২০০৬–০৭ বুন্দেসলিগা

২০০৬–০৭ বুন্দেসলিগা জার্মানির পেশাদার ফুটবল লীগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ৪৪তম মৌসুম ছিল। এই মৌসুমটি ২০০৬ সালের ১১ই আগস্ট তারিখে শুরু হয়ে ২০০৭ সালের ১৯শে মে তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল।[১] বায়ার্ন মিউনিখের ওলন্দাজ আক্রমণভাগের খেলোয়াড় রয় মাকায় এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।[২]

বুন্দেসলিগা
মৌসুম২০০৬–০৭
তারিখ১১ আগস্ট ২০০৬ – ১৯ মে ২০০৭
চ্যাম্পিয়নস্টুটগার্ট
৩য় বুন্দেসলিগা শিরোপা
৫ম জার্মান শিরোপা
অবনমনমাইনৎস
আলেমানিয়া আখেন
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ
চ্যাম্পিয়নস লীগস্টুটগার্ট
শালকে
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন
উয়েফা কাপবায়ার্ন মিউনিখ
বায়ার লেভারকুজেন
নুর্নবার্গ
ইন্টারটোটো কাপহামবুর্গার
মোট খেলা৩০৬
মোট গোলসংখ্যা৮৩৭ (ম্যাচ প্রতি ২.৭৪টি)
শীর্ষ গোলদাতাগ্রিস থেওফানিস গেকাস (২০টি গোল)
সবচেয়ে বড় হোম জয়হানোফার ৫–০ হের্টা
সবচেয়ে বড় অ্যাওয়ে জয়বোখুম ০–৬ ভেয়ার্ডার ব্রেমেন
সর্বোচ্চ স্কোরিংফ্রাঙ্কফুর্ট ২–৬ ভেয়ার্ডার ব্রেমেন

বায়ার্ন মিউনিখ বুন্দেসলিগার পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ২০০৫–০৬ মৌসুমে ৭৫ পয়েন্ট অর্জন করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ১৯তম বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।

এই মৌসুমে ৭০ পয়েন্ট অর্জন করে স্টুটগার্ট ৩য় বারের মতো বুন্দেসলিগা এবং ৫ম বারের মতো জার্মান শিরোপা জয়লাভ করেছিল। বোখুমের গ্রিক আক্রমণভাগের খেলোয়াড় থেওফানিস গেকাস ২০ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।

প্রতিযোগিতার ধরন সম্পাদনা

প্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুইটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল; একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো প্রতিটি জয়ের জন্য তিন পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক ক্লাব সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে গোল পার্থক্যের মাধ্যমে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী তিনটি ক্লাব ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত হয়েছিল।

দল সম্পাদনা

২০০৫–০৬ মৌসুম শেষে কাইজারস্লাউটার্ন, কলন এবং ডুসবুর্গ মৌসুমে সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দুই ক্লাব হিসেবে বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, তাদের বদলে বোখুম, আলেমানিয়া আখেন এবং এনার্গি কটবুস বুন্দেসলিগায় উন্নীত হয়েছিল। পূর্ববর্তী মৌসুমের মতো এই মৌসুমেও ১৮টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।

ক্লাব অবস্থান মাঠ ধারণক্ষমতা
আলেমানিয়া আখেন আখেন পুরান টিভোলি ২১,৩০০
আরমিনিয়া বিলেফেল্ড বিলেফেল্ড শুকো আরেনা ২৮,০০৮
বায়ার লেভারকুজেন লেভারকুজেন বেএরিনা ২২,৫০০
বায়ার্ন মিউনিখ মিউনিখ অ্যালিয়াঞ্জ এরিনা ৬৯,৯০১
বোখুম বোখুম রুর স্টেডিয়াম ৩১,৩২৮
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ডর্টমুন্ড সিগনাল ইডুনা পার্ক ৮০,৭০৮
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ মনশেনগ্লাডবাখ বরুসিয়া পার্ক ৫৪,০৬৭
আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট ফ্রাঙ্কফুর্ট কোমারৎসব্যাংক আরেনা ৫২,৩০০
এনার্গি কটবুস কটবুস ফ্রয়ন্ডশাফট কটবুস স্টেডিয়াম ২২,৪৫০
হামবুর্গার হামবুর্গ ফক্সপার্কস্টাডিওন ৫৭,২৭৪
হানোফার হানোফার এডব্লিউডি আরেনা ৪৯,০০০
হের্টা বার্লিন বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়াম ৭৪,২২৮
মাইনৎস মাইনৎস ব্রুখভেগ স্টেডিয়াম ২০,৩০০
নুর্নবার্গ নুরেমবার্গ ফ্রাঙ্কেন স্টেডিয়াম ৪৭,৫৫৯
শালকে গেলজেনকির্খেন আরেনা আউফশালকে ৬১,৬৭৩
স্টুটগার্ট স্টুটগার্ট গটলিয়েব ডাইমলার স্টেডিয়াম ৫৮,০০০
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন ব্রেমেন ভেজার স্টেডিয়াম ৪২,৩৫৮
ভলফসবুর্গ ভলফসবুর্গ ফক্সভাগেন আরেনা ৩০,১২২

পয়েন্ট তালিকা সম্পাদনা

অব দল ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো গোপা পয়েন্ট যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন
স্টুটগার্ট (C) ৩৪ ২১ ৬১ ৩৭ +২৪ ৭০ চ্যাম্পিয়নস লীগের গ্রুপ পর্বে উত্তীর্ণ
শালকে ৩৪ ২১ ৫৩ ৩২ +২১ ৬৮
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন ৩৪ ২০ ৭৬ ৪০ +৩৬ ৬৬ চ্যাম্পিয়নস লীগের তৃতীয় বাছাইপর্বে উত্তীর্ণ
বায়ার্ন মিউনিখ ৩৪ ১৮ ১০ ৫৫ ৪০ +১৫ ৬০ উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ[ক]
বায়ার লেভারকুজেন ৩৪ ১৫ ১৩ ৫৪ ৪৯ +৫ ৫১
নুর্নবার্গ ৩৪ ১১ ১৫ ৪৩ ৩২ +১১ ৪৮
হামবুর্গার ৩৪ ১০ ১৫ ৪৩ ৩৭ +৬ ৪৫ ইন্টারটোটো কাপের তৃতীয় বাছাইপর্বে উত্তীর্ণ[ক]
বোখুম ৩৪ ১৩ ১৫ ৪৯ ৫০ −১ ৪৫
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ৩৪ ১২ ১৪ ৪১ ৪৩ −২ ৪৪
১০ হের্টা ৩৪ ১২ ১৪ ৫০ ৫৫ −৫ ৪৪
১১ হানোফার ৩৪ ১২ ১৪ ৪১ ৫০ −৯ ৪৪
১২ আরমিনিয়া বিলেফেল্ড ৩৪ ১১ ১৪ ৪৭ ৪৯ −২ ৪২
১৩ এনার্গি কটবুস ৩৪ ১১ ১৫ ৩৮ ৪৯ −১১ ৪১
১৪ আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট ৩৪ ১৩ ১২ ৪৬ ৫৮ −১২ ৪০
১৫ ভলফসবুর্গ ৩৪ ১৩ ১৩ ৩৭ ৪৫ −৮ ৩৭
১৬ মাইনৎস (R) ৩৪ ১০ ১৬ ৩৪ ৫৭ −২৩ ৩৪ ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত
১৭ আলেমানিয়া আখেন (R) ৩৪ ১৮ ৪৬ ৭০ −২৪ ৩৪
১৮ বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ (R) ৩৪ ২০ ২৩ ৪৪ −২১ ২৬
উৎস: কিকার
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: ১) পয়েন্ট; ২) গোল পার্থক্য; ৩) স্বপক্ষে গোল।
(C) চ্যাম্পিয়ন; (R) অবনমিত।
টীকা:
  1. ২০০৬–০৭ ডিএফবি-পোকালের চ্যাম্পিয়ন নুর্নবার্গ উয়েফা কাপে উত্তীর্ণ হওয়ায় উয়েফা ইন্টারটোটো কাপে তাদের বরাদ্দকৃত স্থানটি হামবুর্গারকে প্রদান করা হয়েছিল।

ফলাফল সম্পাদনা

স্বাগতিক \ সফরকারী AAC BSC DSC BOC SVW FCE BVB SGE HSV H96 B04 M05 BMG FCB FCN S04 VFB WOB
আলেমানিয়া আখেন ০–৪ ২–০ ২–১ ২–২ ১–২ ১–৪ ২–৩ ৩–৩ ১–৪ ২–৩ ২–১ ৪–২ ১–০ ১–১ ০–১ ২–৪ ২–২
হের্টা ২–১ ১–১ ৩–৩ ১–৪ ০–১ ০–১ ১–০ ২–১ ৪–০ ২–৩ ১–২ ২–১ ২–৩ ২–১ ২–০ ২–২ ২–১
আরমিনিয়া বিলেফেল্ড ৫–১ ২–২ ১–৩ ৩–২ ৩–১ ১–০ ২–৪ ১–১ ৩–১ ০–০ ১–০ ০–২ ২–১ ৩–২ ০–১ ২–৩ ০–০
বোখুম ২–২ ১–৩ ২–১ ০–৬ ০–১ ২–০ ৪–৩ ২–১ ২–০ ১–৩ ০–১ ২–০ ১–২ ০–২ ২–১ ২–৩ ০–১
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন ৩–১ ৩–১ ৩–০ ৩–০ ১–১ ১–৩ ১–২ ০–২ ৩–০ ২–১ ২–০ ৩–০ ৩–১ ১–০ ০–২ ২–৩ ২–১
এনার্গি কটবুস ০–২ ২–০ ২–১ ০–০ ০–০ ২–৩ ০–১ ২–২ ০–১ ২–১ ২–০ ৩–১ ০–৩ ১–১ ২–৪ ০–০ ৩–২
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ০–০ ১–২ ১–১ ১–১ ০–২ ২–৩ ২–০ ১–০ ২–২ ১–২ ১–১ ১–০ ৩–২ ০–০ ২–০ ০–১ ১–০
আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট ৪–০ ১–২ ০–৩ ০–৩ ২–৬ ১–৩ ১–১ ২–২ ২–০ ৩–১ ০–০ ১–০ ১–০ ২–২ ১–৩ ০–৪ ০–০
হামবুর্গার ৪–০ ১–১ ১–১ ০–৩ ১–১ ১–১ ৩–০ ৩–১ ০–০ ০–০ ২–২ ১–১ ১–২ ০–০ ১–২ ২–৪ ১–০
হানোফার ০–৩ ৫–০ ১–১ ০–২ ২–৪ ২–০ ৪–২ ১–১ ০–০ ১–১ ১–০ ১–০ ১–২ ০–৩ ১–১ ১–২ ২–২
বায়ার লেভারকুজেন ৩–০ ২–১ ১–২ ১–৪ ০–২ ৩–১ ২–১ ২–২ ১–২ ০–১ ১–১ ১–০ ২–৩ ২–০ ৩–১ ৩–১ ১–১
মাইনৎস ১–৩ ১–১ ১–০ ২–১ ১–৬ ৪–১ ১–০ ১–১ ০–০ ১–২ ১–৩ ৩–০ ০–৪ ২–১ ০–৩ ০–০ ১–২
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ ০–০ ৩–১ ১–০ ০–২ ২–২ ২–০ ১–০ ১–১ ০–১ ০–১ ০–২ ১–১ ১–১ ০–০ ০–২ ০–১ ৩–১
বায়ার্ন মিউনিখ ২–১ ৪–২ ১–০ ০–০ ১–১ ২–১ ২–০ ২–০ ১–২ ০–১ ২–১ ৫–২ ১–১ ০–০ ২–০ ২–১ ২–১
নুর্নবার্গ ১–০ ২–১ ১–১ ১–১ ১–২ ১–০ ১–১ ২–২ ০–২ ৩–১ ৩–২ ১–১ ১–০ ৩–০ ০–০ ৪–১ ১–১
শালকে ২–১ ২–০ ২–১ ২–১ ২–০ ২–০ ৩–১ ১–১ ০–২ ২–১ ০–১ ৪–০ ২–০ ২–২ ১–০ ১–০ ২–০
স্টুটগার্ট ৩–১ ০–০ ৩–২ ১–০ ৪–১ ২–১ ১–৩ ১–১ ২–০ ২–১ ৩–০ ২–০ ১–০ ২–০ ০–৩ ৩–০ ০–০
ভলফসবুর্গ ১–২ ০–০ ২–৩ ৩–১ ০–২ ০–০ ০–২ ২–২ ১–০ ১–২ ৩–২ ৩–২ ১–০ ১–০ ১–১ ২–২ ১–১
উৎস: জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন
রং: নীল = স্বাগতিক দল বিজয়ী; হলুদ = ড্র; লাল = সফরকারী দল বিজয়ী।

শীর্ষ গোলদাতা সম্পাদনা

অবস্থান খেলোয়াড় ক্লাব গোল
  থেওফানিস গেকাস বোখুম ২০
  আলেক্সান্ডার ফ্রাই বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ১৬
  রয় মাকায় বায়ার্ন মিউনিখ
  কেভিন কুরানি শালকে ১৫
  মারিও গোমেজ স্টুটগার্ট ১৪
  মার্কো পান্তেলিচ হের্টা
  সের্গিউ রাদু এনার্গি কটবুস
  মুহাম্মদ জিদান মাইনৎস
  কাকাউ স্টুটগার্ট ১৩
১০   দিয়েগো ভেয়ার্ডার ব্রেমেন

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Bundesliga 2006/2007 » Schedule"WorldFootball.net। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২০ 
  2. "Bayern München - Borussia Dortmund 2:0 (Bundesliga 2006/2007, 1. Round)"worldfootball.net। ৮ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০২২ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা