নোয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশন

হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার একটি রেলওয়ে স্টেশন

নোয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশন হচ্ছে বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নে নোয়াপাড়া বাজারের পূর্ব দিকে অবস্থিত একটি রেলওয়ে স্টেশন। উক্ত ইউনিয়নে এই স্টেশনের পাশাপাশি ছাতিয়াইন রেলওয়ে স্টেশনও অবস্থিত।[]

নোয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশন
অবস্থাননোয়াপাড়া ইউনিয়ন, মাধবপুর উপজেলা, হবিগঞ্জ জেলা
সিলেট বিভাগ
বাংলাদেশ
স্থানাঙ্ক২৪°১০′৫১″ উত্তর ৯১°২১′২৪″ পূর্ব / ২৪.১৮০৭৯৮৮° উত্তর ৯১.৩৫৬৭০৪৪° পূর্ব / 24.1807988; 91.3567044
মালিকানাধীনবাংলাদেশ রেলওয়ে
লাইনআখাউড়া–কুলাউড়া–ছাতক
পরিষেবা
পূর্ববর্তী স্টেশন   বাংলাদেশ রেলওয়ে   পরবর্তী স্টেশন
ইটাখোলা
থেকে আখাউড়া জংশন
  আখাউড়া–কুলাউড়া–ছাতক রেলপথ   ছাতিয়াইন
থেকে শায়েস্তাগঞ্জ জংশন
অবস্থান
মানচিত্র

দুর্ঘটনা

সম্পাদনা
  • ০৭/১০/২০১৬: সকালে নোয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশনে পারাবত এক্সপ্রেসের সাথে থাকা ২৯৩৩ নং লোকোমোটিভের নিচের অংশের জ্বালানি ট্যাংকে আগুন লেগে যায়। তখন চলন্ত ট্রেনটিকে দ্রুত থামানোর উদ্দেশ্যে ব্রেক চাপা হলে এর কয়েকটি কোচ লাইনচ্যুত হয়। তবে এই দুর্ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।[] লোকোটি সম্পূর্ণ বিকল হয়ে যায়। একে পাহাড়তলী ডিজেল কারখানায় রাখা হয়। পরে ২০১৯ সালের ১৫ই মে একে কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায় মেরামতের জন্য নেওয়া হয়। লোকোটি সম্পূর্ণ খুলে ফেলে পুননির্মান ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ মেরামত করা হয়। সম্পূর্ণ অচল হয়ে যাওয়া লোকোটির ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস ব্যবস্থাও প্রতিস্থাপন করা হয়। প্রায় ৩ কোটি বাংলাদেশি টাকা ব্যয়ে একে মেরামত করা হয়। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ২৫শে মার্চ লোকোটিকে রেল বহরে যুক্ত করা হয়। ধারণা করা হয়, মেরামতের ফলে প্রায় ৩০ কোটি বাংলাদেশী টাকা সাশ্রয় হয়েছে।[] তবে একই বছরের ২৮শে জুন ট্র্যাকশন মোটরের ত্রুটিজনিত কারনে এটি আবার বিকল হলে আবার একে মেরামত করে ৭ই জুলাই রেল বহরে যুক্ত করা হয়। ১১ দিন পর ১৮ই জুলাই লোকোটি পুনরায় বিকল হয়।[]

চিত্রশালা

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "নোয়াপাড়া--রেলওয়ে-স্টেশন"noaparaup.habiganj.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "Parabat Express engine catches fire" [পারাবত এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়]। ডেইলি সান (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-১০-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-২৫ 
  3. "রেলের অচল ইঞ্জিন সচল, বাঁচল ৩০ কোটি টাকা"দৈনিক প্রথম আলো। ২০২০-০২-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২০ 
  4. "সেই লোকোমোটিভ বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে মতামত দিচ্ছে না রেল!"বাংলা ট্রিবিউন। ২০২০-১০-০৩। ২০২০-১০-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-২৫