মুহাম্মাদের বিরুদ্ধ সমালোচনা
এই নিবন্ধটির তথ্যসমূহের যথার্থতা সম্পর্কে বিতর্ক রয়েছে। |
মুহাম্মাদের বিরুদ্ধ সমালোচনা সপ্তম শতক থেকেই বিদ্যমান। যখন মুহাম্মদ একেশ্বরবাদ প্রচার শুরু করেন তখন আরবের অমুসলিমরা নিন্দা জ্ঞাপন করে। তিনি বাইবেলে বর্ণিত বিভিন্ন ব্যক্তি ও তাদের যেভাবে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তা বাদ দিয়ে নতুনভাবে তাদের উপস্থাপন করেন,[২] হিব্রু বাইবেলে সর্বশেষ নবীর আভির্ভাবের যে ধারণা দেওয়া হয়েছে তার পরিবর্তে কোন ধরনের অলৌকিক ক্ষমতা প্রদর্শন ব্যতীত তিনি নিজেকে ‘সর্বশেষ নবী’ হিসেবে দাবী করেন।[২] যার ফলশ্রুতিতে, আরবের ইহুদীরা তাকে অবমানকার একটি ডাকনাম প্রদান করে যা ‘হা-মেশোগা’ (হিব্রু ভাষায়: מְשֻׁגָּע, "পাগল" বা "যার উপর ভূত ভর করেছে")।[৩][৪][৫] মধ্যযুগে পশ্চিমা এবং বাইজেন্টাইন অনেক খ্রিস্টান চিন্তাবিদ মুহাম্মদকে বিকৃত, দুর্ভাগ্যজনক মানুষ, ভ্রান্ত ভাবাদর্শে বিশ্বাসী, এমনকি খ্রিস্টের শত্রু হিসাবে বিবেচনা করত।[৬][৭][৮][৯] এদের মধ্যে টমাস আকুইনাস ইসলামে বর্ণিত মৃত্যু পরবর্তী জীবনে ‘শারীরীক আনন্দের’ ব্যাপারটিকে সমালোচনা করেন।[৮]
আধুনিক সমালোচকগণ মুহাম্মাদের নিজেকে নবী হিসেবে দাবীর সত্যতা, তার নৈতিকতা, তার অধীনস্থ দাসী, শত্রুদের সঙ্গে তার আচরণ, তার বিয়েসমূহ, তার মতবাদসমূহের বিশ্লেষণ এবং তার মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা নিয়ে সমালোচনা করেন।[১০][১১][১২][১৩][১৪][১৫]
মুহাম্মদের ডানাওয়ালা গাধায় চড়ে চাঁদে গিয়ে চাঁদকে বিভক্ত করার দাবি বরাবর-ই সমালোচিত। ২০১৬ সালে অ্যাপোলো মিশনের চাঁদের পৃষ্ঠে ৩০০ কিমি দীর্ঘ ফাটল রেখার ছবি প্রকাশিত হওয়ার পর,[১৬] কিছু ইন্টারনেট সাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে মুসলমানদের দ্বারা দাবি করা হয়েছিল যে এটি কুরআনে উল্লেখিত বিভক্তির ফলাফল।[১৭][১৮] ২০১০ সালে, নাসা বিজ্ঞানী ব্র্যাড বেইলিকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল এবং উত্তর দিয়েছিলেন "আমার সুপারিশ হল আপনি ইন্টারনেটে যা কিছু পড়েন তা বিশ্বাস করবেন না। পিয়ার-পর্যালোচিত জার্নাল আছে বহু, সেগুলো-ই মূলত নতুন কোনো বৈজ্ঞানিক তথ্যের একমাত্র বৈজ্ঞানিকভাবে বৈধ উৎস। বর্তমান কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই যে চাঁদ দুটি (বা ততোধিক) অংশে বিভক্ত করা হয়েছিল এবং তারপরে অতীতের যেকোনো সময়ে পুনরায় একত্রিত করা হয়েছিল।"[১৯]
বিরুদ্ধ সমালোচনা
সম্পাদনাপ্রাক্তন মুসলিম নাস্তিক/অজ্ঞেয়বাদীদের দ্বারা বিরুদ্ধ সমালোচনা
সম্পাদনাইবনে আল-রাওয়ান্দি, আল-মা’আরি এবং আবু ইসা আল-ওয়ারাক বিখ্যাত ছিলেন ধর্মের সমালোচক হিসেবে যারা মুহাম্মাদের নৈতিকতার সমালোচনা করেছিলেন।[২০]
ইহুদীদের দ্বারা বিরুদ্ধ সমালোচনা
সম্পাদনামধ্যযুগে ইহুদীরা মুহাম্মাদকে হিব্রু ভাষায় হা-মেশুগ্গাহ্ যার অর্থ হচ্ছে পাগল বলে অভিহিত করতেন। শব্দটি মুহাম্মাদের ক্ষেত্রে বলা হত তার কর্মকাণ্ড দেখে।[২১]
খ্রিষ্টানদের দ্বারা বিরুদ্ধ সমালোচনা
সম্পাদনামুহাম্মাদের মৃত্যুর অল্প কিছু কাল পর আরব অঞ্চলের খ্রিষ্টানরা মুহাম্মাদকে মিথ্যা নবী এবং রক্তপিপাসু বলে দাবী করেন।[২২] জন অব দামাস্কাস (৬৭৬-৭৪৯) নামের এক ব্যক্তি মুহাম্মাদের কুরআন বিষয়ে বলেছিলেন যে, ওটি হচ্ছে বাইবেলের নকল।[২৩] আরো বহু খ্রিষ্টান ধর্মগুরু মুহাম্মাদকে খুনী, ভণ্ড এবং নারীসক্ত পাগল বলে অভিহিত করতেন, তারা তাকে যীশুবিরোধী শয়তান বলে যীশুর অনুসারীদেরকে সতর্ক থাকতে বলতেন।[২৪] জন অব দামাস্কাস তার 'ফাউন্ট অব উইসডোম' বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায় 'কনসার্নিং হেরেসিয' এ খ্রিস্টান এবং মুসলিমদের অনেক বর্ণনা করেন। অধ্যায়টিতে জন মুহাম্মাদকে মিথ্যা নবী এবং একজন যীশুবিরোধী বলেন।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ From Writings, by St John of Damascus, The Fathers of the Church, vol. 37 (Washington, DC: Catholic University of America Press, 1958), pp. 153–60. Posted 26 March 2006 to The Othordox Christian Information Center – St. John of Damascus’s Critique of Islam
- ↑ ক খ
“ The Jews [...] could not let pass unchallenged the way in which the Koran appropriated Biblical accounts and personages; for instance, its making Abraham an Arab and the founder of the Ka'bah at Mecca. The prophet, who looked upon every evident correction of his gospel as an attack upon his own reputation, brooked no contradiction, and unhesitatingly threw down the gauntlet to the Jews. Numerous passages in the Koran show how he gradually went from slight thrusts to malicious vituperations and brutal attacks on the customs and beliefs of the Jews. When they justified themselves by referring to the Bible, Muhammad, who had taken nothing therefrom at first hand, accused them of intentionally concealing its true meaning or of entirely misunderstanding it, and taunted them with being "asses who carry books" (sura lxii. 5). The increasing bitterness of this vituperation, which was similarly directed against the less numerous Christians of Medina, indicated that in time Muhammad would not hesitate to proceed to actual hostilities. The outbreak of the latter was deferred by the fact that the hatred of the prophet was turned more forcibly in another direction, namely, against the people of Mecca, whose earlier refusal of Islam and whose attitude toward the community appeared to him at Medina as a personal insult which constituted a sufficient cause for war. ” — Richard Gottheil, Mary W. Montgomery, Hubert Grimme, "Mohammed" (1906), Jewish Encyclopedia, Kopelman Foundation. - ↑ Norman A. Stillman (১৯৭৯)। The Jews of Arab Lands: A History and Source Book। Jewish Publication Society। পৃষ্ঠা 236। আইএসবিএন 978-0827601987।
- ↑ Ibn Warraq, Defending the West: A Critique of Edward Said's Orientalism, p. 255.
- ↑ Andrew G. Bostom, The Legacy of Islamic Antisemitism: From Sacred Texts to Solemn History, p. 21.
- ↑ Quinn, Frederick (২০০৮)। "The Prophet as Antichrist and Arab Lucifer (Early Times to 1600)"। The Sum of All Heresies: The Image of Islam in Western Thought। New York: Oxford University Press। পৃষ্ঠা 17–54। আইএসবিএন 978-0195325638।
- ↑ Goddard, Hugh (২০০০)। "The First Age of Christian-Muslim Interaction (c. 830/215)"। A History of Christian-Muslim Relations। Edinburgh: Edinburgh University Press। পৃষ্ঠা 34–41। আইএসবিএন 978-1566633406।
- ↑ ক খ
“ Criticism by Christians [...] was voiced soon after the advent of Islam starting with St. John of Damascus in the late seventh century, who wrote of "the false prophet", Muhammad. Rivalry, and often enmity, continued between the European Christian world and the Islamic world [...]. For Christian theologians, the "Other" was the infidel, the Muslim. [...] Theological disputes in Baghdad and Damascus, in the eighth to the tenth century, and in Andalusia up to the fourteenth century led Christian Orthodox and Byzantine theologians and rulers to continue seeing Islam as a threat. In the twelfth century, Peter the Venerable [...] who had the Koran translated into Latin, regarded Islam as a Christian heresy and Muhammad as a sexually self-indulgent and a murderer. [...] However, he called for the conversion, not the extermination, of Muslims. A century later, St. Thomas Aquinas in Summa contra Gentiles accused Muhammad of seducing people by promises of carnal pleasure, uttering truths mingled with many fables and announcing utterly false decisions that had no divine inspiration. Those who followed Muhammad were regarded by Aquinas as brutal, ignorant "beast-like men" and desert wanderers. Through them Muhammad, who asserted he was "sent in the power of arms", forced others to become followers by violence and armed power. ” — Michael Curtis, Orientalism and Islam: European Thinkers on Oriental Despotism in the Middle East and India (2009), p. 31, Cambridge University Press, New York, আইএসবিএন ৯৭৮-০৫২১৭৬৭২৫৫. - ↑ John of Damascus, De Haeresibus. See Migne, Patrologia Graeca, Vol. 94, 1864, cols 763–73. An English translation by the Reverend John W. Voorhis appeared in The Moslem World, October 1954, pp. 392–98.
- ↑ Cimino, Richard (ডিসেম্বর ২০০৫)। ""No God in Common": American Evangelical Discourse on Islam after 9/11"। Review of Religious Research। 47 (2): 162–74। জেস্টোর 3512048। ডিওআই:10.2307/3512048।
- ↑ Dobbins, Mike (১৩ এপ্রিল ২০১৫)। "The Critics of Islam Were Right: An Apology to Ayaan Hirsi Ali, Sam Harris, Bill Maher and Other So-Called Islamophobes"। The Christian Post। Washington, D.C.। ১০ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ Akyol, Mustafa (১৩ জানুয়ারি ২০১৫)। "Islam's Problem With Blasphemy"। The New York Times। ২৬ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ Cornwell, Rupert (১০ এপ্রিল ২০১৫)। "Ayaan Hirsi Ali: Islam's most devastating critic"। The Independent। London। ২৭ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ Ibn Warraq (২০০০)। The Quest for the Historical Muhammad। Amherst, New York: Prometheus Books। আইএসবিএন 978-1573927871।
- ↑ Robert Spencer (২০০৬)। The Truth About Muhammad। Washington, D.C.: Regnery Publishing। আইএসবিএন 978-1596980280।
- ↑ "Rima Ariadaeus, a Linear Rille"। NASA। ১৬ মার্চ ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০১৬।
Experts agree that Rima Ariadaeus, about 300 km (186.4 mi) long, is a fault system similar to those on Earth.
- ↑ "Crack on moon confirms Prophet Muhammad (S) had split it | Jafariya News Network"। www.jafariyanews.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১৩।
- ↑ Soora, Gayathri। "Split Moon image goes viral on WhatsApp; Fact Check | Digit Eye" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১৩।
- ↑ Bailey, Brad (২১ জুন ২০১০)। "Evidence of the moon having been split in two"। Solar System Exploration Research Virtual Institute।
- ↑ The Clash of Fundamentalisms: Crusades, Jihads and Modernity; Ali, T., Verso, 2003, Pages 55-56
- ↑ Norman A. Stillman (১৯৭৯)। The Jews of Arab lands: a history and source book। Jewish Publication Society। পৃষ্ঠা 236। আইএসবিএন 978-0-8276-0198-7। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ Walter Emil Kaegi, Jr., "Initial Byzantine Reactions to the Arab Conquest", Church History, Vol. 38, No. 2 (Jun., 1969), p. 139–49, p. 139–42, quoting from Doctrina Jacobi nuper baptizati 86–87
- ↑ http://orthodoxinfo.com/general/stjohn_islam.aspx
- ↑ Husain, Ed (২০০৭)। The Islamist। Penguin। পৃষ্ঠা 146।
On a personal level, my relationship with God had deteriorated. ... as I had become more active in the Hizb, my inner consciousness of God had hit an all-time low. "We sermonized about the need for Muslims to return to Islam, but many of the shabab [activists] did not know how to pray. I witnessed at least four new converts to Islam at different university campuses, convinced of the superiority of the `Islamic political ideology` ... but lacking basic knowledge of worship.