পলাশবাড়ী উপজেলা
পলাশবাড়ী বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা।
পলাশবাড়ী | |
---|---|
উপজেলা | |
Palashbari | |
ডাকনাম: পলাশবাড়ী | |
বাংলাদেশে পলাশবাড়ী উপজেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৫°১৭′৩″ উত্তর ৮৯°২১′১৪″ পূর্ব / ২৫.২৮৪১৭° উত্তর ৮৯.৩৫৩৮৯° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
জেলা | গাইবান্ধা জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ১৮৫.৩৩ বর্গকিমি (৭১.৫৬ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ২,৩১,৭৫৫ |
• জনঘনত্ব | ১,৩০০/বর্গকিমি (৩,২০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৩৩.৬৯% (২০০১) |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৫৭৩০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫৫ ৩২ ৬৭ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
অবস্থান ও আয়তনসম্পাদনা
পলাশবাড়ী উপজেলা ২৫°১১´ উত্তর অক্ষাংশ হতে ২৫°১৯´ উত্তর অক্ষাংশের এবং ৮৯°১৬´ পূর্ব দ্রাঘিমা হতে ৮৯°৩২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। ১৯০.৬৭ বর্গ কিমি আয়তনের এই উপজেলাটির উত্তরে রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা ও সাদুল্লাপুর উপজেলা, দক্ষিণে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা; পূর্বে গাইবান্ধা সদর উপজেলা ও সাঘাটা উপজেলা, পশ্চিমে দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলা।
প্রশাসনিক এলাকাসম্পাদনা
- পৌরসভা- ১টি ও ইউনিয়ন - ৮টি : ১নং কিশোরগাড়ী, ২ নং হোসেনপুর, পলাশবাড়ী পৌরসভা, বরিশাল, মহদীপুর, বেতকাপা, পবনাপুর, মনোহরপুর ও হরিনাথপুর।
রংপুর ও বগুড়া মোটামুটি ১০০ কিলোমিটার জায়গার মধ্যবর্তী স্থান হল এই পলাশবাড়ী ৷ মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে উত্তরবঙ্গে পৌঁছাতে দুই দিন আটকে রাখতে সমর্থ হয় পলাশবাড়ীবাসী ৷ এখানে পলাশবাড়ী সড়ক ও জনপদ বিভাগের পেছনে একটি বদ্ধভূমি স্মৃতিসৌধ আছে ৷এছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এখানে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে আসেন ডাক্তার জসিম উদ্দিন ৷ পল্লীকবি জসীমউদ্দীন এই জায়গাটি দেখে গিয়ে নিজের বাড়ির নাম রাখেন পলাশবাড়ী ৷ রংপুর ও বগুড়ার মাঝামাঝি স্থানে একটি নান্দনিক পার্ক তৈরি হয় যা ড্রিমল্যান্ড নামে পরিচিত ৷
জনসংখ্যার উপাত্তসম্পাদনা
২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী পলাশবাড়ীর মোট জনসংখ্যা ২৬০৮০৬; যার মধ্যে ৫০.৫৪% পুরুষ ও ৪৯.৪৬% মহিলা। মুসলমান ৯২.৪৮ %, হিন্দু ৭.০২% ও অন্যান্য ০.৫%।
শিক্ষাসম্পাদনা
শিক্ষার হার বেশ কম, মাত্র ১৯.৫%। এখানে ২০৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে; তার মধ্যে সরকারি ৮৪টি, বেসরকারি রেজিস্টার্ড ১২১টি, কমিউনিটি ১টি, অনিবন্ধিত বেসরকারি ০৪টি, কিন্ডারগার্টেন ২৪টি, এনজিও প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র ১৯৯টি ও স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদরাসা ০৭টি, উচ্চ মাদ্রাসা সংযুক্ত ইবতেদায়ী ১৮টি। এখানে বিদ্যালয় গমনোপযোগি শিশুর সংখ্যা ৪৯০৪৪ জন, বিদ্যালয়ে ভর্তিকৃত শিশুর সংখ্যা ৪৯০৪৪ জন, নীট ভর্তির হার প্রায় ১০০%, ঝরে পড়ার হার প্রায় ৭.১৪%, উপস্থিতির হার প্রায় ৮৬.৪%। এছাড়াও, প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে ভর্তিকৃত শিশুর সংখ্যা ৬০৪৪ জন, প্রাথমিক শিক্ষা চক্র সমাপ্তির হার প্রায় ৯৩%।
অর্থনীতিসম্পাদনা
এখানকার ৮৭ শতাংশ মানুষের জীবিকা কৃষি নির্ভরশীল। এখানকার প্রধান শস্যের মধ্যে রয়েছে ধান, গম, ভুট্টা ও শাকসবজি। এই এলাকায় ভুট্টার চাষ নতুন হলেও এর বাম্পার ফলনের কারণে ভুট্টা অত্র এলাকার এক অন্যতম অর্থকরী ফসল।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিসম্পাদনা
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৪।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |