প্রবেশদ্বার:মুহাম্মাদ


ইসলাম প্রবেশদ্বার | মুহাম্মাদ (সাঃ) প্রবেশদ্বার | ইসলাম কি? | সূচক | উইকিপ্রকল্প | বিষয়শ্রেণী |
প্রবেশদ্বার মুহাম্মাদ (সা.)মুহাম্মাদ (সা.) ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক যিনি ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে এই পৃথিবীতে আগমন করেন। মা আমিনার মৃত্যুর পর দাদা এবং তার মৃত্যুর পর চাচা আবু তালিবের উপর তাঁর প্রতিপালনের ভার ন্যস্ত হয়। তিনি ৫৮২ খ্রিষ্টাব্দে ১২ বছর বয়সে আবু তালিবের সঙ্গে সিরিয়া যান এবং খ্রিস্টান পন্ডিত ও পাদ্রী বুহাইরা কর্তৃক প্রতিশ্রুত শেষ নবী হিসেবে চিহ্নিত হন। ২৫ বছর বয়সে বিবি খাদিজার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ৬০৫ খ্রিষ্টাব্দে হেরা গুহায় তাঁর ধ্যানমগ্ন জীবনের সূচনা হয়। ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন। নবুয়তের ৫ম বর্ষে উসমান এর নেতৃত্বে ১৬ সাহাবীর দলের আবিসিনিয়া হিজরত করেন। ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে মদিনায় হিজরতের জন্য সাহাবীগণের প্রতি নির্দেশ জারী করেন। ৮ম হিজরীতে মক্কা বিজয়, হুনাইনের যুদ্ধে ও তায়েফে ইসলামের বিজয় হয়। ৯ম হিজরীতে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক হজ্জের বিধান প্রবর্তন হয়। ১০ম হিজরীতে বিদায় হজ্জ্বে আরাফাতের ময়দানে মানব জাতির জন্য দিক-নির্দেশনামূলক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। ৬৩ বছর ৪ দিন বয়সে ১লা রবিউল আউয়াল, একাদশ হিজরি, রোজ সোমবার সূর্যাস্তের পূর্বে ওফাত লাভ করেন। | |||
নির্বাচিত জীবনী ![]() খাদিজা (রাঃ) ইসলাম গ্রহণকারী প্রথম ব্যক্তি এবং হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর প্রথম স্ত্রী। তিনি ছিলেন তৎকালীন মক্কা নগরের অন্যতম ধনাঢ্য মহিলা। কুরাইশরা সম্মানের সাথে উপনাম দিয়েছিল, ‘তাহিরা’ অর্থাৎ ‘খাঁটি মহিলা’ (আল-ইসাবা)। মুহাম্মদ(সাঃ) এর সাথে বিয়ের পূর্বে খাদিজা (রাঃ) এর দুই বার বিয়ে হয়েছিল। প্রথম স্বামী মারা যাবার পর উত্তরাধিকার সূত্রে বিপুল সম্পত্তি লাভ করেছিলেন এবং এই সম্পত্তি ব্যবসায় নিয়োগ করেন। একজন নারী হয়েও প্রতিকুল পরিবেশে অত্যন্ত দক্ষ হস্তে ব্যবসাকে সম্বৃদ্ধ করে তোলেন এবং ক্রমান্বয়ে এক সময় মক্কার সেরা ব্যবসায়ীতে পরিণত হোন।
নির্বাচিত নিবন্ধ ![]() মুহাম্মাদ (আরবি: مُحَمَّد, প্রতিবর্ণীকৃত: মুহাম্মাদ; আনু. ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দ – ৮ জুন ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দ) একজন ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতা এবং ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক ছিলেন। পূর্ণ সম্মানসূচক নাম হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। ইসলামি মতবাদ অনুযায়ী, তিনি আল্লাহর প্রেরিত একজন নবি যিনি আদম, ইব্রাহিম, মুসা, ঈসা এবং অন্যান্য নবিদের একত্ববাদী শিক্ষাকে প্রচার ও দৃঢ় করতে এসেছিলেন। মুসলিমগণ বিশ্বাস করেন যে, মুহাম্মাদ ছিলেন আল্লাহ প্রেরিত শেষ নবি ও রাসুল এবং কুরআন ও মুহাম্মাদের জীবনাদর্শ হলো ইসলাম ধর্মের মূলভিত্তি। মুহাম্মাদ আনুমানিক ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে মক্কা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্তালিব এবং মাতার নাম আমিনা বিনতে ওহাব। মুহাম্মাদের জন্মের পূর্বেই তার পিতা মৃত্যুবরণ করেন এবং ছয় বছর বয়সে তার মাতা মৃত্যুবরণ করেন। এভাবে তিনি পরিপূর্ণ এতিম হয়ে যান। এতিম মুহাম্মাদ তার দাদা আব্দুল মুত্তালিব এবং পরে তার চাচা আবু তালিবের আশ্রয়ে বড় হন। তিনি শৈশবে মেষপালক ছিলেন এবং পরবর্তীতে বাণিজ্যে নিযুক্ত হন। তিনি ২৫ বছর বয়সে খাদিজাকে বিয়ে করেন। ইসলামের আগমনের পূর্ব থেকে তিনি মূর্তি পূজা এবং পৌত্তলিক রীতিনীতি বর্জন করে চলতেন। পরবর্তী জীবনে, তিনি মাঝে মাঝে নূর পর্বতের হেরা নামক গুহায় রাত্রি যাপন করতেন এবং একাগ্রচিত্তে ধ্যানমগ্ন থাকতেন। মুহাম্মাদ পড়তে পারতেন না এবং লিখতে জানতেন না। আনুমানিক ৬১০ খ্রিস্টাব্দে, হেরা গুহায় অবস্থানকালে জিবরাইল নামক ফেরেশতা মুহাম্মাদের কাছে আসেন এবং তাকে আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রথম ওহি বা বাণী পৌঁছে দেন। তখন মুহাম্মাদের বয়স ছিল ৪০ বছর। প্রথম তিন বছর তিনি গোপনে ইসলাম প্রচার করেন। ৬১৩ খ্রিস্টাব্দে মুহাম্মাদ সর্বসমক্ষে এসব বাণী প্রচার করা শুরু করেন। তিনি ঘোষণা করেন, "আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়, আল্লাহর কাছে সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ (ইসলাম) হলো জীবনের একমাত্র সঠিক পথ (দ্বীন) এবং ইসলামের অন্যান্য নবিদের মতোই তিনি আল্লাহর একজন নবি ও রাসুল।" (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...) আপনি জানেন কি
বিষয়শ্রেণী
|
|
উইকিমিডিয়া