ডিক টিল্ডসলে

ইংরেজ ক্রিকেটার
(Dick Tyldesley থেকে পুনর্নির্দেশিত)

রিচার্ড নোলেস টিল্ডসলে (ইংরেজি: Dick Tyldesley; জন্ম: ১১ মার্চ, ১৮৯৭ - মৃত্যু: ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৩) ল্যাঙ্কাশায়ারের ওয়েসথটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯২৪ থেকে ১৯৩০ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ডিক টিল্ডসলে
আনুমানিক ১৯২০ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে ডিক টিল্ডসলে
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামরিচার্ড নোলেস টিল্ডসলে
জন্ম(১৮৯৭-০৩-১১)১১ মার্চ ১৮৯৭
ওয়েসথটন, ল্যাঙ্কাশায়ার, ইংল্যান্ড
মৃত্যু১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৪৩(1943-09-17) (বয়স ৪৬)
ওভার হাল্টন, বোল্টন, ল্যাঙ্কাশায়ার, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনলেগ ব্রেক
ভূমিকাবোলার
সম্পর্কজনি টিল্ডসলে (ভ্রাতা); আর্নেস্ট টিল্ডসলে (ভ্রাতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২১৮)
২৮ জুন ১৯২৪ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টেস্ট১১ জুলাই ১৯৩০ বনাম অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৩৯৭
রানের সংখ্যা ৪৭ ৬৪১৯
ব্যাটিং গড় ৭.৮৩ ১৫.৬৫
১০০/৫০ -/- ১/১৫
সর্বোচ্চ রান ২৯ ১০৫
বল করেছে ১৬১৫ ৬৬৬৯৬
উইকেট ১৯ ১৫০৯
বোলিং গড় ৩২.৫৭ ১৭.২১
ইনিংসে ৫ উইকেট - ১০১
ম্যাচে ১০ উইকেট - ২২
সেরা বোলিং ৩/৫০ ৮/১৫
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/- ৩৩৪/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৭ জুলাই ২০১৯

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ লেগ ব্রেক বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী উপস্থাপন করতেন ডিক টিল্ডসলে

শৈশবকাল সম্পাদনা

পরিবারের চার ভ্রাতার সর্বকনিষ্ঠ ও একমাত্র জীবিত ছিলেন তিনি ও সকলেই ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। তারা প্রত্যেকেই ওল্ড ট্রাফোর্ডের মাঠকর্মীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে, ওরস্লি পরিবারের দুই ভ্রাতা জনি টিল্ডসলেআর্নেস্ট টিল্ডসলের সাথে তাদের কোন আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিল না।

স্বীয় পিতা জে. ডি. টিল্ডসলে ওয়েসথটন ক্লাবের পেশাদার খেলোয়াড় ছিলেন। পুত্রদেরকে ক্রিকেট খেলায় হাতেখড়ি দেন। তন্মধ্যে, ডিক উচ্চমানের ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন। শৈশবকালেই নিয়মিতভাবে জালবদ্ধ ঘেরা স্থানে অনুশীলন করতেন। স্পিনে দক্ষ হয়ে উঠেন, পেসে বৈচিত্রতা আনেন। ফলশ্রুতিতে, ১৯১৯ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে খেলার জন্যে যাচাই-বাছাইয়ে অংশ নেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর কাউন্টি খেলাগুলো দুই-দিনে নিয়ে আসা হয়েছিল।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট সম্পাদনা

১৯১৯ সাল থেকে ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত ডিক টিল্ডসলের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ডিক টিল্ডসলে ১৯১৯ সালে প্রথমবারের মতো ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে খেলেন। হ্যারি ডিনের দূর্বলমানের ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন ও লরেন্স কুকের সেনাবাহিনীতে অবস্থানের ফলে ধীরগতিসম্পন্ন বোলার হিসেবে দলে নিয়মিতভাবে খেলার সুযোগ পান। তাসত্ত্বেও নিখুঁত নিশানা বরাবর বল ফেলতে সক্ষমতা দেখান। শুরুরদিকে খুব কমই বলে স্পিন আনতে পারতেন। ফলে, পোতানো উইকেটে তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারতেন না। তার বয়সীদের তুলনায় জ্যেষ্ঠ মনে হতো। তবে, ওজনের কারণে ক্লান্তিবিহীন অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ বোলিং করতে পারতেন। মাঝারিমানের উচ্চতার অধিকারী ছিলেন। সহজাত ভঙ্গীমায় বলকে শূন্যে ভাসাতেন। টপ স্পিনের ব্যবহারে প্রায়শঃই আম্পায়ারের কাছ থেকে লেগ বিফোর উইকেটের আবেদনে সাড়া পেতেন।

ল্যাঙ্কাশায়ারের বোলিং আক্রমণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯২১ সালের মধ্যে ল্যাঙ্কাশায়ারের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বোলারে পরিণত হন। ১৯২২ সালে পোতানো উইকেটে অধিক স্পিন আনতে সক্ষম হন। এ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর শত উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন। এছাড়াও, ওল্ড ট্রাফোর্ডে নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে ১০৫ রানের ইনিংস খেলেন। ল্যাঙ্কাশায়ারের চতুর্থ শীর্ষস্থানীয় রান সংগ্রাহকে পরিণত হন। তবে, রান সংগ্রহের দিক থেকে চার্লস হলোসহ্যারি মেকপিসের চেয়ে অর্ধেকেরও কম রান ছিল তার।[২] ১৯২২ সাল থেকে বেশ কয়েকবার প্রতি মৌসুমে কমপক্ষে শত উইকেট পেয়েছেন।

১৯২৩ সালে ১৫ রান গড়ে ১৪০ উইকেট পান। লিডসে ৬/১৮ লাভ করেন। পার্কিনের সহায়তা নিয়ে ইয়র্কশায়ার দলকে ৩৩ রানে গুটিয়ে দেন ও দল ২৪ রানে জয়ী হয়। ১৯২৪ সালের গ্রীষ্মকালে কেবলমাত্র একটি খেলা বৃষ্টিমুক্ত অবস্থায় অনুষ্ঠিত করা সম্ভব হয়। তাসত্ত্বেও, তিনি ধারাবাহিকভাবে দক্ষ ব্যাটসম্যানদেরকে হিমসিম খাওয়াতেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের প্রেক্ষিতে ১৯২৫ সালের উইজডেন সংস্করণে অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।[৩]

ঐ গ্রীষ্মে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯২৪-২৫ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ইংরেজ দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অস্ট্রেলিয়ার লৌহসম উইকেটে তার বল তেমন প্রভাব বিস্তারে সক্ষম হয়নি। সমগ্র সফরে ৪১ গড়ে উইকেট পেয়েছেন যা ইংল্যান্ডের মাটিতে রেকর্ডের চেয়ে স্মরণকালের বৈপরীত্য চিত্র ছিল। তবে, দেশে ফিলে ডিক টিল্ডসলে ঠিকই বোলার হিসেবে হিসেবে অত্যন্ত ভালোমানের বোলিং করেন। ১৯২৭ ও ১৯২৮ সালে কিছুটা পিছিয়ে গেলেও ১৯২৯ সালে বোলিং গড়ে শীর্ষস্থানে অবস্থান করেন। অত্যন্ত শুষ্ক গ্রীষ্মকালে তার বোলিং মোকাবেলা করা বেশ দূরূহ হয়ে পড়ে। অস্ট্রেলীয় পেসার টেড ম্যাকডোনাল্ডকে সাথে নিয়ে বোলিং আক্রমণ পরিচালনা করে।

১৯২৬ থেকে ১৯২৮ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারকে হ্যাট্রিক চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা এনে দেন। এ তিন বছরে টেড ম্যাকডোনাল্ড ৪৮৪ ও ডিক টিল্ডসলে ৩০৩ উইকেট পান। তবে, টিল্ডসলে বোলিং গড়ে এগিয়েছিলেন। কিন্তু, ব্যাটসম্যান হিসেবে ঐ পর্যায়ে তেমন সুবিধে করতে পারেননি। ১৯২৬ সালের পর মাত্র দুইবার পঞ্চাশোর্ধ্ব রান করেছিলেন।

১৯৩০ সালে ১৫ রানেরও কম খরচায় ১২১ উইকেট নিয়ে কাউন্টি দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীতে পরিণত হন ও গত পাঁচ বছরে ল্যাঙ্কাশায়ারকে চতুর্থবারের মতো শিরোপা জয় করতে ভূমিকা রাখেন। দীর্ঘ বাইশ বছর পর ১৯২৬ সালে এ. সি. ম্যাকলারেনের নেতৃত্বে পাঁচ মৌসুমের মধ্যে চারবার শিরোপা জয় করে। তাকে পুনরায় টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে, মাঝারিমানের সফলতা পেয়েছিলেন। ১৯৩০ সালে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের খেলার জন্যে মনোনীত হন তিনি। ওল্ড ট্রাফোর্ডে প্রতিপক্ষীয় সারের বিপক্ষে ঐ খেলায় £২,০২৭ পাউন্ড স্টার্লিং লাভ করেন। তবে, একই সময়ে ট্রেন্ট ব্রিজে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার খেলা চলছিল। ১৯৩১ সাল পর্যন্ত ল্যাঙ্কাশায়ারের শীর্ষস্থানীয় বোলার ছিলেন। ১৯৩১ সালে পুনরায় ল্যাঙ্কাশায়ারের কার্যকরী বোলার হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেন। ১৬ রানেরও কম গড়ে ১১৬ উইকেট পান। কিন্তু, এবার তার দল ষষ্ঠ স্থানে চলে যায়। বেশ কয়েক মৌসুম ব্যাট হাতেও সফলতা পেয়েছেন।

১৯২৬ থেকে ১৯৩০ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে একচ্ছত্র প্রভাববিস্তারকারী ইয়র্কশায়ারের সাফল্যের অগ্রযাত্রায় ব্যাঘাত সৃষ্টিতে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। কিন্তু, ১৯৩১ সালে বছরে £৪০০ পাউন্ড-স্টার্লিংয়ের নির্ধারিত বেতনে ঐকমত্য না হওয়ায় চলে আসেন। দূর্ভাগ্যবশতঃ ক্লাব কর্তৃপক্ষের সাথে শেষ মৌসুমে মতবিরোধের সৃষ্টি হয়েছিল ডিক টিল্ডসলের।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে সাতটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ডিক টিল্ডসলে। ২৮ জুন, ১৯২৪ তারিখে লর্ডসে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১১ জুলাই, ১৯৩০ তারিখে লিডসে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯২৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা দল ইংল্যান্ড গমন করে। পাঁচ টেস্টের ঐ সিরিজে চারটিতে যথেষ্ট সুবিধা পান। ঘরোয়া ক্রিকেটে সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের প্রেক্ষিতে পরবর্তী শীতকালে এ. ই. আর. জিলিগানের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া গমনের জন্যে ডিক টিল্ডসলেকে মনোনীত করা হয়। কিন্তু, সেখানে তিনি খুব কমই সফলতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। মেলবোর্ন টেস্টেই কেবল তাকে খেলার সুযোগ দেয়া হয়। ব্যাট হাতে এক ও শূন্য রানে বিদেয় নেন এবং ৩৭ ওভার বোলিং করে ১৩৬ রান খরচায় কোন উইকেট পাননি।

১৯৩০ সালে অস্ট্রেলিয়া দল ইংল্যান্ড গমন করে। নটিংহামে ইংল্যান্ডের বিজয়ে ভূমিকা রাখেন ও লিডসে ড্র হয়। এ দুই খেলায় ৩৩ গড়ে সাতজন ব্যাটসম্যানকে আউট করেন। এরপর আর তাকে টেস্ট আঙ্গিনায় খেলতে দেখা যায়নি।

খেলার ধরন সম্পাদনা

মারকুটে ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রতিশ্রুতিশীলতার স্বাক্ষর রাখেন ও কাছাকাছি এলাকায় ফিল্ডিংয়ের সক্ষমতা তুলে ধরতে সচেষ্ট হন।[৪] লিডসে সিস পার্কিন ও ডিক টিল্ডসলে দলের সাফল্যে বেশ ভূমিকা রাখেন। ১৯২৪ সালে সফররত দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে ল্যাঙ্কাশায়ারের সদস্যরূপে ওল্ড ট্রাফোর্ডে বেশ ভালো খেলেন। উভয় ইনিংসে সবকটি উইকেট ভাগাভাগি করে নেন। টিল্ডসলে ৭/২৮ ও ৫/৫০ পান। ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষেও এ ধারা অব্যাহত থাকে। দশ উইকেট লাভের জন্যে টিল্ডসলেকে ১০৩ রান খরচ করতে হয়েছিল। ঐ মৌসুমে তিনি পাঁচজন ল্যাঙ্কাশায়ার ব্যাটসম্যানকে আউট করেন। তিনজন বোল্ড ও দুইজন লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হন। ঐ ইনিংসে পাঁচটি মেইডেন ওভারে এ সাফল্য পান। এইগবার্থে নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে আরও একটি সেরা খেলা উপহার দেন। ছয় রানে সাত উইকেট পান তিনি। ১৯২৬ সালে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে কেটারিংয়ের খেলায় ৮/১৫ পান। এ পর্যায়ে ইনিংসের শেষ দুই বলে দুই উইকেট পান ও দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম দুই বলে আরও দুইজন তার শিকারে পরিণত হয়।

সমগ্র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে ১৭.১৫ গড়ে ১,৫১৩ উইকেট ও ১৫.০৪ গড়ে ৬,৪২৪ রান তুলেন তিনি। তন্মধ্যে, ল্যাঙ্কাশায়ারের সদস্য থাকাকালীন ১,৪৪৭ উইকেট পেয়েছেন। কেবলমাত্র জনি ব্রিগসআর্থার মোল্ড তার তুলনায় এগিয়ে রয়েছেন। শর্ট লেগ অঞ্চলে অবস্থান করে ৩২৮ ক্যাচ তালুবন্দী করেছেন।

অবসর সম্পাদনা

কাউন্টি ক্রিকেট থেকে চলে আসার পর ন্যান্টউইচ দলকে নর্থ স্টাফোর্ডশায়ার ও ডিস্ট্রিক্ট লীগ চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জয়ে দুইবার ভূমিকা রাখেন। এছাড়াও, ১৯৩৪ সালে অ্যাক্রিংটনের সদস্য থাকাকালেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

কয়েক বছর ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে খেলেন। ১৯৩২ সালে হ্যাসলিংডেন, ১৯৩৩ সালে ইস্ট ল্যাঙ্কাশায়ার, ১৯৩৪ থেকে ১৯৩৫ সালে অ্যাক্রিংটন ও ১৯৩৬ সালে লোয়ারহাউজের পক্ষে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। এরপর ওয়েসথটনের উইনগেটসভিত্তিক ডগ এন্ড ফিজান্ট পানশালার স্বত্ত্বাধিকারী হন।[৫] ১৯৩৫ সালে ব্ল্যাকপুলে স্যার এল পার্কিন্সন্স একাদশ বনাম লিচেস্টারশায়ারের মধ্যকার আরও একটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন। প্রায়শঃই অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চলাচল করতেন।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন তিনি। ১৯২২ সালে সুজানা লাভেটের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৩ তারিখে মাত্র ৪৬ বছর বয়সে ল্যাঙ্কাশায়ারের বোল্টন এলাকার ওভার হাল্টনের স্ব-গৃহে ডিক টিল্ডসলের দেহাবসান ঘটে। বিভিন্ন সময়ে ডিক টিল্ডসলে ল্যাঙ্কাশায়ারীয় বোলিং সম্মাননায় সেসিল পার্কিন ও ই. এ. ম্যাকডোনাল্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন। তবে, প্রত্যেকেই এখন মৃত। ১৯৩৭ সালে ম্যাকডোনাল্ড ও রিচার্ড টিল্ডসলের তিন মাস পূর্বে পার্কিন প্রয়াত হন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. [১] ESPNcricinfo, ESPN, সংগ্রহের তারিখ: ৭ জুলাই ২০১৯
  2. Pardon; John Wisden Cricketers' Almanac; Sixtieth Edition (1923); pp. 126-127
  3. "Wisden's Five Cricketers of the Year"ESPNcricinfoESPN। ২৩ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০১৫ 
  4. Pardon, Sydney H. (editor); John Wisden Cricketers' Almanac, Fifty-Seventh Edition (1920); p. 112
  5. "Looking round in the Lostock 6"The Trotter (Burnden Roadrunners newsletter) (6): 4। মে ২০০৮। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা