বংশী নদী

বাংলাদেশের নদী

বংশী নদী বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে প্রবাহিত একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী[১][২] নদীটি বাংলাদেশের উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের জামালপুর, টাঙ্গাইল, গাজীপুরঢাকা জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ২৩৮ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৪৯ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক পুরনো বংশী নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নদী নং ৩৯।[৩]

বংশী নদী
বংশী নদীর দৃশ্য
বংশী নদীর দৃশ্য
বংশী নদীর দৃশ্য
দেশ  বাংলাদেশ
অঞ্চল ময়মনসিংহ বিভাগ, ঢাকা বিভাগ
জেলাসমূহ জামালপুর, টাঙ্গাইল, গাজীপুরঢাকা জেলা
উৎস পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী
 - অবস্থান দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা, জামালপুর, ময়মনসিংহ বিভাগ
মোহনা তুরাগ নদী
 - অবস্থান গাবতলী-আমিনবাজার, সাভার, ঢাকা
দৈর্ঘ্য ২৩৮ কিলোমিটার (১৪৮ মাইল)

বর্ণনা সম্পাদনা

বংশী নদী পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের শাখানদী। এর দৈর্ঘ্য মোট ২৩৮ কিলোমিটার।[১][৪] নদীটি জামালপুর জেলার শরীফপুর ইউনিয়ন অংশে প্রবাহিত পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে উৎপন্ন হয়ে দক্ষিণে টাঙ্গাইলগাজীপুর জেলা অতিক্রম করে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নদীটি সাভারের কর্ণপাড়া ও ব্যাংকটাউনের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আমিনবাজারে এসে তুরাগ নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। তুরাগ নদী আরো কিছুদূর প্রবাহিত হয়ে মিশেছে বুড়িগঙ্গায়। বংশী নদীর মোট দৈর্ঘ্য ২৩৮ কিলোমিটার। এই নদী চারটি জেলা যথাক্রমে জামালপুর, টাঙ্গাইল, গাজীপুরঢাকা এবং ১১টি উপজেলা যথাক্রমে জামালপুর সদর, মধুপুর, ঘাটাইল, কালিহাতি, বাসাইল, মির্জাপুর, সখিপুর, কালিয়াকৈর, ধামরাই, সাভার ও মানিকগঞ্জ জিলার সিংগাইর উপজেলা এবং ৩২১টি মৌজার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।[১]

এই নদীকে কেন্দ্র করে অনেক হাট-বাজার, গঞ্জ, স্থাপনা গড়ে উঠেছে। বিশেষ করে ঐতিহ্যবাহী মসলিন কাপড় তৈরির ঢাকার ধামরাই এলাকা, টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়াঞ্চল ইত্যাদি। সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধ এ নদীর তীরেই অবস্থিত। এখনো বর্ষা মৌসুমে ছোট ও মাঝারি নৌকায় মধুপুরসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে নৌপথে কলা, কাঁঠাল, আনারস ও নানা ধরনের তরকারি ভুয়াপুর, সরিষাবাড়ি, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় এ নদী পথ ব্যাবহার পরিবহন করে থাকে। মধুপুর গড়াঞ্চলসহ মধ্যাঞ্চলের সভ্যতা ও জীববৈচিত্র্য অনেকাংশেই টিকে রয়েছে বংশী নদীকে কেন্দ্র করেই।[১]

চিত্রশালা সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. মৃতপ্রায় বংশী নদী রক্ষায় উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি - দৈনিক যায় যায় দিন (২ জুলাই, ২০১৪)
  2. বাড়ির পাশে বংশী নদী - দৈনিক প্রথম আলো (১৪ অক্টোবর, ২০১৪)
  3. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নদী"। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি (প্রথম সংস্করণ)। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ২৬৩-২৬৪। আইএসবিএন 984-70120-0436-4 
  4. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ২৬২-২৬৩

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা