হিজলা উপজেলা

বরিশাল জেলার একটি উপজেলা

হিজলা বাংলাদেশের বরিশাল জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলা ৬ টি ইউনিয়ন নিয়ে ১৯১৭ সালের ১৫ জুলাই প্রতিষ্ঠা হয়। ঐ সালের ২১ সেপ্টেম্বর গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর ১৯১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে হিজলা থানার কার্যক্রম চালু হয়।

হিজলা
উপজেলা
মানচিত্রে হিজলা উপজেলা
মানচিত্রে হিজলা উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২২°৫৩′৪৯″ উত্তর ৯০°৩০′২১″ পূর্ব / ২২.৮৯৬৯৪° উত্তর ৯০.৫০৫৮৩° পূর্ব / 22.89694; 90.50583 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগবরিশাল বিভাগ
জেলাবরিশাল জেলা
আয়তন
 • মোট৫১৫.৩৬ বর্গকিমি (১৯৮.৯৮ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[১]
 • মোট১,৪৬,০৭৭
 • জনঘনত্ব২৮০/বর্গকিমি (৭৩০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৪০.৮%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
১০ ০৬ ৩৬
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

এই উপজেলার দর্শনীয়স্থানগুলোর মধ্য "বাবুর বাড়ির মঠ" অন্যতম। হিজলা উপজেলাধীন গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের কাউরিয়া বাজারের উত্তর পাশে অবস্থিত। মঠ টি শত বছরের পুরাতন স্থাপনা।

অবস্থান ও আয়তন সম্পাদনা

দেশের মানচিত্রে বরিশালের উত্তরে ঢাকা বিভাগের শরীয়তপুর জেলার কোলঘেসে অবস্থিত হিজলা উপজেলা। উত্তরে শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলা চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলা, দক্ষিণে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা, পশ্চিমে মুলাদী উপজেলা। জেলা সদর হতে দূরত্ব ৫০ কিঃ মিঃ। এটি নদী বেষ্টিত একটি এলাকা।

প্রশাসনিক এলাকা সম্পাদনা

হিজলা উপজেলার আয়তন ৫১৫.৩৬ বর্গ কি.মি. । হিজলা উপজেলা ৬টি ইউনিয়ন, ১২১টি গ্রাম, ১২১ মৌজা নিয়ে গঠিত।[২] সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম হিজলা থানার আওতাধীন।

ইউনিয়নসমূহ:

জনসংখ্যার উপাত্ত সম্পাদনা

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী হিজলা উপজেলার মোট জনসংখ্যা ১,৪৬,০৭৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৭২,৭৮৯ জন এবং মহিলা ৭৩,২৮৮ জন। মোট পরিবার ৩০,৫২৯টি।[৩]

শিক্ষা সম্পাদনা

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী হিজলা উপজেলার সাক্ষরতার হার ৪০.৮%।[৩]

উল্লেখযোগ্য স্থান সম্পাদনা

বড়দাকান্ত বাবুর পঞ্চরত্ন মঠ সম্পাদনা

১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দে জমিদার বড়দাকান্ত মিত্র, হিজলার কাউরিয়াতে এই মঠটি নির্মাণ করেন। এটি বরিশালের অন্যতম প্রাচীন স্থাপনা। উঁচু বেদীর উপর বিশেষ স্থাপত্য রীতিতে তৈরি এই পঞ্চরত্ন মঠ স্থানীয়ভাবে জোড়া মঠ নামে পরিচিত। ২০১৮ সালে এটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত একটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। মঠটির পূর্ব-পশ্চিমে দৈর্ঘ্য ১৩.২ মিটার ও উত্তর-দক্ষিণে প্রস্থ ১২.১৫ মিটার। দোতলাবিশিষ্ট এ মঠটির দেয়ালগুলো ৬০ সে.মি. চওড়া। মঠটির নিচতলার পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিণ দেয়ালে তিনটি করে প্রবেশপথ রয়েছে। উত্তর দেয়ালে পাঁচটি জানালা এবং পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিণ দেয়ালে দু’টি করে জানালা রয়েছে। নিচতলার প্রবেশপথ ও জানালাগুলো সমতল খিলানবিশিষ্ট। দোতলায় উঠার জন্য মঠটির দক্ষিণ দিক দিয়ে ২২ ধাপের একটি সিড়িঁ রয়েছে। নিচতলার মাঝখানের কক্ষদ্বয়ের ঠিক বরাবর উপরে দোতলায় বর্গাকার দু’টি কক্ষ রয়েছে। দোতলার কক্ষ দু’টির উপরে একটি করে বড় আকারের গম্বুজ রয়েছে। বড় গম্বুজের চারকোণে চারটি করে ছোট গম্বুজ রয়েছে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে হিজলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৪ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৫ 
  2. http://hizla.barisal.gov.bd/
  3. "ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য" (পিডিএফ)web.archive.org। Wayback Machine। Archived from the original on ৮ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা