গোলাম আযম
অধ্যাপক গোলাম আযম (৭ নভেম্বর ১৯২২-২৩ অক্টোবর ২০১৪)[৩] ছিলেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এর একজন রাজনীতিবীদ এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দন্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী।[৪][৫] তিনি ২০০০ সাল পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর আমির ছিলেন।[৬] গোলাম আযম ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলেন।[৭][৮] তিনি ২০০০ সাল পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।[৯][১০][১১][১২]
গোলাম আজম | |
---|---|
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর, ২য় আমীর | |
কাজের মেয়াদ ১৯৬৯ – ২০০০ | |
পূর্বসূরী | মাওলানা আবদুর রহিম |
উত্তরসূরী | মতিউর রহমান নিজামী |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | [১] ঢাকা,[২] বাঙলা, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ) | ৭ নভেম্বর ১৯২২
মৃত্যু | ২৩ অক্টোবর ২০১৪ বিএসএমএমইউ, ঢাকা | (বয়স ৯১)
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী |
দাম্পত্য সঙ্গী | আফিফা আজম |
সম্পর্ক | স্ত্রী |
সন্তান | আযমীসহ ৬ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | রাজনীতিবিদ |
ওয়েবসাইট | http://ghulamazam.info/ |
জামায়াতে ইসলামীর নেতা হিসেবে তিনি বিতর্কিত শান্তি বাস্তবায়ন বা শান্তি কমিটির একজন সদস্য ছিলেন, যে কমিটি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় স্বাধীনতাবিরোধী অন্যান্য পাকিস্তানি বাঙালি নেতাদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল।[১৩] এছাড়াও তার বিরুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহায়তার জন্য গঠিত আধাসামরিক বাহিনী আলবদর ও রাজাকার গঠনেরও অভিযোগ রয়েছে।[১৪] এই মিলিশিয়ারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করা মুক্তিবাহিনীর বিরোধিতা করেছিল এবং এরাও যুদ্ধাপরাধের অভিযুগে অভিযুক্ত।[১৩][১৫][১৬][১৭] তার আইনজীবীদের ভাষ্যমতে, ১৯৭১ সালে তিনি একজন বেসামরিক সাধারণ নাগরিক ছিলেন বলে তার পক্ষে সেনাবাহিনী পরিচালনা বা কোন ধরনের সামরিক বহিনীর কমান্ডার হওয়ার সুযোগ ছিল না।[১৮] স্বাধীনতার বিরোধিতা সহ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমে লিপ্ত থাকার জন্য বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৩ সালের ১৮ এপ্রিল গোলাম আযম সহ ৪২ জন রাজনৈতিক ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিল করেছিল।[১৯][২০][২১] গোলাম আযম ১৯৭৮ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার অনুমতি ব্যতীত বা ভিসাবিহীন অবৈধভাবে বাংলাদেশে বসবাস করেন।[২২][২৩]
তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, মানবাধীকারকর্মী ও লেখিকা সুলতানা কামাল বলেন, “নিষ্ঠুরতার দিক দিয়ে গোলাম আযম ছিলেন জার্মানির সাবেক শাসক হিটলারের সমকক্ষ যিনি গণহত্যা কার্যকর ও জাতিগত নির্মূলে প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করেছিলেন।”[২৪] এই কথার জবাবে আযমের আইনজীবীরা বলেন, “এটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক ও বানোয়াট। হিটলারের পক্ষে এটা করা সম্ভব ছিল কারণ তার কাছে রাষ্ট্রক্ষমতা ছিল কিন্তু গোলাম আযমের কোন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ছিল না। ১৯৭১ সালে জেনারেল টিক্কা খান ও ইয়াহিয়া খানের কাছে রাষ্ট্রক্ষমতা ছিল।”
১১ জানুয়ারি ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল স্বাধীনতা যুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।[২৫][২৬] মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১২ সালের ১১ই জানুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হলে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গোলাম আযমের পক্ষে করা জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন। আদেশে বলা হয়, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামিনের কোনো বিধান নেই। এ ছাড়া মামলার এ পর্যায়ে জামিন দেওয়া সম্ভব নয়।[২৭][২৮][২৯][৩০][৩১] ১৫ জুলাই ২০১৩ সালে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের মধ্যে ৫টি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ৯০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল।[৩২][৩৩][৩৪][৩৫]
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক এই বিচারের সমালোচনা করেছিলেন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, যারা প্রথমদিকে বিচারের সমর্থক ছিল এবং পরবর্তীকালে “প্রসিকিউশন এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন বিচার বিভাগীয় পক্ষপাতিত্ব ও একপেশে দৃষ্টিভঙ্গি” এর সমালোচনা করে, বিচারিক প্রক্রিয়াটিকে গভীরভাবে ত্রুটিযুক্ত এবং আন্তর্জাতিক ন্যায় বিচারের মান পূরণ করতে অক্ষম বলে অভিহিত করে।[৩৬][৩৭][৩৮][৩৯] উল্লেখযোগ্যভাবে, এটি ২০১২ আইসিটি স্কাইপ বিতর্কের কেন্দ্রে ছিল।[৪০]
জন্ম ও বংশ
গোলাম আযম ৭ নভেম্বর ১৯২২ (বাংলা ১৩২৯ সালের ৫ই অগ্রহায়ণ) সালে ঢাকার লক্ষ্মীবাজারস্থ শাহ সাহেব বাড়িতে (তার নানাবাড়ীতে) জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন মাওলানা গোলাম কবীর ও সৈয়দা আশরফুন্নেসার জ্যেষ্ঠ সন্তান। তাঁর পৈত্রিক বাড়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বীরগাঁও গ্রামের মৌলবী বাড়ী। তাঁর নসবনামা নিম্নস্বরূপঃ গোলাম আযম ইবনে গোলাম কবীর ইবনে শেখ আব্দুস সোবহান ইবনে শেখ শেহাবউদ্দীন ইবনে শেখ বখতিয়ার ইবনে শেখ জকী আল-আরবী।[৪১][৪২] তাঁর মা ছিলেন সৈয়দ বংশীয় পীর পরিবারের কন্যা এবং শাহ আহসানুল্লাহ সাহেবের বংশধর[৪৩][৪৪]
শিক্ষা জীবন
তিনি নিজ গ্রাম বীরগাঁর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) মাদ্রাসা থেকে প্রাথমিক শিক্ষা ও ঢাকা থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি ১৯৪৭ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এর জিএস (জেনারেল সেক্রেটারি) পদে দায়িত্ব পালন করেন।[৪৫] তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হিসেবে তৎকালীন সময়ে সংঘটিত হওয়া বাংলা ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ডাকসু’র জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন তিনি ২৭ নভেম্বর ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের কাছে ডাকসু'র পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছিলেন, যাতে উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকেও রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উত্থাপন করা হয়। বাংলা ভাষা আন্দোলনে শরীক হওয়ার কারণে তিনি তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের হাতে তিন বার গ্রেফতার হয়েছিলেন এবং তাকে রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়।[৪৬][৪৭][৪৮][৪৯][৫০][৫১][৫২] তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের উপর বিএ এবং ১৯৫০ সালে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন।[৫৩]
কর্মজীবন
ছাত্রজীবন শেষে গোলাম আযম ১৯৫০ সালেই তবলিগ জামায়াতের তৎপরতার সাথে জড়িত হন। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত তিনি তবলিগ জামায়াতের রংপুরের আমির ছিলেন। ১৯৫০ সালের ৩রা ডিসেম্বর তিনি রংপুর কারমাইকেল কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। গোলাম আযম তমদ্দুন মজলিসের কাজেও প্রত্যক্ষভাবে জড়িত হয়ে পড়েন ১৯৫২ সালে। ১৯৫৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত তিনি তমদ্দুন মজলিসের রংপুর জেলার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৪৭][৫৪]
১৯৫৪ সালেই গোলাম আযম সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদুদীর ধারণা দ্বারা প্রভাবিত হন। ১৯৫৪ সালের ২২ এপ্রিল তিনি জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেন। ১৯৫৪ সালের এপ্রিলে জামায়াতে ইসলামীতে সহযোগী (মুত্তাফিক) হিসেবে যোগদান করার পর ১৯৫৫ সালে গ্রেফতার হয়ে রংপুর কারাগারে অবস্থানকালেই জামায়াতের রুকন হন। ১৯৫৫ সালের জুন মাসে তিনি রাজশাহী বিভাগীয় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি নিযুক্ত হন। এর এক বছর পর তিনি পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি এবং রাজশাহী বিভাগীয় আমিরের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ক্রমেই দলে তার পদমর্যাদা বৃদ্ধি পেতে থাকে ও ১৯৫৭ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক পদ গ্রহণ করেন। ১৯৬৪ সালে আইয়ুব খান সরকারবিরোধীতার জন্য মৌলবাদী ধর্মীয় কাজকর্মের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ও আযম গ্রেফতার হন। তাকে আট মাস আটক করে রাখা হয়। ১৯৬৯ সালে তিনি তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমির (সভাপতি) পদে অধিষ্ঠিত হন এবং এই পদটি তাকে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে হয়েছিল। তিনি ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান গণতান্ত্রিক জোট গঠনের অন্যতম অংশগ্রহণকারী।[৫৩] দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।[৫৫] গোলাম আযম জামায়াতে ইসলামীর তাত্ত্বিক নেতা বা গুরু হিসেবেও পরিচিত।[৫৬]
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ
১৯৭০-এর নির্বাচন
পূর্ব পাকিস্তানের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর (পাকিস্তান গণতান্ত্রিক দল, জাতীয় আওয়ামী দল, জামায়াত উলমা-ই-ইসলাম ও পাকিস্তান জাতীয় লীগসহ) সাথে জোটবদ্ধ হয়ে ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে গোলাম আযম আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নির্বাচনের জন্য প্রস্ততি নিতে শুরু করেন এবং তাদের বিরুদ্ধে পাবলিক মিটিং-এ ভাঙ্গচুর, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের উপর শারীরিক আক্রমণ ও পার্টি অফিসের লুটপাট ও ধ্বংসের জন্য অভিযুক্ত করা হয়।[৫৭] ১৯৭০ সালে আযম যখন জামায়াতের প্রধান তখন জামায়াতে ইসলামীর র্যালিসহ, কিছু রাজনৈতিক র্যালি সশস্ত্র গুন্ডাদের হামলার শিকার হয় এবং অভিযোগ করা হয় এই হামলার উসকানি দিয়েছে আওয়ামী লীগ।[৫৮][৫৯]
১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ভূমিকা
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় গোলাম আযম রাজনৈতিক অবস্থান নেন ও পাকিস্তান বিভক্তির বিরোধিতা করেন[৬০] এবং বারবার আওয়ামী লীগ ও মুক্তিবাহিনীকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে আখ্যায়িত করতে থাকেন।[৬১] পরবর্তীতে মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয় এবং ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। আযমের বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য ২৫ মার্চের পর থেকে জামায়াতের মুখপত্র বলে পরিচিত দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হত। ২৫ মার্চ রাতে সংঘটিত অপারেশন সার্চলাইট এর ছয় দিন পর গোলাম আযম ঢাকা বেতার কেন্দ্র থেকে একটি ভাষণ দেন। এ ভাষণে তিনি ভারতের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, "ভারত সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারী প্রেরণ করে কার্যত পূর্ব পাকিস্তানিদের দেশপ্রেমকে চ্যালেঞ্জ করেছে।...আমি বিশ্বাস করি যে, এই অনুপ্রবেশকারীরা পূর্ব পাকিস্তানি মুসলমানদের নিকট হতে কোন প্রকার সাহায্য পাবে না।"[৬২][৬৩] ২০ জুন ১৯৭১ সালে করা একটি মন্তব্যে গোলাম আযম পাকিস্তানের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। মন্তব্যটি ছিল, “পাকিস্তনি বাহিনী পূর্ব পাকিস্তান থেকে প্রায় সকল সন্ত্রাসীদের হটিয়ে দিয়েছে।”[৬১]
১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময়, ১১ এপ্রিল ১৯৭১ সালে গঠিত শান্তি কমিটিতে আযম গূরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ও তিনি এই আন্দোলনকে ভারতের ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেন।[১৩][৬৪] আরো মনে করা হয়, আযম এই সংস্থার একজন প্রাতিষ্ঠাতা সদস্য।[১৩] গোলাম আযমের জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগ ও বিহারিদের দ্বারা শান্তি কমিটি গঠিত হয়েছিল।[৬৫] অভিযোগ করা হয়, শান্তি কমিটির সদস্যরা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করত। তারা স্থানীয় প্রশাসনিক কার্যক্রম যেমন হিন্দুদের সম্পদ ও জমি দখল করে সেগুলো পূণঃবিতরন করত। বিশেষ করে মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবরা শান্তি কমিটির হয়রানির শিকার হয়েছে বেশি। মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রায় ১ কোটি মানুষ পাশের দেশ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল।[১৪] শান্তি কমিটির সদস্যরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে রাজাকার সদস্য সংগ্রহ করত। রাজাকারের জন্য প্রাথমিকভাবে আযমের জামায়াতে ইসলামী থেকে ৯৫ জন সদস্যকে সংগ্রহ করা হয় যাদেরকে খুলনার শাহজাহান আলী সড়কের আনসার ক্যাম্পে প্রশিক্ষন দেওয়া হয়।[৬৬][৬৭] এছাড়া যুদ্ধের সময় জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের প্রধান আশরাফ হোসাইন জামালপুর জেলায় ২২ এপ্রিল ১৯৭১ সালে মিলিশিয়া বাহিনী আলবদর গঠন করেন।[৬৮] ১২ এপ্রিল ১৯৭১ সালে আযম ও মতিউর রহমান নিজামী এই স্বাধীনতা আন্দোলনকে ভারতের ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করে একটি বিক্ষোভের ডাক দেন ও তাতে নেতৃত্ব দেন।[৬৯]
মুক্তিযুদ্ধের সময় আযম প্রায়ই পশ্চিম পাকিস্তান ভ্রমণ করতেন, পাকিস্তানের নেতাদের সাথে যুদ্ধ সম্পর্কিত আলোচনা করতেন।[৭০] ৩০ জুন লাহোরে সাংবাদিকদের কাছে গোলাম আযম বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের দুস্কৃতিকারী বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন যে তার দল এদের দমনে সর্বাত্ত্বক চেষ্টা করছে এবং এ কারণেই দুস্কৃতকারীদের হাতে বহু জামায়াত কর্মী নিহত হয়েছে।[৭১] আযম পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জেনারেল টিক্কা খানসহ অন্যান্য সেনা অফিসারদের সাথে বৈঠক করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যায় তার বিশদ আলোচনা করেন।[৭০]
১২ আগস্ট ১৯৭১ সালে দৈনিক সংগ্রামে প্রকাশিত একটি বক্তব্যে বলেন, “তথাকথিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনকারীরা ইসলাম ও পাকিস্তানের শত্রু।”[৭২] তিনি ভারতের বিরুদ্ধে আন্দোলনেরও ডাক দেন।[৭৩] গোলাম আযমকে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবেও অভিযুক্ত করা হয়। অভিযোগে বলা হয় সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে তিনি রাও ফরমান আলীর সাথে এক গোপন বৈঠক করে এই হত্যাকান্ডের নীলনকশা তৈরি করেন।[৭৪] উল্লেখ্য ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশের অসংখ্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। ১৯৭১ সালের ৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর দৈনিক সংগ্রামে গোলাম আযমের পশ্চিম পাকিস্তান সফরকালের একটি সাক্ষাৎকারের পূর্ণ বিবরণ দুই কিস্তিতে ছাপা হয়। এই সাক্ষাৎকারে তিনি মুক্তিবাহিনীর সাথে তার দলের সদস্যদের সংঘর্ষের বিভিন্ন বিবরণ ও পূর্ব পাকিস্তান পরিস্থতির ওপর মন্তব্য করেন। তিনি বলেন,
"বিচ্ছিন্নতাবাদীরা জামায়াতকে মনে করতো পহেলা নম্বরের দুশমন। তারা তালিকা তৈরি করেছে এবং জামায়াতের লোকদের বেছে বেছে হত্যা করছে, তাদের বাড়িঘর লুট করছে জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং দিচ্ছে। এতদসত্বেও জামায়াত কর্মীরা রাজাকারে ভর্তি হয়ে দেশের প্রতিরক্ষায় বাধ্য। কেননা তারা জানে 'বাংলাদেশ' ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য কোন স্থান হতে পারে না। জামায়াত কর্মীরা শহীদ হতে পারে কিন্তু পরিবর্তিত হতে পারে না।" (দৈনিক সংগ্রাম, ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭১)
অভিযোগ
২০ জুন, ১৯৭১ সালে আযম লাহোরে ঘোষণা করেন শেখ মুজিবুর রাহমানের নেতৃত্বে পূর্ব পাকিস্তানের হিন্দুরা স্বাধীনতার আন্দোলন করছে।[৭৭] ১২ আগস্ট, ১৯৭১ সালে দৈনিক সংগ্রামে প্রকাশিত একটি বার্তায় গোলাম আযম বলেন, তথাকথিত বাংলাদেশ আন্দোলনের কর্মীরা ইসলাম ও পাকিস্তানের শত্রু।[৭৮] আযম তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং অভিযোগগুলো প্রমাণ করার জন্য তথ্য-উপাত্ত বা প্রমাণ হাজির করতে বলেন।[৭৯] পরবর্তীতে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী থাকার কথা স্বীকার করেন কিন্তু তার বিরুদ্ধে আনীত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ অস্বীকার করেন।[৬৪]
সামরিক জান্তা ইয়াহিয়া খান তাদের শাসনকে বৈধ করার জন্য একটি নির্বাচনের ঘোষণা দেয়। ১২ই অক্টোবর ১৯৭১ সালে ইয়াহিয়া খান ঘোষণা করেন ২৫ নভেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর-এর মধ্যে একটি নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। গোলাম আযম এই নির্বাচনে আংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন। ১৫ আক্টোবর পাকিস্তনি সরকার হঠাৎ করেই ঘোষণা করে নির্বাচনের জন্য কোনপ্রকার প্রতিদ্বন্দিতা ছাড়াই ১৫ জন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছে। ২ নভেম্বর-এর ঘোষণা অনুযায়ী ৫৩ জন প্রার্থী নির্বাচনের জন্য কোন প্রকার প্রতিদ্বন্দিতা ছাড়াই যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে।[৮০] এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীনভাবে জামায়াত ১৪টি আসনে নির্বাচিত হয়।[৮১] মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেন, “আযম ছিলেন জার্মানির সাবেক শাসক হিটলারের সমকক্ষ যিনি নিষ্ঠুরতা ও গণহত্যায় নিয়োজিত ছিলেন।”[২৪] এর জবাবে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম বলেন, “তিনি এমন একজন ব্যক্তি ছিলেন যার সকল ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ছিল, তাহলে কেন তার একটি কমিটির প্রয়োজন হবে? হিটলারের জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে একমাত্র হিটলারই যথেষ্ট ছিল।[৮২] যাইহোক নিউইয়র্ক টাইমস ১৯৯২ সালে এক প্রতিবেদনে দাবি করে, গোলাম আযম বাংলাদেশের স্বাধীনতায় তার বিরোধিতার জন্য ১৯৭০ সালে পূর্ব পাকিস্তান ত্যাগ করে।[৮৩]
১৯৭১-এর পর বাংলাদেশ বিরোধী তদবির
পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ-ভারত যৌথবাহিনী জয় লাভ করে ও ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে একটি নতুন জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের জন্ম হয়। গোলাম আযম ১৯৭১ সালের পরও তার বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকেন। তিনি মধ্যপ্রাচ্য ও পাকিস্তানের অনেক নেতাকে এই নতুন জন্ম নেওয়া দেশকে স্বীকৃতি না দিতে তদবির করেন। তার এই তদবির সম্পর্কিত পূর্ণাঙ্গ বিবরণ ঢাকা বিশ্বব্যিালয়ের অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের লেখায় পাওয়া যায়।[২২] অধ্যাপক আনিসুজ্জামান গোলাম আযমের বিরূদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ ১৯৯২ সালে গঠিত গণআদালতে উপস্থাপন করেন। এই গণআদালত জাহানারা ইমাম ও অন্যান্যদের দ্বারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গঠিত হয়েছিল। জাহানারা ইমাম এই অভিনব গণআদালতে গোলাম আযমের বিচারের দাবি তুলেছিলেন এবং হাজার হাজার জনতা যুদ্ধাপরাধী হিসেবে গোলাম আযমের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছিল।[৮৪]
দৈনিক প্রথম আলো অনুসারে, তিনজন বুদ্ধিজীবীদের দ্বারা গোলাম আযমের বিরোদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। বাঙালি সাংস্কৃতির বিরূদ্ধে গোলাম আযমের কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উত্থাপন করেন সাইদ শামসুল হক, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উত্থাপন করেন বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর ও মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অভিযোগ উত্থাপন করেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।[২২] আনিসুজ্জামানের উপত্থাপিত অভিযোগের কিছু বিশেষ অংশ হল,[২২]
- ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হলে গোলাম আযম পাকিস্তানে বসে মাহমুদ আলী ও খাজা খয়েরউদ্দীনের মতো দেশদ্রোহীর সঙ্গে মিলিত হয়ে পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি নামে একটি সংগঠনের সূচনা করেন এবং বিভিন্ন দেশে পূর্ব পাকিস্তান পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন গড়ে তোলার আয়োজন করতে থাকেন। তিনি এই উদ্দেশ্যে দীর্ঘকাল পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতের আমির বলে পরিচয় দিতেন।
- ১৯৭২ সালে গোলাম আযম লন্ডনে পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি গঠন করেন এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্র উচ্ছেদ করে আবার এই ভূখন্ডকে পাকিস্তানের অংশে পরিনত করার ষড়যন্ত্র করেন। ১৯৭৩-এ ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠিত ফেডারেশন অফ স্টুডেন্টস ইসলামিক সোসাইটিজের বার্ষিক সম্মেলনে এবং লেসটারে অনুষ্ঠিত ইউকে ইসলামিক কমিশনের বার্ষিক সভায় তিনি বাংলাদেশ বিরোধী বক্তৃতা দেন। ১৯৭৪-এ মাহমুদ আলীসহ কয়েকজন পাকিস্তানিকে নিয়ে তিনি পূর্ব লন্ডনে পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটির একটি বৈঠক করেন। বাংলাদেশকে পাকিস্তানে পরিণত করার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে দেখে এই সভায় স্থির করা হয় যে, তারা এখন থেকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান নিয়ে একটি কনফেডারেশন গঠনের আন্দোলন করবেন। এই সভায় গোলাম আযম ঝুঁকি নিয়ে হলেও বাংলাদেশে ফিরে অভ্যন্তর থেকে কাজ চালানোর প্রয়োজনীয়তা ব্যক্ত করেন। ১৯৭৭-এ লন্ডনের হোলি ট্রিনিটি চার্চ কলেজে অনুষ্ঠিত একটি সভায় তিনি এ কথারই পুনরাবৃত্তি করেন এবং সেই উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য পাকিস্তানি পাসপোর্ট ও বাংলাদেশি ভিসা নিয়ে ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশে আগমন করেন।
- ১৯৭২ সালের ডিসেম্বরে গোলাম আযম রিয়াদে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ইসলামি যুব সম্মেলনে যোগদান করেন ও পূর্ব পাকিস্তান পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সকল মুসলিম রাষ্ট্রের সাহায্য প্রার্থনা করেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত তিনি সাতবার সৌদি বাদশার সঙ্গে সাক্ষাত করে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দিতে অনুরোধ করেন। ১৯৭৪ সালে রাবেতায়ে আলমে ইসলামির উদ্যোগে মক্কায় অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এবং ১৯৭৭ সালে কিং আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত একটি সভায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বক্তৃতা করেন।
- অনুরূপভাবে গোলাম আযম ১৯৭৩ সালে বেনগাজিতে অনুষ্ঠিত ইসলামি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে আগত প্রতিনিধিদের কাছে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেওয়ার জন্য লবিং করেন। একই বছরে ত্রিপোলিতে অনুষ্ঠিত ইসলামি যুব সম্মেলনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে হানিকর বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
- ১৯৭৩ সালে গোলাম আযম মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত মুসলিম স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন অফ আমেরিকা এন্ড কানাডার বার্ষিক সম্মেলনে বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তানে পরিণত করতে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান।
- ১৯৭৭ সালে গোলাম আযম ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত ইসলামিক ফেডারেশন অফ স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশবিরোধী বক্তৃতা করেন।[২২]
বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন
১৯৭৮ সালে গোলাম আযম পাকিস্তানি পাসপোর্ট ও বাংলাদেশের স্বল্পমেয়াদী ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। কিন্তু তিনি ১৯৭৮ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানি নাগরিক হিসেবে কোন প্রকার বৈধ ভিসা ছাড়াই বাংলাদেশে অবস্থান করেন এবং তার জন্মসূত্রে এদেশে থাকার অধিকার রয়েছে এই অধিকারবলে দেশত্যাগে অস্বীকৃতি জানান।[২২][২৩] ২০০০ সালের পর গোলাম আযম সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেন। তার উত্তরসূরী হলেন আরেক শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী ও আলবদর প্রধান মতিউর রহমান নিজামী।[৬]
গ্রেফতার ও কারারুদ্ধ
১১ জানুয়ারি ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল কর্তৃক গোলাম আযম ১৯৭১ সালে মানবতা ও শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধ, গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের মামলায় গ্রেফতার হন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল তার জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন ও তাকে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। যাইহোক তিন ঘণ্টা পর তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে মেডিকেল চেক আপে পাঠানো হয়। ডেইলি স্টার অনুসারে, ১৫ জানুয়ারি একটি মেডিকেল টিম দ্বারা আযম বিচারের জন্য উপযুক্ত বিবেচিত হওয়া সত্ত্বেও, তিনি হাসপাতালের কারাগার কক্ষে থাকার অনুমতি পান।[৮৫][৮৬] একই পত্রিকায় পরে বলা হয়, তার শারীরিক অসুস্থতার জন্য তাকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়।[৮৭]
কারারুদ্ধ করার পর থেকে আযমের স্বাস্থ্য অতি দ্রুত অবনতি হতে শুরু করে।[৮৮] তার স্ত্রী সয়ৈদা আফিফা আযম কয়েকটি সংবাদপত্রে তার স্বামীর চিকিৎসার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আযম ধীরে ধীরে দূর্বল হয়ে পড়ছে এবং অপুষ্টিজনিত কারণে এক মাসে ৩ কিলোগ্রাম ওজন হারিয়েছে।[৬১] তিনি আযমের চিকিৎসাকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বলে অভিযোগ করেন যদিও তাকে হাসপাতালের কারাগার কক্ষে রাখা হয়েছে।[৮৯][৯০] আযমের স্ত্রী আরো অভিযোগ করেন তার সাথে পরিবারের লোকদের সাক্ষাত ও বই সরবরাহ করার অনুমতি দেওয়া হয় না। এটাকে তিনি এক প্রকার মানসিক নির্যাতন বলে উল্লেখ করেন।[৯১] ডেইলি স্টার প্রতিবেদনে বলে, আযমের স্ত্রী ও আইনজীবীদের তার সাথে ১৮ ফেব্রুয়ারি সাক্ষাত করার অনুমতি দেওয়া হয় কিন্তু তার ভাতিজাকে কারাগার কক্ষে প্রবেশের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে বাধা দেওয়া হয়।[৯২][৯৩]
বিভিন্ন দেশের ইসলামিক কর্মীরা গোলাম আযমকে গ্রেফতারের ঘটনা অমানবিক বলে উল্লেখ করেন ও এ ব্যাপারে মন্তব্য করেন। আন্তর্জাতিক মুসলিম স্কলারস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউসূফ আল-কারযাভী এই গ্রেফতারকে “মর্যাদাহানিকর” বলে উল্লেখ করেন ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি তাকে অতিশীঘ্রই মুক্তি দেওয়ার অহ্বান জানান। তিনি তার মন্তব্যে বলেন, “অধ্যাপক গোলাম আযম ও তার সহকারী পণ্ডিতবৃন্দদের এবং ইসলামিক কর্মীদের বিরুদ্ধে আনীত ৪০ বছর পূর্বের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ অযৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য নয়।”[৯৪]
গোলাম আযমের এই বিচারিক প্রক্রিয়াকে অন্তজার্তিক কয়েকটি সংস্থা সমালোচনা করেছে। তাদের মধ্যে রয়েছে, জাতিসংঘ, হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।[৯৫][৯৬][৯৭] যদিও গোলাম আযমের পূর্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল দুজনকে (দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান) একই মামলায় মৃত্যুদণ্ড ও অপরজনকে (আব্দুল কাদের মোল্লা) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছে।
রায়
১৫ জুলাই ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল-১ গোলাম আযমকে ৯০ বছরের কারাদণ্ড দেন।[৩৫] গোলাম আযমের বিরুদ্ধে ৫ ধরনের ৬১টি অভিযোগ আনা হয়। যার সবগুলোই প্রমাণিত হয়েছে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। ৬১টি অভিযোগের মধ্যে— মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ মোট ৬টি, মানবতাবিরোধী অপরাধের পরিকল্পনার অভিযোগ ৩টি, মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ ২৮টি, মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ ২৩টি এবং হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে একটি।[৩৪] প্রথম ও দ্বিতীয় অভিযোগে ১০ বছর করে ২০ বছর, তৃতীয় অভিযোগে ২০ বছর, চতুর্থ অভিযোগে ২০ বছর, পঞ্চম অভিযোগে ৩০ বছর কারাদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আদেশে ট্রাইব্যুনাল বলেন, “তিনি (গোলাম আযম) যে অপরাধ করেছেন, তা মৃত্যুদণ্ডতুল্য। কিন্তু তাঁর বয়স বিবেচনা করে ট্রাইব্যুনাল তাঁকে ৯০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।”[৩২][৩৫]
মৃত্যু
গোলাম আযম ২৩ অক্টোবর ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। পরিবারের বর্ণনানুযায়ী তিনি রাত দশটার দিকে মৃত্যুবরণ করেন।[৯৮] ২৫ অক্টোবর ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ বাইতুল মুকাররমে জোহরের নামাজের পর তার জানাযার নামাজ আদায় করা হয়। তার জানাযায় বহু লোকের সমাগম ঘটে। জানাযার ইমামতি করেন গোলাম আযমের সন্তান আবদুল্লাহিল আমান আযমী। এ সময় বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদে তার জানাযার বিরোধিতা করে বেশকিছু সংগঠনের কর্মীরা পুলিশের বাধার মুখে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করে। জানাযার পর পুলিশি নিরাপত্তায় তার মরদেহ মগবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় বিদ্রোহকারী সংগঠনের কিছু কর্মী লাশবাহী যানে জুতা নিক্ষেপের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে মগবাজারে গোলাম আযমের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।[৯৯]
প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ
- বাংলাদেশের ইতিহাসে ঘটনাবহুল ৭৫ সাল (আগস্ট ও নভেম্বর বিপ্লব)[১০০]
- Islam the only divine & complete code of life[১০১]
- স্বাধিন বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রশ্ন[১০২]
- শেখ হাসিনার দুঃ শাসনের ৫ বছর[১০৩]
- শ্রমিক সমস্যার স্থায়ী সমাধান[১০৪]
- চিন্তাধারা[১০৫]
- ৩৭ বছর পর এ ইস্যু নিয়ে মাতামাতির আসল গরজ কী[১০৬]
- বাংলাদেশের জনগণের নিকট ১৫ আগস্ট কি শেখ মুজিব কি জাতির পিতা[১০৭]
- দেশ গড়ার ডাক[১০৮]
- বাংলাদেশে ইসলামী ঐক্যপ্রচেষ্টার ইতিহাস[১০৯]
- জাতীয় সংসদে রাজনৈতিক দলের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক পদ্ধতি[১১০]
- শিক্ষাব্যবস্থার ইসলামী রুপরেখা[১১১]
- রাষ্ট্রক্ষমতার উত্থান-পতনে আল্লাহ তাআলার ভূমিকা[১১২]
- রাজনৈতিক দলের সংস্কার[১১৩]
- Political Thoughts of Abul A'la Mawdudi[১১৪]
- সৎ লোকের এতো অভাব কেন[১১৫]
- অমুসলিম নাগরিক ও জামায়াতে ইসলামী[১১৬]
- কুরআনে ঘোষিত মুসলিম শাসকদের ৪ দফা কর্মসূচী[১১৭]
- ষ্টাডী সার্কেল[১১৮]
- মুসলিম মা বোনদের ভাবনার বিষয়[১১৯]
- Establishment of Deen Islam[১২০]
- কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতিঃ উদ্ভাবনা, প্রস্তাবনা ও আন্দোলন[১২১]
- জীবনে যা দেখলাম - প্রথম খন্ড[১২২]
- জীবনে যা দেখলাম - দ্বিতীয় খন্ড[১২৩]
- জীবনে যা দেখলাম - তৃতীয় খন্ড[১২৪]
- জীবনে যা দেখলাম - চতুর্থ খন্ড[১২৫]
- জীবনে যা দেখলাম - পঞ্চম খন্ড[১২৬]
- জীবনে যা দেখলাম - ষষ্ঠ খন্ড[১২৭]
- জীবনে যা দেখলাম - সপ্তম খন্ড[১২৮]
- জীবনে যা দেখলাম - অষ্টম খন্ড[১২৯]
- জীবনে যা দেখলাম - নবম খন্ড[১৩০]
- ইসলাম ও গণতন্ত্র[১৩১]
- ইসলাম ও বিজ্ঞান[১৩২]
- ইকামাতে দ্বীন[১৩৩]
- আমার বাংলাদেশ[১৩৪]
- সহজ বাংলায় আল কুরআনের অনুবাদ - ১ম খন্ড[১৩৫]
- সহজ বাংলায় আল কুরআনের অনুবাদ - ২য় খন্ড[১৩৬]
- সহজ বাংলায় আল কুরআনের অনুবাদ - ৩য় খন্ড[১৩৭]
- মনটাকে কাজ দিন[১৩৮]
- কিশোর মনে ভাবনা জাগে[১৩৯]
- কিশোর মনে ভাবনা জাগে[১৩৯]
- বাইয়াতের হাকিকাত[১৪০]
- জামায়াতে ইসলামীর কর্মনীতি[১৪১]
- জীবন্ত নামায[১৪২]
- পলাশী থেকে বাংলাদেশ[১৪৩]
- ইসলামী ঐক্য ইসলামী আন্দোলন[১৪৪]
- ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ[১৪৫]
- কুরআন বুঝা সহজ[১৪৬]
- মযবুত ঈমান[১৪৭]
- পরিপূর্ণ জীবনবিধান হিসেবে ইসলামের সহজ পরিচয়[১৪৮]
- আল্লাহর দুয়ারে ধরণা[১৪৯]
- আদম সৃষ্টির হাকিকত[১৫০]
- একজন মানুষঃ যিনি দুনিয়া ও আখিরাতের অত্যাবশ্যক[১৫১]
- দীন ইসলামের শিক্ষাদানে বুনিয়াদী গলদ[১৫২]
- দ্বীন ইসলামের ১৫ টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সঠিক ধারণা[১৫৩]
- বিয়ে তালাক ফারায়েয[১৫৪]
- বাংলাদেশী বনাম বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ[১৫৫]
- আসুন আল্লাহর সৈনিক হই[১৫৬]
- আধুনিক পরিবেশে ইসলাম[১৫৭]
- মযবুত ঈমান সহীহ ইলম নেক আমল[১৫৮]
- মানবজাতির স্রষ্টা যিনি - বিধানদাতাও একমাত্র তিনি[১৫৯]
- খাঁটি মুমিনের সহীহ জযবা[১৬০]
- জামায়াতে ইসলামীর বৈশিষ্ট্য[১৬১]
- ইসলামী সভ্যতা বনাম পাশ্চাত্য সভ্যতা[১৬২]
- ইসলামী ঐক্যমঞ্চ চাই[১৬৩]
- ইসলামী আন্দোলনঃ সাফল্য ও বিভ্রান্তি[১৬৪]
- প্রশ্নোত্তর[১৬৫]
- ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের প্রাথমিক পুঁজি[১৬৬]
- নবী জীবনের আদর্শ[১৬৭]
- নাফস রুহ কালব[১৬৮]
- মুমিনের জেলখানা[১৬৯]
- মুহতারাম আলেমসমাজ ও দীনদারদের খিদমতে জরুরি প্রশ্ন[১৭০]
- মসজিদের ইমামদের মর্যাদা ও দায়িত্ব[১৭১]
- যুক্তির কষ্টিপাথরে জন্মনিয়ন্ত্রণ[১৭২]
- রুকনিয়াতের আসল চেতনা[১৭৩]
- রাসূলগণকে আল্লাহ তাআলা কী দায়িত্ব দিয়ে পাঠালেন?[১৭৪]
- ইসলামী পুনরুজ্জীবনে মাওলানা মওদূদীর অবদান[১৭৫]
- মুসলিম নেতাদের এ দশা কেন? প্রতিকারই বা কি?[১৭৬]
- মাওলানা মওদূদীকে (র) যেমন দেখেছি[১৭৭]
- কুরআনে ঘোষিত মুসলিম শাসকদের ৪ দফা কর্মসূচী[১৭৮]
- কর্মীদের ৭দফা[১৭৯]
- রাজনৈতিক সংকটের মূলে আওয়ামী লীগের আদর্শিক অধঃপতন অগণতান্ত্রিক আচারণ ও পরাশক্তির দালালী[১৮০]
- আদর্শ রুকন[১৮১]
- শেখ হাসিনার হিংস্র রাজনীতি[১৮২]
- তাকদীর তাওয়াক্কুল সবর শোকর[১৮৩]
- বাংলাদেশ ও জামায়াতে ইসলামী[১৮৪]
- আল্লাহর খিলাফত প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি[১৮৫]
- আযানের মাধ্যেমে কাদেরকে নামাযে ডাকা হয়[১৮৬]
- সীরাতুন্নবী সা. সংকলন[১৮৭]
- আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন[১৮৮]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ "শাহানশাহ থেকে গোলাম আযম"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ Esposito, John L. (২০০৪)। The Oxford Dictionary of Islam। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 95। আইএসবিএন 978-0-19-512559-7।
- ↑ http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/352165[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Azam found guilty of Bangladesh war crimes"। আলজাজিরা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৩।
- ↑ "Bangladesh: Islamist leader found guilty of war crimes"। ইউরোনিউজ। ২৪ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৩।
- ↑ ক খ Prof. Ghulam Azam Retires ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ মার্চ ২০০১ তারিখে, Islamic Voice, December 2006.
- ↑ Uddin, Sufia M. (২০০৬)। Constructing Bangladesh: Religion, Ethnicity, And Language in an Islamic Nation। University of North Carolina। পৃষ্ঠা 169। আইএসবিএন 978-0807830215।
- ↑ H. Evans (২০০১)। The Post-colonial States of South Asia : Democracy, Development and Identity। Edited by A. Shastri and A. Wilson, Palgrave। পৃষ্ঠা 71। আইএসবিএন 978-0-312-23852-0।
- ↑ "Ghulam Azam spared death"। Dhaka Tribune। ২০১৬-০৯-১৭। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৭।
- ↑ "GHULAM AZAM Deserves death, gets 90 years"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-০৭-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৭।
- ↑ "Azam found guilty of Bangladesh war crimes"। www.aljazeera.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৭।
- ↑ "Prof. Ghulam Azam Retires"। islamicvoice। ২০০১-০৩-০৬। ২০০১-০৩-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৭।
- ↑ ক খ গ ঘ ঢাকায় নাগরিক শান্তি কমিটি গঠিত (Citizen's Peace Committee formed in Dhaka), Daily Pakistan, April 11, 1971.
- ↑ ক খ The Wall Street Journal, July 27, 1971; quoted in the book Muldhara 71 by Moidul Hasan
- ↑ "ভারতীয় চক্রান্ত বরদাস্ত করব না (We will never tolerate Indian conspiracy)"। The Daily Sangram। এপ্রিল ১৩, ১৯৭১।
- ↑ Rubin, Barry A. (২০১০)। Guide to Islamist Movements। M.E. Sharpe। পৃষ্ঠা 59। আইএসবিএন 978-0-7656-4138-0। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৩।
- ↑ Fair, C. Christine (১৬ জুন ২০১০)। Pakistan: Can the United States Secure an Insecure State?। Rand Corporation। পৃষ্ঠা 21–22। আইএসবিএন 978-0-8330-4807-3। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৩।
- ↑ "Superior responsibility not applicable to Ghulam Azam: Defence counsel"। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "দালাল আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছিল জাসদ, আলটিমেটাম দিয়েছিলেন মওলানা ভাসানী"। মানবজমিন। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-২৭।
- ↑ আহমেদ, সাঈদ ইফতেখার। "একদিন গোলাম আযম– প্রথম পর্ব"। bdnews24। ২০২৩-০২-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-২৭।
- ↑ Ahsan, Syed Aziz-al (১৯৯০)। ",. ISLAMIZATION OF THE STATE IN A DUALISTIC CULTURE: THE CASE OF BANGLADESH"। PhD Thesis, McGill University, Dept of Political Science। অজানা প্যারামিটার
|month=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ গোলাম আযমের বিরূদ্ধে ডঃ আনিসুজ্জামান উত্থাপিত অভিযোগপত্র (Allegations against Ghulam Azam submitted by Prof. Anisuzzaman); The Daily Prothom Alo - March 14, 2008
- ↑ ক খ Women and Islam in Bangladesh: Beyond Subjection and Tyranny by Taj I. Hashmi; Preview at Google books
- ↑ ক খ *"In brutality, Ghulam Azam is synonymous with German ruler Hitler who had influential role in implementation and execution of genocide and ethnic cleansing, said Sultana Kamal.""Ghulam Azam synonymous with Hitler: Sultana Kamal"। UNB Connect। সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১২। ২১ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১৩।
- ↑ Ghulam Azam lands in jail, The Daily Star, January 12, 2012
- ↑ Ghulam faces 52 charges, The Daily Star, 13 December 2011
- ↑ "গোলাম আযমের জামিনের আবেদন খারিজ"। প্রথম-আলো। ঢাকা। ১৮-০৭-২০১২। ২৪ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ 12 জুলাই 2013। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Prof Azam transferred to ‘Prison Cell’ of BSMMU ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ জুলাই ২০১২ তারিখে, BDINN, 26 November 2012.
- ↑ Ghulam faces 52 charges ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে, The Daily Star, 13 December 2011
- ↑ Ghulam Azam is hospitalised after he loses bail appeal over war crimes, Corbis, 11 January 2012
- ↑ Ghulam Azam taken to hospital[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], Bdnews24.com, 19 July 2012
- ↑ ক খ "গোলাম আযম দোষী প্রমাণিত, ৯০ বছরের কারাদণ্ড"। বিবিসি বাংলা। ১৫ জুলাই ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৩।
- ↑ http://bdnews24.com/bangladesh/2013/07/15/90-years-for-jamaat-guru-ghulam-azam
- ↑ ক খ "গোলাম আযমের ৯০ বছরের কারাদণ্ড"। সময় টিভি। ঢাকা। ১৫ জুলাই ২০১৩। ১৬ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৩।
- ↑ ক খ গ "গোলাম আযমকে ৯০ বছরের কারাদণ্ড"। দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা। ১৫ জুলাই ২০১৩। ২০১৩-১২-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৩।
- ↑ "Bangladesh: Azam Conviction Based on Flawed Proceedings"। Human Rights Watch (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-০৮-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৭।
- ↑ "Bangladesh: Azam Trial Concerns"। Human Rights Watch (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-০৮-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৭।
- ↑ "Bangladesh: Resist pressure to push for death sentences at war crimes tribunal"। www.amnesty.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৭।
- ↑ "Bangladesh: Resist pressure to push for hasty death sentences at war crimes Tribunal" (পিডিএফ)। Amnesty International। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩। ২৮ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Mustafa, Sabir (২০১৩-০১-২১)। "Bangladesh's watershed war crimes moment"। BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৭।
- ↑ "Bangladesh Jamaat-e-Islami"। jamaat-e-islami.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-০৯।
- ↑ "My Journey Through Life Part 2"। Professor Ghulam Azam (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০১-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-০৯।
- ↑ দেওয়ান নূরুল আনোয়ার হোসেন চৌধুরী (২০১২)। "শাহ্, আহ্সানুল্লাহ্"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ "Bangladesh Jamaat-e-Islami"। jamaat-e-islami.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-০৯।
- ↑ "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ - উইকিপিডিয়া"। bit.ly। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১০।
- ↑ "Pro-Bangla activist turns anti-Bangladesh | Dhaka Tribune"। web.archive.org। ২০১৬-০৯-১৭। Archived from the original on ২০১৬-০৯-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১০।
- ↑ ক খ "The Bangla Language Movement and Ghulam Azam"। openDemocracy (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১০।
- ↑ Hossain, Ishtiaq; Siddiquee, Noore Alam (২০০৪-১২-০১)। "Islam in Bangladesh politics: the role of Ghulam Azam of Jamaat-I-Islami"। Inter-Asia Cultural Studies। 5 (3): 384–399। আইএসএসএন 1464-9373। ডিওআই:10.1080/1464937042000288688।
- ↑ "ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস । প্রামান্যচিত্র ভাষা আন্দোলন । Vasha Andolon। Spondon । বাংলা প্রামান্যচিত্র"।
- ↑ "মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় এমন আত্মত্যাগের ঘটনা বিশ্ব ইতিহাসে নজিরবিহীন : গোলাম পরওয়ার"। Daily Nayadiganta। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১০।
- ↑ "ভাষা আন্দোলনে অধ্যাপক গোলাম আযম এর অবদান অবিস্মরণীয়"। The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১০।
- ↑ "অধ্যাপক গোলাম আযম কি ভাষা সৈনিক ছিলেন? আসুন প্রকৃত ইতিহাস জেনে নেই"। বার্তাবাহক (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০২-২১। ২০২০-০৪-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১০।
- ↑ ক খ I. Hossain, N. Siddiquee, 'Islam in Bangladesh Politics: the role of Ghulam Azam of Jamaat-i-Islaami', Inter-Asia Cultural Studies, Vol 5, 2004, p. 385
- ↑ "অধ্যাপক গোলাম আযম একটি নাম, একটি ইতিহাস"। The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১০।
- ↑ "Prof. Ghulam Azam Retires"। Islamic Voice। ডিসেম্বর ২০০০। ৬ মার্চ ২০০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৩।
- ↑ "গোলাম আযমের রায় যেকোনো দিন"। বিবিসি। বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ 12 জুলাই 2013। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ 'White Paper on The Crisis in East Pakistan', Government of Pakistan, Islamadab, August 5, 1971
- ↑ Idem, pg. 6-8
- ↑ 'Police accused over rioting',The Guardian, January 26, 1970, pg. 4
- ↑ Salik, Siddiq (১৯৭৭)। "Politico-Military"। Witness to Surrender (First সংস্করণ)। Dhaka, Bangladesh: The University Press Limited। পৃষ্ঠা 93। আইএসবিএন 984 05 1373 7।
- ↑ ক খ গ Ghulam Azams speeches in 1971 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে, The daily Prothom Alo, 11 January 2012
- ↑ দৈনিক সংগ্রাম, ৭ এপ্রিল ১৯৭১।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৪।
- ↑ ক খ "Ghulam Azam was on Peace Committee"। The Daily Star (Bangladesh)। মার্চ ১২, ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৩, ২০১৩।
- ↑ Kann, Peter R. (জুলাই ২৭, ১৯৭১)। "East Pakistan Is Seen Gaining Independence, But It Will Take Years"। Wall Street Journal।
- ↑ Daily Pakistan। মে ২৫, ১৯৭১।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - ↑ Daily Azad। মে ২৬, ১৯৭১।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - ↑ Daily Purbodesh। এপ্রিল ২৩, ১৯৭১।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - ↑ "পাকিস্তানের প্রতি চীনের দৃঢ় সমর্থন রয়েছে (China fully supports Pakistan)"। The Daily Sangram। এপ্রিল ১৩, ১৯৭১।
- ↑ ক খ "History speaks up - Julfikar Ali Manik and Emran Hossain"। The Daily Star। অক্টোবর ২৭, ২০০৭।
- ↑ "লাহোরে সাংবাদিক সম্মেলনে অধ্যাপক গোলাম আযম (Prof. Ghulam Azam in a conference at Lahore)"। Daily Sangram। জুন ২১, ১৯৭১।
- ↑ "মাওলানা মাদানীর শাহাদত মুসলমানদের সচেতন করার জন্য যথেষ্ট - গোলাম আযম"। Daily Sangram। আগস্ট ১২, ১৯৭১।
- ↑ "Ghulam Azam calls for an all out war"। The Pakistan Observer। নভেম্বর ২৬, ১৯৭১।
- ↑ "I Made No Mistake in 1971: Gholam Azam and the Jamaat Polilics"। Bichitra। 17। অজানা প্যারামিটার
|month=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:|তারিখ=, |year= / |date= mismatch
(সাহায্য) - ↑ "মাওলানা মাদানীর শাহাদত মুসলমানদের সচেতন করার জন্য যথেষ্ট - গোলাম আযম". The Daily Sangram. August 12, 1971.
- ↑ "Ghulam Azam calls for an all out war". The Pakistan Observer. November 26, 1971.
- ↑ লাহোরে সাংবাদিক সম্মেলনে অধ্যাপক গোলাম আযম (Prof. Ghulam Azam in a conference at Lahore), Daily Sangram, 21 June 1971.
- ↑ মাওলানা মাদানীর শাহাদত মুসলমানদের সচেতন করার জন্য যথেষ্ট - গোলাম আযম, Daily Sangram, August 12, 1971.
- ↑ Azam ATN Bangla Interview, 14th Dec 2011, with Eng Subs Part 2, See video at 2:15 and 3:42.
- ↑ Muldhara '71 (মূলধারা '৭১ Mainstream '71) by Moidul Hasan, page. 128, footnote. 177. published by University Press Limited
- ↑ International Herald Tribune; November 4, 1971
- ↑ * "Jamaat-e-Islami guru Ghulam Azam's role during the Liberation War ‘was quite like Adolf Hitler in Second World War Germany’.""Azam was like Hitler in Germany"। Bdnews24.com। মার্চ ৩, ২০১৩।* "Next on the list is Ghulam Azam, the head of Jamaat in 1971, accused of overseeing the setting up of pro-Pakistani death squads manned by the party’s student wing. The prosecution is seeking the death penalty for Mr Azam, whom it likened, in its closing arguments this week, to Adolf Hitler.""Unrest in Bangladesh: A nation divided"। The Economist। ৯ মার্চ ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১৩।
- "War crimes prosecutors on Sunday said that in 1971 Ghulam Azam did in Bangladesh what Adolf Hitler did in Germany during the Second World War. 'Ghulam Azam was the Hitler in Bangladesh under Pakistan army occupation in 1971', said prosecutor Zead-Al-Malum. "Staff Correspondent। "Ghulam Azam was Hitler of 1971: prosecution"। New Age (Bangladesh)। ২০১৩-১২-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১৩।
- ↑ "3 Die in Bangladesh Fundamentalists' Strike", New York Times, June 21, 1992.
- ↑ "Focus back on, 8yrs after"। The Daily Star। মে ১২, ২০০৯।
- ↑ Hospital stay not needed, The Daily Star, 15 January 2012.
- ↑ Ghulam Azam lands in jail[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], bdnews24.com, 11 January 2012.
- ↑ Counsels and Family Meet with Ghulam Azam, 18 February 2012.
- ↑ Ghulam Azam's counsels prefer ICT-2[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], Bdnews24.com, 31 May 2012
- ↑ স্বামীর জীবন নিয়ে আমি শঙ্কিত : সৈয়দা আফিফা আযম (I am in fear of my husband's life: Syeda Afifa Azam) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে, Daily Naya Diganta, 27 January 2012.
- ↑ অধ্যাপক গোলাম আযমের (Professor Ghulam Azam has lost 3 kg in weight) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে, The Daily Sangram, 5 February 2012.
- ↑ গোলাম আযমকে ‘প্রিজন সেল'এ মানসিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে -মিসেস আফিফা আযম (Ghulam Azam is being mentally tortured in his prison cell - Mrs Afifa Azam) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে, The Daily Sangram, 12 February 2012. Azam is held in solitary confinement and is allowed a visit of 30 minutes per week by 3 close relatives only. Applications for visits are required to be made in advance and require approval.
- ↑ Counsels, family meet Ghulam Azam
- ↑ Wife, son meet Ghulam Azam
- ↑ الإتحاد يندد بإعتقال الحكومة البنغالية المفكرين الإسلاميين ويطالب بإطلاق سراحهم(The Union condemns the arrest of Professor Ghulam Azam and other thinkers by the Bangladeshi government) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ মার্চ ২০১৪ তারিখে, International Union of Muslim Scholars, 18 January 2012.
- ↑ ICT convicts A. Q. Molla of 5 charges and sentences him to life imprisonment The International Criminal Law Bureau (5 February 2013)
- ↑ Detention of accused unlawful The Daily Star (16 February 2012)
- ↑ Bangladesh: /ref> পরবর্তীতে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী থাকার কথা স্বীকার করেন কিন্তু তার বিরুদ্ধে আনীত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ অস্বীকার করেন।Government Backtracks on Rights Adams, Brad (1 February 2013) Bangladesh: Government Backtracks on Rights. Human Rights Watch.
- ↑ "গোলাম আযমের জানাজা শনিবার"। bbc.com.uk। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ আহরার হোসেন (২৫ অক্টোবর ২০১৪)। "কড়া নিরাপত্তায় ঢাকায় গোলাম আযমের জানাজা"। bbc.com.uk। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ "বাংলাদেশের ইতিহাসে ঘটনাবহুল ৭৫ সাল (আগস্ট ও নভেম্বর বিপ্লব)"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Islam the only divine & complete code of life । পাঠাগার"। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "স্বাধিন বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রশ্ন"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "শেখ হাসিনার দুঃ শাসনের ৫ বছর । পাঠাগার"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "শ্রমিক সমস্যার স্থায়ী সমাধান"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "চিন্তাধারা"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "৩৭ বছর পর এ ইস্যু নিয়ে মাতামাতির আসল গরজ কী"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "বাংলাদেশের জনগণের নিকট ১৫ আগস্ট কি শেখ মুজিব কি জাতির পিতা"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "দেশ গড়ার ডাক"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "বাংলাদেশে ইসলামী ঐক্যপ্রচেষ্টার ইতিহাস"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "জাতীয় সংসদে রাজনৈতিক দলের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক পদ্ধতি"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "শিক্ষাব্যবস্থার ইসলামী রুপরেখা"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "রাষ্ট্রক্ষমতার উত্থান-পতনে আল্লাহ তাআলার ভূমিকা"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "রাজনৈতিক দলের সংস্কার"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Political Thoughts of Abul A'la Mawdudi"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "সৎ লোকের এতো অভাব কেন"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "অমুসলিম নাগরিক ও জামায়াতে ইসলামী"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "কুরআনে ঘোষিত মুসলিম শাসকদের ৪ দফা কর্মসূচী"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "ষ্টাডী সার্কেল"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "মুসলিম মা বোনদের ভাবনার বিষয়"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Establishment of Deen Islam"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতিঃ উদ্ভাবনা, প্রস্তাবনা ও আন্দোলন"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "জীবনে যা দেখলাম - প্রথম খন্ড"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "জীবনে যা দেখলাম - দ্বিতীয় খন্ড"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "জীবনে যা দেখলাম - তৃতীয় খন্ড"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "জীবনে যা দেখলাম - চতুর্থ খন্ড"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "জীবনে যা দেখলাম - পঞ্চম খন্ড"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "জীবনে যা দেখলাম - ষষ্ঠ খন্ড"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "জীবনে যা দেখলাম - সপ্তম খন্ড"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "জীবনে যা দেখলাম - অষ্টম খন্ড"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "জীবনে যা দেখলাম - নবম খন্ড"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "ইসলাম ও গণতন্ত্র"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "ইসলাম ও বিজ্ঞান"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "ইকামাতে দ্বীন"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "পার্ট ১। আমার বাংলাদেশ"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "সহজ বাংলায় আল কুরআনের অনুবাদ - ১ম খন্ড"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "সহজ বাংলায় আল কুরআনের অনুবাদ - ২য় খন্ড"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "সহজ বাংলায় আল কুরআনের অনুবাদ - ৩য় খন্ড"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "মনটাকে কাজ দিন"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ ক খ "কিশোর মনে ভাবনা জাগে"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "বাইয়াতের হাকিকাত"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "জামায়াতে ইসলামীর কর্মনীতি"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "জীবন্ত নামায"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "পলাশী থেকে বাংলাদেশ"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "ইসলামী ঐক্য ইসলামী আন্দোলন"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "কুরআন বুঝা সহজ"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "মযবুত ঈমান"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "পরিপূর্ণ জীবনবিধান হিসেবে ইসলামের সহজ পরিচয়"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "আল্লাহর দুয়ারে ধরণা"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "আদম সৃষ্টির হাকিকত"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "একজন মানুষঃ যিনি দুনিয়া ও আখিরাতের অত্যাবশ্যক"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "দীন ইসলামের শিক্ষাদানে বুনিয়াদী গলদ"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "দ্বীন ইসলামের ১৫ টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সঠিক ধারণা"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "বিয়ে তালাক ফারায়েয"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "বাংলাদেশী বনাম বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "আসুন আল্লাহর সৈনিক হই"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "আধুনিক পরিবেশে ইসলাম"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "মযবুত ঈমান সহীহ ইলম নেক আমল"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "মানবজাতির স্রষ্টা যিনি - বিধানদাতাও একমাত্র তিনি"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "খাঁটি মুমিনের সহীহ জযবা"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "জামায়াতে ইসলামীর বৈশিষ্ট্য"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "ইসলামী সভ্যতা বনাম পাশ্চাত্য সভ্যতা"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "ইসলামী ঐক্যমঞ্চ চাই"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "ইসলামী আন্দোলনঃ সাফল্য ও বিভ্রান্তি"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "প্রশ্নোত্তর"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের প্রাথমিক পুঁজি"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "নবী জীবনের আদর্শ"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "নাফস রুহ কালব"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "মুমিনের জেলখানা"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "মুহতারাম আলেমসমাজ ও দীনদারদের খিদমতে জরুরি প্রশ্ন"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "মসজিদের ইমামদের মর্যাদা ও দায়িত্ব"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "যুক্তির কষ্টিপাথরে জন্মনিয়ন্ত্রণ"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "রুকনিয়াতের আসল চেতনা"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "রাসূলগণকে আল্লাহ তাআলা কী দায়িত্ব দিয়ে পাঠালেন?"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "ইসলামী পুনরুজ্জীবনে মাওলানা মওদূদীর অবদান"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "মুসলিম নেতাদের এ দশা কেন? প্রতিকারই বা কি?"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "মাওলানা মওদূদীকে (র) যেমন দেখেছি"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "কুরআনে ঘোষিত মুসলিম শাসকদের ৪ দফা কর্মসূচী"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "কর্মীদের ৭দফা"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "রাজনৈতিক সংকটের মূলে আওয়ামী লীগের আদর্শিক অধঃপতন অগণতান্ত্রিক আচারণ ও পরাশক্তির দালালী"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "আদর্শ রুকন"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "শেখ হাসিনার হিংস্র রাজনীতি"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "তাকদীর তাওয়াক্কুল সবর শোকর"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "বাংলাদেশ ও জামায়াতে ইসলামী"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "আল্লাহর খিলাফত প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "আযানের মাধ্যেমে কাদেরকে নামাযে ডাকা হয়"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "সীরাতুন্নবী সা. সংকলন"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন"। পাঠাগার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী মওলানা আবদুর রহিম |
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমীর ১৯৬৯–২০০০ |
উত্তরসূরী মতিউর রহমান নিজামী |