আগরতলা বিমানবন্দর

ভারতের, ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলার উপকণ্ঠে অবস্থিত বিমানবন্দর

আগরতলা বিমানবন্দর ভারতের, ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা উপকণ্ঠে অবস্থিত।[] এখন এটি আনুষ্ঠানিকভাবে মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দর হিসাবে পরিচিত।[][][][] বিমানবন্দরটি আগরতলার উত্তর-পশ্চিমে; মূল শহর থেকে ১৪ কি।মি দূরে গড়ে উঠেছে। এই বিমানবন্দরটি উত্তর-পূর্ব ভারতের দ্বিতীয় বৃহৎ বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দর থেকে প্রতিদিন ইন্ডিগোএয়ার ইন্ডিয়া বিমান চালায়। বিমানবন্দরটি থেকে কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাই, ব্যাঙ্গালোর প্রভৃতি শহরে বিমান চলাচল করে। এটি গুয়াহাটি পর উত্তরপূর্ব ভারতে দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর এবং আগরতলা বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে নির্মাণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।[১০][১১]

মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দর

আগরতলা সরকারি বিমানবন্দর
টার্মিনাল ভবনের সম্মুখভাগের দৃশ্য
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
বিমানবন্দরের ধরনসরকারি
পরিষেবাপ্রাপ্ত এলাকাআগরতলা, ত্রিপুরা, ভারত
এএমএসএল উচ্চতা৪৭ ফুট / ১৪ মি
স্থানাঙ্ক২৩°৩২′ উত্তর ৯১°০৮′ পূর্ব / ২৩.৫৩° উত্তর ৯১.১৪° পূর্ব / 23.53; 91.14
ওয়েবসাইটwww.aai.aero/en/airports/agartala
মানচিত্র
মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দর ত্রিপুরা-এ অবস্থিত
মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দর
মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দর
ভারতে অবস্থান
মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দর ভারত-এ অবস্থিত
মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দর
মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দর
ভারতে অবস্থান
রানওয়ে
দিক দৈর্ঘ্য পৃষ্ঠতল
মি ফুট
১৮/৩৬ ২,২৮৬ ৭,৫০০ আস্ফাল্ট
পরিসংখ্যান (এপ্রিল ২০১৮-মার্চ ২০১৯)
ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ
যাত্রী পরিবহন১৪,৪১,০৮৯ (বৃদ্ধি৪.৫%)
বিমান চলাচল১০,১৩০ (বৃদ্ধি০.৬%)
পণ্য (টন)৫,১৯৫ (হ্রাস -২.৪%)
এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ার।
এপ্রোন থেকে টার্মিনাল ভবনের দৃশ্য।
আগরতলা বিমানবন্দরের ভিতরের চিত্র
আগরতলা বিমানবন্দরের ভিতরের চিত্র

ইতিহাস

সম্পাদনা

বিমানবন্দরটি ১৯৪২ সালে ত্রিপুরার বীর বিক্রম কিশোর মানিক বাহাদুর মহারাজার দ্বারা নকশা এবং নির্মিত হয়েছিল। এর প্রাথমিক রানওয়ে ছিল, ০৫/২৩, যা বর্তমানে রানওয়ে ১৮/৩৬ তে একটি ট্যাক্সিওয়ে হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, বিমানবন্দরটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর্মি এয়ার ফোর্সেসর দশম এয়ার ফোর্সের চতুর্থ কম্ব্যাট কারগো গ্রুপ (৪র্থ সিসিজি) দ্বারা ব্যবহৃত হয়, কার্টিস সি-৪৬ কমান্ডো পরিবহন বিমানটির দ্বারা বার্মায় সেনাবাহিনীকে ও গোলাবারুদ সরবরাহের জন্য। বিমানবন্দরটি একটি সরবরাহ কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল, যেখান থেকে বিমানবাহিনী বিমান উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে স্থলবাহিনীকে গোলাবারুদ সরবরাহ করা হত।[১২]

চতুর্থ সিসিজি বিমানবন্দর থেকে ডিসেম্বর ১৯৪৪ এবং জানুয়ারী ১৯৪৫ সালের মধ্যে পরিচালিত হয়, এর পরে এটি চট্টগ্রামে স্থানান্তরিত হয়।

দূরবর্তী অতীতে আগরতলা বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-তেজগাঁও বিমানবন্দরখুলনাসহ বিভিন্ন বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক উড়ান পরিচালনার অভিজ্ঞ হয়েছে।

২০১৫ সালে, মভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে শুরু করে।[১৩] এএআই ২০১৯-২০ (সি ডিসেম্বর ২০১৭) সালের মধ্যে সমস্ত কাজ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা নিয়েছে এবং ₹৫০০ কোটি টাকা খরচ করে নতুন টার্মিনাল ভবনসহ বিমানবন্দরের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ করা হবে।[১৪]

উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ

সম্পাদনা
 
নতুন টার্মিনাল ভবনের অভ্যন্তর

ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের (এএআই) পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, যা গুয়াহাটিইম্ফলের পরে উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের তৃতীয় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হবে। এএআই বিশ্বমানের সুবিধা প্রদানের জন্য বিমানবন্দরের উন্নয়ন ঘটানোর জন্য ₹৪৩৮ কোটির (ইউএস$৬১ মিলিয়ন) প্রকল্প হাতে নিয়েছে। রাজ্য সরকার নতুন টার্মিনাল ভবন, রানওয়ে ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নির্মাণের জন্য এএআই-কে ৭২ একর (২৯ হেক্টর) জমি প্রদান করে। ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে উন্নয়ন সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যার মধ্যে নতুন টার্মিনালটি ২০২২ সালে সম্পন্ন হয়েছিল এবং এটি ২০২২ সালের ৪ঠা জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্বোধন করেছিল।[১৫]

নির্ধারিত গন্তব্যসূচী

সম্পাদনা
বিমান পরিবহন সংস্থা গন্তব্য
এয়ার ইন্ডিয়া কলকাতা
ইণ্ডিগো কলকাতা, ব্যাঙ্গালোর, গৌহাটি, ইম্ফল

দুর্ঘটনা

সম্পাদনা
  • ৭ জুন ১৯৭০: ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলির একটি ফককার এফ২৭ বিমান ৩৪ জন যাত্রী এবং ৪ ক্রু সদস্যের সাথে বিমানবন্দরের রানওয়েতে ২,৭৭৫ ফুটের স্বাভাবিক গতির থেকে বেশি গতিতে নেমে আসে; যাইহোক, যাত্রী বা ক্রু সদস্যদের কেউ নিহত হয়েছিল না, তবে পরে বিমানটির চলাচল বন্ধ করা হয়েছিল।[১৬]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. http://knowindia.net/aviation3.html
  2. "Traffic News for the month of Feb 2019: Annexure-III" (পিডিএফ)Airports Authority of India। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। পৃষ্ঠা 3। ২৬ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১৯ 
  3. "Traffic News for the month of Feb 2019: Annexure-II" (পিডিএফ)Airports Authority of India। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। পৃষ্ঠা 3। ২৬ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১৯ 
  4. "Traffic News for the month of March 2019: Annexure-IV" (পিডিএফ)Airports Authority of Indiaসংগ্রহের-তারিখ=29 April 2018। পৃষ্ঠা 3। ২৬ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১৯ 
  5. "Civil Airport Agartala"airportsindia.org.in। ৫ নভেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০০৯ 
  6. "Change of name of Agartala Airport" (পিডিএফ)EGazette। Government of India। ৯ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৮ 
  7. https://www.thehindu.com/news/national/other-states/agartala-airport-to-be-named-after-maharaja-bir-bikram-manikya-kishore/article24330340.ece
  8. https://www.telegraphindia.com/states/north-east/agartala-airport-to-be-named-after-king/cid/1453829
  9. https://www.cnbctv18.com/aviation/agartala-airport-renamed-after-tripuras-last-king-250631.htm
  10. "Agartala airport to be made international airport"। ২৪ নভেম্বর ২০১৪। 
  11. "News article"articles.economictimes.indiatimes.com 
  12. Maurer, Maurer. Air Force Combat Units Of World War II. Maxwell Air Force Base, Alabama: Office of Air Force History, 1983. আইএসবিএন ০-৮৯২০১-০৯২-৪
  13. "Upgradation of Agartala airport to start in Feb 2016: Minister - Times of India" 
  14. Steps taken to strengthen North East states air connectivity: Authority of India, Economic Times, 18 Dec 2017.
  15. Ali, Syed Sajjad (২০২২-০১-০৪)। "PM Modi opens new terminal building at Agartala airport"দ্য হিন্দু (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-২৭ 
  16. Ranter, Harro। "Agartala-Singerbhil Airport profile - Aviation Safety Network"www.aviation-safety.net। ৬ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা