মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা

বরিশাল জেলার একটি উপজেলা

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশের বরিশাল জেলার অন্তর্গত একটি দ্বীপ উপজেলা। ১৫ অক্টোবর ১৯৮৩ খ্রীঃ তারিখে মেহেন্দিগঞ্জ থানা উপজেলায় রূপান্তরিত করা হয়।

মেহেন্দিগঞ্জ
উপজেলা
মেহেন্দিগঞ্জ বরিশাল বিভাগ-এ অবস্থিত
মেহেন্দিগঞ্জ
মেহেন্দিগঞ্জ
মেহেন্দিগঞ্জ বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
মেহেন্দিগঞ্জ
মেহেন্দিগঞ্জ
বাংলাদেশে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২২°৪৯′৩৮″ উত্তর ৯০°৩১′৪৩″ পূর্ব / ২২.৮২৭২২° উত্তর ৯০.৫২৮৬১° পূর্ব / 22.82722; 90.52861 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগবরিশাল বিভাগ
জেলাবরিশাল জেলা
আয়তন
 • মোট৪১৮.৯৭ বর্গকিমি (১৬১.৭৭ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[১]
 • মোট৪,২৭,৯১৩
 • জনঘনত্ব১,০০০/বর্গকিমি (২,৬০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
১০ ০৬ ৬২
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

অবস্থান ও আয়তনসম্পাদনা

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা বরিশাল জেলা সদর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার পূর্ব- উত্তর দিকে অবস্থিত এবং অঞ্চলের মধ্যে সর্বোধিক নদী সমৃদ্ধ ও নদী পরিবেষ্ঠিত একটি উপজেলা। এর উত্তরে হিজলা উপজেলা এবং মুলাদী উপজেলা, দক্ষিণে বরিশাল সদর উপজেলাভোলা সদর উপজেলা, পূর্বে ভোলা সদর উপজেলা, লক্ষ্মীপুর জেলার লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলারায়পুর উপজেলা, পশ্চিমে মুলাদী উপজেলাবরিশাল সদর উপজেলা

আয়তনসম্পাদনা

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার আয়তন ৪১৮.৯৭ বর্গ কিঃমিঃ।

প্রশাসনিক এলাকাসম্পাদনা

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় ২ টি থানা।

  1. মেহেন্দিগঞ্জ থানা
  2. কাজিরহাট থানা


মেহেন্দিগঞ্জে ১টি পৌরসভা।

পৌরসভা:
মেহেন্দিগঞ্জে ইউনিয়নঃ ১৬ টি
ইউনিয়নসমূহ:

নদী বিচ্ছিন্ন ৫টি ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম কাজিরহাট থানার আওতাধীন।[২]

ইউনিয়নসমূহ:

ইতিহাস ও নামকরনসম্পাদনা

সম্রাট আকবরের সেনাপতি শাহবাজ খান পুর্তগীজ ও মগ আরাকান জলদস্যুদের কবল থেকে সাধারণ বিরাট সেনাবাহিনী ও স্থানীয় যুবকদের নিয়ে পুর্তগীজ-মগ ও আরাকান জলদস্যুদের উপর আক্রমণ করে এবং তাদেরকে উত্তর শাহবাজপুর (বর্তমান ভোলা জেলা) থেকে বিতাড়িত করেন। ১৫৮৫ সালে তিনি চলে যান। পরে শাহবাজ খানের স্মৃতি বিজড়িত স্থান হিসাবে মেঘনা-তেঁতুলিয়া-ইলিশা-মাসকাঁটা কালবদরের মাঝ খানের নদী কন্যা দ্বীপটির নাম শাহবাজপুর নামে পরিচয়। পরে ইলিশা নদীর উত্তর অংশ (মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা-মুলাদী) নিয়ে গঠিত হয় উত্তর শাহবাজপুর। শাহবাজ খান চলে যাওয়ার বেশ কিছু কাল পর আবার শুরু হয় আরাকান ও পুর্তগীজ জলদস্যুদের অত্যাচার এবং সম্রাট আওরঙ্গজেবের সময়ে মুঘল সেনাপতি আগা মেহেদীকে পাঠান শাহবাজপুর। আগা মেহেদী ও তার বাহিনী উত্তর শাহবাজপুর (বর্তমান মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা, ভোল জেলার রামদাশপুর ইউনিয়নের যে কোন স্থানে) আস্তানা করেন এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুর্তগীজ ও আরাকানদের এই অঞ্চল থেকে বিতাড়িত করেন। পরে আঘা মেহেদী নামে উত্তর শাহবাজপুরের একাংশের নাম করা হয় মেহেদীগঞ্জ যার বিবর্তিতরূপ মেহেন্দিগঞ্জ। আগা মেহেদী চলে যাওয়ার কিছুকাল পর আবার শুরু হয় পুর্তগীজ এবং আরাকনদের উৎপাত— এবার তিনি ফিরে এসে এ অঞ্চল থেকে পুরোপুরি নিশ্চহ্ন করেন। পরে তিনি সুবেদার হিসেবে এই এলাকায় থেকে যান এবং সংগ্রাম কেল্লা থেকে একটু দূরে সরে উলানিয়া নামক স্থানে তার উত্তরসুরীরা স্থানীয়ভাবে বাসস্থান নির্মাণ করেন ও বসবাস শুরু করেন। যা এখন উলানিয়া জমিদার বাড়ি নামে পরিচিত।

জনসংখ্যার উপাত্তসম্পাদনা

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার মোট জনসংখ্যা ৩,০১,০৪৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,৪৬,৯২৬ জন এবং মহিলা ১,৫৪,১২০ জন। মোট পরিবার ৬৫,২৩১টি।[৩]

শিক্ষাসম্পাদনা

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার সাক্ষরতার হার ৭২.৫%।

বিশিষ্ট্য ব্যক্তিবর্গসম্পাদনা

বিবিধসম্পাদনা

ক) প্রধান নদীঃ ইলিশা, কালাবদর, লতা, মাসকাটা, বদরটুনি, কীর্তনখোলা ও মেঘনা।

খ) প্রধান হাট-বাজারঃ পাতারহাট বন্দর, উলানিয়া বাজার, দফাদারহাট, কাজিরহাট, মাছকাজিরচর।

অর্থনীতিসম্পাদনা

নদীবেষ্টিত এই এলাকায় ধান, মাছ অর্থকরী ফসল। এছাড়াও র‌য়ে‌ছে বি‌ভিন্ন ধর‌নের ফসল। আমড়া, পান, সুপা‌রি মে‌হে‌ন্দিগ‌ঞ্জের প্র‌সিদ্ধ ফসল। স্থানীয় কা‌ঠের বাজারমূল্য বেশ লক্ষণীয়।

ঐতিহাসিক নিদর্শন ও ঐতিহ্যসম্পাদনা

স্বাস্থ্যসম্পাদনা

সরকারি হাসপাতাল: ১টি (৫০ শয্যা)

প্রাইভেট হাসপাতল ১ টি(১০ শয্যা)

ইউনিএইড হাসপাতাল

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে মেহন্দিগঞ্জ উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৫ 
  2. "কাজিরহাট নতুন থানার উদ্বোধনে কাল বরিশাল আসছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী"barisaltoday.com। বরিশাল টুডে। ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩। ৩০ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  3. "ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য" (পিডিএফ)web.archive.org। Wayback Machine। Archived from the original on ৮ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৯