ফফি উইলিয়ামস
আর্নেস্ট আলবার্ট ভিভিয়ান ফফি উইলিয়ামস (ইংরেজি: Foffie Williams; জন্ম: ১০ এপ্রিল, ১৯১৪ - মৃত্যু: ১৩ এপ্রিল, ১৯৯৭) সেন্ট মাইকেলের ব্যাংক হল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বার্বাডীয় বংশোদ্ভূত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৮ সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | আর্নেস্ট আলবার্ট ভিভিয়ান উইলিয়ামস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ব্যাংক হল, সেন্ট মাইকেল, বার্বাডোস | ১০ এপ্রিল ১৯১৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৩ এপ্রিল ১৯৯৭ ব্রিজটাউন, বার্বাডোস | (বয়স ৮৩)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | ফফি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৫০) | ২২ জুলাই ১৯৩৯ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৩ মার্চ ১৯৪৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১০ মে, ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে বার্বাডোস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন ‘ফফি’ ডাকনামে পরিচিত ফফি উইলিয়ামস।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনা১৯৩৪-৩৫ মৌসুম থেকে ১৯৪৮-৪৯ মৌসুম পর্যন্ত ফফি উইলিয়ামসের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। সবগুলো প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশ নিয়ে ২৯.১৯ গড়ে ১১৬ উইকেট ও ২৬.৮৯ গড়ে ১,৪৭৯ রান তুলেন।
১৯৩৫-৩৬ মৌসুমে বার্বাডোসের সদস্যরূপে ত্রিনিদাদের বিপক্ষে সুন্দর ক্রীড়াশৈলী উপহার দেন। সমগ্র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৩১ রান তুলেন। ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৬ সালে ত্রিনিদাদের বিপক্ষে ৪০৯ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় খেলতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে বার্বাডোস দলের সংগ্রহ এক পর্যায়ে ছিল ১০৮/৭। অষ্টম উইকেট জুটিতে ম্যানি মার্টিনডেলের সাথে ২৫৫ রান তুলেন যা ৭৫ বছরের অধিক সময় ধরে ঐ উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট সর্বোচ্চ রানের স্বীকৃতি পাচ্ছে। মার্টিনডেল করেন ১৩৪ রান। অদ্যাবধি, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তাদের সংগ্রহটি রেকর্ড হিসেবে চিত্রিত হয়ে আছে। এছাড়াও, উভয় ইনিংসে বোলিং উদ্বোধনে নেমে তিনটি করে উইকেট লাভ করেন।[১][২] তবে, খেলায় ত্রিনিদাদ দল ৩৬ রানের জয় তুলে নেয়।[৩][৪]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ফফি উইলিয়ামস। ২২ জুলাই, ১৯৩৯ তারিখে ম্যানচেস্টারে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৩ মার্চ, ১৯৪৮ তারিখে জর্জটাউনে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৩৯ সালে দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। তবে, খারাপ আবহাওয়া ও যুদ্ধের ঘনঘটায় এ সফরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ৩২.৯২ গড়ে ১৪ উইকেট পান। ব্যাট হাতে ৩০.৮৩ গড়ে বিখ্যাত ক্রিকেটার জর্জ হ্যাডলি’র পর দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করেন। এ সফরে সব মিলিয়ে ৩৭০ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন। ২৪ মে অক্সফোর্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ১২৬ রানের ইনিংস খেলেন। ওল্ড ট্রাফোর্ডে বৃষ্টিবিঘ্নিত টেস্টে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমে ১ রান তুলেন ও কোন উইকেট লাভে ব্যর্থতার পরিচয় দেন।
ইংল্যান্ডের মুখোমুখি
সম্পাদনা১৯৪৮ সালে ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে দূর্দান্ত খেলেন। অতি ঘূর্ণায়মান ইনিংসের কারণে টেস্ট ক্রিকেটে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। বার্বাডোসে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে মাত্র ৩০ মিনিটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে দ্রুততম টেস্ট অর্ধ-শতরানের রেকর্ড গড়েন। প্রথম ছয় বলের সবকটিতেই বাউন্ডারি হাঁকান। বিখ্যাত ক্রিকেটার জিম লেকারের বলে তুলেন ৬, ৬, ৪, ৪, ৪, ৪। এরপর জ্যাক ইকিনে বলে আরও দুইটি চারের মার মারেন। অর্ধ-ঘন্টায় অর্ধ-শতরানে পৌঁছেন ও ৬৩ মিনিটে ৭২ রান তুলে আউট হন।[১] কিন্তু, সমগ্র টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনে ১৮.৮৩ গড়ে মাত্র ১১৩ রান তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। ঐ টেস্টে ফ্রাঙ্ক ওরেলের খাদ্যগ্রহণের পর সমস্যার সৃষ্টি হওয়ার ফলেই তিনি এ সুযোগ পান। জ্যাক রবার্টসন, জো হার্ডস্টাফ ও জ্যাক ইকিন তার শিকারে পরিণত হয়েছিলেন।
মূলতঃ ফাস্ট বোলার হিসেবে অংশগ্রহণকৃত টেস্টগুলোয় ২৬.৭৭ গড়ে নয় উইকেট দখল করেন। প্রথিতযশা টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে-পিছে চার টেস্টে অংশ নেন।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাক্রিকেট খেলার পাশাপাশি ফুটবল খেলায়ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন। বার্বাডোসের পক্ষে ফুটবল খেলায় অংশ নিয়েছেন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর প্রশাসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। বার্বাডোসে প্রধান ক্রীড়া কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।[১]
নিজস্ব ৮৩তম জন্মদিন উদযাপনের তিন দিন পর তার মৃত্যু হয়। ১৩ এপ্রিল, ১৯৯৭ তারিখে ৮৩ বছর বয়সে বার্বাডোসের ব্রিজটাউন এলাকায় ফফি উইলিয়ামসের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ Wisden 1998, pp. 1442–43.
- ↑ "Barbados v Trinidad 1935-36"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০১৮।
- ↑ "Scorecard: Barbados v Trinidad"। www.cricketarchive.com। ২৯ জানুয়ারি ১৯৩৫। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ Lawrence and Goble, p. 107.
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ফফি উইলিয়ামস (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ফফি উইলিয়ামস (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)