মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন
মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।[২]
মহিমাগঞ্জ | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
![]() | |
বাংলাদেশে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৫°৬′৩১″ উত্তর ৮৯°২৯′৩২″ পূর্ব / ২৫.১০৮৬১° উত্তর ৮৯.৪৯২২২° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
জেলা | গাইবান্ধা জেলা |
উপজেলা | গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা ![]() |
সরকার | |
• চেয়ারম্যান | মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম প্রধান |
• ইউপি সচিব | মোঃ আব্দুল জব্বার প্রধান |
আয়তন | |
• মোট | ২৩.৯৩ বর্গকিমি (৯.২৪ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ৩৯,২৩০ |
• জনঘনত্ব | ১,৬০০/বর্গকিমি (৪,২০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৫৭৪১ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
অবস্থান ও আয়তনসম্পাদনা
মহিমাগঞ্জ রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত। এটি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার অন্যতম একটি ইউনিয়ন। এটি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা হতে ১২ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। মহিমাগঞ্জের উত্তর-পূর্বে সাঘাটা উপজেলা ও বাঙ্গালী নদী দিয়ে বেষ্টিত এবং দক্ষিণে সোনাতলা উপজেলা। এর আয়তন ২৩.৯৩ বর্গ কিলোমিটার।
ইতিহাসসম্পাদনা
কালের সাক্ষী বহণকারী বাঙ্গালী নদীর তীরে গড়ে ওঠা এক ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল হলো মহিমাগঞ্জ। অতীতে মহিমাগঞ্জ ছিলো একটি সুপ্রসিদ্ধ ব্যবসা কেন্দ্র; এখানে প্রায় ১০/১৫টি পাট গোডাউন ছিল, ফলে দূর-দূরান্তের চাষীরা মহিমাগঞ্জে পাট বিক্রি করতেন। ঊনবিংশ শতাব্দির আশির দশক পর্যন্ত মহিমাগঞ্জ রেল স্টেশন থেকে দেওয়ানতলা পর্যন্ত একটা পরিত্যাক্ত রেল লাইন দেখা গেছে। দেওয়ানতলা বাঙ্গালী নদীর তীরবর্তী মারোয়াড়ীদের বিশাল পাট গোডাউন ও অন্যান্য ব্যবসা কেন্দ্র ছিল। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নদী পথে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও চাষীরা পাট, ধান, গম ইত্যাদি ফসল মারোয়াড়ীদের নিকট বিক্রয় করতেন এবং মারোয়াড়ী ব্যবসায়ী সেই সকল পণ্য বৃহৎ আকারে দেশের বিভিন্ন বড় বড় শহরে রেল যোগে চালান দিতেন।
- নামকরণ
মহিমাগঞ্জের প্রাচীন নাম ছিল 'খড়িয়া বাঁধা'। লালমনিরহাট জেলার কাকিনা রাজার পরগনার আওতায় ছিল এই মহিমাগঞ্জ। রাজা মহিমা রঞ্জন রায় চৌধুরী নিজের নামানুসারে খড়িয়াবাঁধার নাম পরিবর্তন করে নাম রাখেন 'মহিমাগঞ্জ'।
প্রশাসনিক এলাকাসম্পাদনা
এ ইউনিয়নে মৌজা সংখ্যা ১১টি ও গ্রাম সংখ্যা ১২টি।[৩] গ্রামগুলো হলোঃ
- ১. পুনতাইড়,
- ২. জগদীশপুর,
- ৩. শ্রীপতিপুর,
- ৪. বালুয়া,
- ৫. ছয়ঘড়িয়া,
- ৬. বোচাদহ,
- ৭. বামন হাজরা,
- ৮. পান্তামারী,
- ৯. জিরাই,
- ১০. জীবনপুর,
- ১১. গোপালপুর এবং
- ১২. কুমিড়াডাঙ্গা।
জনসংখ্যার উপাত্তসম্পাদনা
২০১১ সালের আদমশুমারী অনুসারে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জনসংখ্যা প্রায় ৩৯,২৩০ জন[১] (পুরুষ: ১৯,৬৭৫ এবং মহিলা: ১৯,৫৫৫); প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১,৬৩৯ জন লোক বাস করে।
স্বাস্থ্যসম্পাদনা
- হাসপাতাল - ১টি
- কমিউনিটি ক্লিনিক - ৪টি
- পশু হাসপাতাল - ১টি
শিক্ষাসম্পাদনা
শিক্ষার হার প্রায় ৭৭%।
- সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় - ১১টি
- বে-সরকারি রেজিঃ প্রাঃ বিদ্যালয়- ৫টি
- উচ্চ বিদ্যালয় - ৪টি (মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, মহিমাগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রংপুর চিনি কল উচ্চ বিদ্যালয়, বালুয়া উচ্চ বিদ্যালয়)
- কলেজ - ৩টি (মহিমাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, মহিমাগঞ্জ মহিলা কলেজ, এম এ মোত্তালিব টেকনিকেল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ)
- মাদ্রাসা - ৫টি (মহিমাগঞ্জ আলিয়া কামিল মাদ্রাসা অন্যতম)
- কিন্ডারগার্টেন স্কুল - ৬টি (শিশুকানন বিদ্যাভবন প্রি-ক্যাডেট স্কুল, সানভিউ কিন্ডারগার্টেন স্কুল, মহিমাগঞ্জ আদর্শ কিন্ডারগার্টেন স্কুল, মহিমাগঞ্জ আইডিয়াল একাডেমিক স্কুল, ফিউচার ব্রাইট পাবলিক স্কুল এবং মন্ডল মেমোরিয়াল প্রি-ক্যাডেট স্কুল)
কৃষিসম্পাদনা
প্রধান কৃষিজ ফসলের মধ্যে রয়েছে ধান, পাট ও আঁখ।
অর্থনীতিসম্পাদনা
গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত শিল্প এলাকা মহিমাগঞ্জ। গাইবান্ধা জেলার একমাত্র ভারী শিল্প রংপুর চিনি কল লিমিটেড মহিমাগঞ্জের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। এছাড়াও গাইবান্ধা জেলার অন্যতম ২টি ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রধান গ্রুপ ও নেহান গ্রুপ এর সহযোগী আরও ৫টি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন অটোমেটিক রাইস মিল ও ২টি আধুনিক রাইস ব্রান অয়েল মিল রয়েছে। এছাড়াও ছোট বড় শিল্প কারখানা এবং গার্মেন্টস কারখানা রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিসম্পাদনা
- আহমেদ হোসেইন - অবিভক্ত বাংলার কৃষি মন্ত্রী।
দর্শনীয় স্থানসম্পাদনা
- রংপুর চিনি কল লিমিটেড;
- বাঙ্গালী নদী - দেওয়ানতলা;
- মহিমাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন।
বিবিধসম্পাদনা
- পোস্ট অফিস - ১টি;
- হাট-বাজার - ১টি;
- ব্যাংক - ৩টি;
- এজেন্ট ব্যাংক - ৪টি;
- মসজিদ - ৫৫টি;
- মন্দির - ১০টি;
- রেলওয়ে স্টেশন - ১টি;
- ভুমি অফিস - ১টি;
- এন জি ও - ৭টি;
- নদী - ১টি;
- ঈদগাহ মাঠ- ২টি।
- ক্রিড়া সংগঠন - ৩টি
- সাংস্কৃতিক সংগঠন - ১টি
- পেশাজীবি সংগঠন - ৬টি
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ ক খ Population & Housing Census-2011 [আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০১১] (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। জাতীয় প্রতিবেদন (ইংরেজি ভাষায়)। ভলিউম ২: ইউনিয়ন পরিসংখ্যান। ঢাকা: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। মার্চ ২০১৪। ৯ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ফেব্রুয়ারি ২০১৭। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের সরকারি তথ্য বাতায়ন"। gaibandha.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-০১।
- ↑ "মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন এর গ্রামের তালিকা ও তাদের জনসংখ্যা"। ২৭ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১৪।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
বাংলাদেশের ইউনিয়ন বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |