আগরতলা

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী

আগরতলা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। এটি পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় অবস্থিত।

আগরতলা
রাজধানী
Tripura State Museum Agartala Tripura India.jpg
Agartala Railway Station.jpg
ডাকনাম: আগুলী (ককবরক)
আগরতলা ত্রিপুরা-এ অবস্থিত
আগরতলা
আগরতলা
আগরতলা ভারত-এ অবস্থিত
আগরতলা
আগরতলা
ভারতের ত্রিপুরায় আগরতলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৩°৫০′ উত্তর ৯১°১৬′ পূর্ব / ২৩.৮৩৩° উত্তর ৯১.২৬৭° পূর্ব / 23.833; 91.267
দেশ ভারত
রাজ্যত্রিপুরা
জেলাপশ্চিম ত্রিপুরা
সরকার
 • ধরনমেয়র–কাউন্সিল
 • শাসকএএমসি
 • মেয়রডক্টর প্রফুল্ল জিত্ সিনহা [২]
 • কমিশনারঅভিষেক চন্দ্র
আয়তন
 • মোট৭৬.৫০৪ বর্গকিমি (২৯.৫৩৮ বর্গমাইল)
উচ্চতা১২.৮০ মিটার (৪১.৯৯ ফুট)
জনসংখ্যা (২০১৫)[৩]
 • মোট৫,২২,৬১৩ [১]
 • জনঘনত্ব৬,৮৩১/বর্গকিমি (১৭,৬৯০/বর্গমাইল)
ভাষাসমূহ
 • দাপ্তরিকক ভাষাবাংলা, ককবরক, ইংরাজি
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০)
পিন৭৯৯০০১-১০, ৭৯৯০১২, ৭৯৯০১৪-১৫, ৭৯৯০২২, ৭৯৯০৫৫
টেলিফোন কোড৯১ (০)৩৮১
যানবাহন নিবন্ধনটিআর ০১ ** ★★★★
মৌখিক ভাষাসমূহবাংলা, ককবরক, ইংরাজি
জাতিতত্ত্ববাঙালি, ত্রিপুরী, চাকমা, অন্যান্য
ওয়েবসাইটagartalacity.nic.in

ইতিহাসসম্পাদনা

ত্রিপুরার প্রথম দিকের রাজাদের একজন ছিলেন পাত্রদান (খ্রীস্টপূর্ব ১৯০০), মানিক্য রাজবংশের অনেক আগে। লোককাহিনী অনুসারে আগরতলায় চিত্রারথ,দ্রীকপতি, ধর্মপা, লোকনাথ জীবনধারণ খ্রীস্টপূর্ব সময়ের গুরুত্বপূর্ণ রাজা ছিলেন।

অতীতে ত্রিপুরা বেশ কয়েকটি হিন্দু রাজ্যের রাজধানী ছিল। যদিও শাসকদের একটি সময়সীমা পাওয়া যায় নি তবে রেকর্ড থেকে জানা যায় যে এই অঞ্চলটিতে প্রায় ১৭৯ জন হিন্দু শাসকরা শাসন করেছিলেন, এটি পৌরাণিক রাজা দ্রুহ্য থেকে শুরু করে ত্রিপুরার শেষ রাজা কিরীট বিক্রম কিশোর মানিক্য পর্যন্ত শাসিত হয়েছে। ত্রিপুরাও মোগল শাসনের অধীনে এসেছিল। ১৮০৮ সালে এই রাজ্যটি ব্রিটিশদের শাসনের অধীনে আসে।

ভূগোল ও জলবায়ুসম্পাদনা

আগরতলা
জলবায়ু লেখচিত্র
জাফেমামেজুজুসেডি
 
 
৯.১
 
২৬
১০
 
 
২০
 
২৯
১৩
 
 
৫৯
 
৩৩
১৯
 
 
১৮২
 
৩৪
২২
 
 
৩১৬
 
৩৩
২৪
 
 
৪৫৫
 
৩২
২৫
 
 
৩৮৬
 
৩১
২৫
 
 
৩১৩
 
৩২
২৫
 
 
২২৫
 
৩২
২৪
 
 
১৬৫
 
৩১
২২
 
 
৪০
 
২৯
১৭
 
 
৮.৪
 
২৬
১১
সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সর্বোচ্চ এবং সর্বোনিম্ন গড়
মিলিমিটারে বৃষ্টিপাতের মোট পরিমাণ
উৎস: IMD

শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল ২৩°৫০′ উত্তর ৯১°১৭′ পূর্ব / ২৩.৮৪° উত্তর ৯১.২৮° পূর্ব / 23.84; 91.28[৪] সমুদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ১৬ মিটার (৫২ ফুট)।

জনপরিসংখ্যানসম্পাদনা

ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে আগরতলা শহরের জনসংখ্যা হল ১৮৯,৩২৭ জন।[৫] এর মধ্যে পুরুষ ৫০% এবং নারী ৫০%।

এখানে সাক্ষরতার হার ৮৫%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৮% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৮২%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে আগরতলা এর সাক্ষরতার হার বেশি।

এই শহরের জনসংখ্যার ৮% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।

নগর প্রশাসনসম্পাদনা

প্রায় 150 বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী শহর আগরতলা দেশের অন্যতম প্রাচীন শহর এবং বর্তমানে আগরতলা পুর নিগম এলাকার জনসংখ্যা 5,22,613 জন। 76.50 বর্গ কিমি এলাকা জুড়ে এই শহর যার একদিকে রয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ। ধর্মনগর পুর পরিষদ কৈলাশ শহর পুর পরিষদ কুমার ঘাট পুর পরিষদ আমবাসা পুর পরিষদ কমলপুর নগর পঞ্চায়েত খোয়াই পুর পরিষদ তেলিয়ামুড়া পুর পরিষদ জিরানিয়া নগর পঞ্চায়েত মোহনপুর পুর পরিষদ বিশাল গড় পুর পরিষদ উদয়পুর পুর পরিষদ অমরপুর নগর পঞ্চায়েত শান্তির বাজার পুর পরিষদ বিলোনীয়া পুর পরিষদ সারুম নগর পঞ্চায়েত

রাজনীতিসম্পাদনা

অর্থনীতিসম্পাদনা

জনসংখ্যার উপাত্ত এবং সংস্কৃতিসম্পাদনা

ভাষাসম্পাদনা

বাংলা, ইংরাজী, ককবরক, ত্রিপুরী ইত্যাদি। কোন কোন স্থানে হিন্দি ভাষা প্রচলিত আছে।

জাতিসম্পাদনা

বাঙালি, ত্রিপুরী, চাকাম, আদিবাসী সম্প্রদায় ভুক্ত জাতির বাস।

ধর্মসম্পাদনা

  • হিন্দু,
  • মুসলিম,
  • খ্রিষ্টান,
  • বৌদ্ধধর্মাবলম্বী,

এছাড়া ও অন্যান্য

উপাসনালয়সম্পাদনা

মন্দিরসম্পাদনা

  • গুণবতী মন্দিরাজি

তিনটি পাশাপাশি টোরাকোটা মন্দির রয়েছে একই চত্বরে। এইগুলি মহারানি গুণবতী (মহারাজা গোবিন্দমাণিক্যের স্ত্রী) নির্মাণ করান ১৬৬৮ খ্রিস্টাব্দে। আর তাঁর নামেই পরিচিত হয় এই মন্দিররাজি। মন্দিরগুলি বিগ্রহহীন হলেও এদের নির্মাণশৈলী কিন্তু চোখ টানে।

  • ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরের মা ত্রিপুরাসুন্দরী।

ভুবনেশ্বরী মন্দির: মহারাজা গোবিন্দমাণিক্য তাঁর আরাধ্যা দেবী ভুবনেশ্বরীর এই মন্দিরটি নির্মাণ করান ১৬৬০-১৬৭৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে। গোমতী নদীর তীরে অবস্থিত টেরাকোটার এই মন্দিরটি অবশ্য বিগ্রহহীন। অতীতে এই মন্দিরে নাকি নরবলি দেওয়া হত। এমনটাই জনশ্রুতি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই মন্দিরের ঐতিহাসিক প্রেক্ষিত নিয়েই রচনা করেছিলেন তাঁর বিখ্যাত নাটক ‘বিসর্জন’ এবং উপন্যাস ‘রাজর্ষি’। মন্দিরের পাশেই রয়েছে প্রাচীন রাজবাড়ির ধ্বংসাবশেষ।

  • রাম ঠাকুর আশ্রম (বনমালীপুর)
  • শ্রী কৃষ্ণ মন্দির
  • শ্রী শ্রী লোকণাথ বাবার মন্দির
  • লক্ষী নারায়ন মন্দির
  • দুর্গাবাড়ী

মসজিদসম্পাদনা

গির্জাসম্পাদনা

উৎসব ও মেলাসম্পাদনা

 
আগরতলার একটি দুর্গা পূজা প্যান্ডাল

পরিবহনসম্পাদনা

সড়কসম্পাদনা

বিমানবন্দরসম্পাদনা

আগরতলা বিমানবন্দর ভারতের, ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা উপকণ্ঠে অবস্থিত। এখন এটি আনুষ্ঠানিকভাবে মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দর হিসাবে পরিচিত।বিমানবন্দরটি আগরতলার উত্তর-পশ্চিমে; মূল শহর থেকে ১৪ কিমি দূরে গড়ে উঠেছে। এই বিমানবন্দরটি উত্তর-পূর্ব ভারতের দ্বিতীয় বৃহৎ বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দর থেকে প্রতিদিন ইন্ডিগো ও এয়ার ইণ্ডিয়া বিমান চালায়। বিমানবন্দরটি থেকে কলকাতা,দিল্লী, চেন্নাই, ব্যাঙ্গালোর প্রভৃতি শহরে বিমান চলাচল করে। এটি গুয়াহাটি পর উত্তরপূর্ব ভারতে দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর এবং আগরতলা বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে নির্মাণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

রেলপথসম্পাদনা

২০৫০১/২০৫০২ আগরতলা তেজস রাজধানী এক্সপ্রেস হল উত্তর- পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে জোনের অন্তর্গত একটি আধা-হাই-স্পিড সম্পুর্ন এসি ট্রেন, এবং এটি ভারতের নয়া দিল্লিতে আগরতলা এবং আনন্দ বিহার টার্মিনালের মধ্যে চলে। এটি বর্তমানে একটি সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ট্রেন নম্বর ২০৫০১/২০৫০২ হিসাবে পরিচালিত হয়। এটি ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ থেকে চালিত তেজস এক্সপ্রেস লিভারি স্লিপার এলএইচবি কোচের সাথে রোলআউট করা প্রথম রাজধানী এক্সপ্রেস হয়ে উঠে। ২০৫০১ আগরতলা-আনন্দ বিহার টার্মিনাল তেজস রাজধানী এক্সপ্রেসের গড় গতি ৬১কিমি/ঘন্টা এবং ২৪২৩ কিমি কভার করে ৩৯ঘন্টা২৫মিনিটে। ২০৫০২ আনন্দ বিহার টার্মিনাল-আগরতলা তেজস রাজধানী এক্সপ্রেসের গড় গতি ৪৬কিমি/ঘন্টা এবং ২৪২৩কিমি কভার করে ৫৩ঘন্টায়।

যোগাযোগ ব্যবস্থাসম্পাদনা

দূরযোগাযোগ ব্যবস্থাসম্পাদনা

বেতারসম্পাদনা

টেলিভিশনসম্পাদনা

সংবাদপত্রসম্পাদনা

শিক্ষাসম্পাদনা

বলতে গেলে রাজ্যের সাথে সাথে শিক্ষার রাজধানীও আগরতলা।

 
আগরতলা টাউন হল

বিশ্ববিদ্যালয়

  • ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়,

ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি Tripura University) প্রধান পাবলিক কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় যা ভারতের ত্রিপুরায় অবস্থিত। ১৯৮৭ সালে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়টি CUPGC-র ভিত্তিতে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস আগরতলার নগর কেন্দ্র থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে সূর্যমণিনগরে অবস্থিত। কলেজ, আগরতলা রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়, কৈলাশহর ত্রিপুরা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি,নরসিংগড় মহিলা কলেজ, আগরতলা ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ, হাপানিয়া আগরতলা সরকারি..

  • ইকফাই বিশ্ববিদ্যালয় ত্রিপুরা,
  • ইগ্নও ,

কলেজ

ক্রীড়াসম্পাদনা

এখানে ফুটবল ও ক্রিকেট জনপ্রিয় খেলা। এছাড়া ও সরকারি বেসরকারী সহায়তায় বিভিন্ন খেলার আসর বসে থাকে।

  • এম বি বি স্টেডিয়াম (ক্রিকেট)
  • পলিটেকনিক মাঠ (ক্রিকেট)
  • উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়াম ( ফুটবল )
  • দশরথ দেব স্টেডিয়াম ( ফুটবল )

পর্যটনসম্পাদনা

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. www.tripurainfo.com/info/ArchiveDet.aspx?WhatId=15446 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে Municipal Census 2015
  2. "Agartala Municipal Corporation"। Agartalacity.tripura.gov.in। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৫-০৭ 
  3. "The first news, views & information website of TRIPURA"। Tripurainfo। ২০১৩-১০-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১২-২০ 
  4. "Agartala"Falling Rain Genomics, Inc। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১, ২০০৬ 
  5. "ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি"। Archived from the original on ১৬ জুন ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১, ২০০৬ 

https://udd.tripura.gov.in/sites/default/files/book-final.pdf ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় https://www.anandabazar.com/travel/holiday-trips/places-to-visit-in-tripura-dgtl-1.661197