গ্যারেথ বেটি

ইংরেজ ক্রিকেটার

গ্যারেথ জন বেটি (ইংরেজি: Gareth Batty; জন্ম: ১৩ অক্টোবর, ১৯৭৭) পশ্চিম ইয়র্কশায়ারের ব্রাডফোর্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংল্যান্ডের বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি।

গ্যারেথ বেটি
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামগ্যারেথ জন বেটি
জন্ম (1977-10-13) ১৩ অক্টোবর ১৯৭৭ (বয়স ৪৬)
ব্রাডফোর্ড, পশ্চিম ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড
ডাকনামবরিস
উচ্চতা৫ ফুট ১১ ইঞ্চি (১.৮০ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
সম্পর্কজেরেমি বেটি (ভ্রাতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৬১৯)
২১ অক্টোবর ২০০৩ বনাম বাংলাদেশ
শেষ টেস্ট২০ অক্টোবর ২০১৬ বনাম বাংলাদেশ
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৭১)
১৩ ডিসেম্বর ২০০২ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ ওডিআই২৭ মার্চ ২০০৯ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯৭ইয়র্কশায়ার
১৯৯৮-২০০১সারে
২০০২-২০০৯ওরচেস্টারশায়ার
২০১০-সারে (জার্সি নং ১৩)
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১০ ২৬১ ২৭১
রানের সংখ্যা ১৪৯ ৩০ ৭,৩৯৯ ২,৩৭৪
ব্যাটিং গড় ১৪.৯০ ৫.০০ ২৩.০৪ ১৫.২১
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ৩/৩০ ০/৫
সর্বোচ্চ রান ৩৮ ১৭ ১৩৩ ৮৩*
বল করেছে ১,৭১৪ ৪৪০ ৪৬,১৮৩ ১০,৭১৩
উইকেট ১৫ ৬৮২ ২৫৫
বোলিং গড় ৬০.৯৩ ৭৩.২০ ৩২.৭৮ ৩২.৪৮
ইনিংসে ৫ উইকেট ২৭
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ৩/৫৫ ২/৪০ ৮/৬৪ ৫/৩৫
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩/– ৪/– ১৬৩/– ৮৪/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২১ আগস্ট ২০১৯

দলে তিনি মূলতঃ স্পিন বোলিং করে থাকেন। এছাড়াও ২০১৫ সাল থেকে সারে কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের অধিনায়কের দায়িত্বে পালন করছেন ‘বরিস’ ডাকনামে পরিচিত গ্যারেথ বেটি[২] ইয়র্কশায়ার ও সমারসেটের সাবেক অফ স্পিনার জেরেমি বেটি’র কনিষ্ঠ ভ্রাতা তিনি।

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

পশ্চিম ইয়র্কশায়ারের বিংলে এলাকায় অবস্থিত স্বেচ্ছাসেবী বিংলে গ্রামার স্কুলে অধ্যয়ন করেন তিনি। ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পক্ষে খেলার পর নিজ কাউন্টি ইয়র্কশায়ারের পক্ষে খেলতে শুরু করেন। ১৯৯৭ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে তার অভিষেক ঘটে। কিন্তু সুযোগের অভাবহেতু ১৯৯৮ সালে সারে দলে স্থানান্তরিত হন। ঐ দলে তিনি কেবলমাত্র একদিনের খেলাতেই অংশ নিতেন। ২০০২ সালে ওরচেস্টারশায়ারে যোগ দেন তিনি। এদলে অবস্থানকালেই প্রধান স্পিনারের মর্যাদা পান ও জাতীয় দলে খেলার সুযোগ লাভ করেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পাদনা

২০০০-এর মধ্যভাগে ব্যাপকভাবে অ্যাশলে জাইলসের বিকল্প হিসেবে ইংল্যান্ড দলে খেলেন। ২০০৩ সালে উপমহাদেশে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের পক্ষে চার টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। পীচের অনুকূল পরিবেশের উপযোগিতায় দলে দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে অন্তর্ভুক্তি ঘটে তার। ২০০৩-০৪ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যান। এন্টিগুয়ায় অনুষ্ঠিত সিরিজের চতুর্থ টেস্টে ব্রায়ান লারা’র চতুর্শতকের বিশ্বরেকর্ডের রানটি তার বল থেকেই আসে। পরের মৌসুমে দলের দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান তিনি।

দল নির্বাচকমণ্ডলী তার উপর পূর্ণ আস্থাজ্ঞাপন করে ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সফরে দুই টেস্টের সিরিজের তাকে অন্তর্ভুক্ত করে। অ্যাশলে জাইলসের আঘাতপ্রাপ্তিতে ও বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং ব্যর্থতায় পুরো সিরিজেই তাকে বোলিংই করতে হয়নি। মন্টি পানেসারগ্রেইম হিকের উত্থানে দলের কাছ থেকে দূরে থাকেন তিনি।

২০০৮ সালের শীতকালে নিউজিল্যান্ড সফরে ইংল্যান্ড লায়ন্সের সদস্য মনোনীত হন।[৩] ২০ অক্টোবর, ২০১৬ তারিখে বাংলাদেশ সফরে দলের অন্যতম সদস্য মনোনীত হন। এরফলে তিনি দীর্ঘ ১৪২ টেস্ট পর মাঠে নামেন।[৪] চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে ৪ উইকেট পান তিনি। প্রথম ইনিংসে ১/৫২ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩/৬৫ নিয়ে দলের জয়ে স্বল্প ভূমিকা রাখেন।[৫]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 188আইএসবিএন 1-869833-21-X 
  2. "Gareth Batty"Surrey County Cricket Club। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৬ 
  3. Cricinfo staff (২৯ ডিসেম্বর ২০০৮), Vaughan misses out on West Indies, Cricinfo.com, সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ 
  4. "Most consecutive matches missed for a team between appearances" 
  5. "Bangladesh v England, First Test Scorecard - 20 October 2016" 

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা