এম. সাখাওয়াত হোসেন

সাবেক নির্বাচন কমিশনার (২০০৭-২০১২) ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা

এম সাখাওয়াত হোসেন একজন বাংলাদেশী সামরিক ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিজীবী, লেখক ও বাংলাদেশের সাবেক নির্বাচন কমিশনার, বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একজন উপদেষ্টা। তিনি ২০০৭ - ২০১২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কমিশনার ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসর প্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল। তিনি বিভিন্ন দেশী ও বিদেশী পত্রিকায় কলাম লেখেন। তাছাড়া তিনি ২০টির অধিক বই লিখেছেন।[]

এম সাখাওয়াত হোসেন
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২৭ আগস্ট ২০২৪
পূর্বসূরীখালিদ মাহ্‌মুদ চৌধুরী (প্রতিমন্ত্রী)
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
১৬ আগস্ট ২০২৪
পূর্বসূরীজাহাঙ্গীর কবির নানক (মন্ত্রী)
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা
কাজের মেয়াদ
৯ আগস্ট ২০২৪ – ১৬ আগস্ট ২০২৪
পূর্বসূরীআসাদুজ্জামান খাঁন (মন্ত্রী)
উত্তরসূরীজাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
৮ আগস্ট ২০২৪
রাষ্ট্রপতিমোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন
বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনার
কাজের মেয়াদ
৫ জানুয়ারি ২০০৭ – ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২
রাষ্ট্রপতি
প্রধান নির্বাচন কমিশনারএ.টি.এম. শামসুল হুদা
উত্তরসূরীমোঃ জাবেদ আলী
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1948-02-01) ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮ (বয়স ৭৬)
বরিশাল, পূর্ববঙ্গ, পাকিস্তান অধিরাজ্য (বর্তমানে বরিশাল, বাংলাদেশ)
জাতীয়তাবাংলাদেশী
দাম্পত্য সঙ্গীলে: কর্ণেল (অব) ডা: রেহানা খানম
সন্তানএম কায়সার হোসেন ও এম সাফাক হোসেন
শিক্ষাস্নাতক, কৌশলগত শিক্ষায় স্নাতকোত্তর
প্রাক্তন শিক্ষার্থীইউনাইটেড স্টেটস আর্মি কমান্ড অ্যান্ড জেনারেল স্টাফ কলেজ, কায়েদ-ই-আজম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস
পেশাবাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, প্রাক্তন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনার
যে জন্য পরিচিতবাংলাদেশের সাবেক নির্বাচন কশিনার, লেখক, কলামলিস্ট, বক্তা, টকশো, জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক

প্রাথমিক জীবন

সম্পাদনা

সাখাওয়াত হোসেন ১৯৪৮ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পূর্ববঙ্গের বরিশাল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তেজগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করেন। তিনি করাচি থেকে ১৯৬৩ সালে এসএসসি ও ১৯৬৫ সালে করাচির ইসলামিয়া বিজ্ঞান কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যায়ন কালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন, ১৯৬৬ সালে কমিশন লাভ করেন এবং ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের শিয়ালকোটে ছিলেন।[] ১৯৯৪ সালে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে অবসর গ্রহন করেন।

কর্মজীবন

সম্পাদনা

সাখাওয়াত হোসেন ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে ১৯৭৩ সালে তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে মেজর পদে কুমিল্লা সেনানিবাসে যোগ দেন।[] ১৯৯৪ সালে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে অবসর নেন। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) থেকে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন দুই বছর।

চাকরি ও নির্বাচন কমিশন থেকে অবসরের পর তিনি জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিষয়ে গবেষণার কাজ করছেন। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রিকার কলামলিস্ট এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

তিনি ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এর উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ৯ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পান।[] ২০২৪ সালের ১৬ আগস্ট পর্যন্ত তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৬ আগস্ট বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পান।[] ২০২৪ সালের ২৭ আগস্ট তিনি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পান।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম. সাখাওয়াত হোসেন (অব:) এর বই সমূহ"www.rokomari.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-১২ 
  2. "একজন সাখাওয়াত হোসেন"মানবজমিন। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-১২ 
  3. "অন্তর্বর্তী সরকারের দফতর বণ্টন, কে পেলেন কোন মন্ত্রণালয়?"সময় টিভি। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-০৯ 
  4. "৮ উপদেষ্টার দায়িত্ব পুনর্বণ্টন"। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০২৪ 
  5. "প্রধান উপদেষ্টার ভার কমল, ৪ উপদেষ্টার দায়িত্ব বাড়ল"। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০২৪