২০২০-এর বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কেলেঙ্কারি
২০২০ সালের বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কেলেঙ্কারি হচ্ছে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ, কমিশনারদের নৈতিক অবক্ষয় এবং বাংলাদেশের বিতর্কিত ২০১৮ সালের বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন এবং ২০১৯ সালের উপজেলা নির্বাচনের আগে এবং পরে গুরুতর অসদাচরণের প্রামাণ্য চিত্র। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে কাল্পনিক কর্মসূচির জন্য প্রায় ২ কোটি বাংলাদেশী টাকার অপব্যবহার,[১] নির্বাচন কমিশনের কর্মীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন ৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ,[২] বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ক্রয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, খুলনা সিটি কর্পোরেশন এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অনিয়মের বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ তদন্ত না করে তিন নির্বাচন কমিশনারের অতিরিক্ত গাড়ি ব্যবহার,[৩] নিয়ম লঙ্ঘন এবং ধারাবাহিকভাবে অসংখ্য নির্বাচনী জালিয়াতির সুবিধা দেওয়া।
২০২০-এর ১৯ ডিসেম্বর, প্রবীণ অধ্যাপক, অর্থনীতিবিদ এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষক সহ দেশের ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক রাষ্ট্রপতির কাছে কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে "আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি এবং নির্বাচন সংক্রান্ত অসদাচরণ" বিষয়ে অভিযোগ তদন্তের জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল (এসজেসি) গঠনের আহ্বান জানিয়ে একটি চিঠি পাঠান।[৪]
বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রশাসনিক ব্যবস্থা
সম্পাদনাসংসদীয় এবং অন্যান্য স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচন তত্ত্বাবধানের জন্য সংবিধানের VII এর ১১৮ অনুচ্ছেদ দ্বারা বাংলাদেশে একটি নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। কমিশন গঠন করা হবে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং তাকে সহায়তা করার জন্য চারজনের বেশি নির্বাচন কমিশনার থাকবে না। কমিশনার এবং কমিশনের কার্যকারিতা দি রিপ্রেজেন্টেশন অফ দ্য পিপল অর্ডার, ১৯৭২ দ্বারা আরও স্পষ্ট করা হয়। সংবিধান অনুযায়ী কমিশন হবে একটি স্বাধীন সংস্থা এবং কমিশনাররা পাঁচ বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি নিয়োগ করবেন। প্রমাণিত অসদাচরণ বা অক্ষমতার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি দ্বারাও তাদের অপসারণ করা যেতে পারে।[৫]
বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে বিশ্বস্ততার সঙ্গে দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০১৭ সাল থেকে কমিশনের নেতৃত্বে আরও চার কমিশনারের সাথে কে এম নুরুল হুদা প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসাবে রয়েছেন। কমিশন ২০১৮ সালের বিতর্কিত বাংলাদেশী সাধারণ নির্বাচনের তদারকি করে যা নির্বাচনের দিনে নজিরবিহীন সহিংসতায় কয়েক ডজন ব্যক্তির মৃত্যু ঘটায়। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ নির্বাচনের সময় ৯৪% নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক অনিয়ম খুঁজে পায়[৬] এবং মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মতে "নির্বাচন-দিবসের অনিয়ম বহু লোককে ভোট দেয়া থেকে বিরত রাখে, যা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা হারানোর শামিল।"[৭]
দুর্নীতির অভিযোগ
সম্পাদনাসিইসি কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের দ্বারা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে না পারায় প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও সুশীল সমাজ কর্তৃক সমালোচিত হয়।[৮] বিরোধীরা একাধিক অভিযোগ করলেও কোনোটিরই তদন্ত করা হয়নি।
২০১৮ সালের বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের নেতৃত্বে, নির্বাচন কমিশন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ক্রয় সহ একাধিক কার্যক্রমের পরিকল্পনা করে যা অনেক পর্যবেক্ষকের ভ্রু কুচকে তুলেছিল এবং দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করে।
উচ্চমূল্যে ইভিএম ক্রয়
সম্পাদনাবাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন প্রতি পিস ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ২,৩৪,৩৭৩ টাকা দরে কিনে যেখানে একই ধরনের মেশিন ভারতীয় নির্বাচনের জন্য ২১,২৫০ টাকা মূল্যে ক্রয় করে, যা বাংলাদেশের পরিশোধ করা অর্থের তুলনায় প্রায় ১১ গুণ কম।[৯] ২০১১ সালে বাংলাদেশের নির্বাচনী সংস্থা বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেড থেকে প্রতিটি ৪৬,৫০১ টাকা মূল্যে ৭০০টি ইভিএম কিনেছিল, যা ২০১৮ সালে কেনা ইভিএমের দামের চেয়ে প্রায় চার গুণ কম ছিল।[১০]
ভারতে ব্যবহৃত ইভিএম-সমূহে ভোটার-ভেরিফাইড পেপার অডিট ট্রেল (VVPAT) বিদ্যমান ছিল যা জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন কারিগরি কমিটির সুপারিশ উপেক্ষা করে বাংলাদেশের কেনা ইভিএমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
চার নির্বাচন কমিশনারের একজন, মাহবুব তালুকদার ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে উচ্চ মূল্যের ইভিএম কেনা ও ব্যবহার করার জন্য আরপিও পরিবর্তন করার পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনারদের সভা থেকে বেরিয়ে যান।[১১]
কল্পিত বক্তৃতার জন্য সম্মানী
সম্পাদনাপ্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, তার চার ডেপুটি, নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, একজন অতিরিক্ত সচিব এবং কমিশনের দুই যুগ্ম সচিব জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে ১১তম প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ‘বিশেষ বক্তা’ হিসেবে ‘বিশেষ বক্তৃতা’ বাবদ দুই কোটি টাকা ফি নেন। এর পাশাপাশি হেলালুদ্দীন আহমদ একাই ‘কোর্স কনসালটেন্ট’-এর ভূমিকার জন্য ৪.৭ মিলিয়ন টাকা দাবি করেন, যা অস্বাভাবিক পরিমাণে বেশি ছিল।[১২]
বিশেষ বক্তার তালিকায় ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা, চার নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও কবিতা খানম, সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান ও দুই যুগ্ম সচিব আবুল কাসেম ও কামরুল হাসান।
বাংলাদেশের দৈনিক প্রথম আলো কর্তৃক সংগৃহীত কমিশনের সচিবালয়ের রেকর্ড অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ৭ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র ১৮ দিনের ব্যবধানে দেশের ৫২০টি স্থানে ৯ জন বিশেষ বক্তা বক্তৃতা দেন। রেকর্ড ও নথি অনুযায়ী প্রত্যেক 'বিশেষ বক্তা'কে এক দিনে সশরীরে ১৪টি জায়গায় কথা বলতে হয়েছিল যা তাদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব।[১৩]
সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেন,
নির্বাচন কমিশনের ইতিহাসে এত ব্যয়বহুল প্রশিক্ষণ আর কখনো হয়নি। আমাদের সময়ে সিইসি, অন্যান্য কমিশনার এবং আমি নিজে সারাদেশে ট্রেনিং প্রোগ্রামে বক্তৃতা দিয়েছি, কিন্তু আমরা এর জন্য কোনো ভাতা নিইনি। সচিবও বক্তৃতা দেন, কিন্তু কোনো অর্থ নেননি। এটাই ছিল আদর্শ। এবার যা হয়েছে তা হলো প্রকট অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম। জড়িতদের তাদের কর্মের দায় নিতে হবে।[১২]
আর্থিক স্বচ্ছতা ছাড়াই নিয়োগ
সম্পাদনা২০১৯ সালের নভেম্বরে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে ৩৩৯টি শূন্য পদের বিপরীতে নির্বাচন কমিশনের জন্য কর্মী নিয়োগের সময় ৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা অপব্যবহার করার অভিযোগ করেন। কমিশনার মাহবুবের মতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষদকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়েছিল যা সিইসি কে এম নুরুল হুদা কর্তৃক অনুমোদিত হয় কিন্তু কতজন পরীক্ষার্থীকে কত টাকা দেওয়া হয় তার কোনো রেকর্ড নেই।[১৪] তিনি আরও দাবি করেন, পরীক্ষা নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে অন্ধকারে রাখা হয়েছে, নিয়োগ কমিটি অর্থ প্রদানের বিস্তারিত জানে না, এমনকি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন গুরুতর প্রশ্নের মুখে পড়েছে।[১৫]
রাষ্ট্রপতির কাছে বিশিষ্ট নাগরিকদের চিঠি
সম্পাদনাবিয়াল্লিশ জন বিশিষ্ট নাগরিক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের জন্য ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের জন্য অনুরোধ করেন এবং একটি ভার্চুয়াল কনফারেন্সে বিস্তারিত সহ একটি চিঠি পাঠানোর ঘোষণা দেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয় যে:
আপনি [রাষ্ট্রপতি] অবগত আছেন যে বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৬ (৩) ধারায় বিচারকদের অপসারণের জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের বিধান রয়েছে। সংবিধানের ৯৬ (৫) অনুচ্ছেদ অনুসারে, "যেখানে, কাউন্সিল বা অন্য কোন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির কাছে অনুমান করার কারণ থাকে যে একজন বিচারক গুরুতর অসদাচরণে দোষী হতে পারেন, তাহলে রাষ্ট্রপতি কাউন্সিলকে নির্দেশ দিতে পারেন বিষয়টি তদন্ত করে দেখার এবং তার ফলাফলের প্রতিবেদন করতে।
আপনি [রাষ্ট্রপতি] আরও অবগত আছেন যে আমাদের সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে নির্বাচন কমিশন গঠনের বিধান রয়েছে। অনুচ্ছেদ ১১৮ (৫) অনুসারে, "সংসদ কর্তৃক প্রণীত যেকোন আইনের বিধান সাপেক্ষে, নির্বাচন কমিশনারদের চাকরির শর্তাবলী এমন হবে যে, রাষ্ট্রপতি আদেশের মাধ্যমে নির্ধারণ করতে পারেন: তবে শর্ত থাকে যে, সুপ্রীম কোর্টের বিচারক হিসাবে অনুরূপ পদ্ধতিতে এবং অনুরূপ ভিত্তিতে তার কার্যালয় ব্যতীত নির্বাচন কমিশনারকে অপসারণ করা হবে না।
স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ছিলেন- ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান, আকবর আলি খান, সুলতানা কামাল ও রাশেদা কে. চৌধুরী, মানবাধিকারকর্মী হামিদা হোসেন, খুশি কবীর ও নুর খান লিটন, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মুইনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পারভীন হাসান, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক সিআর আবরার, আহমেদ কামাল ও আকমল হোসেন, স্থানীয় সরকার কর্মকর্তা বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না, শাহদীন মালিক, সারা হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ, অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর, বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. নায়লা জামান খান, শৈল্পিক সাধনা পরিচালক অধ্যাপক লুবনা মারিয়াম, সাবেক সচিব আবদুল লতিফ মণ্ডল, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, গীতিয়ারা নাসরীন, রোবায়েত ফেরদৌস ও শাহনাজ হুদা।[১৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Commissioner Mahbub Talukdar alleges 'whimsical behaviour' at EC"। The Daily Star। ৬ আগস্ট ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ "TIB demands CEC, other commissioners resignation"। bdnews24.com। ২৫ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ "42 citizens call for Supreme Judicial Council to probe graft allegations against EC"। Dhaka Tribune। ১৯ ডিসেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ "Corruption allegation against EC: 42 eminent citizens urge President to constitute Supreme Judicial Council"। The Daily Star। ১৯ ডিসেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ "Bangladesh: Sixteenth Amendment to Constitution Empowers Parliament to Impeach Justices"। The Library of Congress। ১ জানুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ Quadir, Serajul (১৫ জানুয়ারি ২০১৯)। "Transparency International finds 'irregularities' in Bangladesh vote"। Reuters। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ "Bangladesh Election"। ১ জানুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ "Voting in city corporation polls ends amid boycott, allegations of rigging"। New Age। ৩০ জুলাই ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ "EC procures EVMs at 11 times higher than India's price"। Prothom Alo English। ১৫ অক্টোবর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ "EC to buy 2,535 new EVMs at four times the cost of previous models"। Dhaka Tribune। ১৩ মে ২০১৮। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "EC's Mahbub Talukdar walks out protesting EVM move"। The Financial Express। ৩০ আগস্ট ২০১৮। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ Al Rashid, Harun (৬ আগস্ট ২০১৮)। "CEC, commissioners, secretary pocket Tk 20m to speak"। Prothom Alo English। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "TIB demands CEC, other commissioners resignation"। The Daily Star। ৬ আগস্ট ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ "Commissioner Talukdar alleges 'whimsical behaviour' at EC"। bdnews24.com। ২৬ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ "Commissioner Talukdar alleges 'whimsical behaviour' at EC"। The Financial Express। ২৬ নভেম্বর ২০১৯। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ "Supreme Judicial Council inquiry against CEC, ECs sought"। New Age। ১৯ ডিসেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০২০।