ত্রিপুরা বিধানসভা
ত্রিপুরা বিধানসভা হল ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা, যেখানে বিধায়কের ৬০ টি সদস্যপদ রয়েছে। বর্তমান বিধানসভা সমাবেশ গোর্খাবস্তিতে অবস্থিত। আগরতলায় অবস্থিত উজ্জয়ন্ত প্রাসাদটি ছিল এর পূর্ববর্তী সমাবেশ স্থল। বিশেষ কোনো কারণে বিলুপ্তিকরণ বা পদত্যাগের ঘটনা না ঘটলে বিধানসভার সাধারণ মেয়াদ পাঁচ বছর। বর্তমান বিধানসভাটি দ্বাদশতম বিধানসভা, যেখানে রতন চক্রবর্তী হলেন সভার বর্তমান অধ্যক্ষ বা স্পিকার।
ত্রিপুরা বিধানসভা | |
---|---|
ত্রিপুরার দ্বাদশ বিধানসভা | |
ধরন | |
ধরন | |
মেয়াদসীমা | পাঁচ বছর |
প্রতিষ্ঠিত | ১৯৬৩ |
নেতৃত্ব | |
অধ্যক্ষ (স্পিকার) | |
সহকারী অধ্যক্ষ (ডেপুটি স্পিকার) | |
গরিষ্ঠ দলনেতা (মুখ্যমন্ত্রী) | |
সহকারী গরিষ্ঠ দলনেতা (সহমুখ্যমন্ত্রী) | |
বিরোধী দলনেতা | |
গঠন | |
আসন | ৬০ |
রাজনৈতিক দল | শাসক পক্ষ (৪৬)
বিরোধী পক্ষ (১৩)
শূন্য (১)
|
নির্বাচন | |
একক সদস্য সংখ্যাধিক্য | |
সর্বশেষ নির্বাচন | ১৮ই ফেব্রুয়ারি ২০১৮ |
পরবর্তী নির্বাচন | আসন্ন ফেব্রুয়ারি ২০২৩ |
সভাস্থল | |
ত্রিপুরা বিধানসভা, আগরতলা | |
ওয়েবসাইট | |
www |
ইতিহাস
সম্পাদনাপয়লা নভেম্বর ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে ত্রিপুরা ভারতের একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা লাভ করে এবং নিযুক্ত মুখ্য আধিকারিক (প্রধান কমিশনার)-কে পরামর্শ দেওয়ার জন্য একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়।[২] ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই আগস্ট ৩০ জন নির্বাচিত সদস্য এবং ভারত সরকার কর্তৃক মনোনীত দুজন সদস্য নিয়ে একটি প্রাদেশিক পরিষদ গঠিত হয়।
পূর্বতন বিধানসভাসমূহ
সম্পাদনাএ পর্যন্ত গঠিত বিধানসভাগুলি নীচে তালিকাভুক্ত করা হল:[৩]
বিধানসভা | সময়কাল |
---|---|
প্রথম বিধানসভা | ১লা জুলাই ১৯৬৩ থেকে ১২ই জানুয়ারি ১৯৬৭ |
দ্বিতীয় বিধানসভা | ১লা মার্চ ১৯৬৭ থেকে ১লা নভেম্বর ১৯৭১ |
তৃতীয় বিধানসভা | ২০শে মার্চ ১৯৭২ থেকে ৫ই নভেম্বর ১৯৭৭ |
চতুর্থ বিধানসভা | ৫ই জানুয়ারি ১৯৭৮ থেকে ৭ জানুয়ারি ১৯৮৩ |
পঞ্চম বিধানসভা | ১০ই জানুয়ারি ১৯৮৩ থেকে ৫ই ফেব্রুয়ারি ১৯৮৮ |
ষষ্ঠ বিধানসভা | ৫ই ফেব্রুয়ারি ১৯৮৮ থেকে ২৮শে ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩ |
সপ্তম বিধানসভা | ১০ই এপ্রিল ১৯৯৩ থেকে ১০ই মার্চ ১৯৯৮ |
অষ্টম বিধানসভা | ১০ই মার্চ ১৯৯৮ থেকে ২৮শে ফেব্রুয়ারি ২০০৩ |
নবম বিধানসভা | ৪ঠা মার্চ ২০০৩ থেকে ৩রা মার্চ ২০০৮ |
দশম বিধানসভা | ১০ই মার্চ ২০০৮ থেকে ১লা মার্চ ২০১৩ |
একাদশ বিধানসভা | ২রা মার্চ ২০১৩ থেকে ৩রা মার্চ ২০১৮ |
দ্বাদশ বিধানসভা | ৪ঠা মার্চ ২০১৮ থেকে -- |
বর্তমান বিধায়কগণের তালিকা
সম্পাদনা২০১৮ সালে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে দ্বাদশ বিধানসভা গঠিত হয়েছিল। ঐ বছর ১৮ ফেব্রুয়ারি ৬০ সদস্য পদের বিধানসভা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়,[৪][৫] ও এই নির্বাচনে ৮৯.৮% ভোটারের উপস্থিতির তথ্য জানা যায়।[৬] ৩রা মার্চ ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণা করা হয়।[৫]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "BJP's Ratan Chakraborty elected Speaker of Tripura Assembly"। EastMojo। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ "Tripura to celebrate 50 years of assembly"। The Times of India। ১ জুলাই ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ "Tripura Legislative Assembly at a glance"। legislativebodiesinindia.nic.in। ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Tripura Election 2018 Date announced by EC: Check all details here"। The Financial Express (ইংরেজি ভাষায়)। ১৮ জানুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ ক খ "EC announces election dates for 3 NE states: Tripura to vote on 18 Feb, Meghalaya, Nagaland on 27 Feb; results for all states on 3 March-Politics News , Firstpost"। Firstpost (ইংরেজি ভাষায়)। ১৮ জানুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ PTI (১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮)। "Tripura records 89.8% voter turnout in assembly elections: EC"। Mint (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ "Tripura: IPFT MLA Brishaketu Debbarma resigns; Speaker and CM to meet him today"। The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। ১ জুলাই ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ ক খ "Two Tripura BJP MLAs resign"। The New Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ Ali, Syed Sajjad (৫ জানুয়ারি ২০২২)। "TMC's Asish Das disqualified under anti-defection law"। The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ "Veteran CPI(M) leader and former Tripura Assembly Speaker R C Debnath dies at 66"। The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২।