ভাঙ্গা উপজেলা
ভাঙ্গা বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
ভাঙ্গা | |
---|---|
উপজেলা | |
ভাঙ্গা | |
![]() প্রতিক্রিয়াশীল মানচিত্রে ভাঙ্গা উপজেলা | |
বাংলাদেশে ভাঙ্গা উপজেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°২২′৫২″ উত্তর ৮৯°৫৮′৫২″ পূর্ব / ২৩.৩৮১১১° উত্তর ৮৯.৯৮১১১° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | ফরিদপুর জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ২১৬.৩৪ বর্গকিমি (৮৩.৫৩ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ২,৩২,৩৮৬ |
• জনঘনত্ব | ১,১০০/বর্গকিমি (২,৮০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬৫% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ২৯ ১০ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
অবস্থান ও আয়তন সম্পাদনা
ভাঙ্গা ফরিদপুর সদর থেকে ২৮ কিঃ মিঃ পূর্বে কাওরাকান্দি থেকে ২০ কিঃ মিঃ দক্ষিণ পশ্চিমে। এই উপজেলার উত্তরে সদরপুর উপজেলা ও নগরকান্দা উপজেলা, দক্ষিণে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলা ও মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলা, পূর্বে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলা ও সদরপুর উপজেলা, পশ্চিমে নগরকান্দা উপজেলা।
প্রশাসনিক এলাকা সম্পাদনা
ইউনিয়ন ১২ টি, মৌজা ১৩৬ টি, গ্রাম ২২৭ টি।
ইউনিয়ন গুলি হচ্ছে:
ইতিহাস সম্পাদনা
ভাঙ্গা কুমার নদীর পাড়ে অবস্থিত। কথিত আছে কুমার নদীর পাড়ে কুমারগঞ্জ নামে একটি বিরাট হাট বসত। কোন এক সময় হাটকে কেন্দ্র করে কুমার নদীর এপার ওপারের লোকজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগে এবং দ্বন্দ্বের এক পর্যায়ে ওপারের লোকজন কুমারগঞ্জের হাট ভেঙ্গে ওপারের হাট চালু করে। চালুকৃত হাটকেই ভাঙ্গার হাট নামে নামকরণ করা হয়। এ থেকেই ভাংগা উপজেলার উৎপত্তি।এর পর অনেক বছর পার হলেও এর নাম করণের আর পরিবর্তন হয়নি।
জনসংখ্যার উপাত্ত সম্পাদনা
এই উপজেলার মোট জনসংখ্যা ২,৩২,৩৮৬ জন (প্রায়)। যার মধ্যে পুরুষ ২,৩৪,৪৯৬ জন (প্রায়) এবং মহিলা ২,৩০,২৭৬ জন (প্রায়)।
ধর্ম সম্পাদনা
মুসলিম ৯০.৩৫%; সনাতন ধর্মী ৯.৫২%; অন্যান্য ০.১৩%।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সম্পাদনা
মসজিদ ৪০৬ টি, মন্দির ৪২ টি, তীর্থস্থান-১(খাটরা),
নদনদী সম্পাদনা
ভাঙ্গা উপজেলায় অনেকগুলো নদী আছে। সেগুলো হচ্ছে আড়িয়াল খাঁ নদী, কুমার নদী (ফরিদপুর-গোপালগঞ্জ) এবং পুরানো কুমার নদী।[২][৩]
শিক্ষা সম্পাদনা
এই উপজলার শিক্ষার হার ৬৫%। পুরুষ ৬৮% এবং মহিলা ৬২%।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পাদনা
কলেজ ৩ টি; উচ্চবিদ্যালয় ১৭ টি; জুনিয়র হাই স্কুল ২ টি; বালিকা বিদ্যালয় ১ টি; প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭৩ টি; মাদ্রাসা ১৩ টি; এতিমখানা ২
অর্থনীতি সম্পাদনা
এই এলাকার অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে কৃষি কাজ। মালিকগ্রামের পাটের হাট ও গরু হাটের সুনাম সারা বাংলাদেশে রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব সম্পাদনা
প্রত্নসম্পদ সম্পাদনা
- নুরপুর তারেক মাসুদ এর বাড়ি
- পাতরাইল মসজিদ ও দীঘি
- মজলিশ আব্দুল খানের মাযার
- খাটরার বাসুদেব মন্দির
- সিদ্ধেশ্বরী নাট্যমঞ্চ
- মালিকগ্রাম পাল বাড়ি
- নারান দাসের ভিটা
- রায় বাড়ি
- ঘাড়ুয়া ইউনিয়ন এর উত্তর চানপট্টি গ্রামের ৭ টি গায়েবি গাছ আছে । যাহার শরির কাটলে এখন ও রক্ত বের হয়।
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে ভাংগা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৩ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৫।
- ↑ ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩৯৭, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯।
- ↑ মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬০৫। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।
বহিঃসংযোগ সম্পাদনা
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |