বিগ ব্যাশ লিগ
কেএফসি টি২০ বিগ ব্যাশ লিগ (এছাড়াও সংক্ষেপে বিবিএল নামে পরিচিত) অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া টুয়েন্টি২০ ক্রিকেট প্রতিযোগিতাবিশেষ। ২০১১ সালে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ঘটে। এ প্রতিযোগিতাটি পূর্বতন কেএফসি টুয়েন্টি২০ বিগ ব্যাশের স্থলাভিষিক্ত হয়। প্রতিযোগিতার শীর্ষ দুই দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করে।
বিগ ব্যাশ লিগ | |
---|---|
দেশ | অস্ট্রেলিয়া |
ব্যবস্থাপক | ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া |
খেলার ধরন | টুয়েন্টি২০ |
প্রথম টুর্নামেন্ট | ২০১১-১২ |
শেষ টুর্নামেন্ট | ২০২৩-২৪ |
প্রতিযোগিতার ধরন | ডাবল রাউন্ড-রবিন ও নক-আউট ফাইনাল |
দলের সংখ্যা | ৮ |
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন | ব্রিসবেন হিট (২য় শিরোপা) |
সর্বাধিক সফল | পার্থ স্কর্চার্স (৫টি শিরোপা) |
সর্বাধিক রান | ক্রিস লিন (৩৭২৫) |
সর্বাধিক উইকেট | শন অ্যাবট (১৬৫) |
টিভি | ফক্স ক্রিকেট সেভেন নেটওয়ার্ক |
ওয়েবসাইট | www |
ইতিহাস
সম্পাদনাট্রফি
সম্পাদনাবিগ ব্যাশ লিগ ট্রফির নকশা নির্ধারণে ২০১১ সালে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। শুধুমাত্র অস্ট্রেলীয় নকশাকারদের জন্য এ প্রতিযোগিতা উন্মুক্ত ছিল। অবশেষে ১৩ ডিসেম্বর, ২০১১ তারিখে ট্রফির নকশা উন্মোচন হয়।[১][২]
সম্প্রসারণ
সম্পাদনাআন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে আরও অঞ্চলকে সম্পৃক্ত করতে এ প্রতিযোগিতার সম্প্রসারণের বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে। ২০১২ সালে এ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। প্রস্তাবিত দলগুলোতে নিউক্যাসল, ক্যানবেরা, জিলং ও গোল্ড কোস্টসহ নিউজিল্যান্ডভিত্তিক একটি দলকেও প্রতিযোগিতায় অন্তর্ভুক্তির কথা উল্লেখ করা হয়।[৩][৪] ক্রিকেট বিশ্লেষক মার্ক ওয়াহ ফক্স স্পোর্টসে মন্তব্য করেন যে, প্রতিযোগিতা সম্প্রসারণের চিন্তা-ভাবনার ফলে এটি গড়পড়তা লিগে পরিণত করবে। কিন্তু এ পরিকল্পনা বাতিল হয় মূলতঃ প্রস্তাবিত শহরগুলোয় যথোপযুক্ত ক্রিকেট সুযোগ-সুবিধার অভাবে।[৫][৬]
মহিলা বিগ ব্যাশ লিগ
সম্পাদনাপুরুষদের বিগ ব্যাশ লিগের পাশাপাশি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া মহিলাদের জন্যও মহিলাদের বিগ ব্যাশ লিগ চালু করে।
প্রতিযোগিতার বিন্যাস
সম্পাদনা২০১১ সালে বিবিএল প্রতিষ্ঠার পর থেকে টুর্নামেন্টটি প্রতিবছর উদ্বোধনী মৌসুম বাদে একই বিন্যাস অনুসরণ করছে।[৭]
ফলাফল
সম্পাদনামরসুম | ফাইনাল | ফাইনাল আয়োজক | ফাইনালের মাঠ | ||
---|---|---|---|---|---|
বিজয়ী | ফলাফল | রানার্স-আপ | |||
২০১১–১২ | সিডনি সিক্সার্স ১৫৮/৩ (১৮.৫ ওভার) |
সিক্সার্স ৭ উইকেটে জয়ী স্কোরকার্ড |
পার্থ স্কর্চার্স ১৫৬/৫ (২০ ওভার) |
পার্থ স্কর্চার্স | ওয়াকা গ্রাউন্ড |
2012–13 | Brisbane Heat 5/167 (20 overs) |
Heat won by 34 runs Scorecard |
Perth Scorchers 9/133 (20 overs) |
Perth Scorchers | WACA Ground |
2013–14 | Perth Scorchers 4/191 (20 overs) |
Scorchers won by 39 runs Scorecard |
Hobart Hurricanes 7/152 (20 overs) |
Perth Scorchers | WACA Ground |
2014–15 | Perth Scorchers 6/148 (20 overs) |
Scorchers won by 4 wickets Scorecard |
Sydney Sixers 5/147 (20 overs) |
Canberra/Perth Scorchers | Manuka Oval |
2015–16 | Sydney Thunder 7/181 (19.3 overs) |
Thunder won by 3 wickets Scorecard |
Melbourne Stars 9/176 (20 overs) |
Melbourne Stars | MCG |
2016–17 | Perth Scorchers 1/144 (15.5 overs) |
Scorchers won by 9 wickets Scorecard |
Sydney Sixers 9/141 (20 overs) |
Perth Scorchers | WACA Ground |
2017–18 | Adelaide Strikers 2/202 (20 overs) |
Strikers won by 25 runs Scorecard |
Hobart Hurricanes 5/177 (20 overs) |
Adelaide Strikers | Adelaide Oval |
2018–19 | Melbourne Renegades 5/145 (20 overs) |
Renegades won by 13 runs Scorecard |
Melbourne Stars 7/132 (20 overs) |
Melbourne Renegades | Docklands Stadium |
2019–20 | Sydney Sixers 5/116 (12 overs) |
Sixers won by 19 runs Scorecard |
Melbourne Stars 6/97 (12 overs) |
Sydney Sixers | SCG |
2020–21 | Sydney Sixers 6/188 (20 overs) |
Sixers won by 27 runs Scorecard |
Perth Scorchers 9/161 (20 overs) |
Sydney Sixers | SCG |
2021–22 | Perth Scorchers 6/171 (20 overs) |
Scorchers won by 79 runs Scorecard |
Sydney Sixers 10/92 (16.2 overs) |
Perth Scorchers | Docklands Stadium |
বর্তমান দলসমূহ
সম্পাদনা৮টি শহরভিত্তিক ফ্রাঞ্চাইজ দল এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। তন্মধ্যে শেফিল্ড শীল্ডে অংশগ্রহণকারী ছয়টি রাজ্য দলও এতে রয়েছে। প্রতিটি রাজ্যের প্রধান শহর থেকে একটি করে ও সিডনি এবং মেলবোর্ন থেকে দুইটি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। দলের নাম ও পোষাকের রঙ ৬ এপ্রিল, ২০১১ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হয়।[৮]
মানচিত্রে
সম্পাদনাদলের তালিকা
সম্পাদনাদল | শহর | রাজ্য | নিজস্ব মাঠ | কোচ | অধিনায়ক | বিদেশী খেলোয়াড় | |
---|---|---|---|---|---|---|---|
অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স | অ্যাডিলেড | দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া | অ্যাডিলেড ওভাল | জেসন গিলেস্পি | ট্রাভিস হেড পিটার সিডল (বদলি খেলোয়ার) |
রশীদ খান জর্জ গারটন ইয়ান ককবেইন | |
ব্রিসবেন হিট | ব্রিসবেন | কুইন্সল্যান্ড | গাব্বা | ওয়েড সেককোম্বে | জিমি পিয়ারসন | ||
হোবার্ট হারিকেন্স | হোবার্ট | তাসমানিয়া | ব্লান্ডস্টোন অ্যারিনা | অ্যাডাম গ্রিফিথ | ম্যাথু ওয়েড | টাইমল মিলস | |
মেলবোর্ন রেনেগেডস | মেলবোর্ন | ভিক্টোরিয়া | ডকল্যান্ড স্টেডিয়াম | ডেভিড সেকার | নিক ম্যাডিনসন | উন্মুক্ত চাঁদ জাহির খান মোহাম্মাদ নবী রিস টপলি | |
মেলবোর্ন স্টার্স | মেলবোর্ন | ভিক্টোরিয়া | মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড | ডেভিড হাসি | গ্লেন ম্যাক্সওয়েল | ডোয়েন ব্র্যাভো সন্দীপ লেমিচেনি | |
পার্থ স্কর্চার্স | পার্থ | পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া | পার্থ স্টেডিয়াম | এ্যাডাম ভোজেস | অ্যাশটন টার্নার | ডেভিড উইলি | |
সিডনি সিক্সার্স | সিডনি | নিউ সাউথ ওয়েলস | সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড | গ্রেগ শিপ্পেরড | মইসেস হেনরিকুইস | জো ডেনলি টম কুররেন | |
সিডনি থান্ডার | সিডনি | নিউ সাউথ ওয়েলস | সিডনি শোগ্রাউন্ড স্টেডিয়াম | ট্রেভর বেলিস | ক্রিস গ্রিন জেসন সাংঘা (বদলি খেলয়ার) |
জো রুট জস বাটলার |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "KFC T20 Big Bash League – Top three trophies as chosen by you"। Bigbash.com.au। ৮ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ "KFC T20 Big Bash League – The trophy has been revealed"। Bigbash.com.au।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Cricket Australia considering Big Bash expansion. Retrieved 17 January 2012
- ↑ Cricket Australia looks at expanding KFC T20 Big Bash League on back of incredible ratings and crowd figures. Retrieved 17 January 2012
- ↑ "Articles from January 27, 2012"। Sports News First। ২৭ জানুয়ারি ২০১২। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ Kerry, Craig (১২ জানুয়ারি ২০১২)। "Newcastle lacking for big bash"। Newcastle Herald। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;BBL format
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ New look and feel for freshly formed Big Bash teams, ESPNcricinfo. Retrieved 22 April 2011.