বন্দে ভারত (ট্রেনসেট)

ভারতের সেমি-হাই-স্পিড ইএমইউ ট্রেনসেট

বন্দে ভারত ট্রেনসেট, পূর্বনাম ট্রেন ১৮, হচ্ছে ভারতীয় রেল দ্বারা তৈরি করা একধরনের সেমি-হাই-স্পিড ইএমইউ ট্রেনসেট এবং কোনো পৃথক ইঞ্জিন ছাড়া স্বচালিত ট্রেন।[৯] চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে প্রস্তুত এই ট্রেনের পরীক্ষামূলক সর্বোচ্চ বেগ ১৮৩ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা (১১৪ মাইল প্রতি ঘণ্টা) কিন্তু রেল ট্র্যাক এত বেগ সহ্য করতে পারে না বলে পরিচালনার সময় এর বেগ সাধারণত ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা (৯৯ মাইল প্রতি ঘণ্টা) এ সীমাবদ্ধ করা হয়।[১০][১১] এই ট্রেনসেটটি বন্দে সাধারণ ব্যতীত সমস্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পরিষেবার ব্যবহৃত হয়।

বন্দে ভারত
পরিষেবা২০১৯–বর্তমান
প্রস্তুতকারকইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি
নকশাকারআরডিএসও
সংযোজনচেন্নাই
নির্মিতইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি
নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়২০১৭−বর্তমান
সেবায় প্রবেশ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
নির্মিত রেলগাড়ির সংখ্যা২৭
পরিষেবাতে যুক্ত রেলগাড়ির সংখ্যা২৫
বাতিলকৃত সংখ্যা[১]
পূর্বসূরিমেমু
গঠন১৬টি গাড়ি (৪টি পাওয়ার ইউনিট)
ধারণক্ষমতা১,১২৮ (১৬-গাড়ি)[২]
পরিচালনাকারীভারতীয় রেল
পরিবেশিত রেলপথ২৫
সবিস্তার বিবরণী
রেল নির্মাণশৈলীহাল্কা মরিচাবিহীন ইস্পাত[৩]
ট্রেনের দৈর্ঘ্য৩৮৪ মি (১,২৬০ ফুট) (১৬-গাড়ি)[৪]
কামরার দৈর্ঘ্য২৪ মি (৭৯ ফুট)[৫]
প্রস্থ৩.২৪ মি (১০.৬ ফুট)[৫]
উচ্চতা১৩.৫৮ মি (৪৪.৬ ফুট)[৫]
প্রবেশপ্ল্যাটফর্ম লেভেল
দরজাস্বয়ংক্রিয় দরজা
বর্ণিত বিভাগ১৫ (১৬-গাড়ি)
চাকার ব্যাস০.৯৫২ মি (৩.১২ ফুট)[৬]
হুইলবেসবগি কেন্দ্র
সর্বোচ্চ গতি১৮৩ কিমি/ঘ (১১৪ মাইল প্রতি ঘণ্টা)
ওজন৩৯২ টন (৩৮৬ লং টন; ৪৩২ শর্ট টন)[৭]
এক্সেল লোড১৭,০০০ কেজি (৩৭,০০০ পাউন্ড)[৬]
স্টিপ গ্রেডিয়েন্ট১:৩৭[৬]
ট্র্যাকশন ব্যবস্থা2x25 kV[৮]
ত্বরণ০.৭ মি/সে (২.৩ ফুট প্রতি বর্গ সেকেন্ড)[৬]
মন্দন০.৮ মি/সে (২.৬ ফুট প্রতি বর্গ সেকেন্ড)[৬]
বিদ্যুতায়ন ব্যবস্থাটেমপ্লেট:25 kV 50 Hz ওভারহেড লাইন[৬]
বর্তমান সংগ্রহ পদ্ধতিপ্যান্টোগ্রাফ[৬]
চালনকৃত চাকা৬৪ (১৬-গাড়ি)[৬]
ন্যূনতম বাঁক ব্যাসার্ধ১৪৫.৮৩ মি (৪৭৮.৪ ফুট)[৬]
ব্রেকিং ব্যবস্থাইলেকট্রোনিউম্যাটিক[৬]
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
[৬]
কাপলিং ব্যবস্থাটাইটলক (এএআর-ই/এইচ)[৬]
হেডলাইটের ধরনএলইডি[৬]
ট্র্যাক গেজ১,৬৭৬ মিলিমিটার (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি)[৬]
আসনদ্রাঘিমাংশীয়[৬]
স্টকের ধরনইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট

ইতিহাস সম্পাদনা

ইএমইউ-এর আবির্ভাব সম্পাদনা

 
কুর্লা‌গামী আট-কোচ ইএমইউ ট্রেন
 
আদ্রাআসানসোল মেমু, ভারতের প্রথম মেমু পরিষেবা

৩ ফেব্রুয়ারি ১৯২৫-এ ভারতের বোম্বাই শহরে প্রথম ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট বা ইএমইউ চালু হয়েছিল।[১২] স্বাধীনতার পরে চাহিদা বৃদ্ধির জন্য ভারত ইউরোপজাপান থেকে ইএমইউ আমদানি করতে লেগেছিল। ১৯৬০-এর দশকে ভারত হেভি ইলেক্ট্রিক্যালস লিমিটেড (ভেল) স্বদেশী ইএমইউ-এর জন্য বৈদ্যুতিক উপকরণ তৈরি করতে লাগল।[১৩][১৪] একই সময়ে চেন্নাই শহরের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (আইসিএফ) স্বদেশী ইএমইউ তৈরি করতে লাগল। একে ভারতীয় রেল শিল্পে যুগান্তর বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ স্বদেশী ইএমইউ ক্রমে বন্দে ভারত প্রযুক্তির পূর্বপুরুষে পরিণত হয়েছিল।[১৩]

১৯৯০-এর দশকে ভারতীয় রেলের কাছে কলকাতা, চেন্নাই, দিল্লি ও মুম্বইয়ে খুব কম দূরত্বের জন্য প্রচুর ইএমইউ পরিষেবা বর্তমান ছিল। সাধারণ দূরপাল্লার পরিবহনের জন্য ভারতকে লোকোমোটিভের উপর নির্ভর হতে হয়েছিল। ঐ সময় উন্নত বিশ্বের কাছে আগে থেকেই ইএমইউ উচ্চ-গতির রেল প্রযুক্তি ছিল এবং লোকোমোটিভ ট্রেনের অদক্ষতা ক্রমেই ফুটে উঠেছিল। এর ফলে দূরপাল্লার ইএমইউ-র আবির্ভাব হয়েছিল, যা মেইনলাইন ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট বা মেমু নামে পরিচিত। দ্রুত ত্বরণ ও মন্দনের সুবিধা, বিপরীত প্রান্তে চালক কামরা (অর্থাৎ লোকোমোটিভের স্থান পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই), রিজেনেরেটিভ ব্রেকিঙের সাথে শক্তি সাশ্রয়ী এবং সাধারণভাবে একটি দক্ষ সিস্টেম হওয়ায় দূরপাল্লার জন্য মেমু তৈরি করতে লাগল।[১৩] এক দশকের মধ্যে ভারতের বৈদ্যুতিকীকৃত রেলপথ জুড়ে বহু আন্তঃনগর মেমু পরিষেবা চালু হতে লাগল। তখনও দূরপাল্লার পরিবহনের জন্য ভারতকে লোকোমোটিভের উপর নির্ভর হতে হতো।[১৫]

গতি বৃদ্ধির প্রচেষ্টা সম্পাদনা

 
নতুন দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে স্পেনীয় তালগো ট্রেন

ভারতীয় রেলের বেশিরভাগ ইতিহাসে গতি ও সময়ানুবর্তিতা প্রাথমিক চিন্তার বিষয় ছিল না, তখন নিরাপত্তা সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছিল। ২০০৩-০৪ সালে ভারতে ৩২৫টি রেল দুর্ঘটনা হতো এবং ২০১৫-১৬ সালে ভারতে ১০৬টি রেল দুর্ঘটনা হতে লাগল।[১৬] পুরনো আইসিএফ কোচের পরিবর্তে আধুনিক নিরাপদ এলএইচবি কোচ ব্যবহারও রেল দুর্ঘটনা কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ।[১৭] রেল নিরাপত্তার বিষয়টি সামলানোর পরে ভারতীয় রেলের কাছে গতি ও আরাম গুরুত্ব পেতে লাগল। বড় বড় শহরের মধ্যে অর্ধ-উচ্চ-গতির (১৬০–২২০ কিমি/ঘ অথবা ৯৯–১৩৭ মা/ঘ) রেল পরিষেবার জন্য প্রস্তাব হতে লেগেছিল।[১৮] ২০১৬ সালে গতিমান এক্সপ্রেস দেশের প্রথম অর্ধ-দ্রুতগামী রেল পরিষেবা হিসেবে চালু হয়েছিল। ট্রেনটি আগ্রা ক্যান্টনমেন্ট ও তুঘলকাবাদের মধ্যে গ্রেড এ রেলপথের উপর দিয়ে যেত এবং এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৬০ কিমি/ঘ (৯৯ মা/ঘ)।[১৯]

জুন ২০১৬-এ ভারতীয় রেল যৌথভাবে ৫০০০ আধুনিক ইএমইউ কোচ তৈরির জন্য একটি রিকোয়েস্ট ফর কোয়ালিফিকেশনের (আরএফকিউ) আবেদন করেছিল এবং কানাডা, চীন, জার্মানি, ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ডের কাছ থেকে ভাল প্রতিক্রিয়া পেয়েছিল। মেধা ও ভেলের মতো স্থানীয় কোম্পানিও ভাল প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল।[২০] নতুন দিল্লি–মুম্বই প্রধান রেলপথে স্পেনীয় তালগো ট্রেন একটি পরীক্ষা নিয়েছিল। ট্রেনটি দশ ঘণ্টার মধ্যে যাত্রা সম্পূর্ণ করেছিল (যা রাজধানী এক্সপ্রেসের থেকে প্রায় ছয় ঘণ্টা কম) এবং এর গড় বেগ ১১৭.৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা (৭৩.০ মা/ঘ)।[২১] কিন্তু রেল মন্ত্রক বলল যে ভারতীয় রেল কোনও প্রত্যক্ষ চুক্তিতে রাজি হতে পারবে না এবং তাকে টেন্ডারিঙের মাধ্যমে যেতে বলেছিল। যেহেতু অন্য কোনও দরদাতা ছিল না, সেহেতু এই ট্রেনের লাভ করা অসম্ভব বলে মনে হয়েছিল। মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্প নতুন প্রজন্মের ইএমইউ অর্ধ-দ্রুতগামী ট্রেন স্বদেশীভাবে তৈরির জন্য ইন্ধন যুগিয়েছিল।[২২]

প্রথম বন্দে ভারত সম্পাদনা

ইএমইউ অর্ধ-উচ্চ-গতির ট্রেন চালু করার বৈদেশিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর আইসিএফে জেনারেল ম্যানেজার সুধাংশু মানির নেতৃত্বে ভারতীয় রেল আমদানির অর্ধেক দামে নতুন ইএমইউ ট্রেনের নকশা তৈরি করতে শুরু করেছিল। যেহেতু এই ট্রেন ২০১৮ সালের মধ্যে প্রস্তুত হওয়ার কথা ছিল, তাই এর নাম প্রথমে "ট্রেন ২০১৮" এবং পরে "ট্রেন ১৮" রাখা হয়েছিল। ট্রেনটি সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং সেখানে ছিল স্বয়ংক্রিয় প্লাগ দরজা, কামরার ভিতর ওয়াই-ফাই, ইনফোটেনমেন্টসহ বহু আধুনিক পরিষেবা। এধরনের ট্রেন দেশে প্রথম এবং এটি ভবিষ্যতে এগোনোর এক মাইলফলকস্বরূপ।[২৩] ট্রেন ১৮-এর নকশা এলএইচবি কোচের আদলে করা হয়েছিল। ১৬টি চেয়ার কার ও ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা (৯৯ মা/ঘ) গতিবেগের এই ট্রেন শতাব্দী এক্সপ্রেসের পরিবর্তে আসার কথা ছিল।[২৪][২৫]

কাকতলীয়ভাবে ট্রেন ১৮, ১৮ মাসের মধ্যে তৈরি হয়ে গিয়েছিল। এর তৈরির খরচ ₹৯৭ কোটি এবং এর ৮০% উপাদান স্বদেশী।[২৬] পরীক্ষার সময় ১৮০ কিমি/ঘ (১১০ মা/ঘ) বেগ নিয়ে ট্রেন ১৮ ভারতের সবচেয়ে দ্রুত ইএমইউ ট্রেন, যা ১৯৯৭ সালের ১৮৪ কিমি/ঘ (১১৪ মা/ঘ) বেগের ডাব্লিউএপি-৫ ক্লাস লোকোমোটিভের থেকে ৪ কিমি/ঘ (২.৫ মা/ঘ) কম।[২৭][২৮] ট্রেন ১৮-এর নাম পরে "বন্দে ভারত" রাখা হয়েছিল যেহেতু এটি সম্পূর্ণভাবে ভারতীয় কারিগরদের দ্বারা ভারতে তৈরি হয়েছে।[২৯]

উদ্বোধন ও প্রাথমিক পরিষেবা সম্পাদনা

 
নতুন দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করছেন

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯-এ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে দিল্লি ও বারাণসীর মধ্যে প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেছিলেন।[৩০][৩১] ট্রেনটি কানপুরপ্রয়াগরাজ হয়ে বারাণসীকে রাজধানীর সঙ্গে যুক্ত রাখে এবং ঐ পথ বরাবর যাত্রার সময় ১৫% কমে গিয়েছিল।[৯] দিল্লি ও বারাণসীর মধ্যে এই ৮-ঘণ্টার যাত্রা শহরদুটির মধ্যে ৭৬২ কিলোমিটার (৪৭৩ মা) পথ অতিক্রান্ত করে।[৩২] পরের বছর, দিল্লি ও কাটরার মধ্যে দ্বিতীয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হয়েছিল, যা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের প্রথম প্রজন্মের ট্রেন (ভিবি১)।[৩৩]

দ্বিতীয় প্রজন্মের ট্রেনসেট সম্পাদনা

জানুয়ারি ২০২১-এ ৪৪টি দ্বিতীয় প্রজন্মের বন্দে ভারত ট্রেনসেট তৈরির জন্য ভারতীয় রেল হায়দ্রাবাদ ভিত্তিক মেধা সার্ভো ড্রাইভসের সঙ্গে  ২,২১১ কোটি (US$ ২৭০.২৬ মিলিয়ন) চুক্তি করেছিল, এবং আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্প অনুযায়ী ট্রেনসেটটির ৭৫% উপাদানের উৎস স্থানীয় হওয়া উচিত।[৩৪][৩৫] মার্চ ২০২২-এ ৫৮টি অতিরিক্ত ট্রেনসেটের জন্য ভারতীয় রেল ৭টি কোম্পানির সঙ্গে মোট  ১৮.৫ বিলিয়ন (US$ ২২৬.১৩ মিলিয়ন) চুক্তি করেছিল। সাতটি কোম্পানি হলো মেধা সার্ভো ড্রাইভস, অ্যালস্টম, সিমেন্স, ভারত হেভি ইলেক্ট্রিক্যালস লিমিটেড (ভেল), টিটাগড় ওয়াগনস, সাইনি ইলেক্ট্রিকালস ও সিজিএল।[৩৬] নির্মাণের সময় ২০২২-এ ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের জন্য ইউক্রেন থেকে চাকা আমদানি ব্যহত হয়েছিল।[৩৭][৩৮]

বিবিধ পরিবর্তন সম্পাদনা

জুলাই ২০২৩-এ বিগত ৩০ দিনে বন্দে ভারতসহ যেসব ট্রেনের অকিউপেন্সি ৫০%-এর কম, সেইসব ট্রেনের এসি চেয়ার কার ও এগজিকিউটিভ শ্রেণির ভাড়া ২৫% পর্যন্ত কমানো হয়েছে।[৩৯] একই মাসে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সাদা-নীলের রঙের পরিবর্তে সাদা-গেরুয়া-কালো রং চালু করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।[৪০] রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের মতে, ভারতের জাতীয় পতাকা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ট্রেনটির এমন রং করা হয়েছে।[৪১]

কারিগরি সম্পাদনা

বন্দে ভারত ট্রেনের অগ্রভাগ বায়ুগতীয়, অর্থাৎ এটি উচ্চগতিতে বায়ুর ঘর্ষণ এড়াতে পারে।[৪২]ট্রেনের প্রতিটি প্রান্তে একটি ড্রাইভার কক্ষ রয়েছে, যার ফলে লাইনের প্রতিটি প্রান্তে দ্রুত চালক পরিবর্তন করা যায়, যা লোকোমোটিভ ট্রেনে সম্ভব নয়।[৪৩] ট্রেনটিতে ১৬টি কোচ বর্তমান ওজন এবং এটি ১,৮২৮ জন যাত্রী ধারণ করতে পারে।[৪৪]

কেন্দ্রীয় দুটি কামরায় প্রথম শ্রেণির কামরা রয়েছে যার প্রতিটিতে ৫২টি আসন রয়েছে, বাকি কামরাগুলিতে ৭৮টি ক'রে আসন আছে।[৪৫] প্রত্যেক কামরার চ্যাসিসের দৈর্ঘ্য ২৩ মিটার (৭৫ ফু) এবং ট্রেনের বহিঃকাঠামো মরিচাবিহীন ইস্পাত দিয়ে তৈরি।[৪৬] উভয়প্রান্তের কোচগুলি মোটরাইজড যাতে ক'রে ক্ষমতার সমবণ্টন এবং দ্রুত ত্বরণ ও মন্দন সম্ভব হয়। গাড়িগুলি পরস্পর যুক্ত এবং সম্পূর্ণভাবে সিল করা যাতে ক'রে কামরাগুলির মধ্যে সহজে যাতায়াত করা যায় এবং আওয়াজ কম হয়। ট্রেনে জিপিএস ভিত্তিক যাত্রী তথ্য ব্যবস্থা, বায়ো-ভ্যাকুয়াম টয়লেট, এগজিকিউটিভ চেয়ার কারে ঘূর্ণায়মান আসন যা যাত্রার অভিমুখে ঘোরানো যায়[৪৭] এবং রিজেনারেটিভ ব্রেকিং ব্যবস্থা বর্তমান।[৪৮]

বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সর্বোচ বেগ ১৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা (১১০ মা/ঘ)।[৪৯][৫০] আমদানি করা উপাদানের মধ্যে আছে চাকা, আসন, দরজা, ব্রেকিং ব্যবস্থা, রূপান্তরক ও বিভিন্ন বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম যেমন প্রসেসিং চিপ।[৪৬][৫১]

মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্প অনুযায়ী ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (আইসিএফ) বন্দে ভারত ট্রেনসেট তৈরি করে। নকশা উন্নয়ন ও নতুন বিশিষ্টের ভিত্তিতে ট্রেনটির বিভিন্ন প্রজন্ম বর্তমান।[৫২][৫৩]

বন্দে ভারত ১.০ সম্পাদনা

বন্দে ভারত ১.০
ইকোনমি চেয়ার কার
এগজিকিউটিভ চেয়ার কার

বন্দে ভারত ১.০ (ভিবি১), ৫৪.৬ সেকেন্ডে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা (৬২ মা/ঘ) বেগে ত্বরান্বিত হতে পারে এবং ১৪৫ সেকেন্ডে এটি সর্বোচ্চ বেগে পৌঁছয়। এর ওজন ৪৩০ টন (৪,৩০,০০০ কেজি; ৯,৫০,০০০ পা)।[৪৪] ট্রেনটির মধ্যে ২৪ ইঞ্চি (৬১০ মিমি) টেলিভিশন স্ক্রিন বর্তমান যা যাত্রীদের তথ্য ও মনোরঞ্জন দেয় ট্রেনটির আন্ডারফ্রেম বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ৪০ সেন্টিমিটার (১৬ ইঞ্চি) বন্যা সহ্য করতে পারে।[৪৯][৫০] একমাত্র নতুন দিল্লি–শ্রী মাতা বৈষ্ণো দেবী কাটরা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ভিবি১ প্রজন্মের ট্রেন।[৫৪]

বন্দে ভারত ২.০ সম্পাদনা

বন্দে ভারত ২.০
ইকোনমি চেয়ার কার
এগজিকিউটিভ চেয়ার কার

বন্দে ভারত ২.০ (ভিবি২), ৫২ সেকেন্ডে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা (৬২ মা/ঘ) বেগে ত্বরান্বিত হতে পারে,[৫৫] যা পূর্বের প্রজন্মের তুলনায় প্রায় ২ সেকেন্ড বেশি। ট্রেনটি ১৪০ সেকেন্ডে ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা (৯৯ মা/ঘ) বেগে ত্বরান্বিত হতে পারে, যা পূর্বের প্রজন্মের তুলনায় ৫ সেকেন্ড বেশি। এর ওজন ৩৯২ টন (৩,৯২,০০০ কেজি; ৮,৬৪,০০০ পা), যা পূর্বের প্রজন্মের তুলনায় হাল্কা। ট্রেনটির মধ্যে আরও বড় ৩২ ইঞ্চি (৮১০ মিমি) টেলিভিশন স্ক্রিন এবং ওয়াই-ফাই বর্তমান। ভিবি২-এর শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় শক্তির খরচ পূর্বের প্রজন্মের তুলনায় ১৫% কম হয়। ভিবি২-এ স্বয়ংক্রিয় প্লাগ ডোর, স্লাইডিং ডোর যাকে স্পর্শ করার দরকার নেই, আপতকালীন যোগাযোগ ব্যবস্থা, অভিগম্য শৌচাগার, আরও বড় চালক কামরা এবং সমস্ত কোচে হেলানো আসন বর্তমান।[৪৯][৫০] পূর্বের প্রজন্মের আসন হেলানোর সমস্যা সমাধানের জন্য নতুন আসনে পুশ-ব্যাক সরঞ্জাম বর্তমান।[৫৬][৫৭]

ভিবি২-এ কবচ প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন সুরক্ষা ব্যবস্থা বর্তমান।[৫৮] ট্রেনটিতে উন্নত পরিষেবা, নিরাপত্তা, নজরদারি ব্যবস্থা এবং বিভিন্ন আপতকালীন ব্যবস্থা বর্তমান। আসনগুলি ফাইবার রিইনফোর্স‌ড পলিমার (এফআরপি) দিয়ে তৈরি, যা টাটা স্টিলের কম্পোসিট বিভাগে প্রস্তুত হয়।[৫৯][৬০][৬১] নতুন প্রজন্মে চারটি আপতকালীন জানালা, আলোর ব্যবস্থার ত্রুটির সময় প্রত্যেক কোচে বিপর্যয় আলো, দরজায় ফায়ার সারভাইভল কেবল, শীতাতপ নিয়ন্ত্রক নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে তিন ঘণ্টার ভেন্টিলেশন এবং প্রতি কোচে চারটি অতিরিক্ত আপতকালীন পুশ বটন।[৫৬][৫৭] নতুন কোচে সমস্তরকম বিদ্যুৎ ও জলবায়ু নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীভূত কোচ মনিটরিং সিস্টেমসহ অন্যান্য সরঞ্জাম বর্তমান। এক কর্মীর মতে, নতুন কোচগুলিতে ব্যাকটেরিয়ামুক্ত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং ৬৫ সেন্টিমিটার (২৬ ইঞ্চি) মৌসুমির জন্য উচ্চ বন্যা প্রতিরোধকারী বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বর্তমান।[৫৬][৫৭]

রূপান্তরিত রেক সম্পাদনা

দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট–আজমির বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনে উচ্চ প্যান্টোগ্রাফ ব্যবহৃত হয়েছে, যেহেতু ডবল স্ট্যাকড কন্টেনার ও ডবল ডেকার এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য দিল্লি–জয়পুর রেলপথে তুলনায় উঁচু ক্যাটেনারি ব্যবহৃত হয়েছে।[৬২] এটি বিশ্বের প্রথম উচ্চ প্যান্টোগ্রাফবিশিষ্ট অর্ধ-উচ্চ-গতির যাত্রীবাহী ট্রেন।[৬৩]

রেক গঠন সম্পাদনা

নিচে ট্রেনটির সমস্ত পরিচালিত রূপের রেক গঠন দেওয়া হয়েছে:[৬৪]

সংক্ষেপ
প্রথম প্রজন্মের ১৬-গাড়ি বন্দে ভারত ট্রেনের রেক গঠন
ক্রমিক নং ১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬
যাত্রা শ্রেণি সিসি ইসি সিসি
পাওয়ার কনফিগারেশন ডিটিসি এমসি টিসি এমসি২ এনডিটিসি এমসি টিসি এমসি২ এনডিটিসি এমসি টিসি এমসি২ এমসি৩ টিসি এমসি ডিটিসি
বেসিক পাওয়ার ইউনিট ইউনিট ১ ইউনিট ২ ইউনিট ৩ ইউনিট ৪
আসনসংখ্যা ৪৪ ৭৮ ৭৮ ৭৮ ৭৮ ৭৮ ৭৮ ৫২ ৫২ ৭৮ ৭৮ ৭৮ ৭৮ ৭৮ ৭৮ ৪৪
দ্বিতীয় প্রজন্মের ১৬-গাড়ি বন্দে ভারত ট্রেনের রেক গঠন
ক্রমিক নং ১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬
যাত্রা শ্রেণি সিসি ইসি সিসি
পাওয়ার কনফিগারেশন ডিটিসি এমসি টিসি এমসি২ এমসি টিসি এমসি২ এনডিটিসি এনডিটিসি এমসি২ টিসি এমসি এমসি২ টিসি এমসি ডিটিসি
বেসিক পাওয়ার ইউনিট ইউনিট ১ ইউনিট ২ ইউনিট ৩ ইউনিট ৪
আসনসংখ্যা ৪৪ ৭৮ ৭৮ ৭৮ ৭৮ ৭৮ ৭৮ ৫২ ৫২ ৭৮ ৭৮ ৭৮ ৭৮ ৭৮ ৭৮ ৪৪
দ্বিতীয় প্রজন্মের ৮-গাড়ি বন্দে ভারত ট্রেনের রেক গঠন
ক্রমিক নং
যাত্রা শ্রেণি সিসি ইসি সিসি
পাওয়ার কনফিগারেশন ডিটিসি এমসি টিসি এমসি২ এমসি২ টিসি এমসি ডিটিসি
বেসিক পাওয়ার ইউনিট ইউনিট ১ ইউনিট ২
আসনসংখ্যা ৪৪ ৭৮ ৫২ ৭৮ ৭৮ ৭৮ ৭৮ ৪৪

ভবিষ্যত সম্পাদনা

বন্দে ভারত ৩.০ সম্পাদনা

বন্দে ভারত ৩.০ (ভিবি৩) প্রথমবার শয়নযান, অর্থাৎ শোয়া যায় এমন কামরা, চালু করতে পারে। ট্রেনটিতে তিনটি শ্রেণিথাকবে:১এ, ২এ অ ৩এ। ভিবি৩-র সর্বোচ্চ বেগ ১৮০–২০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা (১১০–১২০ মাইল প্রতি ঘণ্টা) এবং নকশা অনুযায়ী এর মেয়াদ ৩৫ বছর হবে।[৬৫] ভিবি৩, ভিবি২-এর তুলনায় হাল্কা ও আরও শক্তি সাশ্রয়ী হবে এবং আরও ভাল যাত্রী সুবিধা থাকবে।[৬৬] ভিবি৩ ট্রেনসেটের অর্ধেক কোচ ইস্পাত এবং বাকি অর্ধেক আর্টি‌কুলেটেড বগিসহ অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি হবে।[৬৭]

২০২২ সালের এপ্রিলে ভারতীয় রেল ২০০টি ভিবি৩ ট্রেনসেটের নকশা ও প্রস্তুতির জন্য নিলাম ডেকেছিল। ভারতীয় রেল অনুমান করেছিল যে এর খরচ ২৬,০০০ কোটি (US$ ৩.১৮ বিলিয়ন) হতে পারে।[৬৫] এই অনুমানের মধ্যে ভিবি৩ প্রস্তুতির জন্য মারাঠওয়াড়া রেল কোচ ফ্যাক্টরি বা ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরির পরিকাঠামোর উন্নয়নের খরচ ধরা হয়েছে।[৬৮] রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিলামে জয়ী সংস্থাকে ৩৫ বছর ধরে আরও ৩২,০০০ কোটি (US$ ৩.৯১ বিলিয়ন) খরচ করবে। নিলামে জয়ী সংস্থাকে কন্ট্রাক্ট লাভের ২৪ মাসের মধ্যে প্রথম ভিবি৩-এর প্রতিরূপ তৈরি করতে হবে।[৬৯]

বন্দে ভারত ৪.০ সম্পাদনা

বন্দে ভারত ৪.০ (ভিবি৪) ট্রেনের বেগ ২০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা (১২০ মাইল প্রতি ঘণ্টা) অপেক্ষা বেশি হতে পারে।[৭০] ভিবি৪-এর কোচগুলি এক হাল্কা অ্যালুমিনিয়ামের সংকর ধাতু দিয়ে তৈরি হবে। ভিবি৪-এ আরও উন্নত যাত্রী সুবিধা থাকতে পারে, যেমন প্রত্যেক যাত্রীর জন্য ৩-পিন সকেট এবং ইউএসবি পাওয়ার সকেট, জিরো ডিসচার্জ শৌচাগার এবং হুইলচেয়ারে ভ্রমণকারী প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা। ভিবি৪-এর সঙ্গে ৬০০ কিলোগ্রাম (১,৩০০ পাউন্ড) পর্যন্ত প্রাণীর সংঘাত সহ্য করতে পারে এবং সংঘাতের সময় প্রাণীদের ট্রেনের তলা দিয়ে চলার হাত থেকে রক্ষা করে।[৭১]

সমস্ত ভিবি৪ ট্রেনসেটগুলি টিল্টিং ট্রেন হবে, অর্থাৎ রেলপথে বাঁক থাকলে ট্রেনও বাঁকবে। ভিবি৪ ভারতের প্রথম টিল্টিং ট্রেন হতে পারে।[৭২] ২০২৪ সালে প্রথম ভিবি৪ চালু হতে পারে।[৭৩]

রফতানি সম্পাদনা

বন্দে ভারত ট্রেনের উদ্বোধনের পর ভারতীয় রেল দক্ষিণপূর্ব এশিয়াদক্ষিণ আমেরিকার কিছু দেশ থেকে আবেদন পেয়েছে।[৭৪] ভারতীয় রেলের এক বোর্ড মেম্বার বলেছেন যে গ্রাহকদের প্রয়োজন অনুযায়ী ট্রেনটিকে পরিবর্তিত করা যায়।[৭৫][৭৬] নভেম্বর ২০২২-এ এক রেলকর্মী বলেছেন যে রেল মন্ত্রক ২০২৬-এ বন্দে ভারত ট্রেনসেট রফতানির পরিকল্পনা তৈরি করছে। রফতানি তবেই শুরু হবে যখন অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য ৪৭৫টি ট্রেনসেট তৈরি হবে।[৭৭]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Upgraded Vande Bharat 2.0 starts plying between Delhi and Varanasi"Hindustan Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ মার্চ ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০২৩ 
  2. "First Semi-high-speed Train in India: All You Need to Know"The Times of India। ১১ এপ্রিল ২০২৩। আইএসএসএন 0971-8257। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০২৩ 
  3. "Stainless steel – The optimum material choice for Vande Bharat Trainsets"Financialexpress (ইংরেজি ভাষায়)। ২৮ জুলাই ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০২৩ 
  4. Sushil (১৮ অক্টোবর ২০২২)। "10 Amazing Facts You Don't Know About India's Vande Bharat Train"India State Book (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০২৩ 
  5. "Vande Bharat Trainset maintenance manual" (পিডিএফ)indianrailways। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০২০ 
  6. "Specification and standards of Vande Bharat trains" (পিডিএফ)indianrailways। ২৭ এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০২৩ 
  7. "Vande Bharat Express: All you need to know about newly made semi-high speed train"The Economic Times। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২। আইএসএসএন 0013-0389। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০২৩ 
  8. "Railways plans for higher capacity lines to run Vande Bharat trains"The Economic Times। ৮ জুন ২০২২। আইএসএসএন 0013-0389। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০২৩ 
  9. "Train 18, India's first engine-less train, set to hit tracks on October 29", The Indian Express, ২৪ অক্টোবর ২০১৮ 
  10. "Bhopal Delhi Vande Bharat Express: TOP SPEED of 160 kmph! Is food free in Delhi to Bhopal semi high-speed train? Know time, route, ticket price"TimesNow (ইংরেজি ভাষায়)। ৩ এপ্রিল ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০২৩ 
  11. "Jaipur-Delhi Vande Bharat to take 1.45 hours at 150 kmph, schedule, launch month revealed"DNA India। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০২৩ 
  12. "Age is just a number, she can keep Mumbai's life on track even at 90"। Indian Express। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। 
  13. "Electrical Multiple Units" (PDF)Indian Rail Info। ১৫ অক্টোবর ১৯৯৯। 
  14. "Historical Background of Railway Electrification"core.indianrailways.gov.in। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২৩ 
  15. "MEMU"www.irfca.org। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২৩ 
  16. "What Explains the High Number of Railway Accidents?"The Wire। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২৩ 
  17. "LHB coaches reduced number of casualties"Deccan Herald (ইংরেজি ভাষায়)। ২৬ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২৩ 
  18. "Rail Budget 2014: High-speed trains proposed to connect major cities"The Economic Times। ৮ জুলাই ২০১৪। আইএসএসএন 0013-0389। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২৩ 
  19. "Delhi-Agra at 160 kmph: 10 points about Gatimaan, India's fastest train"Hindustan Times (ইংরেজি ভাষায়)। ৫ এপ্রিল ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০২৩ 
  20. PTI (২ মে ২০১৭)। "Indian Railways to invite bids for manufacturing modern coaches"The Statesman (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২৩ 
  21. Dhoot, Vikas (২৪ জুলাই ২০১৫)। "Train from Spain: Government considering Talgo proposal to run trial runs of faster trains between Mumbai, Delhi"Economic Times। New Delhi। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০১৫ 
  22. Rakesh Ranjan (২ জানুয়ারি ২০১৮)। "Talgo high-speed trains stop in their tracks after government waves red flag"India Today (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০২১ 
  23. "Indian Railways to roll out 'Make in India' 160 kmph self-propelled 'world-class' train sets at half the cost of import!"Financialexpress (ইংরেজি ভাষায়)। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২৩ 
  24. "Indian Railways enters new league! Swanky 160 kmph engine-less Make in India train is too good; 15 features"Financialexpress (ইংরেজি ভাষায়)। ২৭ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২৩ 
  25. "Indian Railways to Replace Shatabdi Express with 'Made in India' Semi-High Speed, Engine-Less Train 18 | India.com"www.india.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২৩ 
  26. "Train 18: Country's first engine-less train rolled out; Train 20 next"The Economic Times। ২৯ অক্টোবর ২০১৮। আইএসএসএন 0013-0389। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২৩ 
  27. "[IRFCA] Evolution of High-Speed Haulage on Indian Railways"www.irfca.org। ১৬ মার্চ ২০২২ তারিখে মূল |url= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২৩ 
  28. "Train 18 becomes India's fastest train"The Economic Times। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮। আইএসএসএন 0013-0389। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২৩ 
  29. "Train 18 named Vande Bharat Express: Piyush Goyal"The Economic Times। ২৭ জানুয়ারি ২০১৯। আইএসএসএন 0013-0389। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২৩ 
  30. "Vande Bharat Express flagged off: How to book, fares and more"Hindustan Times (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২৩ 
  31. "Train 18: PM Modi to flag off Vande Bharat Express on February 15 from New Delhi"Business Today। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  32. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; বন্দে-ভারত-গোরু নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  33. "Vande Bharat Express: Reach Katra in 8 hours from Delhi - Amit Shah flags off Vande Bharat Express"The Economic Times। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২৩ 
  34. Jacob, Shine (২১ সেপ্টেম্বর ২০২০)। "Indian Railways floats fresh tender for 44 Vande Bharat train sets"Business Standard India। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০২২ 
  35. "Railways award contract of ₹2211 crore for manufacturing 44 Vande Bharat rakes"Hindustan Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ জানুয়ারি ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০২২ 
  36. Jha, Srinand (১৪ মার্চ ২০২২)। "Indian Railways awards traction contracts for Vande Bharat EMU fleet"International Railway Journal। ৩ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০২২ 
  37. "First shipment of Vande Bharat Train wheels from war-torn Ukraine to reach Chennai on May 12"Moneycontrol (ইংরেজি ভাষায়)। ৯ মে ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০২৩ 
  38. "First shipment of Vande Bharat Train wheels from war-torn Ukraine to reach Chennai on May 12"Moneycontrol (ইংরেজি ভাষায়)। ৯ মে ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০২২ 
  39. "Fares Of THESE AC Chair Cars, Executive Class Including Vande Bharat To Be Reduced By Up to 25%"TimesNow (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৭-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-০৯ 
  40. "Vande Bharat New Design: Railway Minister Ashwini Vaishnaw Inspects New Colour Pattern | Check Pic Inside"TimesNow (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৭-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-০৯ 
  41. "নীল-সাদা নয়, এ বার অন্য রূপে দেখা যাবে বন্দে ভারতকে, গেরুয়া রঙ্গে ছুটবে 'সেমি হাই স্পিড' ট্রেন"আনন্দবাজার পত্রিকা। ২০২৩-০৭-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১১ 
  42. "Train 18: Country's first engine-less train rolled out; Train 20 next"The Economic Times। ২৯ অক্টোবর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৮ 
  43. "Self-propelled Train 18 debuts for trial run"United News of India। ২৯ অক্টোবর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৮ 
  44. Shine, Jacob (২৯ অক্টোবর ২০১৮)। "Train 18, India's first engine-less train, is also the country's fastest"Business Standard। New Delhi, India। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৮ 
  45. "Pics: Train 18 To Begin Trial Run Today. Here Are 10 Things To Know"NDTV Profit। ২৯ অক্টোবর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৮ 
  46. দাসগুপ্ত, মৌসুমি (২৩ অক্টোবর ২০২২)। "Hi-tech machines, 9,000+ workforce — inside Integral Coach Factory making Vande Bharat trains"ThePrint (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০২২ 
  47. "Train 18: Top features and facilities of the country's 'fastest train'"The Hindu। ৩ ডিসেম্বর ২০১৮। 
  48. Prabhakar, Siddarth (৯ ডিসেম্বর ২০১৮)। "ICF asked to make two more Train-18 rakes before Lok Sabha polls"Times of India 
  49. "Vande Bharat train gets safety nod, likely to be flagged off on September 30"Hindustan Times (ইংরেজি ভাষায়)। ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০২২ 
  50. "Vande Bharat Express: Everything you need to know about the semi-high-speed train"cnbctv18.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ নভেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০২২ 
  51. Prabhakar, Siddarth (২৩ অক্টোবর ২০১৮)। "First Made-in-India engineless train gets on track for trial run - Times of India"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৮ 
  52. Sanyal, Debarghya (১ ডিসেম্বর ২০২২)। "Who's the brain behind Vande Bharat?"www.business-standard.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০২২ 
  53. Who's the brain behind Vande Bharat?Business Standard। ১ ডিসেম্বর ২০২২। ২ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০২২YouTube-এর মাধ্যমে। 
  54. "Vande Bharat Express trains now operational on 15 routes in India. See full list"Hindustan Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২১ মে ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২৩ 
  55. "Vande Bharat Express Engine Type Power 0 to 100Km/h"Vande Bharat (ইংরেজি ভাষায়)। ২৪ জানুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ 
  56. "Upgraded Vande Bharat trains with new features to be ready by 2022"। Hindustan Times। ২০ আগস্ট ২০২১। 
  57. "New Vande Bharat Train Sets To Be Equipped For Emergency Evacuation"। NDTV। ২০ আগস্ট ২০২১। 
  58. Jha, Srinand (৭ অক্টোবর ২০২২)। "Indian Railways launches upgraded Vande Bharat EMU"International Railway Journal (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০২২ 
  59. "Vande Bharat Express to get aircraft-style passenger amenities - All details"। আগস্ট ২০২২। 
  60. "Indian Railways: Vande Bharat trains to get 'First-in-India': Tata Steel-made 180 degrees rotating seats"Lokmat Times। ১ আগস্ট ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০২৩ 
  61. Gaur, Madhavi (৯ আগস্ট ২০২২)। "TATA Steel to spend 3000 cr on seating for new Vande Bharat trains" 
  62. Jain, Smriti (১ মার্চ ২০২৩)। "Why Vande Bharat Express train is being modified for Delhi-Jaipur route"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০২৩ 
  63. "PM Narendra Modi flags off Delhi-Ajmer Vande Bharat Express"The Times of India। New Delhi। ১২ এপ্রিল ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০২৩ 
  64. "VBE Maintenance Manual Volume II" (পিডিএফ)। Indian Railways। 
  65. Dipak K. Dash (২৭ এপ্রিল ২০২২)। "Railways invites bids for 200 Vande Bharat trains with sleeper coaches for long-distance travel"The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০২২ 
  66. "Railways plans speedy roll-out of improved Vande Bharat fleet"Free Press Journal (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০২২ 
  67. Dipak K. Dash (২১ জুলাই ২০২২)। "Railways floats tender to procure 100 Vande Bharat trains with a maximum design speed of 200 km/h – Times of India"The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০২২ 
  68. "Indian Railways extends deadline for bids for 200 third-generation Vande Bharat train sets to October"Moneycontrol (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০২২ 
  69. Livemint (১ ডিসেম্বর ২০২২)। "BHEL bids for ₹58,000 cr deal to manufacture, maintain 200 Vande Bharat trains"mint (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০২২ 
  70. Surabhi (১৭ জুলাই ২০২২)। "Railways floats fresh tender for 200 next generation Vande Bharat trains"www.thehindubusinessline.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০২২ 
  71. "Aluminium-Bodied, Speed of 200 Km/Hour: Govt Invites Tenders for 4th-Gen 200 Vande Bharat Trains"News18 (ইংরেজি ভাষায়)। ১৮ জুলাই ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০২২ 
  72. "India to get 100 Vande Bharat trains with technology to tilt on turns by 2025"mint (ইংরেজি ভাষায়)। ২৫ নভেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০২২ 
  73. "India to soon get tilting trains!"The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০২২ 
  74. "Train 18 for exports after domestic demand is met: Railway official"Mint (ইংরেজি ভাষায়)। ২১ মে ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০২২ 
  75. Jain, Smriti (১৮ জানুয়ারি ২০১৯)। "Train 18 sets to be exported! Indian Railways looks to enter $200 billion world market for trains"Financial Express। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৯ 
  76. PTI (১৮ জানুয়ারি ২০১৯)। "Many Countries Interested in Importing India's Train 18 Set: Railway Officials"NDTV। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৯ 
  77. Bhargava, Yuthika (২৬ নভেম্বর ২০২২)। "Railways plans to export Vande Bharat trains by 2025–26"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০২২ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা