মঈন খান
মুহাম্মদ মঈন খান (উর্দু: محمد معین خان; জন্ম: ২৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১) রাওয়ালপিন্ডিতে জন্মগ্রহণকারী পাকিস্তানের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও কোচ। ১৯৯০ থেকে ২০০৪ সময়কালে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। দলে মূলতঃ উইকেট-রক্ষক ও ব্যাটসম্যানের দায়িত্বে পালন করতেন। এছাড়াও পাকিস্তান দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মঈন খান।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মুহাম্মদ মঈন খান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | রাওয়ালপিন্ডি, পাকিস্তান | ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ-ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান, অধিনায়ক, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | নাদিম খান (ভ্রাতা) আজম খান (ছেলে) মরিয়ম আনসারি (বউমা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১১৯) | ২৩ নভেম্বর ১৯৯০ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২০ অক্টোবর ২০০৪ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৭৯) | ১০ নভেম্বর ১৯৯০ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৬ অক্টোবর ২০০৪ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ৫ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ |
বর্তমানে জাতীয় দলের ম্যানেজারের দায়িত্বে পালন করছেন তিনি। জুলাই, ২০১৩ সালে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রধান দল নির্বাচক মনোনীত হন। তিনি ইকবাল কাশিমের স্থলাভিষিক্ত হন।[১] ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ তারিখে জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পান।[২]
খেলোয়াড়ী জীবন
সম্পাদনামুলতানে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। টেস্ট ক্রিকেটে শতাধিক ক্যাচ নিয়েছেন তিনি। ওডিআইয়ে তিন সহস্রাধিক রানের পাশাপাশি দুই শতাধিক ক্যাচ নিয়েছেন। সাকলাইন মুশতাকের রহস্যজনক দুসরা’র সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন।
খেলোয়াড়ী জীবনে তাকে অন্য উইকেট-রক্ষক রশিদ লতিফের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতে হয়েছে। উইকেট-রক্ষণের দায়িত্ব পালন শেষে ব্যাট হাতে নিয়েও স্বীয় দক্ষতা প্রদর্শনে এগিয়ে এসেছেন তিনি। টেস্টে ব্যাটিং গড়ে লতিফের সাথে সমানে-সমান হলেও ওডিআই গড়ে বেশ এগিয়েছিলেন তিনি। তাস্বত্ত্বেও সর্বকালের পাকিস্তানের একাদশে লতিফকে উইকেট-রক্ষক হিসেবে রাখা হয়।
ক্রিকেট বিশ্বকাপ
সম্পাদনা১৯৯২ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ শিরোপা বিজয়ী পাকিস্তানের দলের উইকেট-রক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও ১৯৯৯ সালে তার দল রানার্স আপ হয়েছিল। ১৯৯৬ ও ২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপেও পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯৯২ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ৮ বলে ৯ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় ছক্কা হাঁকিয়ে ৭ বলে ৩ রানে নিয়ে যান। এরপর জাভেদ মিয়াঁদাদ জয়সূচক বাউন্ডারি হাঁকান। ফাইনালে ৫০ ওভারে ২৪৯ রান সংগ্রহ করলেও তার ব্যাটিংয়ের প্রয়োজন পড়েনি। তবে হাতে নেয়া তিন ক্যাচের একটি ছিল ইয়ান বোথামের যাতে ওয়াসিম আকরামের ইনসুইঙ্গার বলে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে তাঁকে ফেরৎ পাঠিয়েছিলেন।[৩]
২০০৫ সালে পাকিস্তানের ঘরোয়া টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটে প্রতিযোগিতায় প্রথম সেঞ্চুরি করেন। এবিএন এএমআরও টুয়েন্টি২০ কাপ প্রতিযোগিতায় করাচি ডলফিন্সের সদস্যরূপে লাহোর লায়ন্সের বিপক্ষে ৫৯ বলে ১১২ রানে তোলেন। মৌসুমে শেষে হায়দরাবাদের বিপক্ষে অপরাজিত ২০০ তোলেন যা তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চসহ ছিল। এরপরই ক্রিকেটকে বিদায় জানান তিনি।
কোচ
সম্পাদনা২০০৭ সালে অনানুষ্ঠানিক ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগে চুক্তিবদ্ধ হন ও হায়দ্রাবাদ হিরোজের কোচের দায়িত্বে পান। ২০০৮ সালের আসরে সংযুক্ত দল লাহোর বাদশাহেরও কোচ ছিলেন তিনি।
আগস্ট, ২০১৩ সালে পাকিস্তানের ম্যানেজার হিসেবে মনোনীত হন।[৪] এরপর ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ তারিখে প্রধান কোচ হিসেবে নিযুক্তি পান। তিনি ডেভ হোয়াটমোরের স্থলাভিষিক্ত হন।[২] কিন্তু ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় দলের খেলার দুইদিন পূর্বে ক্যাসিনোয় তাকে দেখা যায়। ফলশ্রুতিতে এ দায়িত্ব থেকে তাকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।[৫][৬]
২০১৬ সালে পাকিস্তানের সুপার লিগ প্রতিযোগিতায় কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Moin Khan appointed as chief selector for Pakistan"। Sky Sports। ১৫ জুলাই ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৩।
- ↑ ক খ http://www.espncricinfo.com/pakistan/content/current/story/718163.html
- ↑ http://www.cricinfo.com/ci/engine/current/match/65154.html
- ↑ http://www.espncricinfo.com/pakistan/content/story/663321.html
- ↑ http://zeenews.india.com/sports/cricket/pcb-sacked-moin-khan-to-keep-his-prestige-intact-shaharyar-khan_1579520.html
- ↑ http://www.espncricinfo.com/icc-cricket-world-cup-2015/content/story/837793.html
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে মঈন খান (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে মঈন খান (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- ICL Profile
পূর্বসূরী ওয়াসিম আকরাম |
পাকিস্তানি ক্রিকেট অধিনায়ক ২০০০-২০০১ |
উত্তরসূরী ওয়াকার ইউনুস |