিজস্ব প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সর্বোচ্চ হিসেবে রয়ে যায়।[১৮] গুরুত্বহীন খেলাগুলোয় জিওফ্রে লেগ কিছু সফল হয়েছিলেন। মাঝেমধ্যে লেগ-স্পিন বোলিংই করেন। দুইদিনের খেলার প্রথমটিতে সাউথল্যান্ডের বিপক্ষে ৬/২৪ ও মানাওয়াতুর বিপক্ষে খেলায় নয় উইকেট পেয়েছিলেন।[১৯][২০]

স্লো বোলিং করে কিছু সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। স্লিপ অঞ্চলে দণ্ডায়মান থাকতেন জিওফ্রে লেগ। কাছাকাছি এলাকায় ক্যাচ আসলে খুব কমই ব্যর্থ হতেন। খেলায় তিনি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতেন। ম্যালভার্নে থাকালে ফুটবল একাদশে খেলতেন। এছাড়াও, বিদ্যালয় দলে র‍্যাকেট খেলায়ও প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

অবসর সম্পাদনা

নিউজিল্যান্ডে ও শেষ টেস্ট ইনিংসগুলোয় সফলকাম হওয়া সত্ত্বেও ১৯৩০ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে কোন প্রতিনিধিত্বমূলক খেলায় রাখা হয়নি। ব্যাট হাতেও কেন্টের পক্ষে আহামরি কিছু করে দেখাতে পারেননি। কোন অর্ধ-শতকের ইনিংস খেলেননি ও ব্যাটিং গড় ছিল মাত্র ১৪।[১২] ১৯৩০ মৌসুম শেষে ব্যবসায়িক দায়বদ্ধতার কারণ দেখিয়ে কেন্টের অধিনায়কত্ব থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন। কেন্টের অধিনায়কত্ব থেকে নাম প্রত্যাহারের পর ১৯৩০-এর পর থেকে খুব কমই প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। এরপর তিনি আর একটিমাত্র প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৩১ মৌসুমের শেষদিকে সফররত নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে কেন্টের সদস্যরূপে খেলেন। দশ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১ রানে রান আউটের শিকারে পরিণত হয়েছিলেন জিওফ্রে লেগ।[২১]

বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ সম্পাদনা

ফ্লিট এয়ার আর্মে যুক্ত থাকাকালীন বিমান দূর্ঘটনায় ডেভনের ব্রাম্পফোর্ড স্পিকে জিওফ্রে লেগের জীবনাবসান ঘটে।

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ব্যবসায়ী হিসেবে স্বোপার্জিত অর্থে উড়োজাহাজ ক্রয় করেছিলেন। বেশ কয়েকবারই বিমানে চড়ে ইউরোপ গমন করেন। ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে রয়্যাল নেভির উড্ডয়ন বিভাগ ফ্লিট এয়ার আর্মে যোগ দেন। লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হিসেবে তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এর ছয় সপ্তাহ পরই ডেভনের বিমানে উড্ডয়নরত অবস্থায় দূর্ঘটনায় তিনি নিহত হন।[১০]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Player Profile: Geoffrey Legge"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৩ 
  2. "Marriages"। The Times (45315)। London। ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯২৯। পৃষ্ঠা 1। 
  3. "Public School Cricket in 1922"। Wisden Cricketers' Almanack। Part I (1923 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 337। 
  4. "The Universities—Oxford"। Wisden Cricketers' Almanack। Part II (1924 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 372। 
  5. "The Universities—Oxford"। Wisden Cricketers' Almanack। Part II (1925 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 428। 
  6. "Scorecard: Oxford University v Worcestershire"। www.cricketarchive.com। ২০ মে ১৯২৫। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০১৩ 
  7. "University Blues"। The Times (43982)। London। ৮ জুন ১৯২৫। পৃষ্ঠা 6। 
  8. "Scorecard: Oxford University v Cambridge University"। www.cricketarchive.com। ৬ জুলাই ১৯২৫। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মার্চ ২০১৩ 
  9. "The Universities—Oxford"। Wisden Cricketers' Almanack। Part II (1927 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 464। 
  10. "Obituaries, Personal Tribute: Lieut.-Commander G. B. Legge"। The Times (48787)। London। ৩০ নভেম্বর ১৯৪০। পৃষ্ঠা 7। 
  11. "Scorecard: Oxford University v Cambridge University"। www.cricketarchive.com। ৫ জুলাই ১৯২৬। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৩ 
  12. "First-class Batting and Fielding in each season by Geoffrey Legge"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০১৩ 
  13. "Kent Matches"। Wisden Cricketers' Almanack। Part II (1930 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 260। 
  14. "M. C. C. Team in South Africa"। Wisden Cricketers' Almanack। Part II (1929 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 638। 
  15. "Scorecard: Orange Free State v MCC"। www.cricketarchive.com। ২৫ নভেম্বর ১৯২৭। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০১৩ 
  16. "Scorecard: South Africa v England"। www.cricketarchive.com। ২৪ ডিসেম্বর ১৯২৭। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০১৩ 
  17. "M.C.C. Team in New Zealand and Australia"। Wisden Cricketers' Almanack। Part II (1931 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 642–671। 
  18. "Scorecard: New Zealand v England"। www.cricketarchive.com। ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩০। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৩ 
  19. "Scorecard: Southland v MCC"। www.cricketarchive.com। ৪ জানুয়ারি ১৯৩০। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৩ 
  20. "Scorecard: Manawatu v MCC"। www.cricketarchive.com। ১৭ জানুয়ারি ১৯৩০। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৩ 
  21. "Scorecard: Kent v New Zealanders"। www.cricketarchive.com। ২৬ আগস্ট ১৯৩১। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৩ 

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

ক্রীড়া অবস্থান
পূর্বসূরী
জন ইভান্স
কেন্ট ক্রিকেট অধিনায়ক
১৯২৮–১৯৩০
উত্তরসূরী
পার্সি চ্যাপম্যান
ব্রায়ান ভ্যালেন্টাইন