চামিন্দা ভাস
ওয়ার্নাকুলাসুরিয়া পাতাবেনদিগে উশান্ত জোসেফ চামিন্দা ভাস (সিংহলি: චමින්ද වාස්; জন্ম: ২৭ জানুয়ারি, ১৯৭৪) মাত্তুমাগালায় জন্মগ্রহণকারী শ্রীলঙ্কার কোচ ও সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। সচরাচর তিনি চামিন্দা ভাস নামেই সর্বসমক্ষে পরিচিত। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ইতিহাসে তিনিই সেরা ফাস্ট বোলারের মর্যাদা পেয়েছেন। ‘সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও নতুন বলে সবচেয়ে কার্যকরী সফলতম শ্রীলঙ্কান বোলার’ হিসেবে তাকে গণ্য করা হয়।[১] ২৫ জুন, ২০২০ তারিখ পর্যন্ত তিনি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আট উইকেট লাভকারী বিশ্বের একমাত্র বোলার।[২]
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ওয়ার্নাকুলাসুরিয়া পাতাবেনদিগে উশান্ত জোসেফ চামিন্দা ভাস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | মাত্তুমাগালা, শ্রীলঙ্কা | ২৭ জানুয়ারি ১৯৭৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | ভেসি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি (১.৭৮ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | বামহাতি ফাস্ট মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার, অধিনায়ক, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৬৩) | ২৬ আগস্ট ১৯৯৪ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২০ জুলাই ২০০৯ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৭৫) | ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৭ আগস্ট ২০০৮ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯০-২০১২ | কোল্টস ক্রিকেট ক্লাব | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৩ | হ্যাম্পশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪ | ইউভা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৫ | ওরচেস্টারশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৭ | মিডলসেক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৭/০৮-২০০৯/১০ | ডেকান চার্জার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১০-২০১২ | নর্দাম্পটনশায়ার (জার্সি নং ৬) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৪ ডিসেম্বর ২০১২ |
অক্টোবর, ২০১২ সালে নিউজিল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দলের শ্রীলঙ্কা সফরের সময় তিনি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে দুই টেস্টের জন্য কোচ নিযুক্ত হয়েছিলেন।[৩]
খেলোয়াড়ি জীবন
সম্পাদনা‘ভেসি’ ডাকনামে পরিচিত চামিন্দা ভাস বামহাতি সুইং বোলার হিসেবে ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করতেন। শ্রীলঙ্কা দলের পক্ষে উদ্বোধনী বোলাররূপে ইন-সুইঙ্গার প্রয়োগ করতেন। এছাড়াও তিনি অফ কাটার ও খেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিকে রিভার্স-সুইংয়ের বিষয়টি যুক্ত করেছিলেন। এরফলে তিনি উপমহাদেশের ধীরগতির পিচেও উইকেট নিতে সক্ষম হতেন। নিখুঁত লাইন ও লেন্থে বলকে চমকপ্রদভাবে নিয়ন্ত্রণে তিনি অসামান্য ভূমিকা রাখতেন। নিচের সারির ব্যাটসম্যান হিসেবেও তিনি তিন সহস্রাধিক রান করেছেন। এ রান করতে তিনি একটি শতক ও ১৩ অর্ধ-শতক করেছেন। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তারচেয়ে মাত্র ১১জন বোলার ২০০ উইকেট ও অধিক রান করেছেন।[৪] ফিল্ডার হিসেবে তিনি তার শক্তিশালী বাহুর জন্য প্রসিদ্ধ ছিলেন। নতুন বোলিংয়ের জন্য আম্পায়ারকে ‘পেসবিহীন বামহাতি’ শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করতেন।
২০০০ কোকা-কোলা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রতিযোগিতায় ২য় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হন। চূড়ান্ত খেলায় তার বিধ্বংসী বোলিংয়ে ভারতীয় দল মাত্র ৫৪ রানে গুটিয়ে যায়। এটিই ভারতীয়দের সর্বকালের সর্বনিম্ন একদিবসীয় দলগত সংগ্রহ। সৌরভ গাঙ্গুলী, শচীন তেন্ডুলকর, যুবরাজ সিং ও বিনোদ কাম্বলি’র ন্যায় তারকা খেলোয়াড় তার শিকারে পরিণত হন।
ক্রিকেট বিশ্বকাপ
সম্পাদনাবিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে তৃতীয় বোলাররূপে হ্যাট্রিক করার গৌরব অর্জন করেন। ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে তিনি বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে এ নজীর সৃষ্টি করেন। ইনিংসের প্রথম তিন বলেই তার শিকার হয়েছিলেন - হান্নান সরকার, মোহাম্মদ আশরাফুল ও এহসানুল হক।[৫] এ খেলায় তিনি ৬ উইকেট নেন ২৫ রানের বিনিময়ে। এ প্রতিযোগিতায় তিনি ২৩ উইকেট নিয়ে শীর্ষ বোলারের মর্যাদা পান।
সম্মাননা
সম্পাদনা২০০৪ সালে নবপ্রবর্তিত আইসিসি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তাকে বিশ্ব টেস্ট একাদশ ও বিশ্ব একদিনের আন্তর্জাতিক একাদশের অন্যতম খেলোয়াড়রূপে নির্বাচিত করা হয়েছিল। এছাড়াও, ২০০৫ সালে পুনরায় বিশ্ব টেস্ট একাদশে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন ভাস।
ট্রেভর গডার্ড (২৫১৬ রান, ১ সেঞ্চুরি); অ্যালিস্টেয়ার ক্যাম্পবেল (২৮৫৮ রান, ২ সেঞ্চুরি); চামিন্দা ভাস (৩০৮৯ রান, ১ সেঞ্চুরি) ও অনিল কুম্বলে (২৫০৬ রান, ১ সেঞ্চুরি) - এ চারজন ক্রিকেটার তাদের টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনে দুই হাজার রান সংগ্রহের পর তাদের প্রথম সেঞ্চুরির সন্ধান পান।
জুলাই, ২০০৯ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩য় টেস্টে অংশগ্রহণ শেষে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার ঘোষণা দেন।[৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ http://www.espncricinfo.com/srilanka/content/player/50804.html
- ↑ "ODI Career Best Innings Bowling"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ http://home.nzcity.co.nz/news/article.aspx?id=156284
- ↑ http://www.howstat.com/cricket/Statistics/AllRounders/AllRoundersRWC.asp?Stat=2
- ↑ "10th Match: Bangladesh v Sri Lanka at Pietermaritzburg, Feb 14, 2003"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০০৯।
- ↑ "Chaminda Vaas to retire from Tests"। Cricinfo। ১৯ জুলাই ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-২৪।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে চামিন্দা ভাস (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে চামিন্দা ভাস (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)