২০১৪–১৫ বুন্দেসলিগা
২০১৪–১৫ বুন্দেসলিগা জার্মানির পেশাদার ফুটবল লীগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ৫২তম মৌসুম ছিল। এই মৌসুমটি ২০১৪ সালের ২২শে আগস্ট তারিখে শুরু হয়ে ২০১৫ সালের ২৩শে মে তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল।[২] বায়ার্ন মিউনিখের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় থমাস মুলার এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।[৩]
| মৌসুম | ২০১৪–১৫ |
|---|---|
| তারিখ | ২২ আগস্ট ২০১৪ – ২৩ মে ২০১৫ |
| চ্যাম্পিয়ন | বায়ার্ন মিউনিখ ২৪তম বুন্দেসলিগা শিরোপা ২৫তম জার্মান শিরোপা |
| অবনমন | ফ্রাইবুর্গ পাডারবর্ন |
| চ্যাম্পিয়নস লীগ | বায়ার্ন মিউনিখ ভলফসবুর্গ বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ বায়ার লেভারকুজেন |
| ইউরোপা লীগ | আউগসবুর্গ শালকে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড |
| মোট খেলা | ৩০৬ |
| মোট গোলসংখ্যা | ৮৪৩ (ম্যাচ প্রতি ২.৭৫টি) |
| শীর্ষ গোলদাতা |  আলেক্সান্ডার মাইয়ার(১৯টি গোল) |
| সবচেয়ে বড় হোম জয় | বায়ার্ন মিউনিখ ৮–০ হামবুর্গার |
| সবচেয়ে বড় অ্যাওয়ে জয় | পাডারবর্ন ০–৬ বায়ার্ন মিউনিখ |
| সর্বোচ্চ স্কোরিং | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট ৪–৫ স্টুটগার্ট বায়ার লেভারকুজেন ৪–৫ ভলফসবুর্গ |
| দীর্ঘতম টানা জয় | ৮ ম্যাচ[১] বায়ার্ন মিউনিখ |
| দীর্ঘতম টানা অপরাজিত | ১৭ ম্যাচ[১] বায়ার্ন মিউনিখ |
| দীর্ঘতম টানা জয়বিহীন | ১৬ ম্যাচ[১] হানোফার |
| দীর্ঘতম টানা পরাজয় | ৫ ম্যাচ[১] বরুসিয়া ডর্টমুন্ড হামবুর্গার |
| সর্বোচ্চ উপস্থিতি | ৮০,৬৬৭[১] বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ০–২ বায়ার লেভারকুজেন |
| সর্বনিম্ন উপস্থিতি | ১৪,৪০১[১] পাডারবর্ন ০–০ ১৮৯৯ হফেনহাইম |
| গড় উপস্থিতি | ৪৩,৫২৭[১] |
← ২০১৩–১৪ ২০১৫–১৬ → | |
বায়ার্ন মিউনিখ বুন্দেসলিগার পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ২০১৩–১৪ মৌসুমে ৯০ পয়েন্ট অর্জন করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ২৩তম বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।
এই মৌসুমে ৭৯ পয়েন্ট অর্জন করে বায়ার্ন মিউনিখ ২৪তম বারের মতো বুন্দেসলিগা এবং ২৫তম বারের মতো জার্মান শিরোপা জয়লাভ করেছিল।[৪][৫] আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় আলেক্সান্ডার মাইয়ার ১৯ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।
প্রতিযোগিতার ধরন সম্পাদনা
প্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুইটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল; একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো প্রতিটি জয়ের জন্য তিন পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক ক্লাব সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে গোল পার্থক্যের মাধ্যমে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী দুইটি ক্লাব ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত হয়েছিল। পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি ২. বুন্দেসলিগায় তৃতীয় স্থান অধিকারী ক্লাবের বিরুদ্ধে দুই লেগের অবনমন/উন্নয়ন প্লে-অফে অংশগ্রহণ করেছিল, যেখানে বিজয়ী ক্লাব পরবর্তী মৌসুমে বুন্দেসলিগায় অংশগ্রহণের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল।
দল সম্পাদনা
২০১৩–১৪ মৌসুম শেষে নুর্নবার্গ এবং আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ মৌসুমে সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দুই ক্লাব হিসেবে বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, তাদের বদলে কলন এবং পাডারবর্ন বুন্দেসলিগায় উন্নীত হয়েছিল। পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাব হিসেবে হামবুর্গার ২. বুন্দেসলিগায় তৃতীয় স্থান অধিকারী ক্লাব গ্রয়টার ফুর্টের বিরুদ্ধে দুই লেগের অবনমন/উন্নয়ন প্লে-অফে অংশগ্রহণ করেছিল, উক্ত প্লে-অফে জয়লাভ করে গ্রয়টার ফুর্ট বুন্দেসলিগার এই মৌসুমে অংশগ্রহণের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল। পূর্ববর্তী মৌসুমের মতো এই মৌসুমেও ১৮টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।
| ক্লাব | অবস্থান | স্টেডিয়াম | ধারণক্ষমতা[৬] |
|---|---|---|---|
| আউগসবুর্গ | আউগসবুর্গ | আউগসবুর্গ এরিনা | ৩০,৬৬০ |
| বায়ার লেভারকুজেন | লেভারকুজেন | বেএরিনা | ৩০,২১০ |
| বায়ার্ন মিউনিখ | মিউনিখ | অ্যালিয়াঞ্জ এরিনা | ৭৫,০০০ |
| বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ডর্টমুন্ড | সিগনাল ইডুনা পার্ক | ৮০,৬৪৫ |
| বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | মনশেনগ্লাডবাখ | বরুসিয়া পার্ক | ৫৪,০১০ |
| আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ফ্রাঙ্কফুর্ট | কোমারৎসব্যাংক আরেনা | ৫১,৫০০ |
| ফ্রাইবুর্গ | ফ্রাইবুর্গ | শোয়ারৎসভাল্ড স্টেডিয়াম | ২৪,০০০ |
| হামবুর্গার | হামবুর্গ | ইমটেক এরিনা | ৫৭,০০০ |
| হানোফার | হানোফার | এইচডিআই আরেনা | ৪৯,০০০ |
| হের্টা | বার্লিন | বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ৭৪,২৪৪ |
| ১৮৯৯ হফেনহাইম | সিনশাইম | রাইন নেকার এরিনা | ৩০,১৫০ |
| কলন | কোলন | রাইন এনার্গি স্টেডিয়াম | ৫০,০০০ |
| মাইনৎস | মাইনৎস | মেভা এরিনা | ৩৪,০০০ |
| পাডারবর্ন | পাডারবর্ন | বেন্টেলার এরিনা | ১৫,০০০ |
| শালকে | গেলজেনকির্খেন | আরেনা আউফশালকে | ৬১,৯৭৩ |
| স্টুটগার্ট | স্টুটগার্ট | গটলিয়েব ডাইমলার স্টেডিয়াম | ৬০,৪৪১ |
| ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ব্রেমেন | ভেজার স্টেডিয়াম | ৪২,১০০ |
| ভলফসবুর্গ | ভলফসবুর্গ | ফক্সভাগেন আরেনা | ৩০,০০০ |
পয়েন্ট তালিকা সম্পাদনা
| অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন |
|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| ১ | বায়ার্ন মিউনিখ (C) | ৩৪ | ২৫ | ৪ | ৫ | ৮০ | ১৮ | +৬২ | ৭৯ | চ্যাম্পিয়নস লীগের গ্রুপ পর্বে উত্তীর্ণ |
| ২ | ভলফসবুর্গ | ৩৪ | ২০ | ৯ | ৫ | ৭২ | ৩৮ | +৩৪ | ৬৯ | |
| ৩ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ৩৪ | ১৯ | ৯ | ৬ | ৫৩ | ২৬ | +২৭ | ৬৬ | |
| ৪ | বায়ার লেভারকুজেন | ৩৪ | ১৭ | ১০ | ৭ | ৬২ | ৩৭ | +২৫ | ৬১ | চ্যাম্পিয়নস লীগের প্লে-অফ পর্বে উত্তীর্ণ |
| ৫ | আউগসবুর্গ | ৩৪ | ১৫ | ৪ | ১৫ | ৪৩ | ৪৩ | ০ | ৪৯ | ইউরোপা লীগের গ্রুপ পর্বে উত্তীর্ণ[ক] |
| ৬ | শালকে | ৩৪ | ১৩ | ৯ | ১২ | ৪২ | ৪০ | +২ | ৪৮ | |
| ৭ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ৩৪ | ১৩ | ৭ | ১৪ | ৪৭ | ৪২ | +৫ | ৪৬ | ইউরোপা লীগের তৃতীয় বাছাইপর্বে উত্তীর্ণ[ক] |
| ৮ | ১৮৯৯ হফেনহাইম | ৩৪ | ১২ | ৮ | ১৪ | ৪৯ | ৫৫ | −৬ | ৪৪ | |
| ৯ | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ৩৪ | ১১ | ১০ | ১৩ | ৫৬ | ৬২ | −৬ | ৪৩ | |
| ১০ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ৩৪ | ১১ | ১০ | ১৩ | ৫০ | ৬৫ | −১৫ | ৪৩ | |
| ১১ | মাইনৎস | ৩৪ | ৯ | ১৩ | ১২ | ৪৫ | ৪৭ | −২ | ৪০ | |
| ১২ | কলন | ৩৪ | ৯ | ১৩ | ১২ | ৩৪ | ৪০ | −৬ | ৪০ | |
| ১৩ | হানোফার | ৩৪ | ৯ | ১০ | ১৫ | ৪০ | ৫৬ | −১৬ | ৩৭ | |
| ১৪ | স্টুটগার্ট | ৩৪ | ৯ | ৯ | ১৬ | ৪২ | ৬০ | −১৮ | ৩৬ | |
| ১৫ | হের্টা | ৩৪ | ৯ | ৮ | ১৭ | ৩৬ | ৫২ | −১৬ | ৩৫ | |
| ১৬ | হামবুর্গার (O) | ৩৪ | ৯ | ৮ | ১৭ | ২৫ | ৫০ | −২৫ | ৩৫ | অবনমন প্লে-অফে উত্তীর্ণ |
| ১৭ | ফ্রাইবুর্গ (R) | ৩৪ | ৭ | ১৩ | ১৪ | ৩৬ | ৪৭ | −১১ | ৩৪ | ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত |
| ১৮ | পাডারবর্ন (R) | ৩৪ | ৭ | ১০ | ১৭ | ৩১ | ৬৫ | −৩৪ | ৩১ |
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: ১) পয়েন্ট; ২) গোল পার্থক্য; ৩) স্বপক্ষে গোল।
(C) চ্যাম্পিয়ন; (O) প্লে-অফ বিজয়ী; (R) অবনমিত।
টীকা:
- ↑ ক খ যেহেতু ডিএফবি-পোকালের ভলফসবুর্গ লীগের ফলাফলের ভিত্তিতে চ্যাম্পিয়নস লীগে উত্তীর্ণ হয়েছিল, তাই ইউরোপা লীগে তাদের জন্য বরাদ্দকৃত স্থানটি পয়েন্ট তালিকার ষষ্ঠ স্থান অধিকারী ক্লাব শালকেকে প্রদান করা হয়েছিল এবং ইউরোপা লীগের তৃতীয় বাছাইপর্বে স্বরাদ্দকৃত স্থানটি পয়েন্ট তালিকার সপ্তম স্থান অধিকারী ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে প্রদান করা হয়েছিল।
ফলাফল সম্পাদনা
শীর্ষ গোলদাতা সম্পাদনা
| অবস্থান | খেলোয়াড় | ক্লাব | গোল[৭] |
|---|---|---|---|
| ১ | আলেক্সান্ডার মাইয়ার |
আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ১৯ |
| ২ |  রবের্ত লেভানদোভস্কি |
বায়ার্ন মিউনিখ | ১৭ |
| ৩ |  আরিয়েন রোবেন |
বায়ার্ন মিউনিখ | |
| ৪ |  পিয়ের-এমেরিক অবামেয়াং |
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ১৬ |
| ৫ | বাস ডস্ট |
ভলফসবুর্গ | |
| ৬ |  ফ্রাঙ্কো দি সান্তো |
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ১৩ |
| ৭ | থমাস মুলার |
বায়ার্ন মিউনিখ | |
| ৮ |  শিনজি ওকাজাকি |
মাইনৎস | ১২ |
| ৯ |  রাফায়েল |
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | |
| ১০ | মাক্স ক্রুস |
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ১১ |
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ "2014–15 German Bundesliga statistics"। ESPN FC। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Bundesliga 2014/2015 » Schedule"। WorldFootball.net। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২০।
- ↑ "Bayern München - VfL Wolfsburg 2:1 (Bundesliga 2014/2015, 1. Round)"। worldfootball.net। ২২ আগস্ট ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০২২।
- ↑ BBC News, Bayern Munich: Pep Guardiola's side win 25th Bundesliga title
- ↑ "Bayern Munich charge ahead to leave their German rivals playing catch-up"। Guardian। ২৮ এপ্রিল ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ Smentek, Klaus; ও অন্যান্য (৮ আগস্ট ২০১২)। "kicker Bundesliga Sonderheft 2012/13"। kicker Sportmagazin (জার্মান ভাষায়)। Nuremberg: Olympia Verlag। আইএসএসএন 0948-7964।
- ↑ "Torjäger" [Goalscorers] (জার্মান ভাষায়)। DFL। ৬ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৪।
বহিঃসংযোগ সম্পাদনা
- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট (জার্মান) (ইংরেজি)