মির্জাপুর উপজেলা
মির্জাপুর বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।[২]
মির্জাপুর | |
---|---|
উপজেলা | |
![]() মানচিত্রে মির্জাপুর উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৬′৪৩″ উত্তর ৯০°৫′২৪″ পূর্ব / ২৪.১১১৯৪° উত্তর ৯০.০৯০০০° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | টাঙ্গাইল জেলা |
এমপি | ৭ |
সরকার | |
• সংসদ সদস্য | খান আহমেদ শুভ (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) |
আয়তন | |
• মোট | ৩৭৩.৮৮ বর্গকিমি (১৪৪.৩৬ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ৪,২৩,৭০৮ |
• জনঘনত্ব | ১,১০০/বর্গকিমি (২,৯০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫৫.৫% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ৯৩ ৬৬ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট ![]() |
অবস্থান ও আয়তন
সম্পাদনাঢাকা থেকে ৬৮ কিলোমিটার দূরে এবং টাংগাইল সদর থেকে ২৭ কিলোমিটার পূর্ব দিকে এ উপজেলাটির অবস্থান ২৪°০৬′৩০″ উত্তর ৯০°০৫′৩০″ পূর্ব / ২৪.১০৮৩° উত্তর ৯০.০৯১৭° পূর্ব। মির্জাপুর উপজেলার উত্তরে সখিপুর উপজেলা, দক্ষিণে ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলা, পূর্বে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলা, পশ্চিমে দেলদুয়ার উপজেলা। মির্জাপুরকে বলা হয় উত্তরবংগের দরজা। ঢাকা থেকে টাংগাইল এর যে কোন উপজেলায় যাবার একমাত্র রাস্তাটি মির্জাপুরের উপর দিয়ে চলে গেছে। মির্জাপুরের উত্তর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে বংশাই নদী এবং দক্ষিণ পাশ দিয়ে বয়ে গেছে লৌহজং নদী।
প্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনা১৪ টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভা (মির্জাপুর নিয়ে মির্জাপুর উপজেলা গঠিত।
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৮২ সালে বাংলাদেশের প্রথম ‘‘উন্নীত থানা’’ হিসেবে তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধান এটি উদ্বোধন করেন।
শিক্ষা
সম্পাদনামির্জাপুর শিক্ষার দিক দিয়ে শুধু টাংগাইল নয় বাংলাদেশের অন্যতম উপজেলা। এই উপজেলার সাক্ষরতার হার ৯১%ও শিক্ষার হার ৮৭%।
- এটি দেশের এ ক্যাটাগরির উপজেলা
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ -
- শাহীন ক্যাডেট স্কুল
- গেড়ামারা সবুজ সেনা উচ্চ বিদ্যালয়
- মা ফাতেম স্কুল এন্ড কলেজ
- মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ
- কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ
- ভারতেশ্বরী হোমস্ (সারা বাংলাদেশে ১ টি)
- মির্জাপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
- মহিলা কলেজ
- নতুন কহেলা কলেজ
- বাঁশতৈল কলেজ
- সারিয়াচড়া কলেজ
- টেকনিক্যাল কলেজ
- বানাইল উচ্চ বিদ্যালয়
- হাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়,
- বানিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়,
- মসদই উচ্চ বিদ্যালয়,
- মির্জাপুর সরকারি এস. কে. পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়,
- মির্জাপুর এস.কে পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,
- দেওহাটা এ, জে উচ্চ বিদ্যালয়,
- কুরনী জালাল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়,
- ইচাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,
- ইচাইল হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও নূরানী কিন্ডারগার্টেন মকতব,
- মৈশামূড়া বসন্ত কুমারী উচ্চ বিদ্যালয়,
- বন্দ্য কাওয়ালজানী খাদেম আলী উচ্চ বিদ্যালয় আরও অনেক ।
- উয়ার্শী পাইক পাড়া এম ইয়াছিন এন্ড ইউনুছ খান উচ্চবিদ্যালয়।
- উয়ার্শী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়।
- সিয়াম একাডেমী স্কুল উয়ার্শী।
অর্থনীতি
সম্পাদনাকৃষিই এই উপজেলার অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি।এই উপজেলায় ধান, পাট, গম ইত্যাদি প্রধান অর্থকরী ফসল। এছাড়াও কুমড়া, আলু, পটল,সরিষা প্রচুর পরিমাণে চাষ করা হয়। প্রধান ফল-ফলাদি হচ্ছেআম, কাঁঠাল, কলা, জাম, লিচু,পেয়ারা, তরমুজ, সুপারি, পেঁপে ইত্যাদি। বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি হচ্ছে কাউন, খেসারি,ছোলা, আউশ ধান, অড়হর,মাষকলাই। এখানে প্রচুর হাঁস-মুরগি এবং খামার,গরু-ছাগলের খামার, মৎস্য খামার রয়েছে যা কিনা এই উপজেলার অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে ব্যাপক অবদান গত দুই দশক ধরে মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নে বেশ কিছু ভারি শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। রেখেছে। ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনায় এই উপজেলায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য ছোট ও মাঝারি আকারের ক্ষুদ্র শিল্প।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব:
সম্পাদনা- রণদাপ্রসাদ সাহা, বাংলাদেশের বিখ্যাত সমাজসেবক এবং দানবীর ব্যক্তিত্ব ছিলেন। আর. পি. সাহা নামেই তিনি সমধিক পরিচিত ছিলেন।
- অমৃতলাল সরকার, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব বিপ্লবী অনুশীলন দলের সভ্য।
- প্রতিভা মুৎসুদ্দি, বাংলাদেশের একজন শিক্ষাবিদ ও ভাষা সংগ্রামী। শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি ২০০২ সালে একুশে পদক লাভ করেন।
- জয়া পতি, নারী শিক্ষাকর্মী।
- আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী: সাবেক সংসদ সদস্য
- একাব্বর হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে মির্জাপুর উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৩ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৫।
- ↑ মির্জাপুর পরিচিতি[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |