২০০৭–০৮ বুন্দেসলিগা
২০০৭–০৮ বুন্দেসলিগা জার্মানির পেশাদার ফুটবল লীগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ৪৫তম মৌসুম ছিল। এই মৌসুমটি ২০০৭ সালের ১০ই আগস্ট তারিখে শুরু হয়ে ২০০৮ সালের ১৭ই মে তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল।[১] শালকের জর্জীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় লেভান কোবিয়াশভিলি এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।[২]
মৌসুম | ২০০৭–০৮ |
---|---|
তারিখ | ১০ আগস্ট ২০০৭ – ১৭ মে ২০০৮ |
চ্যাম্পিয়ন | বায়ার্ন মিউনিখ ২০তম বুন্দেসলিগা শিরোপা ২১তম জার্মান শিরোপা |
অবনমন | নুর্নবার্গ হান্সা রস্টক ডুসবুর্গ |
চ্যাম্পিয়নস লীগ | বায়ার্ন মিউনিখ ভেয়ার্ডার ব্রেমেন শালকে |
উয়েফা কাপ | হামবুর্গার ভলফসবুর্গ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড হের্টা |
ইন্টারটোটো কাপ | স্টুটগার্ট |
মোট খেলা | ৩০৬ |
মোট গোলসংখ্যা | ৮৬০ (ম্যাচ প্রতি ২.৮১টি) |
শীর্ষ গোলদাতা | লুকা তোনি (২৪টি গোল) |
সবচেয়ে বড় হোম জয় | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন ৮–১ বিলেফেল্ড (২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৭) হামবুর্গার ৭–০ কার্লস্রুহার (১৭ মে ২০০৮) |
সবচেয়ে বড় অ্যাওয়ে জয় | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন ০–৪ বায়ার্ন (১৮ আগস্ট ২০০৭) |
সর্বোচ্চ স্কোরিং | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন ৮–১ বিলেফেল্ড (২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৭) স্টুটগার্ট ৬–৩ ভেয়ার্ডার ব্রেমেন (৮ মার্চ ২০০৮) |
গড় উপস্থিতি | ৩৭,৬৪৪ |
← ২০০৬–০৭ ২০০৮–০৯ → |
স্টুটগার্ট বুন্দেসলিগার পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ২০০৬–০৭ মৌসুমে ৭০ পয়েন্ট অর্জন করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ৩য় বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।
এই মৌসুমে ৭৬ পয়েন্ট অর্জন করে বায়ার্ন মিউনিখ ২০তম বারের মতো বুন্দেসলিগা এবং ২১তম বারের মতো জার্মান শিরোপা জয়লাভ করেছিল। বায়ার্ন মিউনিখের ইতালীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় লুকা তোনি ২৪ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।[৩]
প্রতিযোগিতার ধরন
সম্পাদনাপ্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুইটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল; একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো প্রতিটি জয়ের জন্য তিন পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক ক্লাব সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে গোল পার্থক্যের মাধ্যমে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী তিনটি ক্লাব ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত হয়েছিল।
দল
সম্পাদনা২০০৬–০৭ মৌসুম শেষে মাইনৎস, আলেমানিয়া আখেন এবং বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ মৌসুমে সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দুই ক্লাব হিসেবে বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, তাদের বদলে কার্লস্রুহার, হান্সা রস্টক এবং ডুসবুর্গ বুন্দেসলিগায় উন্নীত হয়েছিল। পূর্ববর্তী মৌসুমের মতো এই মৌসুমেও ১৮টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।
ক্লাব | অবস্থান | মাঠ | ধারণক্ষমতা |
---|---|---|---|
হের্টা | বার্লিন | বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ৭৪,২২৮ |
আরমিনিয়া বিলেফেল্ড | বিলেফেল্ড | শুকো আরেনা | ২৮,০০৮ |
বোখুম | বোখুম | রুর স্টেডিয়াম | ৩১,৩২৮ |
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ব্রেমেন | ভেজার স্টেডিয়াম | ৪২,৩৫৮ |
এনার্গি কটবুস | কটবুস | ফ্রয়ন্ডশাফট কটবুস স্টেডিয়াম | ২২,৪৫০ |
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ডর্টমুন্ড | সিগনাল ইডুনা পার্ক | ৮০,৭০৮ |
ডুসবুর্গ | ডুসবুর্গ | এমএসভি আরেনা | ৩১,৫০০ |
আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ফ্রাঙ্কফুর্ট | কোমারৎসব্যাংক আরেনা | ৫২,৩০০ |
হামবুর্গার | হামবুর্গ | ফক্সপার্কস্টাডিওন | ৫৭,২৭৪ |
হানোফার | হানোফার | এডব্লিউডি আরেনা | ৪৯,০০০ |
কার্লস্রুহার | কার্লস্রুহে | ভিল্ডপার্কস্টাডিওন | ৩২,৩০৬ |
বায়ার লেভারকুজেন | লেভারকুজেন | বেএরিনা | ২২,৫০০ |
বায়ার্ন মিউনিখ | মিউনিখ | আলিয়ানৎস আরেনা | ৬৯,৯০১ |
নুর্নবার্গ | নুরেমবার্গ | ফ্রাঙ্কেন স্টেডিয়াম | ৪৭,৫৫৯ |
হান্সা রস্টক | রস্টক | অস্টসি স্টেডিয়াম | ২৯,০০০ |
শালকে | গেলজেনকির্খেন | আরেনা আউফশালকে | ৬১,৬৭৩ |
স্টুটগার্ট | স্টুটগার্ট | গটলিয়েব ডাইমলার স্টেডিয়াম | ৫৮,০০০ |
ভলফসবুর্গ | ভলফসবুর্গ | ফক্সভাগেন আরেনা | ৩০,১২২ |
পয়েন্ট তালিকা
সম্পাদনাঅব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | বায়ার্ন মিউনিখ (C) | ৩৪ | ২২ | ১০ | ২ | ৬৮ | ২১ | +৪৭ | ৭৬ | চ্যাম্পিয়নস লীগের গ্রুপ পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ৩৪ | ২০ | ৬ | ৮ | ৭৫ | ৪৫ | +৩০ | ৬৬ | |
৩ | শালকে | ৩৪ | ১৮ | ১০ | ৬ | ৫৫ | ৩২ | +২৩ | ৬৪ | চ্যাম্পিয়নস লীগের তৃতীয় বাছাইপর্বে উত্তীর্ণ |
৪ | হামবুর্গার | ৩৪ | ১৪ | ১২ | ৮ | ৪৭ | ২৬ | +২১ | ৫৪ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
৫ | ভলফসবুর্গ | ৩৪ | ১৫ | ৯ | ১০ | ৫৮ | ৪৬ | +১২ | ৫৪ | |
৬ | স্টুটগার্ট | ৩৪ | ১৬ | ৪ | ১৪ | ৫৭ | ৫৭ | ০ | ৫২ | ইন্টারটোটো কাপের তৃতীয় পর্বে উত্তীর্ণ |
৭ | বায়ার লেভারকুজেন | ৩৪ | ১৫ | ৬ | ১৩ | ৫৭ | ৪০ | +১৭ | ৫১ | |
৮ | হানোফার | ৩৪ | ১৩ | ১০ | ১১ | ৫৪ | ৫৬ | −২ | ৪৯ | |
৯ | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ৩৪ | ১২ | ১০ | ১২ | ৪৩ | ৫০ | −৭ | ৪৬ | |
১০ | হের্টা | ৩৪ | ১২ | ৮ | ১৪ | ৩৯ | ৪৪ | −৫ | ৪৪ | উয়েফা কাপের প্রথম বাছাইপর্বে উত্তীর্ণ[ক] |
১১ | কার্লস্রুহার | ৩৪ | ১১ | ১০ | ১৩ | ৩৮ | ৫৩ | −১৫ | ৪৩ | |
১২ | বোখুম | ৩৪ | ১০ | ১১ | ১৩ | ৪৮ | ৫৪ | −৬ | ৪১ | |
১৩ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ৩৪ | ১০ | ১০ | ১৪ | ৫০ | ৬২ | −১২ | ৪০ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ[খ] |
১৪ | এনার্গি কটবুস | ৩৪ | ৯ | ৯ | ১৬ | ৩৫ | ৫৬ | −২১ | ৩৬ | |
১৫ | আরমিনিয়া বিলেফেল্ড | ৩৪ | ৮ | ১০ | ১৬ | ৩৫ | ৬০ | −২৫ | ৩৪ | |
১৬ | নুর্নবার্গ (R) | ৩৪ | ৭ | ১০ | ১৭ | ৩৫ | ৫১ | −১৬ | ৩১ | ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত |
১৭ | হান্সা রস্টক (R) | ৩৪ | ৮ | ৬ | ২০ | ৩০ | ৫২ | −২২ | ৩০ | |
১৮ | ডুসবুর্গ (R) | ৩৪ | ৮ | ৫ | ২১ | ৩৬ | ৫৫ | −১৯ | ২৯ |
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: ১) পয়েন্ট; ২) গোল পার্থক্য; ৩) স্বপক্ষে গোল।
(C) চ্যাম্পিয়ন; (R) অবনমিত।
টীকা:
- ↑ ২০০৭–০৮ মৌসুমে উয়েফা ফেয়ার প্লে র্যাঙ্কিংয়ের সেরা ক্লাবের অবস্থান নির্ধারণ হওয়ার পর উয়েফা কাপে বুন্দেসলিগাকে একটি অতিরিক্ত স্থান প্রদান করা হয়েছিল। উক্ত স্থানটি জাতীয় ফেয়ার প্লে প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন হের্টা প্রদান করা হয়েছিল।
- ↑ ২০০৭–০৮ ডিএফবি-পোকালের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগে উত্তীর্ণ হওয়ায় উয়েফা কাপে তাদের বরাদ্দকৃত স্থানটি বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে প্রদান করা হয়েছিল।
ফলাফল
সম্পাদনাশীর্ষ গোলদাতা
সম্পাদনাঅবস্থান | খেলোয়াড় | ক্লাব | গোল |
---|---|---|---|
১ | লুকা তোনি | বায়ার্ন মিউনিখ | ২৪ |
২ | মারিও গোমেজ | স্টুটগার্ট | ১৯ |
৩ | কেভিন কুরানি | শালকে | ১৫ |
৪ | ইভিকা ওলিচ | হামবুর্গার | ১৪ |
৫ | মার্কুস রোসেনবার্গ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | |
৬ | দিয়েগো | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ১৪ |
৭ | মার্কো পান্তেলিচ | হের্টা | |
৮ | ম্লাদেন পেত্রিচ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | |
৯ | স্তানিস্লাভ শেস্তাক | বোখুম | |
১০ | রাফায়েল ভান ডার ভার্ট | হামবুর্গার | ১২ |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Bundesliga 2007/2008 » Schedule"। WorldFootball.net। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২০।
- ↑ "VfB Stuttgart - FC Schalke 04 2:2 (Bundesliga 2007/2008, 1. Round)"। worldfootball.net। ৮ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০২২।
- ↑ "Bundesliga - Torjäger"। web.archive.org (জার্মান ভাষায়)। ৩১ মে ২০০৯। ৩১ মে ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০২২।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- কিকার (জার্মান)
- বুন্দেসলিগা (জার্মান)
- জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (জার্মান)