হামিশ মার্শাল

নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার
(Hamish Marshall থেকে পুনর্নির্দেশিত)

হামিশ জন হ্যামিল্টন মার্শাল (ইংরেজি: Hamish Marshall; জন্ম: ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৯) ওয়ার্কওয়ার্থ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের পক্ষে সকল স্তরের ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন হামিশ মার্শাল। মার্শাল মূলতঃ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামতেন।

হামিশ মার্শাল
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
হামিশ জন হ্যামিল্টন মার্শাল
জন্ম (1979-02-15) ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ (বয়স ৪৫)
ওয়ার্কওয়ার্থ, নিউজিল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাব্যাটসম্যান
সম্পর্কজেমস মার্শাল (যমজ ভ্রাতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২১৩)
৮ ডিসেম্বর ২০০০ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টেস্ট১৫ এপ্রিল ২০০৬ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৩২)
২৯ নভেম্বর ২০০৩ বনাম পাকিস্তান
শেষ ওডিআই৯ এপ্রিল ২০০৭ বনাম আয়ারল্যান্ড
ওডিআই শার্ট নং৩৪
টি২০আই অভিষেক
(ক্যাপ )
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টি২০আই১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯৯ – ২০১২নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস
২০০৩বাকিংহামশায়ার
২০০৬ – ২০১৬গ্লুচেস্টারশায়ার
২০১৬ – বর্তমানওয়েলিংটন
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই টি২০আই এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১৩ ৬৬ ৩০৬
রানের সংখ্যা ৬৫২ ১,৪৫৪ ৭,৩৯৭
ব্যাটিং গড় ৩৮.৩৫ ২৭.৪৩ ৪.০০ ২৮.০১
১০০/৫০ ২/২ ১/১২ ০/০ ৭/৪৯
সর্বোচ্চ রান ১৬০ ১০১* ১২২
বল করেছে - ২৮৪
উইকেট -
বোলিং গড় - ৭৩.৭৫
ইনিংসে ৫ উইকেট -
ম্যাচে ১০ উইকেট - - -
সেরা বোলিং - ২/২১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/– ১৮/– ১/০ ১১৪/–
উৎস: ক্রিকইনফো, ১৬ আগস্ট ২০১৭

জেমস মার্শাল তার যমজ ভাই। অস্ট্রেলীয় মার্ক ওয়াহস্টিভ ওয়াহর পর দ্বিতীয় যমজ ভ্রাতা হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নেয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেন।

খেলোয়াড়ী জীবন

সম্পাদনা

ডিসেম্বর, ২০০০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। ৭ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে অপরাজিত ৪০ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলেন। এছাড়াও, হক কাপে নর্থল্যান্ডের সদস্যরূপে খেলে থাকেন তিনি।

২০০৩-০৪ মৌসুমে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলার জন্য নিউজিল্যান্ড দলে আহুত হন। ফয়সালাবাদে অনুষ্ঠিত নিজস্ব তৃতীয় খেলায় অংশ নিয়ে অপরাজিত ১০১ রান করেন।[] পরবর্তীতে ৬৪ ও ৮৪ রান তুলে নিউজিল্যান্ডকে সিরিজ বিজয়ে প্রভূতঃ সহায়তা করেন।

নিজদেশে অংশগ্রহণ

সম্পাদনা

২০০৩-০৪ মৌসুমে নিজদেশে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ বিজয়েও একই ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।[]

এরফলে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০০৪ সালের ন্যাটওয়েস্ট সিরিজে অংশগ্রহণের জন্য মনোনীত হন। গ্রুপপর্বের খেলায় অপরাজিত ৭৫ ও ৫৫ রান তুলেন। এরপর চূড়ান্ত খেলায় ৪৪ রান তুলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দলকে জয়ী করতে সবিশেষ ভূমিকা রাখেন।[]

মার্চ, ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৪৬ রানের মনোজ্ঞ শতরান করেন যা তার প্রথম শতরানের ইনিংস ছিল।[] এরপর এপ্রিলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেন ১৬০ রান।[]

ক্রিকেট বিশ্বকাপ

সম্পাদনা

২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে শেষ মুহূর্তে তাকে দলের সদস্য মনোনীত করা হয়। ঐ প্রতিযোগিতায় তিনি একটি অর্ধ-শতকের সন্ধান পেয়েছিলেন।

প্রতিযোগিতা শেষে নিউজিল্যান্ড দলের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে অপারগতা প্রকাশ করেন ও গ্লুচেস্টারশায়ারের পক্ষে খেলেন। আইরিশ পাসপোর্ট থাকায় তিনি বিদেশী খেলোয়াড়রূপে বিবেচিত নন। এরপর আর তাকে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে খেলতে দেখা যায়নি।[]

আয়ারল্যান্ডের সদস্য

সম্পাদনা

অক্টোবর, ২০১০ সালে ভারত সফরের জন্য আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দলের সদস্যরূপে মার্শালের অন্তর্ভূক্তির কথা ঘোষণা করা হয়। আয়ারল্যান্ডের পক্ষে ওডিআইয়ে অংশগ্রহণের বিষয়ে আইসিসি অনুমোদনের আশা করা হয়।[]

ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লীগ

সম্পাদনা

ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লীগে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার্সের পক্ষে ২০০৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে বিলুপ্ত হবার পূর্ব-পর্যন্ত খেলেন।

ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সালে টি২০ প্রীতিখেলায় শচীন তেন্ডুলকরদীনেশ কার্তিক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন ও নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যকার খেলা থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেন। এর প্রধান কারণ ছিল, খেলায় মার্শালের খেলায় সম্পৃক্ততা। আইপিএল ও আইসিএলের প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রেক্ষিতে বিসিসিআই তাদেরকে খেলতে মানা করে। বিসিসিআই তাদের খেলোয়াড়দেরকে মার্শালের অংশগ্রহণকৃত দলের বিপক্ষে ফিল্ডিং না করানোর সিদ্ধান্ত নেয়।[]

কাউন্টি ক্রিকেট

সম্পাদনা

২০০৬ সালে ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে অংশগ্রহণের জন্য গ্লুচেস্টারশায়ারের সদস্য হন। এরপর থেকে নিয়মিতভাবে খেলতে থাকেন।

২০১১ সালে অপূর্ব কীর্তিগাঁথা রচনা করেন হামিশ মার্শাল ও কেভিন ও’ব্রায়ান। টি২০ খেলায় প্রথম উইকেটে জুটিতে উভয়েই শতরান সংগ্রহ করেন।[][১০][১১][১২]

জুন, ২০১২ সালে গ্লুচেস্টারশায়ারের টুয়েন্টি২০ দলের অধিনায়ক মনোনীত হন।[১৩]

২০১৩ সালের কাউন্টি মৌসুমে ২০০৬ সালের পর সহস্র রানের কোঠা অতিক্রমণ করেন। ৩৭ বছর বয়সে এসে নতুন করে তিনবছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন।[১৪]

২০১৫ সালে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের মৌসুম উপভোগ করেন হামিশ মার্শাল।[১৫]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "3rd ODI: Pakistan v New Zealand at Faisalabad, Dec 3, 2003 | Cricket Scorecard | ESPN Cricinfo"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-২৫ 
  2. "Results | Global | ESPN Cricinfo"Cricinfo (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-২৫ 
  3. "Final: New Zealand v West Indies at Lord's, Jul 10, 2004 | Cricket Scorecard | ESPN Cricinfo"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-২৫ 
  4. "1st Test: New Zealand v Australia at Christchurch, Mar 10-13, 2005 | Cricket Scorecard | ESPN Cricinfo"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-২৫ 
  5. "1st Test: New Zealand v Sri Lanka at Napier, Apr 4-8, 2005 | Cricket Scorecard | ESPN Cricinfo"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-২৫ 
  6. Hamish Marshall walks out on New Zealand
  7. "Ireland: Ed Joyce and Hamish Marshall named in touring party | Ireland Cricket News | ESPN Cricinfo"। Cricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-২২ 
  8. "Hamish Marshall responsible for Tendulkar\'s withdrawl!"। Mid-day.com। ২০০৯-০২-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-২২ 
  9. "Kohli, de Villiers shatter records in rare feat"Cricinfo (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-২৫ 
  10. "South Group: Middlesex v Gloucestershire at Uxbridge, Jun 26, 2011 | Cricket Scorecard | ESPN Cricinfo"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-২৫ 
  11. "Unprecedentedtwo tons in a T20 innings"hindustantimes.com/ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১১-০৬-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-২৫ 
  12. "Gloucestershire's T20 record score sinks Middlesex"BBC Sport (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১১-০৬-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-২৫ 
  13. "Hamish Marshall named Gloucestershire captain for T20"। ১১ জুন ২০১২। 
  14. "Hamish Marshall among four to sign new deals"। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩। 
  15. "Hamish Marshall Benefit Home Page"। ১৯ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ১৫, ২০১৫ 

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা