মোজাম্মেল হক খান
মোজাম্মেল হক খান বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিনি বাংলাদেশের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার ছিলেন।[১] বর্তমানে বাংলাদেশ স্কাউটস-এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[২]
মোজাম্মেল হক খান | |
---|---|
কমিশনার (অনুসন্ধান) দুর্নীতি দমন কমিশন | |
কাজের মেয়াদ ৩ জুলাই ২০১৮ – ২ জুলাই ২০২৩ | |
নিয়োগদাতা | মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন |
পূর্বসূরী | ড. নাসিরুদ্দিন আহমেদ |
উত্তরসূরী | মোছাম্মৎ আছিয়া খাতুন |
সিনিয়র সচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় | |
কাজের মেয়াদ ৬ ডিসেম্বর ২০১৬ – ৩০ জুন ২০১৮ | |
নিয়োগদাতা | শেখ হাসিনা |
পূর্বসূরী | কামাল চৌধুরী |
উত্তরসূরী | ফয়েজ আহম্মদ |
সড়ক বিভাগ | |
সিনিয়র সচিব | |
কাজের মেয়াদ ৮ জুন ২০১১ – ১৬ নভেম্বর ২০১১ | |
মন্ত্রী | সৈয়দ আবুল হোসেন ওবায়দুল কাদের |
পূর্বসূরী | পদ স্থাপিত |
উত্তরসূরী | এম এ এন ছিদ্দিক |
যোগাযোগ মন্ত্রণালয় | |
সিনিয়র সচিব | |
কাজের মেয়াদ ২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ – ৮ জুন ২০১১ | |
মন্ত্রী | সৈয়দ আবুল হোসেন |
পূর্বসূরী | এ এস এম আলী কবীর |
উত্তরসূরী | পদ বিলুপ্ত |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | মাদারীপুর, বাংলাদেশ | ৩ নভেম্বর ১৯৫৯
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | সরকারি কর্মকর্তা, সিনিয়র সচিব |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনামোজাম্মেল হকের জন্ম ১৯৫৯ সালের ৩ নভেম্বর মাদারীপুর জেলার সদর উপজেলার পাঁচখোলা গ্রামে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি, মিশরের কায়রো ডেমোগ্রাফিক সেন্টার থেকে জনসংখ্য ও উন্নয়ন বিষয়ে এসডি এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসন বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।[৩][৪]
কর্মজীবন
সম্পাদনামোজাম্মেল হক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ১৯৮২ নিয়মিত ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক, ঝিনাইদহ জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ এর একান্ত সচিব, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সড়ক বিভাগ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ছিলেন। এছাড়া তিনি জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। ২ জুলাই ২০১৮ সালে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির পদমর্যাদায় দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (অনুসন্ধান) হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।[৪][৫]
২ জুলাই ২০২৩ সালে সরকারি কর্ম কমিশনের সাবেক সচিব আছিয়া খাতুন মোজাম্মেল হক খানের স্থলাভিষিক্ত হন।[৬]
স্কাউটিং
সম্পাদনাতিনি স্কাউটিং কার্যক্রমে ভৃমিকা পালন ও বিশেষ অবদানের জন্য ২০০৪ সালে বাংলাদেশ স্কাউটসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড ‘রৌপ্য ইলিশ’ এবং ২০০৮ সালে বাংলাদেশ স্কাউটসের সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড ‘রৌপ্য ব্যাঘ্র’ পদকে ভৃষিত হন। তিনি এছাড়াও ২০১৫ সালে ভারত স্কাউটস ও গাইডস এর সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড ‘সিলভার এলিফ্যান্ট’ এবং ফিলিপাইন স্কাউটসের ‘ব্রোঞ্জ তামারু’ অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।[৭][৮]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "দুদক কমিশনার হলেন ড. মোজাম্মেল হক খান"। যুগান্তর। ২ জুলাই ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ "বাংলাদেশ স্কাউটস জাতীয় কাউন্সিলের সাধারণ সভা"। জাগোনিউজ২৪.কম। ২৭ জুন ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "জনপ্রশাসনে সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করলেন ড. মোজাম্মেল হক"। জাগোনিউজ২৪.কম। ১১ ডিসেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ ক খ "ড. মোজাম্মেল হক খানের জীবনবৃত্তান্ত" (পিডিএফ)। দুর্নীতি দমন কমিশন (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ "ড. মোজাম্মেল দুদকের নতুন কমিশনার"। একুশে টেলিভিশন। ২ জুলাই ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ "দুদকের কমিশনার হলেন আছিয়া খাতুন"। বাংলা ট্রিবিউন। ২০২৩-০৭-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-০২।
- ↑ timetouchnews.com। "আবুল কালাম আজাদ সভাপতি ও ড. মোজাম্মেল হক খান সিএনসি পুনর্নিবাচিত"। www.timetouchnews.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১২।
- ↑ "বাংলাদেশ স্কাউটস"। www.scouts.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৯-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১২।