জেমস ফস্টার

ইংরেজ ক্রিকেটার

জেমস স্যাভিন ফস্টার (ইংরেজি: James Foster; জন্ম: ১৫ এপ্রিল, ১৯৮০) গ্রেটার লন্ডনের লিটলস্টোন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ কোচ ও সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের সূচনালগ্নে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১]

জেমস ফস্টার
২০১১ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে জেমস ফস্টার
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামজেমস স্যাভিন ফস্টার
জন্ম (1980-04-15) ১৫ এপ্রিল ১৯৮০ (বয়স ৪৩)
লিটলস্টোন, গ্রেটার লন্ডন, ইংল্যান্ড
ডাকনামফজি, চিফ
উচ্চতা৬ ফুট ০ ইঞ্চি (১.৮৩ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাউইকেট-রক্ষক, কোচ
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৬০৯)
৩ ডিসেম্বর ২০০১ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট২৬ ডিসেম্বর ২০০২ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৬৪)
৩ অক্টোবর ২০০১ বনাম জিম্বাবুয়ে
শেষ ওডিআই১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০২ বনাম নিউজিল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০০ - ২০১৮এসেক্স (জার্সি নং ৭)
২০০১ডারহাম ইউসিসিই
২০০৪ - ২০০৯দ ২০১৮মেরিলেবোনক্রিকেটক্লাব (এমসিসি)
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১১ ২৮৯ ২২৩
রানের সংখ্যা ২২৬ ৪১ ১৩,৭৬১ ৩,৩৫৭
ব্যাটিং গড় ২৫.১১ ১৩.৬৬ ৩৬.৬৯ ২৮.৪৪
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ২৩/৭০ ০/১৬
সর্বোচ্চ রান ৪৮ ১৩ ২১২ ৮৩*
বল করেছে ৮৪
উইকেট
বোলিং গড় ১২৮.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ১/১২২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৭/১ ১৩/৭ ৮৩৯/৬২ ২৪৬/৬৫
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১০ জানুয়ারি ২০২১

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে এসেক্স ও দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন ‘ফজি’ ডাকনামে পরিচিত জেমস ফস্টার

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট সম্পাদনা

ওয়ালথামস্টো’র ফরেস্ট স্কুলে অধ্যয়ন করেন। এরপর, ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলিংউড কলেজ থেকে কমিউনিটি কোর্স হিসেবে ক্রীড়া বিষয়ে পড়াশুনো সম্পন্ন করেন। ২০০১ সালে স্নাতক-পূর্ব শ্রেণীতে অধ্যয়নকালে শীতকালে ইংল্যান্ড দলের সদস্যরূপে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ বার্তা লাভ করেন।[২]

২০০০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত জেমস ফস্টারের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। দীর্ঘদিন খেলার পর শেষদিকে ৩৭ বছর বয়সে ২০১৭ সালের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ী এসেক্স দলের পক্ষে সাফল্য পান। ঐ মৌসুমের শুরুতে তাকে দলের বাইরে রাখা হয়েছিল। তবে, উজ্জ্বীবনী শক্তিগুণে দলে ফিরে আসেন ও যথোচিত ভূমিকা রাখেন। এর এক বছর পর তিনি মন্তব্য করেন যে, এখন তার অবসর গ্রহণের সময় হয়েছে। ওভালে অ্যালাস্টেয়ার কুকের সহকারী হিসেবে প্রথমবারের মতো টেস্ট দলে যুক্ত হন।

২০০০ সালে এসেক্সের পক্ষে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে থাকেন। এরপর থেকেই কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে দলটির পক্ষে খেলে আসছেন। দ্রুতগতিতে তার খেলোয়াড়ী জীবনের উত্থান ঘটে। এসেক্সের পক্ষে মাত্র চারটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণের পর ২০০০-০১ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমনার্থে ইংল্যান্ড এ দলের সদস্য করা হয়। এ সময়ে তিনি ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের পাশাপাশি এসেক্সের পক্ষে খেলতেন। কিন্তু, পূর্ণাঙ্গকালীন ক্রিকেট খেলার আগ্রহ প্রকাশের পর থেকেই তাকে অ্যালেক স্টুয়ার্টের যোগ্য উত্তরসূরীরূপে চিহ্নিত করা হয়েছিল।

স্বর্ণালী সময় সম্পাদনা

২০০১ সালে ওরচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে নিজস্ব প্রথম শতরানের ইনিংস খেলেন। ঐ বছর এনবিসি ডেনিস কম্পটন পুরস্কার লাভ করেন।তবে, দুই হাঁড় ভেঙ্গে যাওয়ায় ২০০২ সালে স্বাভাবিক খেলা উপহার দিতে পারেননি। ২০০৩ সালের গ্রীষ্মকালে তুলনামূলকভাবে ভালো খেলেন। ২০০৪ সালে সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন তিনি। ঐ মৌসুমে চারটি শতক হাঁকান। তন্মধ্যে, লিচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে ২১২ রান তুলে দলের ইনিংস ঘোষণাকৃত ৭০৮/৯ রানে সম্যক ভূমিকা রাখেন। এছাড়াও, ঐ মৌসুমে প্রথমবারের মতো সহস্র রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ৫১.৮৫ গড়ে রান সংগ্রহসহ ৫১টি ডিসমিসাল ঘটান।

২০০৬ সালে লিভারপুল ভিক্টোরিয়া কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে ৪২.৪১ গড়ে রান তুলেন। গ্লাভস হাতে নিয়ে সুন্দর ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি একদিনের খেলায়ও ব্যাট হাতে সাফল্য পান। ২০০৭-০৮ মৌসুমের শীতকালে ইংল্যান্ড লায়ন্সের সদস্যরূপে ভারত গমন করেন। এ পর্যায়ে ওরচেস্টারশায়ারের স্টিভেন ডেভিসের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় গ্লাভস ও ব্যাট হাতে অনিন্দ্য সুন্দর খেলার স্বীকৃতিস্বরূপ দল নির্বাচকমণ্ডলীর সম্ভাব্য সদস্য করার লক্ষ্যে ২০০৮ সালে সাসেক্সের বিপক্ষে এমসিসি’র উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে তাকে খেলানো হয়। ২০০৯ সালে ক্লাবের সহঃ অধিনায়কের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে সাতটিমাত্র টেস্ট, এগারোটি একদিনের আন্তর্জাতিক ও পাঁচটিমাত্র টি২০আইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন জেমস ফস্টার। ৩ ডিসেম্বর, ২০০১ তারিখে মোহালিতে স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৬ ডিসেম্বর, ২০০২ তারিখে মেলবোর্নে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

২০০১-০২ মৌসুমে জিম্বাবুয়ে সফরে একদিনের দলে খেলার সুযোগ হয়। হারারেতে তার অভিষেক ঘটে। এরপর, স্টুয়ার্ট ভারত সফরে যেতে অনীহা প্রকাশ করলে তিনি সুযোগ পান। মোহালিতে তার শুরুটা বেশ স্নায়ুচাপে ভরপুর ছিল। তবে, এ সফরে পরবর্তীতে তিনি বেশ দৃঢ়তা দেখান ও কয়েকটি দর্শনীয় ইনিংস উপহার দেন।

বড়দিনের পর নিউজিল্যান্ড সফরেও তাকে দলে রাখা হয়। তবে, দল নির্বাচকমণ্ডলী মার্কাস ট্রেসকোথিকের সাথে ভারসাম্য বজায় রাখার স্বার্থে উদীয়মান খেলোয়াড়ের সন্ধান পাওয়ায় একদিনের দল থেকে তাকে বাদ দেয়া হয়। পরবর্তীতে, এসেক্স দলের সাথে অনুশীলনকালে হাত ভেঙ্গে গেলে পুনরায় স্টুয়ার্টকে দলে ফিরিয়ে আনা হয়। তাসত্ত্বেও, কাউন্টি ক্রিকেটে বেশ ভালো খেলতে থাকেন। কিন্তু, ২০০২ সালের গ্রীষ্মকালে তাকে ইংল্যান্ড দলে রাখা হয়নি। ঐ মৌসুমের শীতকালে অ্যাশেজ সফরে সংরক্ষিত উইকেট-রক্ষক হিসেবে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। হাতের আঘাতে স্টুয়ার্টকে দলের বাইরে রাখা হলে মেলবোর্নে তিনি আরও এক টেস্টে অংশ নেন। তবে, পাঁচজন বোলার নিয়ে ইংল্যান্ড দলে পরাজয়ের কবলে পড়ে। ২০০৩ সাল শেষে স্টুয়ার্ট অবসর গ্রহণ করলে উদীয়মান অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফকে সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি উইকেট-রক্ষণে অগ্রসর হবার ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়। এছাড়াও, ক্রিস রিডকে খেলানো হয়। পরবর্তীতে জেরাইন্ট জোন্সম্যাট প্রায়রকে গ্লাভসে অগ্রাধিকার দেয়া হয়।

২০০৭ সালে তাকে এসেক্সের সহঃ অধিনায়কের মর্যাদা প্রদান করা হয়। ২০০৮ সালে ব্যাটিং ও উইকেট-রক্ষণ - উভয় বিভাগেই সমান সাফল্য পান। ফলশ্রুতিতে, ২০০৯ সালের বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় ইংল্যান্ড দলে তাকে আমন্ত্রণ জানানো বেশ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিল। ঐ প্রতিযোগিতায় স্ট্যাম্পের পিছনে অবস্থান করে বেশ নজর কাড়েন। তাসত্ত্বেও, তাকে বাদ রেখেই ইংল্যান্ডের প্রশিক্ষণ পর্ব চলে ও ঐ গ্রীষ্মে অ্যাশেজ সফরের পূর্বে তাকে লায়ন্স দলেও রাখা হয়নি। তাসত্ত্বেও, এসেক্স দলে ঠিকই নিজেকে মেলে ধরেছিলেন।

অবসর সম্পাদনা

২০০৯ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় তাকে ইংল্যান্ড দলের ৩০-সদস্যবিশিষ্ট দলের তালিকায় একমাত্র উইকেট-রক্ষক হিসেবে রাখা হয়।[৩] ঐ প্রতিযোগিতায় ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলে বেশ প্রশংসা কুড়ান। যুবরাজ সিংডোয়েন ব্র্যাভোকে স্ট্যাম্পিং করেছিলেন তিনি। তবে, দল নির্বাচকমণ্ডলী ম্যাট প্রায়রের ন্যায় ব্যাটিংয়ে অভিজ্ঞ উইকেট-রক্ষকদের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করলে তাকে দ্বিতীয়সারিতে রাখা হয়। এরফলে, পাঁচটি টি২০আইয়ে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তার আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে। এছাড়াও, ২০০৯ সালের অ্যাশেজ সিরিজে ইংল্যান্ডের উইকেট-রক্ষক হিসেবে তার অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে বিতর্কের উদ্রেক ঘটে।[৪]

আবারও, ২০১০ সালের বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় তিনি উপেক্ষিত হন। জুন, ২০১০ সালে এসেক্সের টুয়েন্টি২০ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পান। এক মাস পর সকল স্তরের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত হন। এ পর্যায়ে দূর্বল ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের কারণে মার্ক পেটিনি’র স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি। ২০১১ সালে এসেক্স থেকে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের খেলার জন্যে মনোনয়ন লাভ করেন। তন্মধ্যে, টুয়েন্টি২০ খেলায় ‘ফজি’র বিগ ব্যাশ’ নামে নামকরণ করা হয়েছিল। শীর্ষ টেস্ট উইকেট শিকারী মুত্তিয়া মুরালিধরন ও সাবেক ইংরেজ অল-রাউন্ডার অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের ন্যায় তারকা খেলোয়াড়দের নিয়ে গঠিত অল স্টার একাদশের বিপক্ষে এসেক্স প্রথম একাদশের পক্ষে খেলেন তিনি।

অধিনায়কত্ব লাভ সম্পাদনা

চ্যাম্পিয়নশীপে এসেক্স দল আশানুরূপ সফলতা না পেলেও ফস্টারের নেতৃত্বাধীন দলটি সীমিত ওভারের খেলায় ধারাবাহিকতা বজায় রাখে। তবে, এ পর্যায়ে দলটি শিরোপা লাভ করেনি। দক্ষতার সাথে খেলার সমাপ্তি টানতেন তিনি। তার অনিয়ন্ত্রিত পায়ের কারুকাজে বোলারদের বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়। ২০১২-১৩ মৌসুমে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের টুয়েন্টি২০ খেলোয়াড় হিসেবে বেশ সাড়া ফেলেন।

২০১৪ সালে ইংরেজ কোচ হিসেবে পিটার মুরেজের প্রত্যাবর্তনের পর পুনরায় তাকে ইংল্যান্ড দলে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়। প্রায়রকে পাশ কাটিয়ে শারীরিক সুস্থতা প্রমাণ করলেও জস বাটলারকে টেস্ট দলে রাখা হয়। পরবর্তী মৌসুম শেষে পূর্ব লন্ডনের ফরেস্ট স্কুলে পেশাদার ক্রিকেট পদে যোগ দেন। তাসত্ত্বেও, তিনি এসেক্স দলে প্রত্যাবর্তনের আশাবাদ ব্যক্ত করছিলেন। ঐখান থেকে অবশ্য তার খেলোয়াড়ী জীবন সমাপ্তির কাছাকাছি হিসেবে সঙ্কেত প্রদান করা হয়েছিল।

ডিসেম্বর, ২০১৫ সালে তাকে অধিনায়কত্ব থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। পাশাপাশি, স্ট্যাম্পের পিছনেও তার খেলার মান কমতে থাকে। দুই উদীয়মান উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান অ্যাডাম হুইটার ও বেন ফোকসের আত্মপ্রকাশে তার উপর চাপ কমে যায়। ২০১৮ সালে হুইটারের সাথে যৌথভাবে উইকেট রক্ষণের দায়িত্ব পালন করেন ও হুইটার হ্যাম্পশায়ারে ফিরে যান। ঐ মৌসুমে শেষে তার চুক্তি নবায়ণ না করার কথা জানতে পেরে অবসর গ্রহণ করেন তিনি।[৫]

খেলার ধরন সম্পাদনা

খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতেই তাকে ভবিষ্যতের ইংল্যান্ডের উইকেট-রক্ষক হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছিল। খেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিকে উইকেট-রক্ষণে অগ্রসর হওয়াসহ অধিনায়কত্ব করেছেন। এছাড়াও, এসেক্সের অন্যতম ব্যাটিং চালিকাশক্তি হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন নিজেকে। এসেক্সের সমর্থকদের কাছে ফজি ডাকনামে পরিচিত ছিলেন জেমস ফস্টার। প্রায়শঃই তাকে অন্যতম সেরা উইকেট-রক্ষক হিসেবে বিবেচনা করা হতো। জুলাই, ২০১১ সালে অ্যালেক স্টুয়ার্টের কাছে তিনি বিশ্বের অন্যতম প্রকৃতমানসম্পন্ন উইকেট-রক্ষক হিসেবে চিত্রিত হন।[৬]

তবে, উইকেটের পিছনে দ্রুতগতিসম্পন্ন বোলারদের বল গ্লাভসে দক্ষতার সাথে আটকালেও সাধারণমানের ব্যাটিংয়ের কারণে ইংল্যান্ড দল নির্বাচকমণ্ডলীর কাছ থেকে উপেক্ষিত থাকতেন। তার পরিবর্তে ম্যাট প্রায়র, স্টিভেন ডেভিস ও জস বাটলারকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। কাট, পুল ও সুইপের উপর নির্ভর করে তার ব্যাটিং ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠতো। এসেক্সের পক্ষে সকল স্তরের ক্রিকেটে সচরাচর সাত নম্বরে ব্যাটিং করতে নামতেন। সেপ্টেম্বরে প্রো৪০ প্রতিযোগিতায় ডারহামের বিপক্ষে স্কট বর্থউইকের প্রথম পাঁচ বলে পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। এরফলে, পুনরায় দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তবে, ষষ্ঠ বলে লেগ সাইড দিয়ে তাকে বোল্ড করেন স্কট বর্থউইক।

অগ্নি মেজাজের অধিকারী ছিলেন। ২০১১ সালে ওভালে সারের বিপক্ষে টুয়েন্টি২০ খেলা টেলিভিশনে সম্প্রচারে তা প্রদর্শিত হয়। জান্ডার ডি ব্রুনের কোমর বরাবর ফুল টস বলে কট আউটে বিদেয় নেন। এরপর তিনি আম্পায়ারের সাথে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে, এসেক্সের পক্ষ থেকে অনির্ধারিত জরিমানার শিকার হন। এছাড়াও, ইসিবি থেকে তাকে দুই খেলার জন্যে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়।

কোচিংয়ে অংশগ্রহণ সম্পাদনা

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর গ্ল্যামারগনের পক্ষে ২০১৯ সালের টি২০ ব্ল্যাস্টে ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে নিযুক্ত হন।[৭] ২০১৯-২০ মৌসুমের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে খুলনা টাইগার্সের প্রধান কোচ হিসেবে মনোনীত হন তিনি।[৮] এছাড়াও, ২০২০ সালের আইপিএলে কেকেআরের ফিল্ডিং কোচের দায়িত্বে ছিলেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "James Foster/ Profile"Cricbuzz। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৯ 
  2. "Student for England cricket winter tour"Durham University। ৩০ আগস্ট ২০০১। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  3. Cricinfo staff (১ মে ২০০৯), Collingwood named Twenty20 captain, Cricinfo.com, সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০০৯ 
  4. Selvey, Mike (১৮ জুন ২০০৯), Prior Selected but Foster wins argument, London: Guardian, সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১০ 
  5. CapitalGrowth staff (১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮), "It's been a priviege, CapitalGrowth Management, ২৮ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০১৯ 
  6. Radio 5Live broadcast, 12 July 2011
  7. "Glamorgan: James Foster joins as T20 Blast consultant"BBC। ৯ জুলাই ২০১৯। 
  8. "Herschelle Gibbs appointed head coach of Sylhet Thunders"Cricbuzz। ৩০ নভেম্বর ২০১৯। 

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা