হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী (জন্ম: ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৫৬) একজন বাংলাদেশী আইনজীবী ও বিচারক। তিনি বাংলাদেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[১]
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী | |
---|---|
বাংলাদেশের ২৩ তম প্রধান বিচারপতি | |
কাজের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ – ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | |
নিয়োগদাতা | বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি |
রাষ্ট্রপতি | আবদুল হামিদ মোঃ সাহাবুদ্দিন |
পূর্বসূরী | সৈয়দ মাহমুদ হোসেন |
উত্তরসূরী | ওবায়দুল হাসান |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | রমানাথপুর গ্রাম, খোকসা, কুষ্টিয়া, পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) | ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৫৬
সম্পর্ক | আবু বকর সিদ্দিকী (ভাই) |
পিতামাতা | আবদুল গোফুর মোল্লা নূরজাহান বেগম |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ সরকারি পি.সি. কলেজ |
জীবিকা | আইনজীবী ও বিচারক |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাহাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৫৬ সালে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার রমানাথপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আবদুল গোফুর মোল্লা ও মাতার নাম নূরজাহান বেগম।[২] ৯ ভাইবোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ।
তিনি খোকসা জানিপুর সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯৭২ সালে এসএসসি এবং ১৯৭৪ সালে সরকারি পি.সি. কলেজ থেকে আইএসসি পাস করেন। সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক পাস করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর পাস করেন। পরে তিনি ধানমন্ডি ল কলেজ থেকে আইনে স্নাতক পাস করেন।[৩]
কর্মজীবন
সম্পাদনাহাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ১৯৮১ সালে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়ে আইন পেশায় যোগ দেন। ২১ আগস্ট ১৯৮১ সালের জেলা আদালতে যোগ দেন তিনি। ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৮৩ সালের তিনি হাইকোর্ট এবং ২৭ মে ১৯৯৯ সালে আপিল বিভাগের অন্তর্ভুক্ত হন। ২৫ মার্চ ২০০৯ সালে হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ৩১ মার্চ ২০১৩ সালে আপিল বিভাগের বিচারক হন।[৩]
তিনি খুলনা সিটি কর্পোরেশন, কুষ্টিয়া পৌরসভা, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন সংস্থা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের প্রধান আইন উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে কাজ করেছেন। তিনি তার দায়িত্ব পালনে অসুবিধার কথা উল্লেখ করে ৪ জুন ২০০৮ সালে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে পদত্যাগ করেন।[৪] তিনি ৩০ এপ্রিল ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। প্রথমবার তা মেয়াদ শেষ হলে তাকে ৪ মে ২০২০ সালে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে পুনরায় নিযুক্ত করা হয়।[৩]
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, তিনি প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৫] ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ সালে তিনি বাংলাদেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।[৩] ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অবসরে যাবেন।
২১ জুন ২০২১ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার অভিযুক্তদের জামিন স্থগিতের আদেশ জারি করেন।[৬]
পারিবারিক জীবন
সম্পাদনাহাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিকীও আপিল বিভাগের বিচারপতি ছিলেন, যিনি গত ১৬ জুলাই ২০২১ সালে অবসরে যান।[৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী"। দৈনিক প্রথম আলো। ৩০ ডিসেম্বর ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২২।
- ↑ "Home : Supreme Court of Bangladesh"। www.supremecourt.gov.bd। ২০২১-১২-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-০২।
- ↑ ক খ গ ঘ "প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী"। দৈনিক সমকাল। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২২।
- ↑ "Addl Attorney General Siddiqui resigns"। bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-০২।
- ↑ "Justice Hasan Foez Siddique made acting CJ"। নিউ এজ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-০২।
- ↑ "শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: ৭ আসামির জামিন স্থগিত"। বাংলা ট্রিবিউন। ৪ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০২২।
- ↑ "প্রধান বিচারপতির শপথ নিলেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী"। bangla.bdnews24.com। ৪ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০২২।
আইন দফতর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী সৈয়দ মাহমুদ হোসেন |
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ – ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |
নির্ধারিত হয়নি |